শওগাত আলী সাগর

১৪ জুলাই, ২০১৭ ১১:৪৯

এনজিও ব্যক্তিত্বরা কি রাজনৈতিক ঐক্যগঠনে অংশ নিতে পারেন?

আসম রবের বাসায় রাজনৈতিক ঐক্যগঠন প্রক্রিয়ায় অংশ নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েছেন সুজনের সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার

রাজনৈতিক নেতারা নিজেদের বাড়ীতে বসে রাজনৈতিক সভা বা বৈঠক করতে পারবে না, এমন কোনো আইন আছে না কি দেশে? তা হলে আসম রবের বাড়ীতে পুলিশ যাবে কেন? এটা কি সরকারের সিদ্ধান্তে ঘটেছে? না কি অতি উৎসাহীদের কাজ এটি?

যেভাবেই হউক না কেন, এই ধরনের উৎসাহ বা অতি উৎসাহ বন্ধ হওয়া দরকার। রাজনীতিকরা ঘরে বা বাইরে রাজনৈতিক আলোচনা, শলাপরামর্শ করবে- তাতে সমস্যা কি?

কিন্তু এই বৈঠকে সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারও কেন গিয়েছিলেন।? তিনি তো রাজনীতিক না।

মাহমুদুর রহমান মান্নাতো প্রথম আলোকে স্পষ্ট করেছেন, ‘বড় দুটি দল বা জোটের বাইরে থেকে আমরা ঐক্যের চেষ্টা করে আসছি। এর পক্ষে যাঁরা, তাঁদের দাওয়াত করা হয়েছে।’ সুজনও কি তা হলে রাজনৈতিক দল? সুজনের কিংবা তার এনজিওর কোনো রাজনৈতিক অভিলাষ থাকলে সেটি প্রকাশ্যে ঘোষণা দিয়ে ফেললে তো কোনো প্রশ্ন ওঠে না।

এনজিও পরিচয়ে বক্তৃতা বিবৃতি দিয়ে রাজনৈতিক দলের ঐক্যগঠন সংক্রান্ত বৈঠকে তিনি অংশ নিতে পারেন না। এনজিও হিসেবে নিবন্ধনের বিদ্যমান আইনে এটি এলাউ করে কী না- তা খতিয়ে দেখা যেতে পারে।

  • শওগাত আলী সাগর: সাংবাদিক।
  • [ফেসবুক থেকে]

আপনার মন্তব্য

আলোচিত