আজ শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

Advertise

জিজ্ঞাসায় বিবর্তন-১

এনামুল হক এনাম  

বিবর্তন নিয়ে অর্ধশিক্ষিত মানুষের মধ্যে তো অবশ্যই, অনেক শিক্ষিত মানুষের মাঝেও ভুল ধারণা বিদ্যমান। এই ভুল ধারণ থেকে তারা হাস্যকর সব তথ্য দেন বা প্রশ্ন করেন।

অধিকাংশ মানুষের কাছে বিবর্তন মানেই হলো বানর থেকে মানুষ এসেছে। ব্যাপারটি শুধু যে হাস্যকর তাই নয়, এমন কি ঐ ব্যক্তির জ্ঞানের সীমাবদ্ধতার প্রমাণ। এক্ষেত্রে তাদের সব দোষ দেয়া উচিত হবে না, বিবর্তন নিয়ে বাংলায় ভাষায় চর্চা যথেষ্ট পরিমাণ হয় না বলে অধিকাংশ মানুষেরই এ সম্পর্কে জানার সুযোগ কম। জানার অন্যতম ধাপ হলো জিজ্ঞাসা।

বিবর্তন নিয়ে বহুল জিজ্ঞাসিত ৫০টি প্রশ্ন নিয়ে এবারের আয়োজন, FAQ: Evolution! জিজ্ঞাসায় বিবর্তন!!

বিবর্তন কী?
বিবর্তন (Evolution) হলো এমন একটি জীব-বৈজ্ঞানিক প্রক্রিয়া যা প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে জীবের গঠনগত এবং চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের ক্রমপরিবর্তনকে বুঝায়। কোনো জীবের বংশধরদের প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে যে জিন ছড়িয়ে পড়ে তারাই বংশ-প্রবাহে বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য সৃষ্টি করে। জিন মিউট্যাশনের মাধ্যমে জীবের নির্দিষ্ট কোনো বংশধরে নতুন বৈশিষ্ট্যের সৃষ্টি হতে পারে কিংবা পুরনো বৈশিষ্ট্যে পরিবর্তন আসতে পারে। যদিও একটি প্রজন্মে জীবের বৈশিষ্ট্যের যে পরিবর্তন সাধিত হয়, তা খুবই সামান্য। কিন্তু কালক্রমে জীবগোষ্ঠীতে সেই পরিবর্তন উল্লেখযোগ্য হয়ে দেখা দেয় এবং এমনকি হাজার হাজার বছরের ব্যবধানে একসময় তা নতুন প্রজাতির উদ্ভবেরও কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। বিভিন্ন প্রজাতির মধ্যকার দৃশ্যমান বিভিন্ন অঙ্গসাংস্থানিক ও জিনগত সাদৃশ্যগুলো একটা ধারণা দেয় যে আমাদের পরিচিত সকল প্রজাতির প্রাণীই এক ধারাক্রমিক পরিবর্তনের মাধ্যমে একটি "কমন পূর্বপুরুষ" থেকে ধীরে ধীরে উৎপত্তি লাভ করেছে।

জীববিজ্ঞানে বিবর্তন সময়ের সাথে সাথে এক একটি প্রজাতির মধ্যে সংঘটিত হয়। এই পরিবর্তনগুলির জেনেটিক স্তরে সম্পাদিত হয়, তা পরবর্তী প্রজন্মতে বিস্তার লাভ করে। বংশ পরিক্রমায় এই পরিবর্তনগুলি একটি প্রজাতিতে ধির গতিতে লক্ষ-কোটি বছরের ব্যবধানে সম্পন্ন হয় বলে তা নির্দিষ্ট কোন সময়ের মাপকাঠিতে পর্যবেক্ষণ সম্ভব হয় না। কখনও কখনও, কোন নির্দিষ্ট প্রজাতিতে কোন নির্দিষ্ট প্রতিকূল পরিবেশে খাপ খাইয়ে নেয়ার জন্য তাদের শারীরিক পরিবর্তন ঘটায়, (যেমন: খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তনের জন্য মাড়ি বা চোয়ালের পুরুত্ব, তাপমাত্রার তারতম্যের জন্য চামড়ার পুরুত্ব, রঙ) যা তাদের বেঁচে থাকা এবং বংশ রক্ষার ক্ষেত্রে সহায়ক হয়। এটা প্রাকৃতিক নির্বাচন। ইহা কোন প্রকার জেনেটিক্যাল পরিবর্তন নয়, যা শুধুমাত্র স্থানীয় প্রাকৃতিক পরিবেশে নিজ প্রজাতির অস্তিত্বকে রক্ষার জন্য সহায়ক। এটি কোন প্রকার বিবর্তন নয়, এটি প্রাকৃতিক নির্বাচন। আর এখানেই পার্থক্য বিবর্তন (Evolution) এবং প্রাকৃতিক নির্বাচনে (Natural Selection)। অর্থাৎ বিবর্তনে জেনেটিক পরিবর্তন আবশ্যিক, ন্যাচারাল সিলেকশন বা প্রাকৃতিক নির্বাচনে তা জরুরি নয়।

বিবর্তন কি কেবলই একটি তত্ত্ব যা অসম্পূর্ণ? (Evolution কেবলই একটি Theory?)
বিজ্ঞানে, একটি তত্ত্ব সাধারণ নীতিতে কঠোরভাবে পর্যবেক্ষণ এবং পরীক্ষণের মাধ্যমেই লিপিবদ্ধ করা হয়। একটি বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব এক্ষেত্রে একটি উচ্চ স্তরের সিদ্ধান্তকে নির্দেশ করে, যা একটি ফ্যাক্ট। শত বছর ধরে পর্যবেক্ষণ এবং পরিক্ষিত বিবর্তন আজ কেবল একটি তত্ত্ব বা অনুসিদ্ধান্ত নয়। লক্ষ বিজ্ঞানী দ্বারা পর্যবেক্ষণকৃত এবং পরীক্ষা দ্বারা প্রতিষ্ঠিত সত্য। ১৫০বছর পূর্বে ডারউইন কর্তৃক প্রদত্ত তত্ত্বটি আজ একটি সর্ব মহলে সমাদৃত এবং প্রমাণিত।

প্রয়োজনীয় প্রমাণের অভাবে ডারউইন নিজেও তার প্রদত্ত তত্ত্বের অনেক প্রশ্নেই নিরুত্তর ছিলেন। সঙ্গত কারণে তার সমসাময়িক অনেক বিজ্ঞানীই পর্যাপ্ত তথ্য প্রমাণের অভাবে ডারউইন প্রদত্ত তত্ত্বকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছিলেন। কিন্তু আজ ডিএনএ বিশ্লেষণ, নতুন নতুন ফসিল আবিষ্কার তার প্রদত্ত তত্ত্বকে এমনই উচ্চতায় প্রতিষ্ঠিত করেছে যে তিনি যদি নিজেই বেঁচে থাকতেন তবে নির্ঘাত অবাক হতেন। বৈজ্ঞানিক অগ্রগতিতে, পদার্থবিজ্ঞান, ভূতত্ত্ব, রসায়ন ও আণবিক জীববিজ্ঞানসহ বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক অনুষদসমূহের সমর্থন, পরিমার্জিত এবং সম্প্রসারিত বিবর্তন তত্ত্বকে সমর্থন করে।

এক কোষী জীব থেকে যদি প্রাণের উদ্ভব হয় তবে কি সকল প্রজাতি একই সূত্রে গাথা?
হ্যাঁ। সবাই একই সূত্রে গাথা। ডিএনএ বিশ্লেষণে দেখা গেছে আমাদের এই পৃথিবীতে সকল জীবের ডিএনএ’তে সাদৃশ্য রয়েছে। বিবর্তনকে যদি একটি গাছ ধরা হয়, তবে গোঁড়ার দিকে আদি প্রাণীগুলো থাকবে এবং শাখা-প্রশাখায়, পাতায় বিবর্তিত প্রাণীগুলো বিভিন্ন রূপে রূপান্তরিত হয়ে অবস্থান করবে। অর্থাৎ সবাই একই সূত্রে একটি গোত্রের কোষ থেকেই বিবর্তিত রূপে পৃথিবীতে অবস্থান করছে। বিবর্তনের এই ধারায় লক্ষ লক্ষ প্রাণী যেমন এই ভূখণ্ডে বেঁচে আছে, ঠিকই একই ভাবে কোটি প্রাণী ধ্বংস হয়ে গেছে কালের আবর্তে। উদাহরণ স্বরূপ বলা যায়, মানুষ এবং শিম্পাঞ্জিদের মধ্যে একই (কমন) পূর্বপুরুষ প্রজাতি দ্বারা ভাগ করা সাধারণ পূর্বপুরুষ প্রায় ৫ থেকে ৮ মিলিয়ন বছর আগে বসবাস করেছিল। সেই প্রজাতিই পৃথিবীতে প্রথম দুপায়ে হাটা শিখাছিলো। তাছাড়া, ডিএনএ বিশ্লেষণে দেখা গেছে মানুষ এবং ব্যাকটেরিয়ার ডিএনএ’তে স্পষ্টত সাদৃশ্য আছে, যা বিবর্তনের পুরো প্রক্রিয়াটি যে একটি সিঙ্গেল সেল জীব বা এক কোষী অণুজীব তাই ইঙ্গিত করে। অবাক হলেও সত্য যে, মানুষ এবং ব্যাকটেরিয়ায় মধ্যে ২০০টির অধিক জিনের সাদৃশ্য রয়েছে।

এটা উপলব্ধি করা গুরুত্বপূর্ণ যে আত্মীয় হিসাবে জীবগুলি বর্ণনা করা মানে এই নয় যে, এক জীব অন্যের পূর্বপুরুষ, অথবা এই এক প্রজাতি অন্য কোন প্রজাতির পূর্বপুরুষ। একজন ব্যক্তি রক্তের আত্মীয়দের সাথে সম্পর্কিত হতে পারে, যেমন চাচাতো ভাই, চাচা, ফুফু, খালা, কারণ তারা এক বা একাধিক সূত্রে রক্ত সম্পর্কীয় সাধারণ পূর্বপুরুষ যা পূর্বপুরুষ দাদা-দাদীরা তাদের দাদা-দাদীদের কাছ থেকে নিয়ে এসেছেন। এইজন্য সবার মধ্যে বাহ্যিক সাদৃশ্যও বিদ্যমান। এক্ষেত্রে, আমার বাবা আমার পূর্ব পুরুষ যা সরাসরি দাদার সাথে সম্পর্কিত। কিন্তু আমার চাচা বা চাচাতো ভাই আমার পূর্বপুরুষ নয়। দাদা>বাবা>আমি, আবার দাদা>চাচা>চাচাতো ভাই।
একইভাবে, মানুষ এবং অন্যান্য প্রাণীগুলো সম্পর্কযুক্ত, কিন্তু একজন আরেকজনের পূর্বপুরুষ নয়।

একটি প্রজাতি কি?
একটি প্রজাতির সদস্য সাধারণত প্রকৃতির অন্যান্য (ভিন্ন) প্রজাতির সদস্যদের সঙ্গে প্রজননক্ষম না। কখনও কখনও, সিংহ এবং বাঘ যেমন বিভিন্ন প্রজাতির সদস্য, একসঙ্গে রেখে প্রজনন করা যায়, এক্ষেত্রে নতুন প্রজাতি সৃষ্টি হয়, যেমন বাঘ ও সিংহ মিলে “লাইগার” (লায়ন ও টাইগার মিলে শব্দটির উৎপত্তি)। কিন্তু প্রকৃতিতে, ভৌগলিক বিচ্ছিন্নতা এবং আচরণের মধ্যে পার্থক্য, যেমন আবাসস্থল পছন্দ, ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কিত প্রাণী প্রজাতির স্বভাবগত ভাবেই পৃথক, তাই সব প্রজাতির মধ্যে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সংকরায়ন/প্রজনন সম্ভব নয়। একইভাবে উদ্ভিদের ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কিত প্রজাতিগুলি হর্টিকালচারিস্টদের দ্বারা কখনও কখনও হাইব্রিড করা যায়, তবে এই হাইব্রিডগুলি কদাচিৎ প্রকৃতির মধ্যে পাওয়া যায়। মোদ্দা কথা হলো, প্রকৃতিগত ভাবে এক একটি প্রজাতি আপন স্বকীয়তায় ভিন্ন চারিত্রিক গুণাবলি সম্পন্ন, প্রকৃতিতে থাকা যারা ভিন্ন প্রজাতির সাথে প্রজনন ঘটায় না।

জিনের সাথে বিবর্তনের সম্পর্ক কি?
জিন একটি জীবের ডিএনএ অংশ যে একটি নির্দিষ্ট নির্দিষ্টভাবে যে জীব গঠনের “দায়বদ্ধ” কোড বহন করে। জিন – প্রপিতামহ, পিতা মাতা থেকে বংশগত বিশিষ্টসমূহ পরবর্তী প্রজন্মে বহন/সঞ্চারিত করে। প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে হাজার হাজার বছরে সুক্ষ্ণ সুক্ষ্ণ পরিবর্তন নতুন প্রজন্মের বড় ধরণের চারিত্রিক এবং বৈশিষ্ট্যগত পরিবর্তন আনে। তাই হাজার বছরের পূর্বের প্রজন্মের সাথে চলমান প্রজন্মের দৈহিক, চারিত্রিক এবং বৈশিষ্ট্যগত বিরাট পরিবর্তন দেখা যায়, ইহাই বিবর্তন। তাই বলা যেতে পারে এই “বৈচিত্র্য” বিবর্তনের অন্যতম “কাঁচামাল” বা উপাদান।

বিবর্তনের ভিত্তি হচ্ছে বংশপরম্পরায় জিনের সঞ্চারণ। যা একটি জীবের বংশগতভাবে প্রাপ্ত বৈশিষ্ট্যগুলোর জন্য দায়ী, তা-ই জিন। এই জিনগুলোর বিভিন্নতার কারণে একটি জীবগোষ্ঠীর বিভিন্ন সদস্যদের মধ্যে বংশগত বৈশিষ্ট্যে পার্থক্য বা প্রকরণ সৃষ্টি হয়। বিবর্তন মূলত দুটি বিপরীত নিয়ামকের ফল : একটি প্রক্রিয়ায় ক্রমাগতভাবে নতুন প্রকরণ সৃষ্টি হয়, আর অন্যটির প্রভাবে এই প্রকরণগুলোর কোনো কোনোটির সংখ্যা বৃদ্ধি পায় এবং কোনো কোনোটির সংখ্যা হ্রাস পায়। নতুন প্রকরণ উৎপন্ন হয় দুটি প্রধান উপায়ে : ১. জিনগত মিউটেশন বা পরিব্যাপ্তির মাধ্যমে এবং ২. বিভিন্ন জীবগোষ্ঠী বা প্রজাতির মধ্যে জিনের স্থানান্তরের মাধ্যমে। "জিনেটিক রিকম্বিনেশনের" মাধ্যমেও নতুন বৈশিষ্ট্যসূচক জিন তৈরি হয় যা জীবগোষ্ঠীর মধ্যকার প্রকরণ বৃদ্ধির অন্যতম কারণ।

পরবর্তী পাঁচটি প্রশ্ন:
    বিবর্তনের সাথে প্রজননের সম্পর্ক কি?
    বিবর্তন কি একটি Random প্রক্রিয়া?
    বিবর্তন এবং "যোগ্যতার বিচারে বেঁচে থাকা" কি একই জিনিস?
    প্রাকৃতিক নির্বাচন কিভাবে কাজ করে?
    কিভাবে বিবর্তন সংঘটিত হয়?

এনামুল হক এনাম, কলামিস্ট, সাহিত্যিক, জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ

মুক্তমত বিভাগে প্রকাশিত লেখার বিষয়, মতামত, মন্তব্য লেখকের একান্ত নিজস্ব। sylhettoday24.com-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে যার মিল আছে এমন সিদ্ধান্তে আসার কোন যৌক্তিকতা সর্বক্ষেত্রে নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে sylhettoday24.com আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় গ্রহণ করে না।

আপনার মন্তব্য

লেখক তালিকা অঞ্জন আচার্য অধ্যাপক ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী ৪৮ অসীম চক্রবর্তী আজম খান ১১ আজমিনা আফরিন তোড়া ১০ আনোয়ারুল হক হেলাল আফসানা বেগম আবদুল গাফফার চৌধুরী আবু এম ইউসুফ আবু সাঈদ আহমেদ আব্দুল করিম কিম ৩২ আব্দুল্লাহ আল নোমান আব্দুল্লাহ হারুন জুয়েল ১০ আমিনা আইরিন আরশাদ খান আরিফ জেবতিক ১৭ আরিফ রহমান ১৬ আরিফুর রহমান আলমগীর নিষাদ আলমগীর শাহরিয়ার ৫৪ আশরাফ মাহমুদ আশিক শাওন ইনাম আহমদ চৌধুরী ইমতিয়াজ মাহমুদ ৭১ ইয়ামেন এম হক এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন একুশ তাপাদার এখলাসুর রহমান ৩৭ এনামুল হক এনাম ৪১ এমদাদুল হক তুহিন ১৯ এস এম নাদিম মাহমুদ ৩৩ ওমর ফারুক লুক্স কবির য়াহমদ ৬৩ কাজল দাস ১০ কাজী মাহবুব হাসান কেশব কুমার অধিকারী খুরশীদ শাম্মী ১৭ গোঁসাই পাহ্‌লভী ১৪ চিররঞ্জন সরকার ৩৫ জফির সেতু জহিরুল হক বাপি ৪৪ জহিরুল হক মজুমদার জাকিয়া সুলতানা মুক্তা জান্নাতুল মাওয়া জাহিদ নেওয়াজ খান জুনাইদ আহমেদ পলক জুয়েল রাজ ১০২ ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন ১২ ড. কাবেরী গায়েন ২৩ ড. শাখাওয়াৎ নয়ন ড. শামীম আহমেদ ৪১ ডা. আতিকুজ্জামান ফিলিপ ২০ ডা. সাঈদ এনাম ডোরা প্রেন্টিস তপু সৌমেন তসলিমা নাসরিন তানবীরা তালুকদার তোফায়েল আহমেদ ৩১ দিব্যেন্দু দ্বীপ দেব দুলাল গুহ দেব প্রসাদ দেবু দেবজ্যোতি দেবু ২৭ নাজমুল হাসান ২৪ নিখিল নীল পাপলু বাঙ্গালী পুলক ঘটক প্রফেসর ড. মো. আতী উল্লাহ ফকির ইলিয়াস ২৪ ফজলুল বারী ৬২ ফড়িং ক্যামেলিয়া ফরিদ আহমেদ ৪২ ফারজানা কবীর খান স্নিগ্ধা বদরুল আলম বন্যা আহমেদ বিজন সরকার বিপ্লব কর্মকার ব্যারিস্টার জাকির হোসেন ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ ১৮ ভায়লেট হালদার মারজিয়া প্রভা মাসকাওয়াথ আহসান ১৯০ মাসুদ পারভেজ মাহমুদুল হক মুন্সী মিলন ফারাবী মুনীর উদ্দীন শামীম ১০ মুহম্মদ জাফর ইকবাল ১৫৩ মো. মাহমুদুর রহমান মো. সাখাওয়াত হোসেন মোছাদ্দিক উজ্জ্বল মোনাজ হক ১৪ রণেশ মৈত্র ১৮৩ রতন কুমার সমাদ্দার রহিম আব্দুর রহিম ৫৫ রাজু আহমেদ ১৬ রাজেশ পাল ২৮ রুমী আহমেদ রেজা ঘটক ৩৮ লীনা পারভীন শওগাত আলী সাগর শাওন মাহমুদ