সিলেটটুডে ডেস্ক

১৮ ডিসেম্বর, ২০১৮ ১৯:০৮

যুদ্ধাপরাধের বিচারের প্রসঙ্গ নেই বিএনপির ইশতেহারে

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ইশতেহারে যুদ্ধাপরাধের বিচার চালিয়ে যাওয়ার কথা উল্লেখ থাকলেও নিজেদের ইশতেহারে এ প্রসঙ্গে কিছু বলেনি বিএনপি।

মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর হোটেল লেকশোরে বেগম খালেদা জিয়ার পক্ষে ইশতেহার ঘোষণা করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ইশতেহারে ১৯ দফা প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বিএনপি।

যুদ্ধাপরাধের বিচারের প্রসঙ্গটি উল্লেখ না থাকলেও বিএনপির ইশতেহারে বিডিআর (বর্তমানে বিজিবি) বিদ্রোহের সময় সেনা কর্মকর্তাদের হত্যা, বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির বিষয়ে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলা হয়েছে।

১৯৭১ সালে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের বিষয়ে ইশতেহারে কিছু উল্লেখ না থাকার কারণ হিসেবে পরে বিএনপি মহাসচিব সাংবাদিকদের বলেন, ‘চলমান সবকিছুতে এসব বিষয় উল্লেখ আছে।’

একই বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, ‘যুদ্ধাপরাধের বিচারকাজ অব্যাহত থাকবে, এটা আমাদের মূল ইশতেহারে আছে। সংক্ষিপ্তভাবে ঘোষিত ইশতেহারে এটি হয়তো আসেনি।’

অধ্যাপক এমাজউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘যুদ্ধাপরাধীর বিচার অব্যাহত থাকবে। জাতি হিসেবে আমাদের মূল বিষয় হলো মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীনতা অর্জন। এই স্বাধীনতার যারা বিরোধিতা করেছে এবং অপরাধ করেছে, তাদের বিচার চলমান থাকবে।’

বিএনপির ঘোষিত ইশতেহারে এ বিষয়ে স্পষ্ট উল্লেখ না থাকলেও তাদের জোট ঐক্যফ্রন্টের ইশতেহারে ‘যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চলমান’ রাখার কথা স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে বিএনপি ঘোষিত ইশতেহারের শেষের অংশে বলা হয়েছে, ‘উল্লেখিত অঙ্গীকারগুলো সম্পর্কে আমাদের পূর্ণাঙ্গ ইশতেহারে বিস্তৃত ব্যাখা আছে। এই ইশতেহার আপনারা বিএনপির ওয়েব সাইটে পাবেন। উপরন্তু, ব্যাপক জনগণের সুবিধার্থে এ সপ্তাহেই ইশতেহারের মুদ্রিত সংস্করণ প্রকাশিত হবে।

ইশতেহারে গুরুত্বারোপ করা ১৯ দফার অন্যান্য বিষয়গুলোর মধ্যে রয়েছে- ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ, অর্থনীতি, মুক্তিযোদ্ধা, যুব নারী ও শিশু, শিক্ষা ও কর্মসংস্থান, জ্বালানি, তথ্য ও প্রযুক্তি, ক্রীড়া ও সংস্কৃতি, বৈদেশিক ও প্রবাসী কল্যাণ, কৃষি ও শিল্প, স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা, প্রতিরক্ষা ও পুলিশ, আবাসন, পেনশন ফান্ড ও রেশনিং ফান্ড প্রতিষ্ঠা, পরিবেশ, পররাষ্ট্র এবং ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত