আজ শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

Advertise

কারখানায় শ্রমিক মৃত্যু, নাকি হত্যা?

আব্দুল্লাহ আল নোমান  

বর্তমানে বাংলাদেশের কারখানাগুলোতে শ্রমিক ‘মৃত্যু’র ঘটনা নিত্য-নৈমিত্তিক হিসেবে দেখা দিয়েছে। এসব মৃত্যু অস্বাভাবিক, আর আশঙ্কার জায়গাটি সেখানেই। মালিকরা শ্রমিকদের শোষণ করে নিজেরা লভ্যাংশ পায়। বিনিময়ে শ্রমিকরা পায় নামমাত্র বেতন, যা দিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করে। কদাচিৎ শ্রমিক বিদ্রোহ হয় বটে, কিন্তু মালিকশ্রেণি ক্ষমতাবান বলে তা আর আলোর মুখ দেখে না। উৎপাদন সম্পর্ক ও শ্রেণি কাঠামোর মধ্যে সম্পর্ক ব্যাখ্যার মাধ্যমে তা স্পষ্ট হয়। শ্রমিকদের মৃত্যুর জন্য মালিকশ্রেণির উদাসীনতা, দুর্নীতি, উপযুক্ত কর্মপরিবেশ না থাকা প্রভৃতি বিষয় জড়িত।

বাংলাদেশের শ্রমিক মালিক সম্পর্কের যে রূপ তা ঔপনিবেশিক ক্রমধারা। বর্তমানে শ্রমিকদের শোষণের হাতিয়ার হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। এ ধারণা কার্ল মার্কসের ধারণার সঙ্গে মেলাতে পারি। তাঁর আলোচনার অন্যতম কেন্দ্রবিন্দু হলো ‘পুঁজিবাদি সমাজ’ ও ‘শ্রেণি শোষণ’। যদিও বাংলাদেশের শিল্প পুরোপুরি পুঁজিবাদের চরিত্র নিতে পারে নি, তথাপি শ্রেণিশোষণ চলছেই।

বাংলাদেশের শিল্পে অগ্নিকাণ্ড ও ভবনধসে শ্রমিক মৃত্যুর ঘটনা বেশি ঘটেছে। বিভিন্ন সংগঠনের তথ্য অনুযায়ী, দুর্ঘটনায় গত এক যুগে দেড় সহস্রাধিক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। ২০০৫ সালে ৯২ জন, ২০০৬ সালে ১১৮ জন, ২০১২ সালে ১১২ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

গত ২৪ এপ্রিল ২০১৩ তারিখে বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে মর্মান্তিক শিল্প দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ১১২৭ জনের নিহত ও দুই হাজারেরও বেশি মানুষ আহত হবার তথ্য পাওয়া গেছে যা বিশ্বের ইতিহাসে তৃতীয় বৃহত্তম শিল্প দুর্ঘটনা হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। তাছাড়া ২০১৩ এর ডিসেম্বরে হা-মীম গ্রুপের কারখানায়, নভেম্বরে স্ট্যান্ডার্ড গ্রুপের কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। সর্বশেষ টঙ্গীতে প্লাস্টিক কারখানায় বয়লার বিস্ফোরণে ৩৪ শ্রমিকের মৃত্যু হলো। এসব নির্দেশ করে যে, বাংলাদেশের অধিকাংশ শিল্প কারখানা শ্রমিকদের জন্য নিরাপদ নয়। ছকটির দিকে নজর দিলে তা আরো স্পষ্ট হয়ে ওঠবে। গত ১ যুগে শিল্পে বড় ধরনের শ্রমিক হতাহতের ঘটনা:

দুর্ঘটনা ও হত্যাকাণ্ডের মধ্যে পার্থক্য খুঁজতে গিয়ে শিক্ষাবিদ ও গবেষক ড. আবদুল মান্নান বলেছেন, ‘দূর্ঘটনা কোনো পূর্বাভাষ ছাড়া হঠাৎ ঘটে যাওয়া ঘটনা। রাস্তায় মানুষ গাড়িচাপা পড়লে অথবা ট্রেন লাইনচ্যুত হয়ে দূর্ঘটনা ঘটলে মানুষ হতাহত হতে পারে। এসব ঘটনা হঠাৎ করে ঘটে যায়। কিন্তু একজন মানুষকে একটি ভবনের ছাদে নিয়ে গিয়ে ধাক্কা দিয়ে নিচে ফেলে দিলে অথবা সবকিছু জেনেও মানুষকে বিপদের মুখে ঠেলে দিলে যদি তার প্রাণহানি হয় তাহলে তা কোনো অবস্থাতেই দূর্ঘটনা নয়, স্রেফ হত্যাকাণ্ড।’ (মান্নান, ২৬ এপ্রিল ২০১৩, বিডিনিউজ টুয়েন্টিফোর.কম)।

এবার বিভিন্ন শিল্প দুর্ঘটনার দিকে আলোকপাত করলেই বিষয়টা আমাদের নিকট স্পষ্ট হয়ে উঠবে। রানা প্লাজার ক্ষেত্রে দেখা যায়, দুর্ঘটনার বেশ ক’দিন আগে ভবনে ফাটল ধরা পড়ে। এ সম্পর্কে পত্রিকায় সংবাদও প্রকাশিত হয়। বাংলাদেশের বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে ভবন মালিক বলেন, ‘বিষয়টা তেমন গুরুত্বপূর্ণ নয়।’ পোশাক মালিকদের প্রতিনিধিরা মাইকিং করে, মোবাইল ফোনে, সব শ্রমিককে কারখানায় কাজ করতে আসতে বলে। শ্রমিকদের এও জানিয়ে দেওয়া হয় যে, কাজে না আসলে তাদের চাকরীচ্যুত করা হবে (মান্নান, ২৬ এপ্রিল ২০১৩, বিডিনিউজ টুয়েন্টিফোর.কম)।

তাজরিন ফ্যাশানসের ক্ষেত্রে দেখি, বিজিএমইএ এর ১১ সদস্যের তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে বলা হয়- একদিকে যেমন কারখানায় প্রশাসনিক ব্যবস্থা যথাযথ ছিল না, অপরদিকে প্রথম তলায় কর্মরত লোডার, গার্ড, বয়লার অপারেটর এবং কিছু মধ্যম সারির কর্মকর্তার সন্দেহজনক কর্মকাণ্ড ও গতিবিধি এবং শ্রমিকদের কারখানা থেকে বের হতে বাধা প্রদান উদ্দেশ্যমূলক একটি ঘটনার যথেষ্ট ইঙ্গিত বহন করে। তবে সার্বিক বিষয় পর্যালোচনায় কারখানার অভ্যন্তরের কিছু লোক ইমপ্লামেন্টেড (প্রোথিত) ছিল এবং এই অগ্নিকাণ্ডের পেছনে তাদের কোন খারাপ উদ্দেশ্য থাকতে পারে বলে তদন্ত প্রতিবেদনে প্রতীয়মান হয়েছে (ইত্তেফাক, ১ জানুয়ারি ২০১৩)।

স্পেকট্রাম ধসের ঘটনায় করা মামলার রুলের জবাবে বিজিএমইএ বলেছে, স্পেকট্রাম গার্মেন্টস ভবনের কোন অনুমতি ছিল না (সংবাদ টুয়েন্টিফোর.নেট, ২৪ এপ্রিল ২০১৩)।

টাম্পাকো ট্রাজেডির তদন্তে ৫ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি করা হয়েছে। কিন্তু গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর হতে এটুকু নিশ্চিতভাবে বলা যায়, যথোপযুক্ত কর্মপরিবেশ না থাকা এ দুর্ঘটনার অন্যতম মূল কারণ। অন্যান্য ঘটনাগুলো বিশ্লেষণ করলে প্রায় কাছাকাছি কারণগুলোই পাওয়া যায়। এসব বিষয়ই প্রমাণ করে যে, এসব ঘটনা নিছকই মৃত্যু নয়, পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড।

মালিকশ্রেণি নিজেদের ইচ্ছামতো শ্রমিকদের খাটাতে চায়। তাঁরা বিভিন্ন উপায়ে শ্রমিকদের কাজের অনুপযুক্ত পরিবেশে কাজ করতে বাধ্য করে। আর এই অনুপযুক্ত পরিবেশই বিভিন্ন দুর্ঘটনার সূত্রপাতের মূল হিসেবে কাজ করে। নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে অপরিকল্পিত ভবন নির্মাণের ফলে এসব ঘটনা অবশ্যম্ভাবী। এসব ক্ষেত্রে আমরা যদি বিভিন্ন ঘটনা বিশ্লেষণ করে দেখি, তবে শ্রমিক হতাহতের ঘটনার কারণগুলো আমাদের সামনে চলে আসে।

রানা প্লাজার ক্ষেত্রে যেসব কারণগুলো দেখা যায় তার মধ্যে  খুঁজে পাই তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- বিধ্বস্ত ভবন রানা প্লাজা নির্মাণের ক্ষেত্রে প্রচলিত নির্মাণ বিধি ও স্বীকৃত বিল্ডিং কোড অনুসরণ করা হয়নি। ডোবা ভরাট করে তদস্থলে প্রথমে ছয় তলা ও পরবর্তীতে ছয় তলার উপর আরও তিন তলা মোট নয় তলা নির্মাণ করে (পাশা, ২৯ এপ্রিল ২০১৩, ইত্তেফাক)।

তাজরিন ফ্যাশানসে দুর্ঘটনার কারণ হলো এ কারখানার ক্ষেত্রে দেখা যায়- নিচতলায় অপরিকল্পিত গোদামঘর ছিল এবং গোদামঘরের চারপাশে দেয়াল ছিল কিন্তু পর্যাপ্ত সিঁড়ি ছিল না। গোডাউনে মজুদ করা পদার্থে আগুন লাগায় বিষাক্ত ঘনকালো ধোঁয়ার সৃষ্টি হয়। পরে বিদ্যুতের সুইচ বন্ধ করে দেওয়ায় অন্ধকারে শ্রমিকরা হুড়োহুড়ি করে নামতে গিয়ে হতাহতের ঘটনা আরো বাড়ে। কারখানার কর্মকর্তারা ফায়ার অ্যালার্ম বাজার পরে শ্রমিকদের নিচে নেমে আসতে বাধা প্রদান করে (ইত্তেফাক, ১ জানুয়ারি ২০১৩)।
এছাড়া স্পেকট্রামসহ অন্যান্য যেসব কারখানায় শ্রমিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে সেসকল কারখানার অধিকাংশই ছিল ত্রুটিপূর্ণ। শ্রমিকদের ত্রুটিপূর্ণ স্থানে কাজ করতে বাধ্য করার জন্যই এসব দুর্ঘটনা ঘটছে।

আন্তর্জাতিক শ্রমিক সংস্থা (আইএলও) রানা প্লাজায় দুর্ঘটনা ঘটার পর উদ্বেগ প্রকাশ করে এক বিবৃতিতে বলেছিল, বাংলাদেশে শ্রমিকদের কর্মপরিবেশ নিরাপদ নয়। সংস্থাটি আরও বলেছিলো, বাংলাদেশের পোশাক শ্রমিকরা কম্বোডিয়া, ভিয়েতনাম, ভারত এবং পাকিস্তানে তাদের সহকর্মিদের তুলনায় অনেক কম আয় করে, বাংলাদেশে গত ৩০ বছরে মাত্র ৩ বার পোশাক শ্রমিকদের মজুরি পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয় (বিবিসি, ১৯ নভেম্বর ২০১৩)।

বাংলাদেশের শ্রম আইনেও শ্রমিকদের অধিকারের কথা বলা হয়েছে। বাংলাদেশের শ্রম আইনে কোন শ্রমিককে ৮ঘন্টার বেশি কাজ না করার বিধান রয়েছে। কোন মালিক অতিরিক্ত কাজ করাতে চাইলে তা বড়জোর দুই ঘণ্টা এবং এই দুই ঘণ্টার জন্য শ্রমিককে দ্বিগুণ পারিশ্রমিক দিতে মালিকপক্ষ বাধ্য থাকবে। কোন অবস্থাতেই মালিক জোর করে অতিরিক্ত কাজ করাতে পারবে না। কাজের সুষ্ঠু পরিবেশের কথাও এই আইনে বলা আছে (রনো, ৮ মে ২০১৩, বিডিনিউজ টুয়েন্টিফোর.কম)।

বহুদিন ধরে চলতে থাকা এই সমস্যা থেকে দ্রুতই কোন সমাধান করা হয়ত সম্ভব নয়। কিন্তু সবার সচেতনতা বাড়লে এই অবস্থা থেকে উত্তরণ সম্ভব। এর জন্য দরকার দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য নিম্নলিখিত ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে- প্রচলিত বিল্ডিং কোড ও ইমারত বিধিমালা মেনে দালান ডিজাইন ও নির্মাণ করতে হবে। বিল্ডিং কোড আইনে পরিণত করে কোড আমান্যকারীদের শাস্তির বিধান নিশ্চিত করতে হবে। শ্রম আইন নিশ্চিত করা, অগ্নি নির্বাপণ আইন বাস্তবায়ন করা, আইএলও বিধান অনুসরণ, অন্তত ২৫ শতাংশ পোশাককর্মীর ফায়ার সার্ভিসের প্রশিক্ষণ থাকা, শ্রমিক মালিক সম্পর্ক সহযোগীর ভূমিকায় থাকতে হবে। আবাসিক বা মার্কেট হিসেবে নির্মিত কোন দালান কারখানা বা গোডাউন হিসেবে ব্যবহার করা যাবে না। নতুন ও পুরাতন সকল ঝুঁকিপূর্ণ দালান চিহ্নিত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। আইনের দুর্বলতাগুলো দূর করে দায়ীদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।

বাংলাদেশের শিল্পে শ্রমিক হতাহতের ঘটনা এটা নির্দেশ করে যে, আজও শ্রমিকদের জন্য যথাযথ কর্মপরিবেশ গড়ে ওঠে নি। মালিকশ্রেণির উদাসীনতা, অধিক মুনাফা অর্জনের চিন্তা, রাষ্ট্রযন্ত্রে দুর্নীতি প্রভৃতি বিষয় এই শিল্পে যথাযথ কর্মপরিবেশ গড়ে ওঠার প্রধান অন্তরায়। সরকারের যুগোপযোগী পদক্ষেপ, মালিকশ্রেণির স্বদিচ্ছা, শ্রমিকশ্রেণির সচেতনতা, মালিকশ্রেণির অধিক মুনাফা লাভের চিন্তা বর্জন ও শ্রমিকদের যথাযথ কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করা, সর্বোপরি মালিক-শ্রমিক সম্পর্কোন্নয়নের মাধ্যমে শিল্পে শ্রমিক মৃত্যু বন্ধ করা সম্ভব।

আর যদি এসব দুর্ঘটনা রোধ করা না যায়, তবে বাংলাদেশের সমাজ ও অর্থনীতিতে চরম নেতিবাচক প্রভাব পড়বে তা অনায়াসেই বলা যায়।

আব্দুল্লাহ আল নোমান, শিক্ষার্থী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

মুক্তমত বিভাগে প্রকাশিত লেখার বিষয়, মতামত, মন্তব্য লেখকের একান্ত নিজস্ব। sylhettoday24.com-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে যার মিল আছে এমন সিদ্ধান্তে আসার কোন যৌক্তিকতা সর্বক্ষেত্রে নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে sylhettoday24.com আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় গ্রহণ করে না।

আপনার মন্তব্য

লেখক তালিকা অঞ্জন আচার্য অধ্যাপক ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী ৪৮ অসীম চক্রবর্তী আজম খান ১১ আজমিনা আফরিন তোড়া ১০ আনোয়ারুল হক হেলাল আফসানা বেগম আবদুল গাফফার চৌধুরী আবু এম ইউসুফ আবু সাঈদ আহমেদ আব্দুল করিম কিম ৩২ আব্দুল্লাহ আল নোমান আব্দুল্লাহ হারুন জুয়েল ১০ আমিনা আইরিন আরশাদ খান আরিফ জেবতিক ১৭ আরিফ রহমান ১৬ আরিফুর রহমান আলমগীর নিষাদ আলমগীর শাহরিয়ার ৫৪ আশরাফ মাহমুদ আশিক শাওন ইনাম আহমদ চৌধুরী ইমতিয়াজ মাহমুদ ৭১ ইয়ামেন এম হক এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন একুশ তাপাদার এখলাসুর রহমান ৩৭ এনামুল হক এনাম ৪১ এমদাদুল হক তুহিন ১৯ এস এম নাদিম মাহমুদ ৩৩ ওমর ফারুক লুক্স কবির য়াহমদ ৬৩ কাজল দাস ১০ কাজী মাহবুব হাসান কেশব কুমার অধিকারী খুরশীদ শাম্মী ১৭ গোঁসাই পাহ্‌লভী ১৪ চিররঞ্জন সরকার ৩৫ জফির সেতু জহিরুল হক বাপি ৪৪ জহিরুল হক মজুমদার জাকিয়া সুলতানা মুক্তা জান্নাতুল মাওয়া জাহিদ নেওয়াজ খান জুনাইদ আহমেদ পলক জুয়েল রাজ ১০২ ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন ১২ ড. কাবেরী গায়েন ২৩ ড. শাখাওয়াৎ নয়ন ড. শামীম আহমেদ ৪১ ডা. আতিকুজ্জামান ফিলিপ ২০ ডা. সাঈদ এনাম ডোরা প্রেন্টিস তপু সৌমেন তসলিমা নাসরিন তানবীরা তালুকদার তোফায়েল আহমেদ ৩১ দিব্যেন্দু দ্বীপ দেব দুলাল গুহ দেব প্রসাদ দেবু দেবজ্যোতি দেবু ২৭ নাজমুল হাসান ২৪ নিখিল নীল পাপলু বাঙ্গালী পুলক ঘটক প্রফেসর ড. মো. আতী উল্লাহ ফকির ইলিয়াস ২৪ ফজলুল বারী ৬২ ফড়িং ক্যামেলিয়া ফরিদ আহমেদ ৪২ ফারজানা কবীর খান স্নিগ্ধা বদরুল আলম বন্যা আহমেদ বিজন সরকার বিপ্লব কর্মকার ব্যারিস্টার জাকির হোসেন ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ ১৮ ভায়লেট হালদার মারজিয়া প্রভা মাসকাওয়াথ আহসান ১৯০ মাসুদ পারভেজ মাহমুদুল হক মুন্সী মিলন ফারাবী মুনীর উদ্দীন শামীম ১০ মুহম্মদ জাফর ইকবাল ১৫৩ মো. মাহমুদুর রহমান মো. সাখাওয়াত হোসেন মোছাদ্দিক উজ্জ্বল মোনাজ হক ১৪ রণেশ মৈত্র ১৮৩ রতন কুমার সমাদ্দার রহিম আব্দুর রহিম ৫৫ রাজু আহমেদ ১৬ রাজেশ পাল ২৮ রুমী আহমেদ রেজা ঘটক ৩৮ লীনা পারভীন শওগাত আলী সাগর শাওন মাহমুদ