আজ বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪

Advertise

রোহিঙ্গা ইস্যু: সঙ্কট ও সমাধান-২

এমদাদুল হক তুহিন  

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মায়ানমার সফরের মধ্য দিয়ে বিশ্ববাসী একটি বার্তা পেল। সেই বার্তাটি হচ্ছে, দক্ষিণ এশিয়ায় যে কোন মূল্যে ভারত তাদের আধিপত্য আরও বৃদ্ধি করতে চায়। পার্শ্ববর্তী কোন একটি দেশে মানবসভ্যতার সর্বোচ্চ বিপর্যয় ঘটলেও, পুড়িয়ে মানুষ হত্যা করা হলেও; ভারত তা মেনে নেবে। ভারতের কংগ্রেস নেতারা অবশ্য মোদির সফরের তীব্র সমালোচনা করছে। ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ভারতের মানবাধিকার কর্মীরাও। কারণ মোদি তার তিন দিনের এই সফরে রোহিঙ্গাদের নিয়ে টু-শব্দটিও উচ্চারণ করেন নি। বরং কথা বলেছেন ‘সন্ত্রাসবাদ ও চরমপন্থি হিংসা’ নিয়ে।

তথাকথিত শান্তির পতাকা উড়ানো নেত্রী অং সান সুচির পাশে দাঁড়িয়ে মোদি বলেছেন, ‘রাখাইন প্রদেশে জঙ্গি হিংসায় যেভাবে সেনাবাহিনী ও নিরপরাধ মানুষের প্রাণহানি হচ্ছে- তার সেই উদ্বেগের শরিক ভারতও। মিয়ানমারের একতা ও সার্বভৌমত্ব বিপন্ন করে, এমন যে কোনও কিছুর ভারত তীব্র বিরোধিতা করবে।’ অথচ সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহ বিশ্লেষণে সহজেই অনুমেয়, অত্যাচারের শুরুটা হয়েছে মায়ানমারের সেনাবাহিনীর হাত ধরেই। স্বাধীনতার কয়েকবছর পরেই সে দেশের সেনাবাহিনী নাগরিক অধিকার কেড়ে নিয়ে রোহিঙ্গাদের নিশ্চিহ্ন করার মিশনে নামে। পার্শ্ববর্তী দেশ হিসেবে মোদির এসব তথ্য অজানা নয়। তবে কূটনৈতিকভাবে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যে বক্তব্যটি দিয়েছেন এর আসল উদ্দেশ্য হচ্ছে, ভারত চায় মায়ানমারে চীনের আধিপত্য হ্রাস পাক। অবশ্য মোদির সফরের পূর্বেই ভারতের এই অবস্থান বিশ্ববাসীর কাছে পরিষ্কার হয়েছিলো। কারণ মোদির সফরের দিন যতো ঘনিয়ে আসছিলো বিজেপির নেতারা ততোই রোহিঙ্গা বিরোধী কথা বলছিলো। মানবসভ্যতার এই বিপর্যয়ের সময়ে রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে কোন কথা না বলে ভারত তার ‘স্ট্রাটেজিক ও বাণিজ্যিক’ স্বার্থকে প্রাধান্য দিয়ে রাষ্ট্র হিসেবে তাদের ‘নীচুতা’ প্রকাশ করেছে; যা ভারতের ইতিহাস ও ঐতিহ্যের সঙ্গেও সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।  

রোহিঙ্গা ইস্যুতে চীনের অবস্থান অনেকটাই পরিষ্কার। মায়ানমার ও চীনের মিত্রতা বহুদিনের। দক্ষিণ এশিয়ায় প্রভাব বিস্তারের ক্ষেত্রে চীনের লক্ষ্য আরও গভীর। দেশটিও এই অঞ্চলে ক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজ করছে। এছাড়া মায়ানমারের সেনাবাহিনীকে প্রশিক্ষণ ও অস্ত্র দিয়ে সহায়তা করছে চীন। কয়েকটি খবর থেকে জানা গেছে, রোহিঙ্গা ইস্যুর সাম্প্রতিক ঘটনায় মায়ানমারের উপর যাতে কোন আন্তর্জাতিক বিধিনিষেধ আরোপ না হয় সেলক্ষ্যে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে চীন ও পাকিস্তানের ভেটো দেয়ার কথা রয়েছে। পাকিস্তান নামক রাষ্ট্রটি এক সময় রোহিঙ্গাদের পক্ষে অবস্থান নিলেও বর্তমানে তারা মায়ানমারে অস্ত্র সরবরাহ করছে। কোন কোন ক্ষেত্রে মায়ানমারের সেনাবাহিনীকে প্রশিক্ষণও দিচ্ছে। অর্থাৎ রোহিঙ্গা ইস্যুতে চীন, মায়ানমার ও পাকিস্তান সমগোত্রীয়। আর পুরোনো সেই গোত্রে নতুন করে যোগ দিয়েছে ভারতও। তথ্য পর্যালোচনায় বলা যায়, প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে এশিয়ার বড় তিনটি দেশই এখন রোহিঙ্গা নিধনের পক্ষে। মায়ানমারে সন্ত্রাসবাদ নিধনের নামে যা হচ্ছে, এর বিরুদ্ধে কেউ কথা বলবে না। ফলে নতুন করে সৃষ্ট এই সঙ্কট বহুকালের মতো দীর্ঘই হবে।

এদিকে, রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশ সর্বোচ্চ সহানুভূতি ও মানবিকতা দেখিয়ে যাচ্ছে। রোহিঙ্গারা সীমান্তের কোন এক স্থানে পুশব্যাক হলেও অন্যস্থান দিয়ে ঠিকই পুশইন হচ্ছে। বলা চলে, সীমান্ত প্রায় উন্মুক্তই। সাম্প্রতিক ঘটনায়, নতুন করে প্রায় তিন লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। আর বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়ায় আন্তর্জাতিকভাবে এই ভূমিকার প্রশংসা করা হচ্ছে। তবে কয়েক দশক ধরে বাংলাদেশে বসবাস করে আসা ৫ লাখ রোহিঙ্গার সঙ্গে নতুন করে ৩ লাখ রোহিঙ্গার বোঝা বইতে হবে।

জনসংখ্যার বাড়তি এই চাপ অদূর ভবিষ্যতে দেশের জন্য হুমকি বয়ে আনতে পারে। অপরদিকে, মায়ানমারে রোহিঙ্গাদের সন্ত্রাসী বা জঙ্গি আখ্যা দিয়ে হত্যা করা হচ্ছে। যদি এরা জঙ্গি বা সন্ত্রাসী হয়ে থাকে তাতেও বাংলাদেশের যেমন সমস্যা, আবার জঙ্গি সন্ত্রাসী না হলেও একই সমস্যা। অর্থাৎ রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশ উভয় সংকটে। অসমর্থিত সূত্রে জানা গেছে, কক্সবাজার ছেড়ে রোহিঙ্গারা চট্টগ্রামের দিকে আসছে। ফলে সীমান্তে যে মানুষের স্রোত দেখা গিয়েছিলো তা এখন বাংলাদেশের অভ্যন্তরে। বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশ ও বহির্বিশ্বকে ভাবতে হবে।

রোহিঙ্গা ইস্যুতে তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী এরদোয়ান অং সান সুচির সঙ্গে কথা বলেছেন। সুচিকে তিনি মুসলিম বিশ্বের উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন। আর তুরস্কের ফার্স্ট লেডি এমিন এরদোয়ান ও সে দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশ সফর করেছেন। রোহিঙ্গা ইস্যুতে তারা বাংলাদেশের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন। হয়তো ১০ লাখ টন খাদ্য সাহায্যও পাওয়া যাবে। কিন্তু দিন কয়েক পরে রোহিঙ্গাদের জন্য দেয়া প্রতিশ্রুতি ঠিকই ভুলে যাবে তুরস্ক। ধর্মীয় রাজনীতির ঘৃণ্য এ খেলাটি ঐতিহাসিকভাবেও সত্য। অতীতের একাধিক ইতিহাস তাই বলে। মুসলিম বিশ্বের নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য তুরস্কের যে খায়েশ, সে খায়েশ পূরণেই তুরস্কের ফার্স্ট লেডি বাংলাদেশ সফর করে গেলেন। কিন্তু চাপ প্রয়োগের জন্য তুরস্কের কোন প্রতিনিধিকে মায়ানমারে পাঠানো হয়নি। কেবল ফোনালাপেই তারা দায়িত্ব সেরেছেন!

ইন্দোনেশিয়ার অবস্থানও একই। তবে মালদ্বীপ এক ধাপ এগিয়ে আছে। দেশটি মায়ানমারের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিন্ন করেছে। তবে তুরস্ক ও ইন্দোনেশিয়া এমন কোন প্রতিশ্রুতি দেয়নি। আর রাষ্ট্র হিসেবে তুরস্ক বাংলাদেশ বিরোধী। এরদোয়ান জামাতের প্রধান মিত্র ও বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার কট্টর বিরোধী। ফলে দীর্ঘদিন ধরেই এ অঞ্চলে তুরস্কের প্রভাব কমে আসে। কিন্তু রোহিঙ্গা ইস্যুতে সে দেশের ফার্স্ট লেডি বাংলাদেশ সফরের সাহস দেখালো!

আজ মায়ানমারে যা হচ্ছে, রোহিঙ্গাদের সঙ্গে যা ঘটছে; একই রকম অপরাধ থেকে মুক্ত নয় তুরস্কও। রাষ্ট্র হিসেবে তুরস্ক গত শতকে বিশ্বে সর্বপ্রথম গণহত্যা চালায়। ১৯১৯ থেকে ১৯২১ সাল পর্যন্ত তুরস্ক প্রায় ১৫ লাখ আর্মেনীয়কে হত্যা করে। আর্মেনিয়ার মানুষ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে ১০০ বছর ধরে এই গণহত্যার বিচার দাবি করে আসছে। তবে তুরস্ক বরাবরই এই অপরাধ প্রত্যাখ্যান করেছে। রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান প্রথমবারের মতো এ ঘটনায় দু:খপ্রকাশ করলেও আর্মেনিয়া এটি নাকচ করে দিয়েছে। তারা এই গণহত্যার বিচার চায়। বিশ্লেষকদের অনেকে বলে থাকেন, আর্মেনিয়া গণহত্যার কলঙ্কজনক অধ্যায়টি মুছে ফেলতেই বর্তমান বিশ্বের যেখানে গণহত্যা সংঘটিত হয় সেখানেই ছুটে যায় তুরস্ক। ইতিবাচক হলেও গণহত্যার দায় কিন্তু এড়ানো যায় না। তাই বলতে চাই, রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে তুরস্কের ভূমিকায় যারা লম্ফঝম্ফ করছেন, তারা ভুল করছেন।

রোহিঙ্গা সঙ্কট সমাধানে আন্তর্জাতিকভাবে নানা প্রস্তাব রয়েছে। স্বল্পমেয়াদী প্রস্তাবের মধ্যে প্রথমেই রোহিঙ্গা নিধন বন্ধ করার কথা বলা হচ্ছে। তবে মায়ানমার সরকার এটি মানছে না। বরং সে দেশে নির্যাতন বাড়ছে। আর বাধ্য হয়ে রোহিঙ্গারাও দেশ ছাড়ছে।

সঙ্কট সমাধানে আন্তর্জাতিকভাবে কফি আনান কমিশনের কথাই বলা হয়ে থাকে। তবে এই কমিটির চূড়ান্ত প্রতিবেদন এখনও পেশ করা হয়নি। খুব সম্ভবত সম্প্রতি এটি পেশ করার কথা ছিলো। আর এই কমিটিতেও মায়ানমারের প্রতিনিধিদের আধিক্য রয়েছে। কট্টরপন্থীদের মতে, এই কমিটির প্রতিবেদন বা পদক্ষেপেও তেমন কোন সুফল বয়ে আসবে না। তবে বাংলাদেশসহ বহির্বিশ্ব থেকে কফি আনান কমিটির সুপারিশসমূহই বাস্তবায়নের কথা বলা হচ্ছে। কিন্তু এটিও বাস্তবায়ন হচ্ছে না। সুপারিশসমূহের মধ্যে প্রধান প্রস্তাবটি হচ্ছে- রোহিঙ্গাদের মায়ানমারের পূর্ণাঙ্গ নাগরিকত্ব প্রদান। তবে দীর্ঘদিনেও এ প্রস্তাব বাস্তবায়ন হয়নি। সাম্প্রতিক সময়ে নতুন করে সঙ্কট শুরু হলে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে মায়ানমারের অভ্যন্তরে সেফ জোন গঠনের প্রস্তাব দেয়া হয়েছে।

এছাড়াও মায়ানমারে সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধে বাংলাদেশ যৌথ অভিযানের প্রস্তাব দিয়েছে। তবে এ দুটি প্রস্তাবে মায়ানমারের পক্ষ থেকে এখনও কোন সায় পাওয়া যায়নি। এদিকে দেশে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গাদের বায়োমেট্রিক নিবন্ধনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। দেশের অভ্যন্তরে এই উদ্যোগ প্রশংসনীয়। এতে সাধারণ রোহিঙ্গারা জঙ্গিবাদ থেকে দূরে থাকতে বাধ্য হবে। জঙ্গিরাও আন্তর্জাতিক কানেকশন গড়ে তুলতে চাইলে তা শনাক্ত করা সম্ভব হবে।

মায়ানমারে চলতে থাকা ‘রোহিঙ্গা গণহত্যা’য় বিশ্বে নিন্দার ঝড় বয়ে যাচ্ছে ঠিকই, তবে এখন পর্যন্ত একমাত্র মালদ্বীপই মায়ানমারের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছে। আর সৌদি আরবসহ মুসলিম বিশ্বের বড় নেতারা এখনও রয়েছেন শীতনিদ্রায়। আমেরিকাসহ বিশ্ব মোড়লদের অবস্থাও একই।

যতক্ষণ পর্যন্ত বিশ্ব নেতৃত্বের এই শীতনিদ্রা না ভাঙবে, চোখের সামনের পর্দা সরে না যাবে; ততোক্ষণ পর্যন্ত রোহিঙ্গা সঙ্কটের সত্যিকার কোন সমাধান নেই!

