০৫ এপ্রিল, ২০১৭ ২৩:৩২
ছবি: মাশরাফির ফেসবুক পেজ থেকে
মাশরাফিকে একদিন বিদায় নিতে হতোই। কিন্তু দল আর দেশের জন্যে এত ত্যাগের ত্যাগী ম্যাশকে যেভাবে বিদায় দেয়া হচ্ছে, চাপের মুখে টি-টোয়েনটি থেকে সরে যেতে হয়েছে তা খুবই অশোভন-আপত্তিকর।
আমি এরজন্য প্রথমে কোচ হাথুরুসিংহে এবং পরে বিসিবি বস নাজমুল হাসান পাপনকে দায়ি করবো।
বেতন ভুক্ত কোচ আজ আছেন কাল চলে যাবেন। কিন্তু তার খামখেয়ালিপনার শিকার আজ বাংলাদেশের ক্রিকেট।
কোচের সঙ্গে সিনিয়র ক্রিকেটারদের কী সম্পর্ক তা আমি গত নিউ জিল্যান্ড সফরের সময় টের পেয়েছি। কোচ তার সবকিছু চাপিয়ে দিতে, উদ্ধার করতে পাপনকে ব্যবহার করেন। এরজন্য দলের নির্বাচকমণ্ডলী সহ অন্য সব কর্তৃপক্ষের কোন স্বাধীন ভূমিকা এখন বিসিবিতে নেই।
এখন একটি বিদেশ সফরের সময় মাশরাফির ওপর যে চাপ এলো এর পিছনে সাম্প্রতিক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদকে অপদস্থ করার বিরুদ্ধে ম্যাশ যে বিদ্রোহ করেছিলেন তারও শাস্তি আছে। মাহমুদুল্লাহ রিয়াদকে গোটা শ্রীলংকা সফর থেকেই গুটিয়ে নিতে নিয়ত করেছিলেন কোচ। ম্যাশ এর বিরোধিতা বিদ্রোহের কারণে পারেননি।
এই ম্যাশ যে দলের সদস্যদের কাছে মায়ের পেটের ভাই, বন্ধু এবং পিতার মতো তা কোচ-পাপন কোং জানে। এক সঙ্গে তাকে ওয়ানডে দলের নেতৃত্ব থেকে বাদ দিতে গেলে বেশি খারাপ দেখাত। দলে অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়তো। কিন্তু সেটিতেও বেশিদিন যাবেনা।
সম্ভাবনাময় বাংলাদেশ ক্রিকেট দল এখন ভালো লোকজনের পাশাপাশি রাহুগ্রস্তও।
মাশরাফির বদলে সাকিবকে কাপ্তান করাটা আরেকটি ভুল সিদ্ধান্ত। কারণ পুরনো অভিজ্ঞতা হচ্ছে এতে সাকিবের ব্যক্তিগত নৈপুণ্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়, দলও উপকৃত হয়না।
মাশরাফি জান প্রাণ দিয়ে খেলেন দেশ-দল-নিজের জন্য। সাকিব ঠিক এর উলটো। দলের সদস্যদের সঙ্গে সাকিবের সম্পর্কও মাপা কথাবার্তার।
প্রাপ্য মর্যাদার বদলে ম্যাশকে যেভাবে কৌশলে অপাংক্তেয় করে দেয়া হচ্ছে এতে দলের মধ্যে ক্ষতের সৃষ্টি করবে। ম্যাশকে নিয়ে এখন আর লিখতে পারছিনা। চোখ ঝাপসা হয়ে আসে।
আপনার মন্তব্য