নিউজ ডেস্ক

৩১ ডিসেম্বর, ২০১৮ ২০:৫৯

পুননির্বাচনে আইনি লড়াই চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা মির্জা ফখরুলের

সরকার রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে জয়ী হয়েছে অভিযোগ করে পুননির্বাচনের জন্য আইনি লড়াইয়ের পাশাপাশি আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন,‘সরকার জয়লাভে রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করেছে। রাষ্ট্রযন্ত্র বলতে শুধু পুলিশ নয়, বিচার বিভাগ, রিটার্নিং কর্মকর্তাসহ সম্পূর্ণভাবে ব্যবহার করেছে প্রশাসনের কর্মকর্তাদের।’

সোমবার (৩১ ডিসেম্বর) বিকেলে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে বৈঠক শেষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

এসময় তিনি আরো বলেন, বিদেশি পর্যবেক্ষকদের যে কথা বলা হচ্ছে, তাতে সরকার আইওয়াশ করেছে। পর্যবেক্ষক হিসেবে যাদের থাকার কথা তাদের দেশেই আসতে দেয়া হয়নি।

ফখরুল বলেন, ‘এখানে ভারতসহ যাদের আসার কথা ছিল তাদের ভিসা দেয়া হয়নি। ইইউ তাদের কোনো প্রতিনিধি পাঠায়নি, দুই জনের একটা মনিটরিং টিম পাঠিয়েছে। ভারত এবং কানাডিয়ানরা অফিসিয়ালি কি পাঠিয়েছে জানি না।’

এসময় ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘অনেকের প্রশ্ন থাকতে পারে সরকারের এতো অত্যাচার, নির্যাতনের পরেও নির্বাচনে গেলাম কেন, আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাসী, আমরা মানুষের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিলাম, আমরা সরকার পরিবর্তনে বিশ্বাসী তাই নির্বাচনে গেছি।'

নির্বাচন কমিশনের যোগসাজশে বিরোধী দলের এজেন্টদের কেন্দ্রে ঢুকতে দেয়নি অভিযোগ করে ফখরুল বলেন, ‘আগের দিন সন্ধ্যা থেকে কারচুপি শুরু হয়। আমরা জানতে পেরেছি বিভিন্ন কেন্দ্রে র‌্যাব-পুলিশের পাহারায় ছাত্রলীগ-যুবলীগ মিলে সিল দিয়ে বাক্স ভরেছে। সকালে যখন কেন্দ্রে ভোটাররা আসতে শুরু করে তখন আবারও হামলা শুরু করে বিরোধী দলের এজেন্টদের কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়। পুলিশ ফাঁকা গুলি করে ভোটারদের তাড়িয়ে দেয়। তাই অনেক প্রার্থী ভোট বর্জন করে।’

এর আগে দুই ঘণ্টা বৈঠক করে বিএনপির সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী ফোরামের সদস্যরা। মির্জা ফখরুল ইসলামের সভাপতিত্বে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমান, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আব্দুল মঈন খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত