আজ বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪

Advertise

অস্ট্রেলিয়ার মন্ত্রীসভায় পরিবর্তন ও বাংলাদেশ

রণেশ মৈত্র  

গত ২৮ আগস্ট অস্ট্রেলিয়ার ফেডারেল মন্ত্রীসভার একটি বড় ধরণের রদবদল হয়ে গেল। টেলিভিশনে দেখলাম দীর্ঘ সময় ধরে এখানকার শাসকদল লিবারেল পার্টির নেতা ম্যালকম টার্মবুল দলীয় সংসদ সদস্যদের আস্থা হারিয়ে ফেলায় তাঁর প্রধানমন্ত্রীত্বের অবসান ঘটে। সর্বাধিক ভোট পেয়ে নতুন নেতা হিসাবে নির্বাচিত হন স্কট মরিসন। তিনিই শপথ নিলেন নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে এক বছরেরও অনেক কম সময়ের জন্য। কারণ ফেডারেল পার্লামেন্টের মেয়াদ ফুরিয়ে এসেছে। সম্ভবত আগস্ট ২০১৯ সালের প্রথম কয়েক মাসের মধ্যেই নতুন নির্বাচন করতে হবে।

স্কট মরিসন ও লিবারেল পার্টির অন্যতম নেতা-অধিকতর দক্ষিণপন্থী মনোভাব সম্পন্ন বলে পরিচিত। সংবাদ মাধ্যমের ভাষায় লিবারেল পার্টির অভ্যন্তরে যেন একটা শক্তিশালী সাইক্লোন বয়ে গেল-ঘটালো ব্যাপক পরিবর্তন। তবে নিতান্ত আকস্মিকভাবে এটা ঘটলো তা নয়। দীর্ঘদিন ধরেই দলটির অভ্যন্তরে টার্নবুলের বিরুদ্ধে কট্টর সমালোচনা এবং নতুন নেতৃত্ব প্রয়োজন এমন কথাবার্তা, পক্ষে বিপক্ষে নানাবিধ কথা লিবারেল পার্টির অভ্যন্তরে চলে আসছিল। জনগণের মধ্যেও লিবারেল পার্টির জনপ্রিয়তা কমে আসছিল মর্মে জনমত জরিপ প্রতিষ্ঠানগুলি জানাচ্ছিল।

জনমত জরিপের এই ফলাফল নতুন করে শক্তি যোগায় ম্যালকম টার্নবুলের বিরোধী অংশের মধ্যে। টার্নবুল লিবারেল পার্টির নেতৃত্বের অবস্থায়ে থাকলেও পরিস্থিতি ভেতরে ভেতরে তাঁর আস্থার বাইরে চলে যায়। কট্টর দক্ষিণপন্থী অংশ সুযোগটির সদ্ব্যবহার করতে মাঠে নেমে পড়ে। লিবারেল দলের পার্লামেন্টারি পার্টির অভ্যন্তরে স্বাক্ষর সংগ্রহ অভিযান চলতে থাকে টার্নবুলের বিরুদ্ধে সৃষ্টি হয় নেতৃত্বের গভীর সংকট। অধিকাংশ সদস্যই তাঁর নেতৃত্বের বিরুদ্ধে স্বাক্ষর দেন। ফলে টার্নুবল প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে সরে দাঁড়াতে বাধ্য হন।

এবারে তিনজন প্রার্থী দাঁড়িয়ে যান লিবারেল পার্টির নেতৃত্বের পদের জন্য। স্কট মরিসন সর্বাধিক ভোটে নেতা নির্বাচিত হন এবং এর দু’ঘণ্টার মধ্যেই তিনি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন।

লিবারেল পার্টি অস্ট্রেলিয়ার দুটি বৃহৎ দলের অন্যতম। মৌলিকভাবে দলটি দক্ষিণপন্থী-মার্কিন সরকারের দাসেরও। তবে টার্নবুলের পরিচিত ছিল মধ্যপন্থী নেতা হিসাবে। নতুন নেতৃত্বে যাঁরা এলেন তাঁরা কট্টর দক্ষিণপন্থী বলে অভিহিত। বিশেষ করে অভিবাসন নীতি কঠোরতর করা, দরিদ্রদের ট্যাক্স বৃদ্ধিসহ ধণিকতোষণের নীতির কারণে জনগণের মধ্যে তাদের জনপ্রিয়তা হ্রাস পেয়ে আসছিল। যে সব নীতি গণ-বিরোধী বলে অভিহিত সেগুলির উৎসাহী সমর্থক মরিসন ও অন্যান্য টার্নবুল বিরোধী নেতৃবৃন্দ। ফলে দলটি আগামী নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে ক্ষমতায় ফিরে আসতে পারবে কিনা তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহের অবকাশ আছে।

ফলে অপর বৃহৎ দল অস্ট্রেলিয়ান লেবার পার্টি ঐ নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বে আসতে পারে বলেও এখানকার রাজনৈতিক বিশ্লেষকমহল ধারণা করছেন। লিবারেল পার্টির নেতৃত্বের এই কোন্দল ও জনগণের মধ্যে দলটির ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।

ক্ষমতাসীন লিবারেল পার্টির উগ্রদক্ষিণপন্থী নেতা পিয়ার ডাটন নিজে প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন ধারণা করে প্রধানমন্ত্রী টার্নবুলের প্রতি অনাস্থা জানিয়ে দলীয় সংসদ সদস্যদের স্বাক্ষর সংগ্রহে উদ্যোগী ভূমিকা পালন করেন এবং অনাস্থা জানাতে প্রয়োজনীয় সংখ্যক স্বাক্ষর সংগ্রহে সফলও হয়েছিলেন। কিন্তু অনাস্থা প্রমাণিত হওয়ার পর টার্নবুলের নেতৃত্বের অবসান ঘটলো ঠিকই কিন্তু নতুন নেতা নির্বাচনের সময় দেখা গেল লিবারেল পার্টির সদস্যরা তাঁদের অধিকাংশ ভোটে নেতা নির্বাচন করলে স্কট মরিসনকে। ৪৫-৪০ ভোটে মরিসন নির্বাচিত হলেন এবং ডাটন পরাজিত হলেন।

শেষ কথা হলো আপাতত দলের অভ্যন্তরীণ বা নেতৃত্বের কোন্দলের অবসান ঘটলেও লিবারেল পার্টি কতদিন ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারবে তা অনিশ্চিত। সেটা নেতৃত্বের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের ফলেই।

অনেকে ধারণা করেছিলেন, ম্যালকম টার্নবুল প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর পর অস্ট্রেলিয়া সম্ভবত একজন মহিলা প্রধানমন্ত্রী হবেন। জুলি বিশপ নামই ঐ মহিলা এম.পি দীর্ঘদিন লিবারেল পার্টিতে সক্রিয় এবং তিনিও দলের নেতৃত্ব গ্রহণের প্রতিযোগিতায় ছিলেন। কিন্তু তিন সাংসদদের সমর্থন পেতে ব্যর্থ হন ফলে যাঁরা তাঁকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পাওয়ার সম্ভাবনা দেখছিলেন তাঁরা হতাশ হয়েছেন।

ক্ষমতায় নতুন মন্ত্রীসভা কতদিন থাকতে পারবে তা নিয়ে যে অনিশ্চয়তার কথা বললাম তার কারণ হলো প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়ানোয় সাংবাদিক সাক্ষাতকারে ম্যালকম টার্নবুল বলেছিলেন-তিনি সংসদ সদস্যের পদ থেকেও পদত্যাগ করবেন কারণ, তিনি মনে করেন, একজন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর সংসদে ব্যাক-বেঞ্চার হয়ে থাকা অসঙ্গত। যদি তিনি আসলেই তা করেন-তাতে লিবারেল পার্টি সংসদে সংখ্যাধিক্য হারিয়ে বিরোধী বৃহত্তম দল লেবার পার্টির সমান সমানে পরিণত হবে। আবার জুলি শিপও পদত্যাগ করতে পারেন বলে অনেকের অভিমত। যদি তা নাও হয়, টার্নবুল একা পদত্যাগ করলে সংখ্যাধিক্য থাকবে না এবং তেমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে হয় টার্নবুলের আসনে অন্য কাউকে লিবারেল পার্টি থেকে মনোনয়ন দিয়ে উপনির্বাচনে জিতিয়ে আনতে হবে। সে কাজটিও দুরূহ এবং অনিশ্চিত হবে। সে কাজটিও দুরূহ এবং অনিশ্চিত কারণ উপনির্বাচনে এবার হয়তো লেবার পার্টি বিজয়ী হতে পারে এবং লেবার পার্টি নিশ্চিতভাবেই ক্ষমতায় এসে যাবে। তাই সে পথে না হেঁটে, ঝুঁকিপূর্ণ পথে না গিয়ে মরিসন হয়তো সংসদ ভেঙে দিয়ে নতুন নির্বাচন দিতে পারেন। সে ক্ষেত্রেও, জনমত জরিপ যদি সত্য ধারণা দিতে সক্ষম হয়, তবে নির্ঘাত লেবার পার্টি বিস্তর সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় পুনরাধিষ্ঠিত হতে সক্ষম হবে। লিবারেল পার্টির জনপ্রিয়তার আগেই বলেছি, তাদের ধণিকতোষণনীতি এবং নেতৃত্বের কোন্দলের কারণে, ব্যাপক ধস নেমেছে।

মরিসন বিষয়টা উপলব্ধি করে দলীয় ঐক্য পুন:প্রতিষ্ঠার প্রতি বিশেষ নজর দিয়েছেন এবং দেশে জনপ্রিয়তা পুনরুদ্ধারের জন্য ব্যাপক খরাপীড়িত এলাকার (কৃষিকাজের জন্য বিশেষ উপযুক্ত দু’তিনটি রাজ্যে ভয়াবহ খরা চলছে দীর্ঘদিন যাবত) কৃষক ও ভুক্তভোগীদের সমস্যা সমাধানকেই অগ্রাধিকার কর্মসূচি হিসেবে ঘোষণা করেছেন।

ইতিমধ্যে মরিসন তাঁর নতুন মন্ত্রীসভা গঠনের কজাও নতুন এবং পুরাতন মুখ দিয়ে সম্পন্ন করে ফেলেছেন-তবে তার দ্বারা নেতৃত্বের কোন্দল প্রশমিত করতে পেরেছেন কিনা তা এখনও জানা যাচ্ছে না।

১৯৭৫ সাল থেকে অস্ট্রেলিয়ায় এ যাবত প্রধানমন্ত্রী বদলের ইতিহাস ঘাঁটলে দেখা যায়-১৯৭৪ এ ফ্রেজার; অত:পর হক, কীটিং, জন হাওয়ার্ড, কেভিন রাদ্র, জুলি গিলার্ড, জুনরায় কেভিন, কেভিন রাড, অত:পর টার্ন এবোট, টার্নবুল এবং এখন মরিসন ক্ষমতাসীন হলেন। এই তালিকায় দেকা যায় লিবারেল এবং লেবার- উভয় দলই ঘুরে ফিরে ক্ষমতায় এসেছেন তবে কোন দলই একনাগাড়ে দুই বারের বেশী নির্বাচিত হয়ে আসতে পারেনি। এদেশে পার্লামেন্টের মেয়াদ তিন বছর। তাই ২০১৯ সালে পরবর্তী নির্বাচন- যদি মরিসন মন্ত্রীসভা তাদের মেয়াদটুকু চালিয়ে যেতে পারেন।

অস্ট্রেলিয়ার এই সরকার পরিবর্তন যেভাবে ঘটলো এবং অতীতেও ঘটেছে অনুরূপ বাধ্যতামূলক রদবদল অবশ্য বাংলাদেশে দীর্ঘকাল যাবত ঘটতে দেখা যায় না। তাই সরাসরি কোন তুলনা সে ব্যাপারে করা যাবে না।

কিন্তু যে বিষয়টি অন্তত প্রবাসী বাংলাদেশিদের দৃষ্টি এড়ায়নি- তা হলো ক্ষমতাসীন দলের এই পরিবর্তন নিয়ে কি সরকারি দলের নেতারা- কি বিরোধী দলের নেতারা কদাপি পরস্পর সম্পর্কে ন্যুনতম অশালীন কথাও বলেন নি।

টার্নবুলের বিরুদ্ধে যখন থেকে স্বাক্ষর সংগ্রহ অভিযান শুরু হলো-প্রধানমন্ত্রী টার্নবুল তাকে আদৌ কোন “রাষ্ট্রদ্রোহীদের ষড়যন্ত্র” “গণতন্ত্র বিপন্ন করার অপচেষ্টা” ইত্যাদি আমাদের পরিচিত অভিধায় অভিহিত করেন নি। বরং তিনি নিঃশব্দে ঐ অনাস্থাকে মাথা পেতে নিয়ে নতুনের আসর পথ সুগম করেছেন এবং পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী মনিসনকে স্বাগত জানিয়েছেন।

আবার বৃহৎ এই দেশটির কোন অঞ্চলেই লিবারেল পার্টির টার্নবুল সমর্থকেরা বিক্ষোভ মিছিল বের করে স্লোগান তুলেনি- “ষড়যন্ত্রকারীরা হুঁশিয়ার-টার্নবুল এগিয়ে চল-আমরা আছি তোমার সাথে।” অথবা তাঁর বিরোধী কর্মীরাও কোথাও কোন মিছিল সমাবেশের আয়োজন করে, মরিসন, ডাটন বা জুলি বিশপকে সমর্থন জানিয়ে টার্নবুলের সমালোচনামূলক কোন স্লোগান দেয়নি।

আবার লেবর পার্টি বিশাল একটি দল যারা অবশ্যই লিবারেল পার্টির নেতৃত্বের কোন্দল এবং তাদের জনপ্রিয়তা সংক্রান্ত জনমত জরিপের ফলাফল দেখে উচ্ছসিত হয়ে “লিবারেল পার্টি ক্ষমতা ছাড়, গো ব্যাক” জাতীয় কোন স্লোগান দিয়ে এই মুহূর্তে ক্ষমতায় যেতে অতি উৎসাহী কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করে নি বরং বিরোধীদলীয় নেতা, লেবর পার্টির নেতা বিল শর্টেন অত্যন্ত সংযত ভাষায় বলেছেন, “লেবার পার্টি এখন মরিসনের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে সারাদেশে ব্যাপক প্রস্তুতি অভিযান চালাবে অর্থাৎ আগামী নির্বাচনে তারা লিবারেল পার্টিকে পরাজিত করার জন্য ব্যাপক প্রস্তুতি নিবে।

বিরোধীদল মাঠে আদৌ নামে নি- নামার প্রস্তুতিও নেয়নি বা তেমন কোন পদক্ষেপ নেওয়ার কথা ভাবেও নি যে তারা হুংকার ছেড়ে বলবে, “মরিসন গদি ছাড়, লিবারেল পার্টি আস্থা হারিয়েছে” “এক কথা একদাবী, গদি কবে ছেড়ে দিবি”- না এমন কোন অবমাননাকর ভাষায় কোন স্লোগান লেবর পার্টি ক্ষমতাসীন লিবারেল পার্টি বা তার নেতৃত্বাধীন সরকারের বিরুদ্ধে তুলে মাঠে নামছে না। কোথাও কেই ঐ ধরণের দাবীতে “জ্বালাও জোড়াও জাতীয় ভাষা মুখেও আনছে না- হরতালও ডাকছে না, গাড়ি-ঘোড়ায় আগুন দিয়ে চালক বা যাত্রীদেরকে পুড়িয়ে মারছে না বা সংসদ বয়কট করার কথাও কেউ ভাবছে না- বা কারও মুখে তেমন কোন কথা শুনাও যাচ্ছে না।

একটি অনুকরণ বা অনুসরণ যোগ্য পারস্পারিক শ্রদ্ধাবোধ দিয়ে অস্ট্রেলিয়ার রাজনৈতিক দলগুলি দেশের গণতন্ত্রকে টিকিয়ে রাখছে- তাকে সমৃদ্ধ করছে।

তারা জনগণের কাছে যাবে নির্বাচনের আগ মুহূর্তে-তখনও কারও প্রতি কেউ অসম্মানজনক কথা বলবে না- অতীতে ও বলে নি। পোষ্টার আর লিফলেট এবং টেলিভিশনে ভাষণের মধ্যেই সীমিত থাকবে সকল দলের- সকল প্রার্থীর নির্বাচনী প্রচারণা। লিফলেট বিলি হবে বাড়ি-বাড়ি, রেলস্টেশন, নদীবন্দর প্রভৃতি এলাকায় হাতে হাতে।

অবশেষে নির্বাচনী রায় সবাই মেনে নেবেন নির্দ্বিধায়। নির্বাচন কমিশনকেও কেউ দুষবে না। আমরা কবে বাংলাদেশে দেখবো এমন শ্রদ্ধাবোধের রাজনীতি?

