আজ শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

Advertise

পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রেখে ঈদ পালন করুন

আব্দুল করিম কিম  

পবিত্র ঈদ-উল-আযহা সমাগত । দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের দ্বিতীয় বৃহত্তম এই ধর্মীয় উৎসবের বহুমুখী প্রভাব আমাদের নাগরিক জীবনে রয়েছে । এই উৎসবের প্রধান বৈশিষ্ট্য পশু কুরবানি । আর এই কুরবানির উপাদান পশু বেচা-কেনাকে কেন্দ্র করে দেশজুড়ে শুরু হয় তুঘলকি কারবার। শত শত কোটি টাকার পশু ক্রয়-বিক্রয়ে বৈধ-অবৈধ হাট-বাজার গড়ে ওঠে দেশের যত্রতত্র । এসকল পশুর হাটের চাপে মহানগরীর বিভিন্ন এলাকার সাধারণ পরিবেশ নির্দিষ্ট সময়ের জন্য বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। এ অবস্থা থেকে মানুষ ও বিদ্যমান নগরজীবনকে রক্ষা করার জন্য সিটি কর্পোরেশন কোরবানির পশু বিক্রয়ের জন্য কিছু স্থান নির্দিষ্ট করে দিয়ে থাকে।

সেগুলো পর্যাপ্ত না হলেও তাতে এক ধরণের ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা হয় কিন্তু সমস্যাটা হয় একেবারেই অনির্ধারিত, রাস্তার ধারে বা রাস্তার উপর বিচ্ছিন্ন অসংখ্য হাট নিয়ে। যা রাজনৈতিক নেতৃত্বের ছত্রছায়ায় প্রতিষ্ঠা পায় এবং প্রশাসন যা ঈদ পর্যন্ত এড়িয়ে চলে। ফলে ঈদের শেষ কয়েকদিন সারা শহরের যান চলাচল সময়-সাপেক্ষ বা বাধাগ্রস্ত হয়, পশুর খাদ্য-উচ্ছিষ্ট ও মল মূত্রে দুর্গন্ধময় অস্বাস্থ্যকর হয়ে উঠে আশপাশের এলাকার জনজীবন। একইভাবে ঈদ-উল-আযহায় শহরগুলোতে রাস্তায়-বাড়িতে যেখানে-সেখানে কোরবানি দেয়া হয় । পশুর রক্ত ও অন্যান্য বর্জ্য যত্রতত্র ফেলার কারণে এসময় নগরীর পরিবেশ মারাত্মক ভাবে দূষিত হয়।

বর্জ্যে বর্জ্যে বিভিন্ন এলাকার নালা-খাল ভরে যায়। রাস্তার পাশে পরে থাকা পশুর রক্ত দুর্গন্ধ ছড়ায়। ফলে পানি ও বায়ু দূষণে নানা রোগব্যাধির পাদুর্ভাব হয়। আসন্ন কোরবানির ঈদে শহরগুলোতে রাস্তায়-বাড়িতে যেখানে-সেখানে পশু জবাই নিরুৎসাহিত করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। দেশের সবগুলো সিটি কর্পোরেশন এবং পৌরসভাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এলাকায় এলাকায় নির্দিষ্ট কিছু খোলা জায়গা বেছে সেখানে কোরবানি দিতে নাগরিকদের উদ্বুদ্ধ করতে। এব্যাপারে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে দেশের ১১টি সিটি কর্পোরেশন এবং ৩২৩টি পৌরসভায় নির্দেশনা পৌঁছেছে । যার আলোকে এবার প্রথমবারের মত সিলেট সিটি কর্পোরেশন আসন্ন ঈদুল আযহায় পশু কোরবানির জন্য নগরীর ২৭ টি ওয়ার্ডে স্থান নির্ধারণ করে দিয়েছে। সম্প্রতি সিটি করপোরেশেন পক্ষ থেকে এ সংক্রান্ত একটি তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। সরকারের এই উদ্যোগ বাধ্যতামূলক কিছু নয় । সরকারের উদ্দেশ্য মানুষকে নির্দিষ্ট স্থানে পশু কোরবানি দিতে উদ্বুদ্ধ করা; যাতে শহরের পরিবেশ সুন্দর থাকে, বর্জ্য অপসারণের কাজ সহজ হয়্ ।


ঈদে পশুর হাট নিয়ন্ত্রণ ও পরিচ্ছন্ন রাখা সিটি কর্পোরেশনের অন্যতম দায়িত্ব। এই দায়িত্ব যথাযথভাবে পালনে সিটি কর্পোরেশনকে রাজনৈতিক শক্তির সমর্থন দেয়া প্রয়োজন । বিশেষ করে ক্ষমতাসীন দলের সদিচ্ছা থাকলে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী অবৈধ পশুর হাট উচ্ছেদে তৎপরতা দেখাবে । কিন্তু ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীরা যদি অবৈধ পশুর হাটের পৃষ্ঠপোষক হয়ে থাকে তবে সিটি কর্পোরেশন এক্ষেত্রে 'ঠুঁটো জগন্নাথ'। সিলেট সিটি কর্পোরেশন দীর্ঘদিন থেকে এমনিতেই জোড়াতালিতে চলছে । প্রায় নয় মাস হতে চলল নির্বাচিত নগরপিতা আরিফুল হক চৌধুরী কারাগারে । নগর পিতার অনুপস্থিতিতে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে সিলেট সিটি কর্পোরেশন । এ অবস্থায় কোরবানির অবৈধ পশুর হাটে সিলেট মহানগরী সয়লাব । শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শুরু করে নগরীর বিভিন্ন ওয়ার্ডের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রাঙ্গণে পশু বিক্রি চলছে ।

নগরীর প্রধান প্রধান সড়কে মদিনা মার্কেট থেকে সুবিদবাজার, মীরের ময়দান থেকে রিকাবীবাজার, তালতলা থেকে শেখঘাট মোড়, শাহী ঈদগাহ, বালুচর, টিলাগড় প্রভৃতি স্থানে পশু বিক্রি চলছে পথচারীদের সমস্যা সৃষ্টি করে । বিগত কয়েক বছর থেকে স্থানীয় কিছু প্রভাবশালীর পৃষ্ঠপোষকতায় এই অবৈধ হাট চলছে । যা স্থানীয় নাগরিকদের জনজীবন অতিষ্ঠ করে তুলছে । এ বছর সিটি কর্পোরেশনের নেতৃত্বশূন্যটা পুরো নগরীকে অবৈধ পশুর হাটে পরিণত করতে পারে । যা সিলেট মহানগরীর পরিবেশকে বিপর্যস্ত করে তুলবে ।

সিলেট সিটি কর্পোরেশন এবছর প্রথমবারের মত নগরবাসীর কোরবানির জন্য নির্দিষ্ট স্থান নির্ধারণ করে দিয়েছে । নগরীর ২৭টি ওয়ার্ডে পশু জবাইয়ের জন্য ২৭ স্থান নির্ধারণ করে এর তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। কিন্তু বিশাল এ নগরীতে মাত্র ২৭টি স্থানে পশু জবাইর স্থান নির্ধারণ করায় নগরবাসীর মধ্যে প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। কারও কারও বাসা থেকে প্রায় দেড় থেকে দুই কিলোমিটার দূরবর্তী স্থানে পশু জবাইর স্থান নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে । এর ফলে কোরবানির পর নগরবাসীর ভোগান্তি বাড়বে । পশু নিয়ে যাওয়া এরপর জবাইয়ের পর কাটাকুটি করে পশু বাসায় নিয়ে আসা কষ্টকর হবে। অন্যদিকে বিদ্যালয়ের মাঠও পশু জবাইয়ের জন্য স্থান নির্বাচিত করা হয়েছে। এর ফলে শিক্ষার্থীরাও স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়ার আশঙ্কা করছেন অনেকেই ।

সিটি কর্পোরেশন পশু জবাইর জন্য ২৭ ওয়ার্ডে ২৭টি স্থান নির্ধারণ করেছেন।সিসিক নির্ধারিত স্থানগুলো হচ্ছে, ১নং ওয়াডের্র আলীয়া মাদ্রাসা মাঠ, ২নং ওয়াডের্র পুরাতন মেডিক্যাল কলোনি মাঠ, ৩নং ওয়াডের্র মেডিক্যাল কলোনি মাঠ, ৪নং ওয়ার্ডে আম্বরখানা কলোনি মাঠ, ৫নং ওয়ার্ডে গোয়াইপাড়া জামে মসজিদ সংলগ্ন জেলা পরিষদ মাঠ, ৬নং ওয়ার্ডে চৌকিদেখী আ-এ খেলার মাঠ, ৭ নং ওয়ার্ডে জালালাবাদ আবাসিক এলাকার খেলার মাঠ, ৮নং ওয়ার্ডে পাঠানটুলা স্কুল সংলগ্ন খেলার মাঠ, ৯নং ওয়াডের্র বাগবাড়ি জবাইখানা, ১০নং ওয়ার্ডে ঘাসিটুলা মাঠ, ১১নং ওয়ার্ডে লালদিঘী পশ্চিমপার সংলগ্ন মাঠ, ১২নং ওয়াডের্র শেখঘাট পিছের মুখ মাঠ, ১৩নং ওয়াডের্র কাজির বাজার মাদরাসা মাঠ, ১৪নং ওয়ার্ডে ছড়ারপার মাঠ, ১৫নং ওয়ার্ডে মিরাবাজার স্কুল সংলগ্ন মাঠ, ১৬নং ওয়ার্ডে ধোপাদিঘীর উত্তরপার, ১৭নং ওয়ার্ডে কাজি জালাল উদ্দিন স্কুল সংলগ্ন মাঠ, ১৮নং ওয়ার্ডে রায়নগর স্কুল মাঠ, ১৯নং ওয়ার্ডে সোনারপাড়া স্কুল মাঠ, ২০নং ওয়ার্ডে এমসি কলেজ মাঠ, ২১নং ওয়ার্ডে লামাপাড়া স্কুল মাঠ, ২২নং ওয়ার্ডে শাহজালাল উপশহর খেলার মাঠ, ২৩নং ওয়ার্ডে মাছিমপুর স্কুল সংলগ্ন মাঠ, ২৫নং ওয়ার্ডে বারোখলা জাহাজ বিল্ডিং সংলগ্ন মাঠ, ২৬নং ওয়ার্ডে কদমতলী স্কুল সংলগ্ন মাঠ ও ২৭নং ওয়ার্ডে গোটাটিকর স্কুল সংলগ্ন মাঠ ।

সিলেট নগরবাসী এতোকাল যেখানে বাসা-বাড়ি ও রাস্তায় কোরবানি দিতে অভ্যস্ত সেখানে প্রতি ওয়ার্ডে একটি মাত্র স্থান কোন ভাবেই বাস্তব সম্মত নয় । এই তালিকায় নাগরিকদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে । তাই ওয়ার্ড প্রতি কোরবানি দাতার সংখ্যা নিরূপণ করে স্থান নির্ধারণ করতে হবে । মহানগরীর কোন কোন ওয়ার্ডের অধিকাংশ পাড়া-মহল্লায় কোরবানি দাতা বেশী, আবার কোন কোন ওয়ার্ডে কম । এবছর সিটি কর্পোরেশন তথ্য সংগ্রহ করতে পারে । যাতে ভবিষ্যতে সেই আলোকে কোরবানির স্থান নির্ধারণ সহজ হয়। দেশের শহরগুলোতে নির্দিষ্ট স্থানে কোরবানি প্রদানের সরকারি সিদ্ধান্ত প্রতিক্রিয়াশীল মহলের পছন্দ নয়। এক সময় কোরবানির পশুর বর্জ্য প্রাকৃতিক ভাবেই শিয়াল, শকুন, কাক পরিষ্কার করে দিয়েছে। কিন্তু এখন আমাদের শহর-নগর থেকে শিয়াল, শকুন, কাক পরিষ্কার হয়ে গেছে । তাই কোরবানির বর্জ্য দিনের পর দিন পরে থাকে, দুর্গন্ধ ছড়ায় । চলমান বাস্তবতায় নির্দিষ্ট স্থানে কোরবানির এমন একটি সিদ্ধান্ত জরুরী ছিল । শুরুতে নানান অসঙ্গতি অব্যবস্থাপনা থাকলেও ধীরে ধীরে পরিমার্জনের মধ্য দিয়ে তা আধুনিক ও বাস্তব সম্মত হবে ।

ইসলাম'সহ সকল ধর্মে পবিত্রতা ও পরিচ্ছন্নতা একটি বিশেষ স্থান অধিকার করে আছে । দেহ, মন, পোশাক, স্থান বা পরিবেশের বিশেষ পদ্ধতিতে অর্জিত পরিচ্ছন্নতা ও নির্মলতাকে পবিত্রতা বলা হয়। স্বাস্থ্য বিজ্ঞানে শরীরকে সুস্থ রাখার জন্য যে সব পন্থা বিজ্ঞানীরা দেখিয়েছেন, তন্মধ্যে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা সর্বশ্রেষ্ঠ ব্যবস্থা। পোশাক-পরিচ্ছেদের পাশাপাশি, বসত এলাকা ও আশপাশের পরিবেশ-প্রতিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখাও স্বাস্থ্য, বিজ্ঞান ও ধর্ম সম্মত ।

আল্লাহ'র সন্তুষ্টি লাভের জন্য পশু কোরবানি করতে গিয়ে পশু বর্জ্যে চারপাশের পরিবেশ দূষণ কোন ভাবেই ধর্মাচরণ নয়। তাই এ বিষয়ে কোরবানি দাতাদের সতর্কতা প্রয়োজন । একই সাথে ঈদ উল আযহা উপলক্ষে সিটি কর্পোরেশনকে নিচের পরামর্শগুলো বিবেচনায় নেয়ার অনুরোধ-

(০১) কোরবানির পশু বেচা কেনার জন্য নগরে প্রয়োজনীয় সংখ্যক স্থান সঠিক ব্যবস্থাপনায় বরাদ্ধ দিতে হবে।

(০২) আগামীতে নির্ধারিত হাটের সংখ্যা আরো বৃদ্ধি করতে করতে হবে । রাস্তায় যেন কোন হাট বসতে না পারে।

(০৩) সিলেট মহানগরীতে যেখানে সেখানে পশুর হাট বসানো প্রতিরোধ করতে হবে । চিহ্নিত স্থানেই যেন হাট বসে তা অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে । সকল উন্মুক্ত স্থান, খেলার মাঠ, পার্ক, পাড়া মহল্লার অলি গলি পশুর হাট থেকে মুক্ত রাখতে হবে।

(০৪) পশুর হাটের প্রতিদিনের বর্জ্য দিন শেষে নিয়মিত অপসারণের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।

(০৫) কোরবানির পর অবিলম্বে ও দ্রুততার সাথে পড়ে থাকা পশুর রক্ত একদিনের মধ্যে পরিষ্কার করতে হবে, নাড়ি-ভুঁড়ি সম্পূর্ণ অপসারণ করতে হবে।

(০৬) সিটি কর্পোরেশনের আর্থিক, জনবল, যানবাহন সহ সার্বিক সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে হবে। বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রমকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার হিসেবে বিবেচনা করতে হবে।

(০৭) পাড়া মহল্লা ভিত্তিক সরকারীভাবে নির্দিষ্ট স্থানে আধুনিক ব্যবস্থাপনা সম্পন্ন কোরবানি ও নিয়মিত পশু জবাই কেন্দ্র স্থাপন করতে হবে

আব্দুল করিম কিম, সমন্বয়ক, সিলেটের ইতিহাস-ঐতিহ্য-সংস্কৃতি ও প্রকৃতি রক্ষা পরিষদ।

মুক্তমত বিভাগে প্রকাশিত লেখার বিষয়, মতামত, মন্তব্য লেখকের একান্ত নিজস্ব। sylhettoday24.com-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে যার মিল আছে এমন সিদ্ধান্তে আসার কোন যৌক্তিকতা সর্বক্ষেত্রে নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে sylhettoday24.com আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় গ্রহণ করে না।

আপনার মন্তব্য

লেখক তালিকা অঞ্জন আচার্য অধ্যাপক ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী ৪৮ অসীম চক্রবর্তী আজম খান ১১ আজমিনা আফরিন তোড়া ১০ আনোয়ারুল হক হেলাল আফসানা বেগম আবদুল গাফফার চৌধুরী আবু এম ইউসুফ আবু সাঈদ আহমেদ আব্দুল করিম কিম ৩২ আব্দুল্লাহ আল নোমান আব্দুল্লাহ হারুন জুয়েল ১০ আমিনা আইরিন আরশাদ খান আরিফ জেবতিক ১৭ আরিফ রহমান ১৬ আরিফুর রহমান আলমগীর নিষাদ আলমগীর শাহরিয়ার ৫৪ আশরাফ মাহমুদ আশিক শাওন ইনাম আহমদ চৌধুরী ইমতিয়াজ মাহমুদ ৭১ ইয়ামেন এম হক এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন একুশ তাপাদার এখলাসুর রহমান ৩৭ এনামুল হক এনাম ৪১ এমদাদুল হক তুহিন ১৯ এস এম নাদিম মাহমুদ ৩৩ ওমর ফারুক লুক্স কবির য়াহমদ ৬৩ কাজল দাস ১০ কাজী মাহবুব হাসান কেশব কুমার অধিকারী খুরশীদ শাম্মী ১৭ গোঁসাই পাহ্‌লভী ১৪ চিররঞ্জন সরকার ৩৫ জফির সেতু জহিরুল হক বাপি ৪৪ জহিরুল হক মজুমদার জাকিয়া সুলতানা মুক্তা জান্নাতুল মাওয়া জাহিদ নেওয়াজ খান জুনাইদ আহমেদ পলক জুয়েল রাজ ১০২ ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন ১২ ড. কাবেরী গায়েন ২৩ ড. শাখাওয়াৎ নয়ন ড. শামীম আহমেদ ৪১ ডা. আতিকুজ্জামান ফিলিপ ২০ ডা. সাঈদ এনাম ডোরা প্রেন্টিস তপু সৌমেন তসলিমা নাসরিন তানবীরা তালুকদার তোফায়েল আহমেদ ৩১ দিব্যেন্দু দ্বীপ দেব দুলাল গুহ দেব প্রসাদ দেবু দেবজ্যোতি দেবু ২৭ নাজমুল হাসান ২৪ নিখিল নীল পাপলু বাঙ্গালী পুলক ঘটক প্রফেসর ড. মো. আতী উল্লাহ ফকির ইলিয়াস ২৪ ফজলুল বারী ৬২ ফড়িং ক্যামেলিয়া ফরিদ আহমেদ ৪২ ফারজানা কবীর খান স্নিগ্ধা বদরুল আলম বন্যা আহমেদ বিজন সরকার বিপ্লব কর্মকার ব্যারিস্টার জাকির হোসেন ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ ১৮ ভায়লেট হালদার মারজিয়া প্রভা মাসকাওয়াথ আহসান ১৯০ মাসুদ পারভেজ মাহমুদুল হক মুন্সী মিলন ফারাবী মুনীর উদ্দীন শামীম ১০ মুহম্মদ জাফর ইকবাল ১৫৩ মো. মাহমুদুর রহমান মো. সাখাওয়াত হোসেন মোছাদ্দিক উজ্জ্বল মোনাজ হক ১৪ রণেশ মৈত্র ১৮৩ রতন কুমার সমাদ্দার রহিম আব্দুর রহিম ৫৫ রাজু আহমেদ ১৬ রাজেশ পাল ২৮ রুমী আহমেদ রেজা ঘটক ৩৮ লীনা পারভীন শওগাত আলী সাগর শাওন মাহমুদ