সোশ্যাল মিডিয়া ডেস্ক

০৪ নভেম্বর, ২০১৯ ১৮:০২

অনুষ্ঠানের আগেরদিন রবীন্দ্র স্মরণোৎসব কমিটি থেকে বাপ্পা ঘোষের পদত্যাগ

অনুষ্ঠানের একদিন আগে 'সিলেটে রবীন্দ্রনাথ: শতবর্ষে স্মরণোৎসব' কমিটি থেকে পদত্যাগ করেছেন সাংবাদিক বাপ্পা ঘোষ চৌধুরী। ইলেকট্রনিক মিডিয়া জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন (ইমজা)-এর সভাপতির দায়িত্বে থাকা বাপ্পা ঘোষ সোমবার ফেসবুকে এক পোস্ট দিয়ে এই পদত্যাগের কথা জানান। এরপর গণমাধ্যমেও সংবাদ বিজ্ঞপ্তি পাঠান তিনি।

১৯১৯ সালে সিলেট ভ্রমণে এসেছিলেন রবীন্দ্রনাথ। এবছর তার একশ' বছর পূর্তি হচ্ছে। একশ' বছর পূর্তিতে রবীন্দ্র স্মরণে সিলেটজুড়ে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করা হয়েছে। 'সিলেটে রবীন্দ্রনাথ: শতবর্ষে স্মরণোৎসব' কমিটির আয়োজন মঙ্গলবার বিকেলে শুরু হবে। এছাড়া রবীন্দ্র স্মৃতিবাহি শ্রীহট্ট ব্রাহ্ম সমাজ, এমসি কলেজ, মাছিমপুর মনিপুরী মন্দির, সিংহ বাড়ি আলাদা অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করেছে।

সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতকে আহ্বায়ক ও সিলেট সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীকে সদস্য সচিব করে গঠিত 'সিলেটে রবীন্দ্রনাথ: শতবর্ষে স্মরণোৎসব' কমিটির সদস্য ছিলেন বাপ্পাঘোষ চৌধুরী। অনুষ্ঠান শুরুর একদিন আগে সোমবার এই কমিটি থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়ে তিনি ফেসবুকে লিখেন-

'সিলেটে রবীন্দ্রনাথ: শতবর্ষে স্মরণোৎসব' ২০১৯ পর্ষদে আমাকে মূল্যায়ন করার জন্য আয়োজকদের ধন্যবাদ জানাই। যদিও এই আয়োজনে রবীন্দ্রনাথ অনুরাগী বা রবিঠাকুরকে যারা ধারণ করেন তাদের নিয়ে করা উচিত ছিল, বলে আমি ব্যক্তিগতভাবে কমিটির সমালোচনা করেছি শুরু থেকে।

রবী ঠাকুরের সিলেট আগমনের শতবর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানকে ঘিরে শুরু থেকেই বিতর্ক ছিল। কমিটি গঠন প্রক্রিয়া, ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিলেক্ট করা, অনুষ্ঠানের ফান্ডের উৎস ও মোট বাজেট নিয়ে নানামুখী আলোচনা ছিল। এর মধ্যে কমিটি থেকে বিতর্কিত লোকজনকে বাদ দিতে নগরীতে সরকার দলীয় রাজনীতিবিদ ও সংস্কৃতিকর্মীরা মিছিল ও মানববন্ধন, সমাবেশ করেছেন। আমি নিজেও ঐ কমিটি'র কোন সভাতে যোগ দেইনি।

আজ মনে হচ্ছে এই 'বিতর্কিত কমিটি' থেকে শুরুতেই নাম প্রত্যাহার না করাটা আমার একটা ভুল সিদ্ধান্ত ছিল। গতকাল রাতে ব্রাহ্ম সমাজের একটি বিবৃতি দেয়। তাতে উল্লেখ ছিল, ‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ‘সিলেটে রবীন্দ্রনাথ শতবর্ষ স্মরণ ২০১৯ পর্ষদের ফেইসবুক ইভেন্টে একটি আমন্ত্রণপত্র নজরে আসে। তাতে তাদের অনুষ্ঠানমালায় ব্রাহ্ম সমাজের অনুষ্ঠানসূচি উল্লেখ করা হয়, যা শ্রীহট্ট ব্রাহ্ম সমাজ তাদের ছাপানো আমন্ত্রণপত্রে ইতিমধ্যেই প্রকাশ করেছে। তাতে করে ব্রাহ্ম সমাজের পৃথক এবং নিজেদের অর্থায়নে আয়োজিত এই অনুষ্ঠান নিয়ে সিলেটের সুধীমহলে একটা বিভ্রান্তি তৈরি হয়। ‘সিলেটে রবীন্দ্রনাথ শতবর্ষ স্মরণ ২০১৯ পর্ষদের এরকম আচরণে আমরা বিস্মিত ও মর্মাহত হয়েছি। আমরা মনে করি পর্ষদের আমন্ত্রণপত্রে ব্রাহ্ম সমাজের অনুষ্ঠানসূচি উল্লেখ থাকার কারণে সুধীমহলে এই বিভ্রান্তি তৈরি হতে পারে যে অনুষ্ঠানসূচিতে উল্লেখিত অনুষ্ঠানাদি ওই পরিষদই করছে। কিন্তু সত্য হলো ৫ নভেম্বরের সকল আয়োজনের মূলভিত্তি হলো শ্রীহট্ট ব্রাহ্ম সমাজের প্রগতিশীল চেতনা, অসীম আবেগ ও সাহস।’

আমি মনে করি ব্রাহ্ম সমাজের দায়িত্বশীলদের এই প্রতিক্রিয়া স্বাভাবিক এবং আমি তাদের কাছে পর্ষদের একজন হিসেবে দুঃখ প্রকাশ করছি। সেই সাথে এই পর্ষদ এর সদস্য পদ থেকে নিজের নাম প্রত্যাহার করে নিচ্ছি।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত