সোশ্যাল মিডিয়া ডেস্ক

১১ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ২০:১৭

ব্যর্থতার দায় এড়াতে পারি না: নাদেল

সদ্য সমাপ্ত সিলেট সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর পরাজয়ে পর দলের কিছু নেতাদের বিরুদ্ধে সংগঠনের বিরুদ্ধে অবস্থানের অভিযোগ ওঠে। এ অবস্থায় সোমবার সিলেট আওয়ামী লীগের চার নেতাকে শোকজ করে কেন্দ্রীয় কমিটি।

যার মধ্যে সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম নাদেলও রয়েছেন।

কেন্দ্রের শোকজের প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ফেসবুকে দলীয় নেতাকর্মী, নিজের অনুসারী আর শুভাকাঙ্খিদের উদ্দেশে নিজের অবস্থান তুলে ধরেন নাদেল। এতে তিনি লিখেন-

 বিগত সিটি নির্বাচনে পরাজয়কে কেন্দ্র করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বদর উদ্দিন আহমদ কামরান, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদ উদ্দিন আহমদ ও সাংগঠনিক সম্পাদক আমি শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, বরাবর নির্বাচনে পরাজয়ের কারণ ও নিজ নিজ দায়িত্ব পালনের ব্যাখ্যা চেয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠানো হয়েছে ।

এই কারণ দর্শানো নোটিশ পাঠানোকে কেন্দ্র করে আপনারা অনেকেই কৌতূহল, উৎকণ্ঠা এবং উদ্বেগ থেকে আমার সাথে যোগাযোগ করছেন। যার পরিপ্রেক্ষিতে আমি ব্যক্তিগতভাবে সকলের জ্ঞাতার্থে আমার অবস্থান তুলে ধরছি।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভানেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাদেরকে সিসিক নির্বাচনে তাঁর মনোনীত প্রার্থীর বিজয় নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছিলেন, যা পালনে আমরা ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছি৷ সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে আমি এই ব্যর্থতার দায়ভার এড়াতে পারি না৷

কারণ দর্শানোর চিঠি হস্তগত হওয়ার পর, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের কাছে লিখিত বক্তব্যে নির্বাচনী কর্মকাণ্ডে আমার দায়িত্ব, কার্যক্রম ও দলীয় সাংগঠনিক অবস্থা সহ সার্বিক পরিস্থিতির ব্যাখ্যা দিবো ইনশাআল্লাহ৷

শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল

উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, মহানগর কমিটির সভাপতি বদরউদ্দিন আহমদ কামরান মহানগর সাধারণ সম্পাদক আসাদ উদ্দিন আহমদ ও মহানগর সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেলকে শোকজ করে সোমবার চিঠি দেন দলটির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এতে ১৫ দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর জবাব দেওয়ার জন্য ৪ নেতাকে বলা হয়েছে।

অপরদিকে, গত সিটি নির্বাচনে কামরানের পরাজয়ের পর থেকেই দলের অনেক নেতার বিরুদ্ধাচারণের অভিযোগ ওঠে। অনেকে কামরানের পক্ষে কাজ করেননি বলেও অভিযোগ তোলা হয়। কেন্দ্রের কাছেও এমন অভিযোগ দেন কামরান। এসব অভিযোগ তদন্তে সিলেট আসেন দলীয় সাধারণ সম্পাদক। এই সফরের পরই কারণ দর্শানো নোটিশ প্রদান করা হলো।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত