আরিফ জেবতিক

১৩ ফেব্রুয়ারি , ২০১৮ ১২:৪৭

রূপা হত্যার রায় জোরেশোরে প্রচার হোক

মাত্র সাড়ে ৫ মাসের মাথায় রূপা হত্যার বিচারকাজ সম্পন্ন হয়ে রায় দেয়ার ঘটনা আমার খুব ভালো লেগেছে। আমাদের দেশে সাধারণ একটি ধারনা হচ্ছে যে কোনো অপরাধের বিচার বছরের পর বছর চলতে থাকবে। বিচার দেরি হওয়ার কারণে অপরাধ বেশি হয়। দেরি হওয়া বিচারে আলামত নষ্ট হয়, তদন্তকারী কর্মকর্তার হাতে আরও শতেক কাজ জমা হয়ে যায়, অপরাধীরা ধাতস্থ হয়ে নানা প্রভাব প্রতিপত্তি খাটাতে পারে।

এমনকি সমাজের উঁচুস্তরের মানুষ ট্রান্সকম গ্রুপের লতিফুর রহমানকেও তাঁর কিশোরী কন্যা শাজনীন হত্যার চূড়ান্ত বিচার পেতে কুড়িবছর সময় লেগেছে।

আমরা অনেক ক্ষেত্রেই ক্যাপাসিটি বিল্ডিংয়ের কথা বললেও বিচার বিভাগের ক্যাপাসিটি বিল্ডিংটা বোধহয় তেমন গুরুত্ব পায় না। যার কারণে বছরের পর বছর মামলা চলতে থাকে। ভিকটিম গরীব হলে আর ফলোআপ করতে পারে না, বড়লোক আসামী অনায়াসে খালাস পেয়ে যায়।

বিচার বিভাগের লজিস্টিকস, লোকবল ইত্যাদি বাড়ানোটা খুব জরুরি। একই সাথে জরুরি আনুষঙ্গিক তদন্তের লোকবল, দক্ষতা ইত্যাদি বাড়ানো। শুনেছিলাম ফরেনসিক ল্যাবে নাকি ভিসেরা রিপোর্টের জট লেগে আছে কয়েক বছরের -তাহলে দ্রুত বিচার কীভাবে হবে?

সব মিলিয়ে যদি ক্যাপাসিটি বিল্ডিং করা যায়, তাহলে এভাবে যদি অপরাধ থেকে আপিল পর্যন্ত সবকিছু একবছরের মধ্যে শেষ করে শাস্তি নিশ্চিত করা যায়, তাহলে অনেক অপরাধ কমে আসবে।

রূপা হত্যার রায়টি জোরেশোরে প্রচার করা হোক, প্রয়োজনে বাস টার্মিনালগুলোতে পোস্টার সেঁটে দেয়া হোক।

সবার জানার দরকার আছে যে অপরাধ করলে শাস্তি হবেই।

তাহলে যদি আরও কিছু রূপা নিরাপদে বাড়ি ফিরতে পারে...

  • আরিফ জেবতিক: ব্লগার ও এক্টিভিস্ট।

[ফেসবুক থেকে]

আপনার মন্তব্য

আলোচিত