সোশ্যাল মিডিয়া ডেস্ক

১৯ মার্চ, ২০১৬ ১৯:১৯

‘মারহাবা মারহাবা মারহাবা... ধন্য তুমি আইসিসি বাবা!’

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মাঝপথে দুই টাইগার বোলার তাসকিন আহমেদ ও আরাফাত সানিকে অবৈধ্য বোলিং একশনের দায়ে নিষিদ্ধ করায় ক্ষোভ ফুঁসছেন বাংলাদেশের সমর্থকরা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শুরু হয়েছে সমর্থকদের প্রতিক্রিয়া। এই ঘটনায় আইসিসি ও 'তিন মোড়ল' ভারত, অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডের প্রভাব দেখতে পাচ্ছেন তারা।

নাট্যকর্মী দেবজ্যোতি দেবু তাঁর ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছেন: 


আইসিসি নাটকের চরম পর্ব শেষ পর্যন্ত উপস্থাপিত হলো। শেষ পর্যন্ত প্রমাণ হলো আইসিসি শুধু দালাল না, চরম ভণ্ড এবং অন্ধও বটে।


আম্পায়ারদের করা অভিযোগের ভিত্তিতে বাংলাদেশের বোলার তাসকিন এবং সানিকে 'বায়ো-মেকানিক্যাল টেস্ট ' দেয়ার জন্য আদেশ দেয় আইসিসি। যদিও আম্পায়াররা প্রথমে বলেছিল তারা পরীক্ষা দেয়ার আগ পর্যন্ত বাকি ম্যাচগুলো খেলতে পারবে। কিন্তু হঠাৎ করে উড়ে এসে সবাইকে অবাক করে নিজেদের বাম হাত ঢুকিয়ে দিয়ে আইসিসি জানালো দুইজনেই পরীক্ষা দেয়ার আগ পর্যন্ত কোন ম্যাচ খেলতে পারবে না। যেমন কথা তেমন কাজ। পরীক্ষা দিয়ে আসলেন দুজনেই। পরে তাসকিন এক ম্যাচে বোলিংও করলেন। সেই ম্যাচে আবার কোন আম্পায়ার কোন সমস্যা খুঁজে পান নি।

আজ পরীক্ষার রেজাল্ট আসার কথা। সকালে বিসিবিকে আইসিসি জানালো সানি'র বোলিংয়ে সমস্যা পাওয়া গেছে, তাই তাকে সাময়িক ভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কিন্তু তাসকিনের বোলিংয়ে কোন সমস্যা পাওয়া যায় নি। কিছুটা স্বস্তিতে ছিলাম এই ভেবে যে, আইসিসি'র জোচ্চুরি থেকে একজন অন্তত বেঁচে গেছে।

কিন্তু আবারও আইসিসি বাবার বাম হাত এসে হাজির হলো আরেক অবাক করা সংবাদ নিয়ে। তাসকিন আহমেদও নাকি নিষিদ্ধ! কারণ হিসেবে বললো, তার টেস্টেও ত্রুটি পাওয়া গেছে! আইসিসি তাদের ওয়েবসাইটে জানিয়েছে, চেন্নাইয়ের ল্যাবে বোলিং পরীক্ষা দিয়ে উৎরাতে না পারায় এই দুই বোলারকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে সাময়িক ভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

আমি অবশ্য তেমন একটা অবাক হতে পারছি না। কারণ, খাপে খাপ মিলে যাচ্ছে হিসাবটা। কিছুদিন আগেই বলেছিলাম বাংলাদেশকে আটকে দেয়ার জন্যই এই কূটচাল চেলেছে আইসিসি। আজও তাই বলছি। বাংলাদেশকে হারানোর একটা মোক্ষম অস্ত্র হচ্ছে বোলারদের কাবু করা। তারা করছেও তাই।

দু'দিন পর অস্ট্রেলিয়ার সাথে ম্যাচ আমাদের। অস্ট্রেলিয়া তাদের প্রথম ম্যাচেই ধরা খেয়েছে। তাই পরের ম্যাচে জিততে না পারলে টুর্নামেন্টে টিকে থাকাই অনেকটা কষ্টের হবে। ভারতের অবস্থাও প্রায় একই। কারণ ভারতের এখনো নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে খেলা বাকি। আর নিউজিল্যান্ড যে ফর্মে আছে, তাতে করে উৎরে যাওয়া ভারতের পক্ষে অনেক কষ্টের। বাকি থাকলো অস্ট্রেলিয়া vs ভারত। এখানে যে কোন একজনকে ছাড় দিতেই হবে। তাহলে সেমিতে যাওয়ার জন্য আর কাকে বলির পাঠা বানানো যায়? উত্তর হিসেবে তারা বাংলাদেশকেই বেছে নিয়েছে।

তাসকিনের গতি আর সানি'র ঘূর্ণি, দু'টোই অস্ট্রেলিয়ানদের জন্য চিন্তার বিষয়। কারণ এই ঘূর্ণির কাছে কুপোকাত হয়েছিল নিউজিল্যান্ডের কাছে। তারা চায় না আর কোন রিস্ক নিতে। তাই দুই মোড়ল স্মরণ করলো আইসিসি বাবাকে। আর বাবাও বাঁচিয়ে দিলেন ভারত আর অস্ট্রেলিয়াকে। অস্ত্রটা যেহেতু রেডিই ছিল, তাই সময় মত প্রয়োগ করে বাংলা বধের চাল চাললো আইসিসি।

ফলাফল হবে, বাংলাদেশ সম্পূর্ণ অপ্রস্তুত হয়ে ম্যাচের ছক কষতে বসবে। মূল অস্ত্র তাসকিনকে হারিয়ে এখন নতুন কোন বোলারের উপর ভরসা করতে হবে। হয়তো চাপ নিতে না পেরে তালগোল পাকিয়ে ম্যাচের বারোটা বাজাবে বোলাররা।

জয় আইসিসি বাবার জয়, জয় ক্রিকেট মোড়লদের জয়...






আপনার মন্তব্য

আলোচিত