আজ শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

Advertise

দুর্ঘটনা নয়, বরং একটি জোড়াখুনের ঘটনা

মুনীর উদ্দীন শামীম  

খবরটি যখন চোখে পড়ে মনের অজান্তেই বলে উঠি- ও মাই গড়। এ আমি কী দেখছি, কী শুনছি!

ঈদউৎসব আনন্দের মিছিল, উদযাপনের মিছিল নাকি মৃত্যুর মিছিল- গত কয়েক বছরের সংবাদ-পরিসংখ্যান দেখে দেখে এ রকম প্রশ্ন এমনিতেই মনের মধ্যে ঘুরপাক খায়। ঈদ এলে সড়ক ’দুর্ঘটনা’ বাড়বে, সড়ক-মহাসড়কে ঘরমুখো কিছু মানুষের মৃত্যু হবে, প্রিয়জনের সাথে দেখা হওয়ার কথা থাকলেও দেখা হবে না, বরং হারিয়ে যাবে না ফেরার দেশে- এ অস্বাভাবিকতা স্বাভাবিক নিয়মে পরিণত হয়েছে। আমরাও অভ্যস্ত হয়ে পড়েছি এ রকম অস্বাভাবিক অপমৃত্যু-সংবাদের সাথে। তারপরও রাজধানীর শেওড়াপাড়ায় ঈদের পরের দিন সকালে ঘটে যাওয়া এক বয়োজ্যেষ্ঠ দম্পতির মৃত্যুসংবাদ আমার ভেতরে অন্যরকম প্রতিক্রিয়া তৈরি করে।

প্রতিদিনের অসংখ্য অস্বাভাবিক মৃত্যুর মধ্যেও, অসংখ্য সড়ক ’দুর্ঘটনা’র মধ্যেও আমার মনের মধ্যে, আমার চিন্তাজগতে এ জোড়ামৃত্যু-সংবাদ স্থায়ী হতে শুরু করে। এ চ্যানেল, ও চ্যানেল, অনলাইন নিউজ পোর্টাল দেখে-পড়ে যেটুকু জানতে পারি, তাতে মনের ভেতরে একটা অনুসিদ্ধান্তও দাঁড়িয়ে যায়। সে অনুসিদ্ধান্ত আমাকে জানান দেয়- সড়ক দুর্ঘটনার নামে পরিবেশিত এ মৃত্যুসংবাদ আসলে একটি জোড়া খুনের ঘটনা।

প্রকাশিত সংবাদ থেকে যেটুকু জেনেছি, তার উপর ভর করে আমি এটিকে নিরেট খুনের ঘটনা হিসেবেই বিবেচনা করতে চাই। আমি আইনের শিক্ষার্থী নই। ফৌজদারি আইনের পরিভাষায় এটিকে খুন বলা হবে কি না- সে বিতর্কে আমার আপাতত কোনো আগ্রহও নেই। কিন্তু যে কারণে, যেভাবে এ দম্পতির মৃত্যু ঘটেছে, তা আমার কাছে প্রকাশ্য খুন বলেই প্রতিয়মান হয়।প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যমে যে খবর বেরিয়েছে, তাতে বলা হয়েছে গাড়ির গতি ছিল ঘণ্টায় একশো বা তার চেয়ে বেশি।
অতএব এটি স্পষ্ট যে, ঢাকার রাস্তায় গাড়ির যে অনুমোদিত গতি তার চেয়ে গাড়ির গতি অনেক বেশি ছিল। যা রাস্তায় দুর্ঘটনা ঘটাবার জন্য শুধু যথেষ্ট নয়; আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘনও। ঢাকার ব্যস্ততম রাস্তায় এ রকম দ্রুতগতিতে গাড়ি চালানোকে কোনভাবেই স্বাভাবিক-আইনসিদ্ধ বলার উপায় নেই।প্রত্যক্ষদর্শীরা এও জানিয়েছেন যে, গাড়িতে যে চার-পাঁচজন তরুণ ছিলেন, তারা স্বাভাবিক ছিলেন না, নেশাগ্রস্ত ছিলেন। পৃথিবীর সব দেশেই মাদকসেবন করে গাড়ি চালানো একটি আইনি অপরাধ। সে অপরাধটিও এখানে সংঘটিত হয়েছে। এখনও যেহেতু এ সংক্রান্ত কোন তথ্য আসেনি, পুলিশ এখনও কাউকে গ্রেফতার করতে পারেন নি, সেহেতু এটি স্পষ্ট নয় যে, যিনি গাড়ি চালাচ্ছিলেন, তার ড্রাইভিং লাইসেন্স ছিল কি না। লাইসেন্স থাকলেও তিনি আসলে ঠিকমতো গাড়ি চালাতে পারতেন কি না।

একজন লাইসেন্সধারী ড্রাইভার, তিনি পেশাদার হোন অথবা অপেশাদার হোন, তার অন্তত মাদকসেবন করে গাড়ি চালাবার কথা নয়। এ শিক্ষাটুকু তার থাকবার কথা। পত্রিকায় এ সংবাদও বেরিয়েছে যে, গাড়িটি নিয়ে এ তরুণরা রাতের দু’টার দিকে বেরিয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া সন্তানের হাতে রাত দু’টায় ব্যক্তিগত গাড়ি ছেড়ে দেবার দায় সংশ্লিষ্ট অভিভাবকরাও এড়াতে পারেন না। তারুণ্যের সাথে অবশ্যই ফ্যান্টাসির সহ-সম্পর্ক রয়েছে। কিন্তু সে ফ্যান্টাসি যদি অন্যের মৃত্যুর কারণ হয়,নির্বিচারে আইনলঙ্ঘন করা হয়, গাড়ি চাপা দিয়ে মানুষ খুন করা হয়,তাহলে সে ফ্যান্টাসি-সংশ্লিষ্টদের অপরাধী হিসেবে গণ্য করে আইনের মুখোমুখি দাঁড় করানোই রাষ্ট্র ও সমাজের দায়িত্ব। এটি সংশ্লিষ্ট পিতামাতারও নৈতিক ও সামাজিক দায়িত্ব।

এ লেখা যখন লিখছি তখন বারবার মনে পড়ছে, এক বয়োজ্যেষ্ঠ দম্পতির যুগল ছবি। তাঁদের একজনের বয়স ৭৮, অন্যজনের ৬০। তাঁরা ঈদের একদিন পরেই খুব ভোরে ঘর থেকে বেরিয়েছিলেন, কিছুক্ষণ পরেই ছেলেমেয়ে, নাতিনাতনিদের সাথে ঈদ-আনন্দ ভাগাভাগি করবেন বলে, পদ্মার বুকে প্রিয়জনদের সাথে উল্লাসে মেতে উঠবেন বলে। অথচ কোনো কিছু বোঝে উঠবার আগেই, তাঁরা ফিরে গেলেন লাশ হয়ে। তাঁরা নিশ্চয়ই সকালটাকে খুব নিরাপদ ভেবে ছিলেন। ঢাকার যানজট জেগে উঠার আগেই পৌছাতে চেয়েছিলেন, প্রিয়জনের কাছে। অপরপ্রান্তে প্রিয় সন্তানরাও নিশ্চয়ই অপেক্ষায় ছিলেন, প্রিয় বাবা-মার জন্য। ঢাকার অদূরে পদ্মারচরে সেদিন আতাউর-রুখসানা দম্পতি ও তার পরিবারের সদস্যদের আনন্দ-উপভোগের সাক্ষী হতে পারতো শরতের এক টুকরো আকাশ। কিন্তু এক নিমিষে সব আনন্দ-আয়োজন ঢাকা পড়ে গেল শোকের চাদরে। শরতের সাদা মেঘগুলি যেন হঠাৎ কালো হয়ে উঠলো। এ দায় কার, ব্যক্তির, সমাজের, রাষ্ট্রের নাকি সবার?

দুই.
আমি প্রতি ঈদের ছুটিতে আক্ষরিক অর্থেই ভীষণ ভয়ে ভয়ে থাকি। টিভিস্ক্রলে তাকাতে ভয় পাই। অনলাইন নিউজ পোর্টালে চোখ মেলতে ভয় পাই। বেতারের সংবাদ-শ্রবণে ভয় পাই। আমার কেবলই মনে হয়- এ বুঝি নতুন আরেকটি সংখ্যা যুক্ত হওয়ার সংবাদ আসছে। সড়ক দুর্ঘটনার নামে আরো একটি খুনের ঘটনা যুক্ত হচ্ছে। আরেকটি অস্বাভাবিক মৃত্যু সংবাদ শিরোনাম হচ্ছে। যতই এ সংবাদগুলি এড়িয়ে যাবার চেষ্টা করি, মনেমনে ভাবি, কামনা করি, এবার বোধহয় এ রকম ঘটনা ঘটবে না, ঈদের আনন্দ-আয়োজনে কেউ প্রিয়জনের কাছে লাশ হয়ে ফিরবে না, ততই যেন লাশের সংখ্যা বাড়তে থাকে।আমরা দেখতে থাকি, কীভাবে অনায়াসে আমাদের কারও কারও প্রিয় মানুষগুলি রাষ্ট্রের কাছে, সংবাদপত্রের কাছে লাশের পরিসংখ্যান হয়ে উঠে। সড়ক দুর্ঘটনার যোগবিয়োগের ফলাফল হয়ে উঠে। অপমৃত্যুর পরিসংখ্যান হয়ে উঠে।

বছর বছর পাল্লা দিয়ে এ পরিসংখ্যানের ঘর বড় হয়। যার যায়, যাদের যায়, যে বা যারা তাদের প্রিয়জন হারান, সড়ক দুর্ঘটনার নামে ক্রমবর্ধমান অস্বাভাবিক মৃত্যুর মিছিলে, তাঁদের স্মৃতি স্বাভাবিক নিয়মে হয়তো কিছুদিন অথবা অনেকদিন ব্যথা ভারাক্রান্ত থাকে। কারণ তাদের চোখের সামনে ব্যথা ভারাক্রান্ত হয়ে থাকা ছাড়া আর কোন প্রতিকার উন্মুক্ত থাকে না। আর আমরা স্বাভাবিক নিয়মে মন খারাপ করি, তারপর ভুলে যাই, খুব দ্রুততার সাথে। আর এভাবেই আমরা আমাদের যাপিত জীবনে সড়ক দুর্ঘটনার নামে প্রতিনিয়ত মানুষ খুনের ঘটনায় অভ্যস্ত হয়ে পড়ি।এ লেখাটি যখন লিখছি তখন একটি অনলাইন নিউজপোর্টালে তিনটি সড়ক দুর্ঘটনার তরতাজা খবর শিরোনাম হিসেবে চোখের সামনে ভাসছে।এ তিনটি ঘটনায় কমপক্ষে ১৬জন মানুষের মৃত্যুর সংবাদ রয়েছে। যেন বা জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের ম্যালথাসীয় ভূত দেশের পরিবহন ব্যবস্থার উপর ভর করেছে। সে ভুতের আছড়ে সড়ক দুর্ঘটনার মোড়কে পরিবহন ব্যবস্থা উৎসবমুখর মানুষগুলিকে একের পর এক খুন করে চলেছে। জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের মহান দায়িত্ব পালন করছে।

ইংরেজি দৈনিক ডেইলিস্টার ১৬ সেপ্টেম্বর সংখ্যায় গত পাঁচ বছরে তিন দিনব্যাপী কোরবানির ঈদের ছুটিতে সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর একটি পরিসংখ্যান ছেপেছে। এতে দেখা যায়, কোরবানির ঈদের তিনদিনের ছুটিতে ’সড়ক দুর্ঘটনায়’ মৃত মানুষের সংখ্যা ২০১২ সালে ৪০, ২০১৩ সালে ১০, ২০১৪ সালে ২৬, ২০১৫ সালে ৩০ এবং এ বছর ৩১জন। যেহেতু এসব মৃত্যুকে সড়ক দুর্ঘটনার মোড়কে পরিবেশন করার সুযোগ রয়েছে, এবং প্রতিনিয়ত সড়ক দুর্ঘটনা হিসেবেই পরিবেশিত হয়, সেহেতু জনমানুষের এসব মৃত্যু নিয়ে সবচেয়ে সুবিধাজনক অবস্থানে থাকে রাষ্ট্র-সরকার, মন্ত্রণালয়, সংশ্লিষ্ট সরকারি বিভাগ ও প্রতিষ্ঠানসমূহ।তারা অনায়াসে এসব মৃত্যুর দায় এড়াতে পারে। আসলে তাদের কোনো দায়-ই নিতে হয় না। দায়টা হয় পড়ে অভাগা যাত্রী-পথচারীদের উপর, না হয় চালকের উপর। কিন্তু চালকরা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই থাকেন ধরাছোঁয়ার বাইরে।

সড়ক ব্যবস্থার শাসন পরিস্থিতির সাথে এর কার্যকারণ সম্পর্কটি কেউ খতিয়ে দেখেন না। দেখবার রীতি ও সংস্কৃতিও চালু নেই।শাসন ব্যবস্থার কোন দুর্বলতার কারণে গাড়ির চালকরা এতো বেপরোয়া হতে পারে, রাস্তায় প্রতিদিন মানুষ খুন করে সে খুনের দায় এড়াতে পারে, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বিচারিক প্রক্রিয়াকে এড়িয়ে নিরাপদ থাকতে পারে, সড়ক ব্যবস্থাপনার সেদিকটি প্রায় সবসময় থাকে অনুচ্চারিত। করের টাকায় পরিচালিত রাষ্ট্রের এ প্রতিষ্ঠানগুলিকে, এসব প্রতিষ্ঠানের কর্তাব্যক্তিদের কোনো জবাবদিহি করতে হয় না। এ জবাবদিহিহীনতার রেওয়াজ যতদিন থাকবে সড়ক দুর্ঘটনার নামে মানুষ খুন চলতেই থাকবে। মৃত্যুর মিছিল বাড়তেই থাকবে। আজ-কাল-পরশু অথবা অন্যকোন একদিনে আপনি, আমি অথবা আমাদের প্রিয়জনরা প্রিয় মানুষ থেকে কেবল পরিসংখ্যান হয়ে উঠবে। স্বাভাবিক মৃত্যুর নিশ্চয়তা নয়; অস্বাভাবিক মৃত্যুর আশংকা নিয়েই কাটাতে হবে আমাদের সকাল, দুপুর, রাত্রি, আমাদের সারাবেলা।

তিন.
আমরা নিশ্চয়ই ভুলে যাইনি তারেক মাসুদের কথা। মিশুক মুনীরের কথা। সড়ক দুর্ঘটনার নামে আমাদের গণমাধ্যমের এ দু’জন প্রতিভাবানের খুনের ঘটনার বিচার এখনও হয়নি। তাঁদের পরিবারের সদস্যরা এখনও বিচার পাবেন- সে আশায় দিন গুনছেন। আমাদের নিশ্চয়ই মনে আছে, তারেক মাসুদ-মিশুক মুনীরের মৃত্যুর পর সড়ক-মহাসড়কে গাড়িচাপা দিয়ে খুনের বিরুদ্ধে সারাদেশে একটা জাগরণ তৈরি হয়েছিল। আমরা এও ভুলে যাইনি যে, সেসময় শ্রমিক অধিকারের নামে কারা পাল্টা কর্মসূচি দিয়েছিল।কীভাবে রাষ্ট্রীয় কর্তৃত্ব, রাজনৈতিক ক্ষমতা আর পেশীশক্তির সম্মিলন ঘটানো হয়েছিল শ্রমিক সংগঠনের নামে। এ একটি ঘটনা থেকে এটি স্পষ্ট যে, সড়ক দুর্ঘটনারও রাজনীতি আছে, রাজনৈতিক অর্থনীতি আছে। সে রাজনীতি, রাজনৈতিক অর্থনীতি আছে বলেই সড়ক-মহাসড়কে নির্বিচারে মানুষ খুন হচ্ছে গাড়ি চাপায়। কিন্তু তার কোনো প্রতিকার নেই। প্রতিরোধ নেই। প্রতিকার-প্রতিরোধের অর্থপূর্ণ উদ্যোগও নেই।

প্রসঙ্গত উল্লেখ করতে চাই। গত বছর আফ্রিকার দেশ মালাবিতে গিয়েছিলাম। খুবই গরিব একটি দেশ। এতটা গরিব যে, সরকারি অফিসগুলিতে বৈদ্যুতিক পাখা পর্যন্ত নেই। সেরকম একটি গরিব দেশে রাস্তায় গাড়ি চলাচলের শৃঙ্খলা দেখে, চালকদের গাড়ির গতি উঠা-নামানোয় পরিমিতিবোধ দেখে একজন চালকের কাছে জানতে চেয়েছিলাম, এর পেছনের মূলসূত্রটা কি। জবাবে তিনি বলেছিলেন, ওখানে যদি ট্রাফিক আইনলঙ্ঘনের কারণে পুলিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স নিয়ে যান, তবে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি চিরতরে ড্রাইভিং পেশার অধিকার হারান। আমরা যে হোটেলে ছিলাম, সেখানে এ রকম একজনকে পেয়েছিলাম, যিনি পেশায় গাড়ি চালক ছিলেন। ট্রাফিক আইনলঙ্ঘনের কারণে তিনি চিরতরে আইনগতভাবে গাড়ি চালাবার যোগ্যতা হারিয়েছেন। মালাবির মতো একটি গরিব দেশে, যে দেশটি উন্নয়নের প্রায় সকল সূচকে আমাদের থেকে পিছিয়ে, যদি আইন প্রয়োগের মাধ্যমে সড়ক ব্যবস্থাপনায় শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা সম্ভব হয়, তাহলে মধ্যম আয়ের স্বপ্ন দেখা বাংলাদেশে কেন সম্ভব হবে না।

তাই রাষ্ট্রের কাছে, রাষ্ট্রের সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলির কাছে সনির্বন্ধ অনুরোধ, অন্তত একটি ঘটনার বিচার হোক। সড়ক দুর্ঘটনার নামে একটি খুনের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক। খুব দ্রুততম সময়ে। অন্তত একটি উদাহরণ তৈরি হোক, যার মধ্যদিয়ে এ বার্তা ছড়িয়ে পড়বে যে, সড়ক দুর্ঘটনার নামে মানুষ খুন করে রেহাই পাওয়া যাবে না।

আমরা ইতোপূর্বে অনেক ঘটনায় দ্রুততম সময়ে বিশেষ ব্যবস্থায় বিচারপ্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে দেখেছি। যেটি নাগরিক হিসেবে আমাদের আশাবাদি করেছে। রাষ্ট্রের সক্ষমতার ব্যাপারে আমাদের আস্থা তৈরি করেছে। সেরকম একটি উদাহরণ সড়ক-মহাসড়কে প্রতিনিয়ত খুনের ঘটনার বিচারের ক্ষেত্রে তৈরি হোক। অবসান হোক সড়ক-মহাসড়কে চলমান নৈরাজ্য, অবসান হোক এ বিচারহীনতার সংস্কৃতি।আমাদের সড়ক-মহাসড়কগুলি হয়ে উঠুক পৃথিবীর সবচেয়ে নিরাপদ সড়ক-মহাসড়ক।

আর কোনো বাবা-মা যেন প্রিয় সন্তানদের সাথে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করবার যাত্রাপথে হারিয়ে না যায় সে নিশ্চয়তা রাষ্ট্রকেই করতে হবে। সড়ক ব্যবস্থাপনায় প্রতিষ্ঠিত হোক আইনের শাসন।

মুনীর উদ্দীন শামীম, গবেষক ও উন্নয়ন কর্মী; সুশাসন বিষয়ক একটি কারিগরি প্রকল্পে কর্মরত।

