আজ বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪

Advertise

অবরুদ্ধ কাশ্মির এবং নীরুর বাঁশি!

রহিম আব্দুর রহিম  

১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দে ভারত স্বাধীনতা লাভ করে। ওই সময় পৃথিবীর ভূ-স্বর্গ কাশ্মিরবাসীরা পাকিস্তানের অন্তর্ভুক্ত না হয়ে ভারতের সঙ্গে যুক্ত হন। অন্তর্ভুক্তিকালীন জম্বু-কাশ্মিরের ক্ষমতাধরদের সাথে ভারতের যে সমঝোতা চুক্তি হয়েছিল, তার মধ্যে ‘সুরক্ষা’, ‘বিদেশনীতি’ ও যোগাযোগ ব্যবস্থা ব্যতীত সকল কিছুই কাশ্মিরের আইনসভায় সার্বভৌমত্ব থাকবে। যা ভারতীয় সংবিধানে ১৯৪৯ সালের নভেম্বর গৃহীত বিধিবদ্ধ রূপ ‘৩৭০’ ধারা।

‘৩৭০’ ধারাটি নিয়ে ভারতের সর্বমহলে যেমন মতাদর্শ ছিল, তেমনি রাজনৈতিক অঙ্গনে ছিল চরম অনৈক্য। যার কারণে, বিষয়টি দীর্ঘ প্রায় আড়াই বছর আলোচনা-সমালোচনা, যুক্তি-তর্ক চলে স্বাধীন ভারতের সর্বস্তরে। দীর্ঘ আড়াই বছর পর্যবেক্ষণ, বিশ্লেষণ শেষে ১৯৫২ খ্রিস্টাব্দের মাঝামাঝি সময়ে ভারতের সর্বস্তরের রাজনৈতিক ব্যক্তিদের মাঝে ঐক্যের সৃষ্টি হয়। ফলে ১৯৫২ সালের জুলাই মাসে কাশ্মিরের সাংবিধানিক সার্বভৌমত্বের পরিবর্তে আংশিক স্বায়ত্তশাসনের একটি রূপরেখা তৈরি হয়। যে রূপ রেখাটিতে জওহরলাল নেহরু ও শেখ আব্দুল্লার স্বাক্ষর করেন। তাঁদের স্বাক্ষরিত রূপরেখাটিই গৃহীত ‘৩৭০’ ধারা। জম্বু-কাশ্মির পাকিস্তানের সাথে যুক্ত না হয়ে, ভারতের সাথে মূলত যুক্ত হয়েছিল ‘৩৭০’ অনুচ্ছেদের বিশেষ মর্যাদার জন্যই। ‘৩৭০’ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী (ক) প্রতিরক্ষা, বিদেশ, অর্থ এবং যোগাযোগ ছাড়া অন্য কোন বিষয়ে জম্বু-কাশ্মিরের উপর হস্তক্ষেপের অধিকার ছিল না ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের। (খ) জম্বু-কাশ্মিরের বিষয়ে কোন আইন প্রণয়নের অধিকার ছিল না ভারতীয় সংসদেরও।

আইন প্রণয়ন করতে হলে রাজ্যের সম্মতি নিতে হতো। ‘৩৭০’ নম্বর অনুচ্ছেদের খসড়া প্রস্তুত হয়েছিল, ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দে শেখ আব্দুল্লাহ’র হাতে। যিনি কাশ্মিরের স্থায়ী সায়ত্তশাসনের পক্ষে ছিলেন। কিন্তু কেন্দ্র সেই দাবী মেনে না নিয়ে, সমঝোতার মাধ্যমে জম্বু-কাশ্মিরকে ভারতের অন্তর্ভুক্ত করেছিল। অন্তর্ভুক্তকালীন বিশেষ সুবিধা আইনে অর্থাৎ ৩৫-এ অনুচ্ছেদে অন্তর্ভুক্ত হয় (ক) কে, কিভাবে কাশ্মিরের স্থায়ী বাসিন্দা হবে তা স্থির করতে পারতো জম্বু-কাশ্মিরের বিধানসভা। (খ) স্থায়ী বাসিন্দা ছাড়া কেউ কাশ্মিরের জমি কিনতে পারতো না। (গ) ছিলো না কোনো ভোটাধিকার। (ঘ) রাজ্যের স্থায়ী বাসিন্দা কোন মহিলা বাইরের কাউকে বিয়ে করলে বাপ-দাদার সহায়-সম্পত্তির অধিকার থেকে বঞ্চিত হতেন। (ঙ) ওই মহিলার উত্তরসূরিরাও ওই সম্পত্তির অধিকারী বা মালিক হতে পারতেন না। (চ) শুধু তাই নয়, সারা ভারতবর্ষে ২৯টি রাজ্যের মধ্যে, একমাত্র জম্বু-কাশ্মিরবাসীদেরই ছিল আলাদা পতাকাও।

পৃথিবীর ভূ-স্বর্গ, হিমালয় ঘেরা, কাশ্মির নয়নাভিরাম প্রশান্তির জায়গা। যেখানে সূর্য ওঠে পৃথিবীর অপূর্ব মহিমান্বিত আলো নিয়ে। সূর্য অস্ত যায়, ক্লান্তিহীন শান্তির বারতায়। এই শান্তিময় ভূ-স্বর্গ কাশ্মির, ভারত-পাকিস্তান ও চীনের মধ্যে বিভক্ত। ভারতের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে ‘জম্বু-কাশ্মির রাজ্য’। যা গঠিত হয়েছে জম্বু-কাশ্মির উপত্যকা ও লাদাখের সমন্বয়ে। যে অংশে কাশ্মিরের মোট ভূ-খণ্ডের ৪৩% শতাংশ ভূমি ভারতের দখলে। পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত আজাদ-কাশ্মির ও গিলগিত বালাতিস্তান অঞ্চলদ্বয়। এই অংশে কাশ্মিরের মোট ভূ-খণ্ডের ৩৭% শতাংশ ভূমি পাকিস্তানের দখলে। চীন নিয়ন্ত্রিত আকসাই চীন ও টান্স কারাকোরাম অঞ্চলদ্বয় কাশ্মিরের অন্তর্ভুক্ত। যে অঞ্চলে কাশ্মিরের মোট ভূ-খণ্ডের ২০% শতাংশ ভূমি চীনের দখলে রয়েছে। ‘ভারত-পাকিস্তান-চীন’ তিনটি দেশই পারমানবিক শক্তিধর রাষ্ট্র হিসাবে পৃথিবীতে পরিচিত। তিন পারমানবিক শক্তিধর রাষ্ট্রের বেষ্টনীতে অবস্থিত, ভূ-স্বর্গ কাশ্মিরে মাঝে মধ্যেই অবৈধ বারুদের গন্ধ, যা বিশ্ব সভ্যতায় কলঙ্কের বার্তাই বহন করে। একটি রাষ্ট্রের ২টি পতাকা, বিশেষ সুবিধায় বৈষম্য, সাংবিধানিক সাংঘর্ষিক, রাষ্ট্রীয় শৃঙ্খলা নিরসনে, সময়ের দাবী এবং রাষ্ট্রীয় প্রয়োজনে একটি দেশের সরকার, তার দেশের সংবিধান পরিবর্তন, পরিবর্তন, পরিবর্ধন, পরিমার্জন করতেই পারেন। তবে তা হতে হবে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় এবং সাংবিধানিক উপায়ে। ভারতরে ক্ষমতাসীন (বিজেপি) অর্থাৎ মোদি সরকার, সে উপায়টি পুরোপুরি অবলম্বন করেছেন কি না? সেটাই মুখ্য।

