১১ মে, ২০১৭ ০২:০৬
রাজধানীর বনানীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রীকে ধর্ষনের দায়ে অভিযুক্ত শাফাত আহমেদ ও নাঈম আশরাফের একটি সেলফি নিয়ে ফেসবুকে ব্যাপক সমালোচনা চলছে।
সাত দিনে নিজের তোলা এই সেলফিটি ইন্সটাগ্রামে পোস্ট করেন নাঈম আশরাফ। ছবিতে দেখা যায়, এক পুলিশ কর্মকর্তার সাথে দাঁড়িয়ে রয়েছেন শাফাত ও নাঈম। পেছনে ঢাকা মহানগর পুলিশের কর্মকর্তাদের নামের একটি বোর্ড রয়েছে। তাতে ধারণা করা হচ্ছে ছবিটি ওই পুলিশ কর্মকর্তার অফিস কক্ষেই ধারণ করা।
৩ মে এই ছবিটি তোলা হয় বলে দাবি করেছেন ফেসবুক ব্যবহারকারীরা। আর বনানীতে দ্য রেইনট্রি হোটেলে ঘটনাটি ঘটে ২৮ মার্চ। ৪ মে বনানী থানায় ধর্ষণের অভিযোগ করেন দুই তরুণী। পুলিশ ৬ মে অভিযোগ গ্রহণ করে।
এই ছবিটি ফেসবুকে শেয়ার করে লেখক ও সাংবাদিক আরিফ জেবতিক লিখেছেন-
মে মাসের ৩ তারিখে ধর্ষিতরা যখন থানায় মামলা নেয়ার জন্য দেনদরবার করছিল তখন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের থানায় রিলাক্স মুডে ধর্ষকরা সেলফি তুলছিল!
এরপরও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এই থানার পুলিশদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিবে না কেন?
পর্দার আড়ালে আপন জুয়েলার্সের আপন কারা- স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর জবাব চাই।
ছবিটি শেয়ার করে অজান্তা দেবরায় ফেসবুকে লিখেছেন-
ছবিটা ভালো করে খেয়াল করুন।
৩ মে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অফিসে দাঁড়িয়ে সেলফি তুলে ইন্সটাগ্রামে আপলোড করে ধর্ষক নাঈম আশরাফ।
এখন বুঝতে পারছেন তো পুলিশ কেন ভিকটিমদের মামলা নিতে গড়িমসি করছিলো, পুলিশ কেন তাদের খুঁজে পায় না, কিভাবে ধর্ষকগুলো পালিয়ে গেলো?
পুলিশ স্টেশনে দাড়িঁয়ে সেলফি তুলে দিয়ে ওরা ভিকটিমদের মেসেজ দিতে চেয়েছিলো - 'দেখ পুলিশ আমাদের হাতের মুঠোয়, তোরা আমাদের কিচ্ছু করতে পারবি না ' - শেষ পর্যন্ত তাই হলো।
পুলিশ ওদের কিচ্ছু করেনি।
সৈকত ভৌমিক লিখেছেন-
ধর্ষক নাঈম আশরাফরা দেখি পুলিশ থানাতেই সেলফি তুলে মে মাসেরই ৩ তারিখে আর এখন ১০ তারিখ পুলিশ তাদের খুজে পায় না।
আপনার মন্তব্য