অজয় দাশগুপ্ত

৩১ জুলাই, ২০১৭ ২০:২৪

সরকারি দল বলেই রাজাকার-সন্তানেরা আওয়ামী লীগে আসতে চাইবে!

স্বাধীনতার পরপর বঙ্গবন্ধু সরকার সিদ্ধান্ত নেন একাত্তরের ঘরশত্রু বিভীষণদের গণক্ষমা করে দেবেন। তার একটা তালিকা বা হিসেব ও ছিলো। কারা সে আওতায় পড়বে আর কারা পড়বে না।

তখন ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি পাকমিত্র দেশীয় দালাল রাজাকারেরা একটা সভা করেছিল। সে সভায় খান এ সবুরের মত ডাকসাইটে মুসলিম লীগারও ছিলেন। তারা বলেছিল, নিশ্চিত মৃত্যুর হাত থেকে ফিরে পাওয়া জীবনের কারণে তারা বঙ্গবন্ধুকে তাদের দ্বিতীয় পিতা মানেন। তাদের জন্মদাতা পিতার দেয়া জীবন যখন খতম হবার পথে তখন তাদের নতুন জীবন ফিরিবে দেন বঙ্গবন্ধু।

জাতির জনক হিসেবে যিনি এই কাজ করতেই পারেন। কিন্তু তারা কি তাদের কথা রেখেছিল?

এই মানুষগুলো জেল থেকে ছাড়া পাবার পর বঙ্গবন্ধুর মৃত্যু পর্যন্ত তাঁকে সরানোর নোংরা কাজে ব্যস্ত ছিলো।

আমাদের দেশের রাজনীতিতে মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার লোকজন বহুবার রাজাকারিতে গেছেন, নাম লিখিয়েছেন। ভিন্ন দিক থেকে কেউ কোনদিন মাফ চেয়ে স্বাধীনতার চেতনায় ফিরতে চেয়েছে শুনেছেন?

হঠাৎ কি কারণে আজ রাজাকারের সন্তানেরা আওয়ামী লীগে আসতে চাইবে? কারণ এটি সরকারি দল।

লুটপাটের ভাগ আর নিজেদের বল নিজেদের শক্তি দেখানোর জন্য দলে আসাটা জায়েজের ঘোষণা এলো এমন এক সময় যখন জাতি শোকের মাস আগস্ট বলে বঙ্গবন্ধুকে স্মরণ করবে।

সত্যি সেলুকাস!

  • অজয় দাশগুপ্ত: কলাম লেখক।
  • [ফেসবুক থেকে]

আপনার মন্তব্য

আলোচিত