মুক্তমত বিভাগে প্রকাশিত লেখার বিষয়, মতামত, মন্তব্য লেখকের একান্ত নিজস্ব। sylhettoday24.com-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে যার মিল আছে এমন সিদ্ধান্তে আসার কোন যৌক্তিকতা সর্বক্ষেত্রে নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে sylhettoday24.com আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় গ্রহণ করে না।

আপনার মন্তব্য

লেখক তালিকা অঞ্জন আচার্য অধ্যাপক ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী ৪৮ অসীম চক্রবর্তী আজম খান ১১ আজমিনা আফরিন তোড়া ১০ আনোয়ারুল হক হেলাল আফসানা বেগম আবদুল গাফফার চৌধুরী আবু এম ইউসুফ আবু সাঈদ আহমেদ আব্দুল করিম কিম ৩২ আব্দুল্লাহ আল নোমান আব্দুল্লাহ হারুন জুয়েল ১০ আমিনা আইরিন আরশাদ খান আরিফ জেবতিক ১৭ আরিফ রহমান ১৬ আরিফুর রহমান আলমগীর নিষাদ আলমগীর শাহরিয়ার ৫৪ আশরাফ মাহমুদ আশিক শাওন ইনাম আহমদ চৌধুরী ইমতিয়াজ মাহমুদ ৭১ ইয়ামেন এম হক এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন একুশ তাপাদার এখলাসুর রহমান ৩৭ এনামুল হক এনাম ৪১ এমদাদুল হক তুহিন ১৯ এস এম নাদিম মাহমুদ ৩৩ ওমর ফারুক লুক্স কবির য়াহমদ ৬২ কাজল দাস ১০ কাজী মাহবুব হাসান কেশব কুমার অধিকারী খুরশীদ শাম্মী ১৭ গোঁসাই পাহ্‌লভী ১৪ চিররঞ্জন সরকার ৩৫ জফির সেতু জহিরুল হক বাপি ৪৪ জহিরুল হক মজুমদার জাকিয়া সুলতানা মুক্তা জান্নাতুল মাওয়া জাহিদ নেওয়াজ খান জুনাইদ আহমেদ পলক জুয়েল রাজ ১০২ ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন ১২ ড. কাবেরী গায়েন ২৩ ড. শাখাওয়াৎ নয়ন ড. শামীম আহমেদ ৪১ ডা. আতিকুজ্জামান ফিলিপ ২০ ডা. সাঈদ এনাম ডোরা প্রেন্টিস তপু সৌমেন তসলিমা নাসরিন তানবীরা তালুকদার তোফায়েল আহমেদ ৩০ দিব্যেন্দু দ্বীপ দেব দুলাল গুহ দেব প্রসাদ দেবু দেবজ্যোতি দেবু ২৭ নাজমুল হাসান ২৪ নিখিল নীল পাপলু বাঙ্গালী পুলক ঘটক প্রফেসর ড. মো. আতী উল্লাহ ফকির ইলিয়াস ২৪ ফজলুল বারী ৬২ ফড়িং ক্যামেলিয়া ফরিদ আহমেদ ৪২ ফারজানা কবীর খান স্নিগ্ধা বদরুল আলম বন্যা আহমেদ বিজন সরকার বিপ্লব কর্মকার ব্যারিস্টার জাকির হোসেন ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ ১৮ ভায়লেট হালদার মারজিয়া প্রভা মাসকাওয়াথ আহসান ১৯০ মাসুদ পারভেজ মাহমুদুল হক মুন্সী মিলন ফারাবী মুনীর উদ্দীন শামীম ১০ মুহম্মদ জাফর ইকবাল ১৫৩ মো. মাহমুদুর রহমান মো. সাখাওয়াত হোসেন মোছাদ্দিক উজ্জ্বল মোনাজ হক ১৪ রণেশ মৈত্র ১৮৩ রতন কুমার সমাদ্দার রহিম আব্দুর রহিম ৫৫ রাজু আহমেদ ১৫ রাজেশ পাল ২৮ রুমী আহমেদ রেজা ঘটক ৩৮ লীনা পারভীন শওগাত আলী সাগর শাওন মাহমুদ