সিলেটটুডে ডেস্ক

০৩ নভেম্বর, ২০১৮ ২০:২৫

#মিটু: দুটি নয়, দুই হাজার মেয়েকে মুখ খুলতে হবে

যৌন হয়রানির বিরুদ্ধে বিশ্বজুড়ে চলছে #মিটু আন্দোলন। এই আন্দোলনের কারণে খ্যাতিমান অনেকের মুখোশ খুলে যাচ্ছে।

এই #মিটু আন্দোলন নিয়ে পক্ষ-বিপক্ষে অনেক কথাবার্তা চলছে। এসব অভিযোগের ওপর ভিত্তি করে বিভিন্ন ব্যক্তির বিরুদ্ধে শুরু হয়েছে তদন্তও।

প্রখ্যাত নারীবাদী লেখিকা তসলিমা নাসরিন শুরু থেকেই #মিটু আন্দোলনের সমর্থন দিয়ে আসছেন। তিনি নিজেই তার জীবনের অনেক নিপীড়নের গল্প প্রকাশ করেছেন বইয়ের পাতায়। এবার তিনি মুখ খুললেন বাংলাদেশে #মিটু আন্দোলন নিয়ে। এখন পর্যন্ত দুজন নারী সোশ্যাল সাইটে 'যৌন হয়রানির শিকার হওয়া'র দাবি করে সোশ্যাল সাইটে মুখ খুলেছেন। তসলিমার মতে, এই প্রতিবাদীর সংখ্যা আরও বেশি হওয়া উচিত।

নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে তসলিমা নাসরিন লিখেছেন, 'বিশ্বজোড়া #মিটু আন্দোলন চলছে। বাংলাদেশের মাত্র দুটি মেয়ে মুখ খুলেছে। দুটি নয়, দুই হাজার মেয়েকে মুখ খুলতে হবে। মেয়ে দুটি বিদেশে থাকে। বিদেশ থেকে নয়, বাংলাদেশ থেকে বলতে হবে কোন নামি দামি ভদ্রলোক তাদের যৌন হেনস্থা করেছে। বলেছে বলে কাউকে নিশ্চয়ই তসলিমার মতো নিগৃহীত হতে হবে না। যদি হতে হয় তাহলে বুঝতে হবে সমাজ সামান্যও বদলায়নি। দুইশ বছর আগে যা ছিল, দুইদশক আগে যা ছিল, এখনও তাই আছে।'

উল্লেখ্য, ২০০৬ সালে আফ্রো আমেরিকান সামাজিক আন্দোলনের কর্মী তারানা বুরকি নারী অধিকার নিয়ে কাজ করতে গিয়ে নারীর উপর যৌন নিপীড়নের বিষয়ে প্রথমবারের মতো ‘মি টু’ ধারণার কথা বলেন, পরে একই নামে একটি প্রামাণ্যচিত্রও নির্মাণ করেন। এরই ধারাবাহিকতায় পরে হলিউড অভিনেত্রী অ্যালিসা মিলানো প্রযোজক হার্ভে উইনস্টেইনের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে #মি টু আন্দোলনের সূত্রপাত করেন।

এরপর একে একে মুখ খুলতে থাকেন হলিউডের অভিনেত্রীরা। নীরবতা ভেঙে যৌন নিগ্রহের কথা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানান দিতে থাকেন নারীরা। পরে এর ধাক্কা এসে লাগে ভারতেও। শুধু রুপালি জগতেই নয়, রাজনীতিসহ অন্যান্য মাধ্যমেও যৌন নিপীড়নের কথা মুখ ফুটে বলতে শুরু করেছেন তারা।

বাংলাদেশে মডেল মাকসুদা আক্তার প্রিয়তি গত ৩০ অক্টোবর ফেসবুকে তার বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ তুলেন। ফেসবুক লাইভে তিনি এই ঘটনার জন্যে রংধনু গ্রুপের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলামকে দায়ী করেন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত