শাহআলম সজীব

১০ অক্টোবর, ২০১৯ ১২:০৯

জানতে হবে কোথায় গিয়ে থামতে হবে

নিরাপদ সড়ক আন্দোলনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সহ আমাদের সবার কী আগ্রহ আর আন্তরিকতা ছিল। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, বাচ্চাগুলো আমাদের দেখিয়ে দিলো, 'কোথায় কোথায় অস্বচ্ছতা রয়েছে, অসংলগ্নতা আর ত্রুটি রয়েছে।'

সারাদেশের মানুষের কাছে সড়ক আন্দোলন কতটা গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছিল, সবার সমর্থন ছিল। কিন্তু সেই সময় সড়ক আন্দোলনে ঢুকিয়ে দেয়া হলো সরকারবিরোধী রাজনীতি! অরাজকতা সৃষ্টি করানো হলো ছোট ছোট বাচ্চাদের দিয়ে।

নিরাপদ সড়ক আন্দোলনকারীদের মাঝে ঢুকে গেলো সরকারবিরোধীদের ক্যাডাররা। তারা ভাঙচুর করতে লাগলো, গাড়িতে আগুন দেয়া শুরু করলো। সরকারবিরোধীরা কোটি কোটি টাকা ইনভেস্টমেন্ট করলো এই আন্দোলনে। আন্দোলনকারীরা সাধারণ পথচারীদেরও নাজেহাল করা শুরু করলো।

ফলাফল, অসাধারণ একটা আন্দোলনের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষ ফুসলে উঠলো।

আসলে অতিরিক্ত কোনকিছুই ভাল নয়। আমাদের জানতে হবে কোথায় গিয়ে থামতে হবে।

গণজাগরণ আন্দোলনের কথা মনে আছে? আইন পরিবর্তন হওয়ার সাথে সাথে আমাদের থেমে যাওয়ার দরকার ছিল। কিন্তু আমরা থামিনি, আন্দোলন চালিয়ে গেছি। ফলাফল সময়ের প্রয়োজনে গড়ে উঠা সেই আন্দোলন থেকে মানুষ মুখ ফিরিয়ে নেয়।

আবরার ফাহাদ হত্যার বিরুদ্ধে সারাদেশের মানুষ প্রতিবাদী হয়েছে, আর প্রতিবাদটাও শুরু হয়েছিল আওয়ামী লীগ ছাত্রলীগের ভেতর থেকে। সরকার কতটা কঠোর অবস্থানে ছিল, যারফলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জড়িতদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ছাত্রলীগ থেকেও তাদের বহিষ্কার করা হয়েছে। এরপরেও আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার মানে হয়না।

আবরার হত্যার খুনিদের বিচার চাওয়ার সাথে খালেদা জিয়ার মুক্তি চাওয়া হচ্ছে ! সর্বত্রই প্রশ্ন উঠেছে, আবরার হত্যার বিচার চাওয়ার সাথে খালেদা জিয়ার সম্পর্ক কী?

এই যে একটা আন্দোলনে রাজনীতি মিশিয়ে দেয়া হলো, খুনিদের গ্রেপ্তারের পরেও আন্দোলন অব্যাহত রাখা, সরকারবিরোধী আন্দোলনের উসকানি দেয়া, দেশকে অস্থিতিশীল করা। একটা পর্যায়ে এসে সাধারণ মানুষও কিন্তু ত্যক্তবিরক্ত হয়। আন্দোলন থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়।

যারা আন্দোলন করছেন, তাদের জানতে হবে কোথায় গিয়ে থামতে হবে!

আপনার মন্তব্য

আলোচিত