এমদাদুল হক তুহিন, ব্লগার, কবি ও সংবাদকর্মী। ইমেইল: [email protected]

মুক্তমত বিভাগে প্রকাশিত লেখার বিষয়, মতামত, মন্তব্য লেখকের একান্ত নিজস্ব। sylhettoday24.com-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে যার মিল আছে এমন সিদ্ধান্তে আসার কোন যৌক্তিকতা সর্বক্ষেত্রে নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে sylhettoday24.com আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় গ্রহণ করে না।

আপনার মন্তব্য

লেখক তালিকা অঞ্জন আচার্য অধ্যাপক ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী ৪৮ অসীম চক্রবর্তী আজম খান ১১ আজমিনা আফরিন তোড়া ১০ আনোয়ারুল হক হেলাল আফসানা বেগম আবদুল গাফফার চৌধুরী আবু এম ইউসুফ আবু সাঈদ আহমেদ আব্দুল করিম কিম ৩২ আব্দুল্লাহ আল নোমান আব্দুল্লাহ হারুন জুয়েল ১০ আমিনা আইরিন আরশাদ খান আরিফ জেবতিক ১৭ আরিফ রহমান ১৬ আরিফুর রহমান আলমগীর নিষাদ আলমগীর শাহরিয়ার ৫৪ আশরাফ মাহমুদ আশিক শাওন ইনাম আহমদ চৌধুরী ইমতিয়াজ মাহমুদ ৭১ ইয়ামেন এম হক এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন একুশ তাপাদার এখলাসুর রহমান ৩৭ এনামুল হক এনাম ৪২ এমদাদুল হক তুহিন ১৯ এস এম নাদিম মাহমুদ ৩৩ ওমর ফারুক লুক্স কবির য়াহমদ ৬৩ কাজল দাস ১০ কাজী মাহবুব হাসান কেশব কুমার অধিকারী খুরশীদ শাম্মী ১৭ গোঁসাই পাহ্‌লভী ১৪ চিররঞ্জন সরকার ৩৫ জফির সেতু জহিরুল হক বাপি ৪৪ জহিরুল হক মজুমদার জাকিয়া সুলতানা মুক্তা জান্নাতুল মাওয়া জাহিদ নেওয়াজ খান জুনাইদ আহমেদ পলক জুয়েল রাজ ১০২ ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন ১২ ড. কাবেরী গায়েন ২৩ ড. শাখাওয়াৎ নয়ন ড. শামীম আহমেদ ৪১ ডা. আতিকুজ্জামান ফিলিপ ২০ ডা. সাঈদ এনাম ডোরা প্রেন্টিস তপু সৌমেন তসলিমা নাসরিন তানবীরা তালুকদার তোফায়েল আহমেদ ৩১ দিব্যেন্দু দ্বীপ দেব দুলাল গুহ দেব প্রসাদ দেবু দেবজ্যোতি দেবু ২৭ নাজমুল হাসান ২৪ নিখিল নীল পাপলু বাঙ্গালী পুলক ঘটক প্রফেসর ড. মো. আতী উল্লাহ ফকির ইলিয়াস ২৪ ফজলুল বারী ৬২ ফড়িং ক্যামেলিয়া ফরিদ আহমেদ ৪২ ফারজানা কবীর খান স্নিগ্ধা বদরুল আলম বন্যা আহমেদ বিজন সরকার বিপ্লব কর্মকার ব্যারিস্টার জাকির হোসেন ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ ১৮ ভায়লেট হালদার মারজিয়া প্রভা মাসকাওয়াথ আহসান ১৯০ মাসুদ পারভেজ মাহমুদুল হক মুন্সী মিলন ফারাবী মুনীর উদ্দীন শামীম ১০ মুহম্মদ জাফর ইকবাল ১৫৩ মো. মাহমুদুর রহমান মো. সাখাওয়াত হোসেন মোছাদ্দিক উজ্জ্বল মোনাজ হক ১৪ রণেশ মৈত্র ১৮৩ রতন কুমার সমাদ্দার রহিম আব্দুর রহিম ৫৫ রাজু আহমেদ ১৬ রাজেশ পাল ২৮ রুমী আহমেদ রেজা ঘটক ৩৮ লীনা পারভীন শওগাত আলী সাগর শাওন মাহমুদ