রণেশ মৈত্র, লেখক, একুশে পদকপ্রাপ্ত সাংবাদিক; মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক। ইমেইল : [email protected]

মুক্তমত বিভাগে প্রকাশিত লেখার বিষয়, মতামত, মন্তব্য লেখকের একান্ত নিজস্ব। sylhettoday24.com-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে যার মিল আছে এমন সিদ্ধান্তে আসার কোন যৌক্তিকতা সর্বক্ষেত্রে নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে sylhettoday24.com আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় গ্রহণ করে না।

আপনার মন্তব্য

লেখক তালিকা অঞ্জন আচার্য অধ্যাপক ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী ৪৮ অসীম চক্রবর্তী আজম খান ১১ আজমিনা আফরিন তোড়া ১০ আনোয়ারুল হক হেলাল আফসানা বেগম আবদুল গাফফার চৌধুরী আবু এম ইউসুফ আবু সাঈদ আহমেদ আব্দুল করিম কিম ৩২ আব্দুল্লাহ আল নোমান আব্দুল্লাহ হারুন জুয়েল ১০ আমিনা আইরিন আরশাদ খান আরিফ জেবতিক ১৭ আরিফ রহমান ১৬ আরিফুর রহমান আলমগীর নিষাদ আলমগীর শাহরিয়ার ৫৪ আশরাফ মাহমুদ আশিক শাওন ইনাম আহমদ চৌধুরী ইমতিয়াজ মাহমুদ ৭১ ইয়ামেন এম হক এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন একুশ তাপাদার এখলাসুর রহমান ৩৭ এনামুল হক এনাম ৪২ এমদাদুল হক তুহিন ১৯ এস এম নাদিম মাহমুদ ৩৩ ওমর ফারুক লুক্স কবির য়াহমদ ৬৩ কাজল দাস ১০ কাজী মাহবুব হাসান কেশব কুমার অধিকারী খুরশীদ শাম্মী ১৭ গোঁসাই পাহ্‌লভী ১৪ চিররঞ্জন সরকার ৩৫ জফির সেতু জহিরুল হক বাপি ৪৪ জহিরুল হক মজুমদার জাকিয়া সুলতানা মুক্তা জান্নাতুল মাওয়া জাহিদ নেওয়াজ খান জুনাইদ আহমেদ পলক জুয়েল রাজ ১০২ ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন ১২ ড. কাবেরী গায়েন ২৩ ড. শাখাওয়াৎ নয়ন ড. শামীম আহমেদ ৪১ ডা. আতিকুজ্জামান ফিলিপ ২০ ডা. সাঈদ এনাম ডোরা প্রেন্টিস তপু সৌমেন তসলিমা নাসরিন তানবীরা তালুকদার তোফায়েল আহমেদ ৩১ দিব্যেন্দু দ্বীপ দেব দুলাল গুহ দেব প্রসাদ দেবু দেবজ্যোতি দেবু ২৭ নাজমুল হাসান ২৪ নিখিল নীল পাপলু বাঙ্গালী পুলক ঘটক প্রফেসর ড. মো. আতী উল্লাহ ফকির ইলিয়াস ২৪ ফজলুল বারী ৬২ ফড়িং ক্যামেলিয়া ফরিদ আহমেদ ৪২ ফারজানা কবীর খান স্নিগ্ধা বদরুল আলম বন্যা আহমেদ বিজন সরকার বিপ্লব কর্মকার ব্যারিস্টার জাকির হোসেন ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ ১৮ ভায়লেট হালদার মারজিয়া প্রভা মাসকাওয়াথ আহসান ১৯০ মাসুদ পারভেজ মাহমুদুল হক মুন্সী মিলন ফারাবী মুনীর উদ্দীন শামীম ১০ মুহম্মদ জাফর ইকবাল ১৫৩ মো. মাহমুদুর রহমান মো. সাখাওয়াত হোসেন মোছাদ্দিক উজ্জ্বল মোনাজ হক ১৪ রণেশ মৈত্র ১৮৩ রতন কুমার সমাদ্দার রহিম আব্দুর রহিম ৫৫ রাজু আহমেদ ১৬ রাজেশ পাল ২৮ রুমী আহমেদ রেজা ঘটক ৩৮ লীনা পারভীন শওগাত আলী সাগর শাওন মাহমুদ