সোশ্যাল মিডিয়া ডেস্ক

১৩ নভেম্বর, ২০১৭ ২৩:৫৮

নিজের উপর ‘হামলার’ ঘটনার বর্ণনা দিলেন সাংসদ কেয়া চৌধুরী

গত শুক্রবার হবিগঞ্জের বাহুবলে একটি অনুষ্ঠানে বাধার মুখে পড়েন সাংসদ আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরী। অভিযোগ রয়েছে, সরকারী দলের স্থানীয় কিছু নেতাকর্মী সাংসদের সেই অনুষ্ঠানে বাধা প্রদান করে। এঘটনার পর রাতে অজ্ঞান অবস্থায় সিলেট ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি হন কেয়া চৌধুরী।

সাংসদের পক্ষ থেকে প্রথমদিন থেকেই দাবি করা হয়, তাঁর উপর হামলা করা হয়েছে। যদিও অভিযুক্তরা হামলার কথা অস্বীকার করে আসছেন। সেদিনের ঘটনার বর্ণনা দিয়ে সোমবার ফেসবুকে একটি পোস্ট দেন কেয়া চৌধুরী। সেখানে তিনি লিখেন-

♥সরকারী অনুষ্ঠানে হামলা-বাধা দানে নজিরবিহীন ঘটনা♦

গত শুক্রবার বাহুবল মিরপুরের বেদে পল্লীতে চেক বিতরন অনুষ্ঠান ছিল পূর্ব নির্ধারিত সরকারী অনুষ্ঠান।

সেখানে বাহুবল উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসনের সকল কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্হিত ছিলেন।

সরকারী অনুষ্ঠান সত্ত্বেও এ অায়োজন বন্ধ করতে সকাল হতে ভয়-ভীতি দেয় তারা মিয়া ।

সরকারী অনুষ্ঠানে মাইক ব্যবহারে নিষেধ দিয়ে বেদে পল্লীর সর্দারকে বলে দেয়, তারা মিয়ার কথা না শুনলে এই পল্লী হতে উচ্ছেদ হতে হবে তাকে।

এসব ভয়ভীতি সত্ত্বেও আমি পূর্ব নির্ধারিত অনুষ্ঠানে যাই। চেক বিতরণ করি। আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দ ও স্হানীয় প্রশাসনকে সাথে নিয়ে আসরের নামাজের বিরতিতে অনুষ্ঠানে হতে বেদে পল্লী পরিদর্শন করি ও চেক প্রদান করি। এ সময় বেদে পল্লীর নারী-পুরুষ তারা মিয়ার সকাল হতে ভয়ভীতি দেখানোর বিষয়ে অভিযোগ করতে থাকলে, সেই বক্তব্য গুলো তারা মিয়ার ড্রাইভার তার হাতে থাকা মোবাইল ক্যামেরায় ভিডিও করতে থাকে। যা দেখে সকলেই ক্ষুব্ধ হয়ে উঠে এবং ড্রাইভারের মোবাইলটি আমার হাতে তুলে দেয়। এ সময় আমি সিদ্ধান্ত দেই অনুষ্ঠান সেরে মোবাইলেটিতে ধারণকৃত তথ্য এসপি হবিগঞ্জ কে অবগত করবার লক্ষে প্রেরণ করব।

তারপরের ঘটনা সকলেরই জানা। আমার উপর ও আমার সাথে থাকা আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দের উপর অতর্কিত হামলা করে নব নির্বাচিত ভাইস চেয়ারম্যান তারা মিয়া ও তার সঙ্গী সাহেদ বাহিনী । আমরা আহত ও লাঞ্ছিত হই।

এখানেই শেষ নয়।

আমার মরহুম আব্বা ভাষা সৈনিক ও বীরমুক্তিযোদ্ধা কমান্ড্যান্ট মানিক চৌধুরী কে নিয়ে, আমার পরিবার কে নিয়ে, এমনকী আমার প্রিয় নেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে অকথ্য ভাষায় তারা মিয়া ও সাহেদ গালাগালি করতে থাকে । যা ছিল প্রকাশ্যে ও উচ্চস্বরে । এর সবকিছু উপস্হিত প্রশাসন সহ সকলেই শুনেন। এর পরপরই খবর পেলাম, অসমাপ্ত চেক বিতরণী সরকারী সভার ব্যবহারকৃত মাইক অনুষ্ঠান স্হল হতে উধাও। আমার অনুষ্ঠানে আসা অনেকের মোবাইল সেট, মানিব্যাগ চুরি গেছে।

♦ তবে কি এসব পূর্বপরিকল্পিত ছিল?
♦তারাগং এত সাহস পায় কোথায় হতে ?? তারা মিয়া কার শক্তিতে বলিয়ান?

এর আগেও আমাকে আমার সরকারী দায়িত্ব পালনে নানা ভাবে বাধা দেয়া হয়েছে। নষ্ট কাজের ধারাবাহিকতার এটাও কী তা হলে- একটি পর্ব?

আমি এখনও পুরোপুরি সুস্হ নই। আমাকে চিকিৎসক বিশ্রাম নিতে বলেছেন। তারপরও আমি মনে করি, এ বিষয়গুলো সচেতন মহল কে আমার জানানো দরকার। আপনারা আমাকে অব্যাহত ভাবে মানসিক শক্তি যুগিয়ে যাচ্ছেন।

♦ আমার বিশ্বাস, সমাজে এখনো সুস্হ, বিবেক বান মানুষের সংখ্যাই বেশি। আমি আপনাদের সহযোগীতা ও দোয়া প্রার্থণা করি। ইনশাল্লাহ, সুস্হ হয়ে আমি আমার জনগনের কাছে ফিরে যাবো। জয়বাংলা, জয়বঙ্গবন্ধু।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত