সাব্বির খান

১৩ মে, ২০১৭ ০০:৫৬

অপরাধের লিঙ্গ কি, পুরুষ না নারী!

বর্তমান সংসদে সব বিভাগের প্রধানই নারী। সেকারণে অনেকে দেশের নারী নির্যাতনের ঘটনা ঘটলে রাষ্ট্রের নারী-প্রধানদের পরোক্ষভাবে তিরস্কার ও দায়ী করে থাকেন। অনেকের এব্যাপারে সীমাহীন আহাজারি আমাকে অবাক করে!

অথচ একাত্তরোত্তর থেকে অদ্যাবধি ৬ থেকে ৭ জন পুরুষ রাষ্ট্রপ্রধান যখন ক্ষমতায় ছিলেন, পরিসংখ্যান মোতাবেক তখন সবচেয়ে বেশি সংখ্যক পুরুষ খুন, জখম ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। সেজন্য কি পুরুষ রাষ্ট্রপ্রধানরা দায় বহন করবেন বা তাঁদের পৌরষত্বকে তিরস্কার করা যৌক্তিক হবে!

সব কিছুর লিঙ্গভিত্তিক বিভাজন সমাজকে 'ভারসাম্যহীন' প্রবণতার দিকে ঠেলে দেয়। এসব বালখিল্য আহাজারি বরং নারীকে আরো অধিকতর 'অসহায় নারীতে' পরিণত করে।

'সুশাসনের অভাব' দেশে অপরাধ বৃদ্ধি ঘটায়। যে কোন অপরাধকে প্রশ্রয় দেয় রাষ্ট্রের অপশাসন! তাই নারী-পুরুষের যৌথভাবে যুদ্ধটা হতে হয় অপশাসনের বিরুদ্ধে, বিশেষ কোন লিঙ্গের পক্ষে নয়।

একটা দেশের যেমন ধর্ম থাকেনা, তেমনি অপরাধও পুং- বা স্ত্রীলিঙ্গের হয়না। যারা জেনে বা না জেনে লিঙ্গভিত্তিক অপরাধের বিচার চান, তারা মূল অপরাধকে গৌণ বা আড়াল করে লিঙ্গের অসহায়ত্বকে বড় করে তুলে তাকে করুণার পাত্র করে তোলেন। সামাজিকভাবে এটাও পরোক্ষ অপরাধ এবং এর দায়বদ্ধতাও সীমাহীন!

  • সাব্বির খান: কলাম লেখক।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত