আব্দুল করিম কিম

২৭ নভেম্বর, ২০১৬ ০২:৩০

রাগীব আলী : তোষামোদকারী নির্লজ্জ লেখকেরা আজ নীরব

জাহাজ ডুবতে বসলে ইঁদুরেরা বুঝতে পারে। ডুবন্ত জাহাজ থেকে ইঁদুরেরা লাফিয়ে পড়ে। রাগীব আলী নামের টাইটানিক জাহাজের পতন বুঝতে পেরে মানুষরূপী ইঁদুরেরা সটকে পড়েছে।

রাগীব আলী'র পক্ষে কথা বলার কেউ নেই। ঢাউস ঢাউস বইয়ে যে সব তোষামোদকারী নির্লজ্জের মত লিখে লিখে সাধারণ মানুষটাকে মহামানব বলার প্রাণান্তকর চেষ্টা করেছে রাগীব আলীর চেয়ে তাদেরকেই বেশি নীতি-বিবর্জিত নষ্ট মানুষ মনে হয়। দু'লাইন লিখতে কলম ভাঙে এমন মানুষকে দাপুটে সাংবাদিক বানিয়েছিলেন রাগীব আলী। আজ এরা নীরব।

বাংলাদেশে রাগীব আলী'র চেয়ে শতগুণ বড় বড় ভূমি-দস্যু ও লুটেরা রয়েছে। যারা দান-খয়রাতের চৌহদ্দিতেও নেই। রাগীব আলী ওদের মত একা সব ভোগ করেনি। ড্রাম বাজিয়ে হলেও দান খয়রাত করেছেন। লুটের জায়গায় পূর্ণাঙ্গ হাসপাতাল করেছেন, অসংখ্য প্রতিষ্ঠানকে রাগীব আলী আর্থিক সহযোগিতা দিয়েছেন। কিন্তু বাংলাদেশের অনেক লুটেরা নিঃশব্দে লুটে খেয়েছে হাজার কোটি টাকার সম্পদ। বিদেশে সে সম্পদ পাচার করেছে।

সম্প্রতি 'মুসা বিন শমসের' নামের এক দানবের সাক্ষাৎকার ফেইসবুকে ভাইরাল হয়েছিল। সে দেশের দরিদ্র মানুষ নিয়ে যেভাবে উপহাস করেছে, নিজের বিত্ত-বৈভবের যে অশ্লীল প্রদর্শনী করেছে তা দেখার পর 'রাগীব আলী'কে অনেক ভালো মানুষই বলতে হয়। ভদ্রলোক আর যাই হোক নিজের পোশাক পরিচ্ছদে বা জীবনাচরণে এমন দাম্ভিকতা প্রদর্শন করেননি। বিত্তশালীদের অন্যতম দোষ 'মদ ও নারী' থেকেও তিনি মুক্ত ছিলেন। সমস্যা তাঁর একটাই ছিল বেহায়া এরশাদের মত আত্মপ্রচারণা। এরশাদ রাষ্ট্রের টেলিভিশনে পরের ধনে পোদ্দারির দান-খয়রাত প্রদর্শন করতো আর রাগীব আলী নিজের অর্থে প্রকাশিত দৈনিকে নিজের দান-খয়রাতনামা প্রথম পাতায় পাঁচ কলামে প্রকাশ করতেন।

যাই হোক তাঁকে বিচারের মুখোমুখি করা হয়েছে। গ্রেফতার হয়েছেন। আমার ধারনা অচিরেই জামিন পেয়ে যাবেন। দেশের প্রথম সারির বিশিষ্ট কোন আইনজীবীকে কাড়ি কাড়ি টাকা দিলে একটা প্যাঁচ ঠিকই বের হবে। এদেশে আইনের সব ফাঁক লুটপাটতন্ত্রের জন্য।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত