আজ বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪

Advertise

চিৎকার করে বলুন নারীও পূর্ণাঙ্গ মানুষ

ইমতিয়াজ মাহমুদ  

আপনি যে দেশে বাস করেন যে শহরে বাস করেন সেই দেশে সেই শহরে দুইটা শিশু- নিতান্তই শিশু, দুইজন কন্যা শিশু- নিহত হয়েছে। কীভাবে? প্রাপ্তবয়স্ক দুইজন মানুষ ওদেরকে স্নেহের ভান করে ঘরে ডেকে নিয়ে যায়। খেলার ছলে ওদেরকে লিপস্টিক পরিয়ে দেয়। এরপর ঐ দুইজন প্রাপ্ত বয়স্ক পুরুষ শিশু দুইটিকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। অবোধ শিশু দুইটা- ওরা চিৎকার করছিল বলে আর ঐ দুই পুরুষের প্রবৃত্তিতে বাধা দিচ্ছিল বলে ওদের শ্বাসরুদ্ধ করে ওদেরকে হত্যা করে। এটা সংবাদপত্রের ভাষ্য; আপনারা পড়েছেন।

আমাদের এই দেশের মানুষ এইটা কেবলই আরেকটা খবর মনে করে পড়েছে। পড়ে হয়তো একটু মন খারাপও করেছে। হয়তো বৌকে ডেকে বলেছে একটু, ডার্লিং, দেশটার যে কী হয়েছে ইত্যাদি। এরপর নিত্যদিনের মতো কাজে চলে গেছে। এইরকম আরেকটা খবর বের হবে পরের দিন, আগের দিনও এইরকম আরেকটা বের হয়েছে। প্রতিদিনই হয়। প্রতিদিনই আপনি চায়ের কাপে চুমুক দিয়ে মুখ বাঁকা করেন। এক কাজে দুই কাজ হয়- চায়ের অতিরিক্ত উত্তাপের প্রতিক্রিয়া আর শিশুধর্ষণের প্রতিক্রিয়া ঐ এক বাঁকা ঠোঁটেই হয়ে যায়।

আমিই বা কী করি। মাঝে মাঝে এইরকম একটা দুইটা খবর দেখলে মন বিষণ্ণ হয়। ক্রোধে কেঁপে উঠি কখনো কখনো। দুই একটা ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় শাহবাগেও গেছি হয়তো। মাঝে মাঝে ফেসবুকেও এই নিয়ে একটা দুইটা পোস্ট দিই। দীর্ঘ জীবনের অভিজ্ঞতা আর টুকটাক পড়াশুনা থেকে যেটুকু জেনেছি- সমাজে নারীর মানুষ মর্যাদা না থাকা আর পিতৃতন্ত্র বা পুরুষবাদের সাথে এইসব ঘটনার সংযোগটা কখনো কখনো ব্যাখ্যা করি। ব্যাস। দায়িত্ব শেষ হয়ে গেল আমার!


কিন্তু যারা নির্বাচনে জিতে আসেন, সরকার গঠন করেন, 'উন্নয়ন' করেন, আরও উন্নয়ন করবেন বলে গলা উঁচু করে বক্তৃতা দেন ওরা কী করেন? ওদের কি করনীয় কিছু নাই? না, বললেই বলবেন যে এই লোকটা বলছে কেন? তবু বলি। আমরা যারা রাষ্ট্র পরিচালনায় অংশ নেওয়া অর্থে রাজনীতির সাথে নেই আমাদের ঐ বলাটুকু ছাড়া আর কী করার আছে! কিন্তু যারা সেই অর্থে রাজনীতি করেন, আপনাদের তো এটা দায়িত্ব। আপনাদের দায়িত্ব হচ্ছে বিচার করা। আপনাদের দায়িত্ব হচ্ছে এইরকম ঘটনা যাতে না হয় সেই পরিবেশ তৈরি করা। আপনারা কি করছেন সেটা?

বিচার করা তো একদম ফরজ কাজ। বিচার করতেই হবে। এইরকম প্রতিটা অপরাধের ক্ষেত্রে বিচার করতে হবে এবং বিচারটা দ্রুত করতে হবে, প্রকাশ্য আদালতে করতে হবে। সন্দেহভাজন কাউকে ধরে গুলি করে মেরে ফেলা তো অন্যায়, আর এতে করে এইধরনের অপরাধের কোন প্রতিকারও হয়না। প্রকাশ্য আদালতে বিচার করতে হয় যেন আমরা সকলেই দেখি যে আসলেই এই লোকটা অপরাধ করেছে। যেন অপরাধীর বন্ধুরা, ঘনিষ্ঠজনেরা দেখে, একদম বিস্তারিত শুনতে পায় ওদের বন্ধু ওদের স্বজন কী করেছে। যেন অপরাধীরা আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে নিজেদের চোখে দেখতে পায় ওদের জন্যে আমাদের সকলের ঘৃণা।

বিচার করতেই হয়, এবং দ্রুত করতে হয়। অনেকে বলেন যে, না বিচার হবে না, বিচারে ছাড়া পেয়ে যাবে, তার চেয়ে এমনিই ধরে গুলি করে দিই ইত্যাদি। কিন্তু এই যে আপনারা এমনিই একজন লোককে ধরে গুলি করে দেওয়ার পক্ষে কথা বলেন, ধর্ষণের প্রবণতার চেয়ে কম বিপদজনক নয়। ঐটা বলবেন না। বিচার হতেই হবে। বিচারে যদি সংশয় থাকে, সমস্যা থাকে, সেইটা দূর করেন। দেশ নাকি অনেক উন্নত হয়েছে, এইসব অপরাধীদের বিচার করার মতো উন্নতিও আমাদের হয়নি? বিচারই চাই।


আরেকটা জিনিস করা সরকারের দায়িত্ব। সেটা কি বলছি? প্রিভেনশন। এইরকম ঘটনা যাতে না ঘটে সেজন্যে ব্যবস্থা করা। বিচার তো হচ্ছে ঘটনার পরের কাজ। কেউ অপরাধ যাতে না করে সেইটা নিশ্চিত করা বিচারের চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ। এটা কীভাবে করবেন? তার জন্যে তো খুব জটিল কোন ডিজিটাল এলগরিদম লিখতে হবে না। অপরাধ ঠেকানোর জন্যে তো দুইটা কাজ করতে হয়। প্রথম কাজ হচ্ছে শিশু বয়স থেকেই সকলকে অপরাধের বিরুদ্ধে সচেতন করা, আর দ্বিতীয় কাজ হচ্ছে পুলিশি ব্যবস্থা আর দ্রুত বিচার ও কড়া শাস্তি।

সচেতনতার ব্যাপারটা কী? প্রথমত ইশকুলে আপনি শিশুদেরকে শেখাবেন মানুষের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে। এইটা যেদিন থেকে শিখানো শুরু করবেন, জাতি অনেকটুকু এমনিই অগ্রসর হয়ে গেল। মানুষের প্রতি শ্রদ্ধাশীল মানে কী? মানে হচ্ছে শিশুরা শিখবে মানুষ হচ্ছে মানুষ এবং মানুষই হচ্ছে মানুষের অন্তিম আশ্রয়। মানুষ পরস্পরকে মানুষ হিসাবেই চিনবে, নারী পুরুষ, হিন্দু মুসলমান, সাদা কালো, ধনী গরীব, মোটা চিকন এইগুলি মানুষের সাথে মানুষের অবস্থানের তারতম্য করে না। সকলেই মানুষ এবং সকলের মর্যাদা সমান। আর সকলকেই সম্মান করতে হবে। এই কথাটা আমরা বাচ্চাদেরকে ইশকুলে শিখাই না।

আমরা বাচ্চাদেরকে ইশকুলে শিখাই যে আমি তুমি মুসলমানের বাচ্চা বলে অন্যদের চেয়ে উন্নত। আমরা বাচ্চাদেরকে শিখাই যে অমুসলমানরা মানুষ খারাপ। আমরা বাচ্চাদেরকে শিখাই যে নারী পূর্ণাঙ্গ মানুষ না- ঊনমানুষ। ইনিয়ে বিনিয়ে নানান ভাষায় এইগুলি কথা টেক্সট বইতেই আছে- কোথাও প্রত্যক্ষ, কোথাও পরোক্ষ। টেক্সট বুক ছাড়াও আছে শিক্ষকদের কথা আচার আচরণে, পিতামাতার কথা আচার ও আচরণে, হুজুরদের ওয়াজে নসিহতে, খুতবায়, রাজনৈতিক নেতাদের বক্তৃতায়- সবখানেই আমরা শিশুদেরকে শিখাই যে নারী হচ্ছে পুরুষের ভোগের বস্তু।


আপনি যদি এটা শিখাতে থাকেন আর এইটাই যদি হয় আপনার সমাজের নর্ম, তাইলে এই যে প্রতিদিন কয়েক লক্ষ ছেলে ইশকুলে যাচ্ছে ওদের প্রায় সবাই একেকটা সম্ভাব্য ধর্ষক হয়ে বের হবে। কেননা সে তো শিখছে যে নারী হচ্ছে পুরুষের অধীন বস্তু, পূর্ণাঙ্গ মানুষ নয়। নারী হচ্ছে ভোগের বস্তু। ধর্ষণকে সে হয়তো একটা পবিত্র কাজ মনে করবে না, কিন্তু একজন মেয়ের সাথে জোর কার তার কাছে চুরি করে রসগোল্লা খাওয়ার চেয়ে বা মায়ের হ্যান্ডব্যাগ থেকে টাকা চুরির চেয়ে বড় অপরাধ মনে হবে না।

মনে রাখবেন, কেবল ভয় ভীতি দেখিয়ে- হোক সে জেলে যাওয়ার ভয় বা পরকালে গুনাহর ভয়- ধর্ষণ বা নারী নির্যাতন কমাতে পারবেন না বা বন্ধ করতে পারবেন না। সেইসব ভয় তো এখনো আছে, কমছে ধর্ষণ? কমছে তো না। তবে ভীতিও থাকতে হয়। সেটা কীভাবে থাকবে? আপনি যদি শাস্তির ব্যাপারটা নিশ্চিত করতে পারেন, আর সে যদি হয় দ্রুত এবং নিশ্চিত, তবেই ভয়টা কার্যকর হবে। নাইলে ঐসব জেল ফেলের ভয়ে মানুষ কোন অপরাধ থেকেই বিরত থাকে না। চুরি করলে বা ঘুষ খেলেও তো জেল হয়। গুনাহও হয়। কিন্তু চুরি ঘুষ দুর্নীতি এইসব কম হয় আমাদের? না।

এখানে আসে পুলিশি ব্যবস্থা ও বিচারের উপযোগিতা। প্রতিটা ধর্ষণের পর যদি পুলিশ চটপটে পদক্ষেপ নেয়, যদি পুলিশ গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করে আর বিচারিক আদালতে যদি মোটামুটি মাস ছয়েক বা বছর খানেকের মধ্যেই বিচার নিশ্চিত হয়, সাজা যদি দৃষ্টান্তমূলক হয়, তবে সে না হয় সাজার ভয়টা দৃশ্যমান হবে। এই যে সেদিন নোয়াখালীতে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকে গণধর্ষণটা হয়েছে, এই ঘটনার বিচার যদি মোটামুটি বছর দেড়েক ঝুলিয়ে দিতে পারে কেউ, তাইলেই দেখবেন আসামীরা জামিনে বেরিয়ে আসবে একজন দুইজন করে। ওরা রাজনৈতিক প্রভাবে বিচার নষ্ট করবে। কেন? কারণ ততদিনে মানুষের চোখের আড়ালে চলে যাবে ঘটনা। আর উত্তাপ কমে গেলে ওদের রাজনৈতিক পেট্রনরাও নমনীয় হবে, সহায়তা করতে দ্বিধা করবে না আর।

সেই জন্যে বিচার- বিশেষ করে ফৌজদারি বিচার- যথাসময়ে শেষ করতে হয়। তাইলে সাজাটা দৃশ্যমান থাকে। বেশি দেরি হলে দেখা যায় যে খবরের কাগজগুলিও আর ফলোআপ খবর করে না।


দেখবেন যে এই দুইটা কাজ- সচেতনতা তৈরি করা আর বিচার নিশ্চিত করা দুইটাই আবার একটা সাথে আরেকটা জড়িত। সচেতনতা যত বাড়বে, বিচারও ততো ভালো হবে, তাড়াতাড়ি হবে, নিখুঁত হবে। আবার বিচার যত দৃশ্যমান হবে যথাযথ হবে সচেতনতাও ততোই বাড়বে। এবং এই দুইটা কাজই কিন্তু রাজনৈতিক কাজ- সরকারকে করতে হয়, রাষ্ট্রকেই দায়িত্ব নিতে হয়।

আর এইগুলির সাথে নানাপ্রকার আইনের সংশোধন বা এডজাস্টমেন্ট সেগুলিও করতে হয়। মুল অপরাধের আইনটা, পদ্ধতিগত আইনটা, সেইগুলিকেও ঝালিয়ে নিতে হয়- সেগুলিও জরুরি বটে।

কিন্তু ধর্ষণ বন্ধ করার জন্যে এই কাজটা করবেন কি করবেন না এই সিদ্ধান্তটা নিতে হয় সরকারকেই। সরকারকেই টেক্সটবুক পাল্টাতে হবে। সরকারকেই বিচার ব্যবস্থা ঠিক করতে হবে। সরকারকেই পুলিশি ব্যবস্থা তৎপর করতে হবে। আর এইসব করার আগে, সবার আগে সরকারকে একটা বড় রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত, নীতিগত সিদ্ধান্ত নিতে হবে- একটা নীতিগত অবস্থান নিতে হবে। কী সেটা? মৌলিক রাজনৈতিক অবস্থান- নারীকে এই সরকার কি মানুষ মনে করে? নাকি ঊনমানুষ মনে করে। এইখানে স্পষ্ট রাজনৈতিক অবস্থান যদি সরকার না নেয়, তাইলে সরকার শিক্ষা ব্যবস্থায় নারীর মর্যাদার প্রশ্নটা দেখবেই না।

সরকারের রাজনৈতিক অবস্থান যদি হয় যে নারীও মানুষ এবং পুরুষের সমানই তার মর্যাদা, তাইলে বাকি কাজ এমনিতেই হতে থাকবে। না হলে? না হলে সরকার এইরকম প্রতিটা ঘটনার পর একটু তৎপর হবে। একজন দুইজনকে ক্রসফায়ারে পাঠাবে। সেই সাথে দেখবেন যে সরকারের পুলিশ প্রধান হয়তো নারী নির্যাতনকে 'একটু দুষ্টুমি' ধরনের লঘু অপরাধ বলবে। দেখবেন যে সরকারের একজন মন্ত্রী হয়তো ফোট করে বলে বসবে যে না, মেয়েদেরও দোষ আছে, 'মিয়দের মোবাইল ফোন ব্যবহার করা ঠিক না' ইত্যাদি।


কিন্তু সরকারই বা কেন এইরকম একটা মৌলিক প্রশ্নে তার প্রথাগত কনভেনশনাল ভিউ পরিবর্তন করে নারীকেও মানুষ মনে করার মতো একটা রেডিক্যাল সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করতে যাবে? সরকার মানেই তো প্রথা ও প্রতিষ্ঠান- সরকার মানেই তো প্রচলিত ধরণ বিশ্বাস প্রথা প্রতিষ্ঠান এইসবকে ধরে রেখে স্ট্যাটাসকে বজায় রাখা। সরকার কেন আমার কথা বা আপনার কথা শুনবে? একজন সরকারপ্রধান কেন বলতে যাবেন যে না, নারীর মর্যাদা প্রশ্নে নারীবাদীদের এই কথাটা ঠিক? একজন সরকার প্রধান কেন তসলিমা নাসরিনের একটা বই পড়ে বলবেন যে না, আসলেই তো এইখানে নারীর প্রতি অন্যায় হচ্ছে? কেন করবে?

সরকার তখনই আপনার পক্ষে কোন সিদ্ধান্ত নেয় যখন মনে করে যে এই সিদ্ধান্তটা না নিলে আমি জনপ্রিয়তা হারাবো। যারা সরকারে যার তারা সবসময়ই আপনাকে মাপতে থাকে- আপনার দলে কয়জন আছে, আপনি সরকারের বিপক্ষে চলে যাচ্ছেন কিনা ইত্যাদি। সরকারে থাকা বা সরকারে যেতে চায় এইরকম কোন একটা রাজনৈতিক দল যদি দেখে যে একটা নীতির সাথে অনেক লোক আছে এবং এরা সকলেই ওদের উপর ক্ষেপে গিয়ে ঘটনা ঘটিয়ে ফেলতে পারে, তাইলে কেবল ওরা আপনার কথাটা শুনবে।

আর যদি ওরা দেখে যে না, আপনাকে কিলাইলে কইন্যাইলেও আপনি ওদের বিপক্ষে টু শব্দটি করবেন না, যদি দেখে যে আপনার আনুগত্য তিনি কিনে বসে আছেন, তখন তাদের কাছে আপনার আর কোন মর্যাদা থাকবে না। তখন ওরা ভাববে যে, আরে এইসব লোকদের আনুগত্য তো আমার প্রতি আছেই, এইবার একটু যাই হিস্টরিক্যালি যারা আমার বিপক্ষে আছে ওদেরকে কিছু কন্সেশন দিয়ে আসি, দেখি ওরা যদি আমার দলে আসে তাইলে তো আমার ক্ষমতা চিরন্তন।


নারীকে চিৎকার করতে হবে। আকাশ ফাটিয়ে বলতে হবে যে আমিও মানুষ- আগে এইটা স্বীকার করেন। এইটাই বলতে হবে- যে আমি ঊনমানুষ নই, পূর্ণাঙ্গ মানুষ। একজন পুরুষ যেমন মানুষ একজন নারীও সেইরকম মানুষ। দাবি করতে হবে যে আপনার টেক্সটবুক পাল্টান, সিলেবাস বদলান, আইন বদলান কানুন বদলান- কেননা সেইখানে নারীকে পূর্ণাঙ্গ মানুষের মর্যাদা দেওয়া হয় না।

দেখবেন আপনার চিৎকার সকলেই শুনবে। এমনকি পুরুষরাও।

প্রথমে ওরা আপনাকে পাগল বলবে। তারপর আপানকে ষড়যন্ত্রকারী বলবে, ভয় দেখাবে যে চুপ কর নাইলে ওরা ক্ষমতায় চলে আসবে। তারপর আপনাকে বেহায়া বলবে, বেয়াদব বলবে, বেশ্যা বলবে, দুশ্চরিত্রা বলবে। যারা অনেক আগে থেকেই এই চিৎকারটা করছে দেড়কে কীসব গালি দেয় সে কি আপনি শোনেননি? কিন্তু যেদিন আপনার সাথে গলা মেলাবো আরও অনেক নারী (এবং কিছু পুরুষ) তখন দেখবেন ঠিকই দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতারা আপনার সাথেই গলা মিলিয়ে বলবে, হ্যাঁ তাইতো, নারীও তো মানুষ।

গন্তব্য বহু দূর বটে। কিন্তু হাজার মাইল পথের যাত্রাটাও শুরু হয় আপনার ঐ দুই আড়াই ফুটের একটা পদক্ষেপ দিয়েই। দুনিয়া পাল্টানো কলরবটাও শুরু হয়ে একটি কণ্ঠের একটি স্লোগানেই। আপনি আপনার চিৎকারটা করুন। সারা পৃথিবী আপনার সাথে।

ইমতিয়াজ মাহমুদ, অ্যাডভোকেট, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট। ইমেইল: [email protected]

মুক্তমত বিভাগে প্রকাশিত লেখার বিষয়, মতামত, মন্তব্য লেখকের একান্ত নিজস্ব। sylhettoday24.com-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে যার মিল আছে এমন সিদ্ধান্তে আসার কোন যৌক্তিকতা সর্বক্ষেত্রে নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে sylhettoday24.com আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় গ্রহণ করে না।

আপনার মন্তব্য

লেখক তালিকা অঞ্জন আচার্য অধ্যাপক ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী ৪৮ অসীম চক্রবর্তী আজম খান ১১ আজমিনা আফরিন তোড়া ১০ আনোয়ারুল হক হেলাল আফসানা বেগম আবদুল গাফফার চৌধুরী আবু এম ইউসুফ আবু সাঈদ আহমেদ আব্দুল করিম কিম ৩২ আব্দুল্লাহ আল নোমান আব্দুল্লাহ হারুন জুয়েল ১০ আমিনা আইরিন আরশাদ খান আরিফ জেবতিক ১৭ আরিফ রহমান ১৬ আরিফুর রহমান আলমগীর নিষাদ আলমগীর শাহরিয়ার ৫৪ আশরাফ মাহমুদ আশিক শাওন ইনাম আহমদ চৌধুরী ইমতিয়াজ মাহমুদ ৭১ ইয়ামেন এম হক এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন একুশ তাপাদার এখলাসুর রহমান ৩৭ এনামুল হক এনাম ৪২ এমদাদুল হক তুহিন ১৯ এস এম নাদিম মাহমুদ ৩৩ ওমর ফারুক লুক্স কবির য়াহমদ ৬৩ কাজল দাস ১০ কাজী মাহবুব হাসান কেশব কুমার অধিকারী খুরশীদ শাম্মী ১৭ গোঁসাই পাহ্‌লভী ১৪ চিররঞ্জন সরকার ৩৫ জফির সেতু জহিরুল হক বাপি ৪৪ জহিরুল হক মজুমদার জাকিয়া সুলতানা মুক্তা জান্নাতুল মাওয়া জাহিদ নেওয়াজ খান জুনাইদ আহমেদ পলক জুয়েল রাজ ১০২ ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন ১২ ড. কাবেরী গায়েন ২৩ ড. শাখাওয়াৎ নয়ন ড. শামীম আহমেদ ৪১ ডা. আতিকুজ্জামান ফিলিপ ২০ ডা. সাঈদ এনাম ডোরা প্রেন্টিস তপু সৌমেন তসলিমা নাসরিন তানবীরা তালুকদার তোফায়েল আহমেদ ৩১ দিব্যেন্দু দ্বীপ দেব দুলাল গুহ দেব প্রসাদ দেবু দেবজ্যোতি দেবু ২৭ নাজমুল হাসান ২৪ নিখিল নীল পাপলু বাঙ্গালী পুলক ঘটক প্রফেসর ড. মো. আতী উল্লাহ ফকির ইলিয়াস ২৪ ফজলুল বারী ৬২ ফড়িং ক্যামেলিয়া ফরিদ আহমেদ ৪২ ফারজানা কবীর খান স্নিগ্ধা বদরুল আলম বন্যা আহমেদ বিজন সরকার বিপ্লব কর্মকার ব্যারিস্টার জাকির হোসেন ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ ১৮ ভায়লেট হালদার মারজিয়া প্রভা মাসকাওয়াথ আহসান ১৯০ মাসুদ পারভেজ মাহমুদুল হক মুন্সী মিলন ফারাবী মুনীর উদ্দীন শামীম ১০ মুহম্মদ জাফর ইকবাল ১৫৩ মো. মাহমুদুর রহমান মো. সাখাওয়াত হোসেন মোছাদ্দিক উজ্জ্বল মোনাজ হক ১৪ রণেশ মৈত্র ১৮৩ রতন কুমার সমাদ্দার রহিম আব্দুর রহিম ৫৫ রাজু আহমেদ ১৬ রাজেশ পাল ২৮ রুমী আহমেদ রেজা ঘটক ৩৮ লীনা পারভীন শওগাত আলী সাগর শাওন মাহমুদ