সোশ্যাল মিডিয়া ডেস্ক

১৯ অক্টোবর, ২০১৭ ২২:৫৭

কেন এই নিষ্ঠুরতা, কেন এই অসভ্যতা?

বুধবার সিলেটের জকিগঞ্জের একজন স্কুল শিক্ষিকার ছবি ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে যায়। এতে দেখা যায় ক্লাসে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা চলছে। আর একজন শিক্ষিকা চেয়ারে বসে ঘুমাচ্ছেন। জকিগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান ইকবাল আহমদ চৌধুরী ওই স্কুলে পরীক্ষা পরিদর্শনে গিয়ে এ দৃশ্য দখতে পান। এরপর ঘুমন্ত অবস্থায় শিক্ষিকার ছবিটি ফেসবুকে ছড়িয়ে দেন তিনি।

এনিয়ে দুদিন ধরেই চলছে আলোচনা-সমালোচনা। কেউ কেউ শিক্ষিকার সমালোচনা করলেও এমন একটি ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়ার নৈতিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই।

এনিয়ে জাহিদ হোসাইন ফেসবুকে লিখেছেন-

একজন শিক্ষিকার ক্লাসরুমের এই ছবিটা কেউ ছড়িয়ে দিয়ে অন্যায় করেছেন। প্রতিবাদের নামে কেউ কেউ আবার ঐ একই ছবি শেয়ার করে পুনরায় অন্যায় করছেন। এমনকি সংবাদপত্রও এই অন্যায় করে চলেছে। কাজটি অন্যায় কারণ

১। গোপনীয়তার অধিকার, মানবাধিকার। কারো অনুমতি ছাড়া তার জন্য মর্যাদাহানিকর ছবি প্রকাশ করা তার মানবাধিকার লঙ্ঘন করা ।

২। কর্মস্থলে আমাদের অনেকেরই ক্লান্ত মুহুর্ত আসে। যিনি ছবি তুলেছেন, যারা প্রচার করেছেন, তাঁদেরও আসে। তাঁরাও অমন করেন।

৩। ছাত্রদের টাস্ক দিয়ে একটু ঝিমিয়ে নেওয়া খুবই স্বাভাবিক ঘটনা।

৪। হয়ত তিনি সামান্য কিছু সময়ের জন্য বিশ্রাম নিয়েছেন। হয়ত তিনি সারারাত খাতা দেখেছেন, বাচ্চা সামলেছেন, হয়ত তিনি ঐ সময়ে অসুস্থ ছিলেন।

৫। একটা ছবি তুলতে একটা সেকেন্ডও লাগে না। কিন্তু সেই ছবি মুছে ফেলতে অনেক সময় লাগে। তাহলে কেন এই নিষ্ঠুরতা, কেন এই অসভ্যতা?

উল্লেখ্য, এই ছবি ভাইরাল হওয়ার পর ওই শিক্ষিকা ফেসবুকে লিখেন, তিনি তিনদিন ধরে অসুস্থ। অসুস্থ অবস্থায় দায়িত্ব পালন করছেন। তাকে না জানিয়েই ছবিটি তুলে ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত