সোশ্যাল মিডিয়া ডেস্ক

১৩ মার্চ, ২০১৮ ০১:৩৫

পাইলট ছিলেন মানসিক চাপে, কাঠমান্ডু পাঠানো হয় জোর করে!

দুর্ঘটনাকবলিত বিমানের পাইলট ক্যাপ্টেন আবিদ সুলতান

নেপালে ইউএস বাংলার একটি উড়োজাহাজ বিধ্বস্তের ঘটনায় বেসরকারি এই এয়ারলাইন্স প্রতিষ্ঠানটির দিকে প্রশ্ন ছুঁড়েছেন অনেকে। এমনকি দুর্ঘটনা কবলিত বিমানের পাইলট ক্যাপ্টেন আবিদ সুলতানকে তাঁর ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর করে ডিউটিতে পাঠানো হয় বলে অভিযোগ ওঠেছে।

এ প্রসঙ্গে ফেসবুকে যুগ্ম সচিব মাহবুব কবীর মিলন লিখেন-

যিনি গতকাল রাত ৯ টায় চাকুরী থেকে ইস্তফা পত্র কোম্পানি প্রধানের কাছে জমা দিয়েছেন। তিনি আজ সকাল ০৭.৩০ মিনিটে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম ফ্লাই করে ৯.৩০ মিনিটে ঢাকা ফিরে এসেছেন।

আধা ঘন্টা পর আবার সকাল ১০.০০ টায় চট্টগ্রাম ফ্লাই করে ১২টায় ঢাকা ফিরে এসেছেন।

আবার তাঁকে দুপুর ১২.৩০ মিনিটে কাঠমান্ডু ফ্লাই করতে হয়েছে কেন??

সাড়ে তিন ঘণ্টায় পরপর তিনবার (দুইবারে চার বার) ফ্লাই করতে হয়েছে কেন? কতটা মানসিক চাপে ছিলেন তিনি!!! কেন এত লোড দেয়া হয়েছিল তাঁকে!!

এভিয়েশনের ভাষায় স্টল ( Stall) মানে কি জানেন? কি কারণে আকাশ থেকে ধপাস করে পড়ে যেতে পারে একটি প্লেন?

জানা যায়, রবিবার রাতেই ইউএস বাংলার চাকরি থেকে ইস্তফা দেন পাইলট ক্যাপ্টেন আবিদ সুলতান। ইথোওপিয়া নামের একটি বিদেশী এয়ারলাইন্সে তার চাকরি হয়েছিল গত মাসে। ওই চাকরিতে যোগ দেয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করার পর থেকেই তার সঙ্গে ইউএস বাংলা কর্তৃপক্ষের টানাপড়েন দেখা দেয়। এমনকি তিনি সোমবার নেপালের ফ্লাইট অপারেট করতে অনিচ্ছা প্রকাশ করার পরও তাকে বাধ্য করা হয়।

প্রসঙ্গত, সোমবার (১২ মার্চ) দেশটির নেপালের ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে  অবতরণের সময় স্থানীয় সময় দুপুর ২টা ২০ মিনিটে ইউএস-বাংলার বিমান বিধ্বস্ত হয়। বিমান বিধ্বস্তের এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৫০জন প্রাণহানির খবর নিশ্চিত করেছে নেপালের গণমাধ্যমগুলো।

তবে পাইলট ক্যাপ্টেন আবিদ বেঁচে আছেন বলে প্রথমে জানিয়েছিল বাংলা কর্তৃপক্ষ। মঙ্গলবার সকালে তাঁর মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। 

আপনার মন্তব্য

আলোচিত