সংখ্যাগরিষ্ঠতার ধাক্কায়, জম্বু-কাশ্মিরদের জন্য দেয়া বিশেষ সুবিধা আইন ‘৩৭০’ এবং ৩৫-এ, চলতি বছরের আগস্টের প্রথম সপ্তাহে রাজ্যসভা এবং লোকসভায় তুমুল যুক্তি-তর্কের মাধ্যমে বাতিল হয়েছে। ফলে ভারতের সংবিধান অনুযায়ী, সারা ভারতের ন্যায়, কাশ্মিরবাসীরাও আইনি সুযোগ-সুবিধাসহ সকল প্রকার সুযোগ গ্রহণ করবে। যেখানে থাকবে না কোন বৈষম্য। আইনটি বাতিল হওয়ার আগেই কাশ্মিরে জঙ্গি হামলার ইস্যু তুলে, কেন্দ্রীয় সরকার ওই অঞ্চলে সামরিক-বেসামরিক বাহিনী পাঠায়। ১৪৪ ধারা জারি হয় কাশ্মিরে। মুসলিম অধ্যুষিত জম্বু-কাশ্মিরবাসীরা ঈদের আমেজ থেকে পুরোপুরি বঞ্চিত হয়েছে। ভারতের ৭৩’তম স্বাধীনতা দিবসের হাওয়া লাগেনি ওই অঞ্চলে। ১৪৪ ধারাকে পুঁজি করে অতি উৎসাহী ভারতীয় বেসামরিক ও সামরিক বাহিনীর সদস্যরা, গত ৫ আগস্ট সকাল থেকে সঙ্ঘবদ্ধ যুবক-তরুণদের খেলার মাঠেও ছররা গুলি চালিয়ে যাচ্ছে। ওই দিন থেকেই জম্বু-কাশ্মির সভ্য পৃথিবীর আলো বাতাস থেকে বঞ্চিত। ইন্টারনেট, টেলিফোন, মোবাইল, সামাজিক যোগাযোগ ফেইসবুক বন্ধ। প্রকাশ হচ্ছে না, স্থানীয় পত্র-পত্রিকা। দেশ-বিদেশের পর্যটক, সাংবাদিক, মানবাধিকার কর্মীরা যেতে পারছে না জম্বু-কাশ্মির অঞ্চলে। যে কারণে সারা ভারতবর্ষে পরস্পর বিরোধী প্রচার-অপপ্রচার চলছে সমানে সমান। ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে বসবাসকারীদের ৩০% শতাংশ জনমানুষ বলে বেড়াচ্ছেন, ‘জম্বু-কাশ্মিরে প্রতিদিন পাখির মত নারী ও শিশুদের হত্যা করা হচ্ছে’। এধরনের হাওয়ায় ভাসা সংবাদের সত্য-মিথ্যা প্রমাণের দায়িত্ব ক্ষমতাসীন কেন্দ্রীয় সরকারের ঘাড়েই বর্তায়।

ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকার যদি ‘৩৭০’ ধারা এবং ৩৫-এ অনুচ্ছেদ কাশ্মিরের জন মানুষের সার্বিক কল্যাণের রহিত করে থাকেন, তবে কেন ১৪৪ ধারা? কেন সেখানে সাংবাদিক, মানবাধিকার কর্মীদের অবাধ চলাফেরায় বাধা ? কল্যাণের জন্য দমননীতি কতটুকু যুক্তিযুক্ত ? এ ধরনের হাজারও প্রশ্ন ভারতসহ সারা বিশ্বের জনমানুষের মাঝে। কোচবিহার জেলার দেববাড়ির নতুন পাড়ার বসতি সুনীল দেবনাথ (৮১) এর সাথে এ বিষয়ে কথা হলে, তিনি জানান, ‘নরেন্দ্র মোদি ভারতের শ্রেষ্ঠ সরকার, তার আমলে ভারতের সকল জটিল বিষয়গুলো সমাধান হয়েছে। ৬৮ বছরের ছিটমহল সমস্যা এখন নেই, সম্প্রতি তিন তালাক প্রথা, নরেন্দ্র মোদির সরকার বাতিল করেছেন’। ভারতের মেদিনীপুরের তরুণ বাপ্পি সামন্তের সাথে ১১ আগস্ট কথা হয়েছে দার্জিলিং-এ, তার মতে, ‘নরেন্দ্র মোদির যা করেছেন, তা ভালো। জওহরলাল নেহেরুর আমলে এই বিশেষ ক্ষমতা আইন পাশ করা হয়েছিল, যা ভুল। জওহরলাল নেহেরু তার মাতৃস্তানের প্রতি প্রীতি দেখিয়ে ‘৩৭০’ এবং ৩৫-এ বিশেষ সুবিধা আইন করেছিল। যে আইনের কারণে, কাশ্মিরের উগ্রবাদীরা ১৯৯০ সালে ঢালাওভাবে হিন্দু পণ্ডিতদের হত্যা করেছে, কাশ্মির ত্যাগে বাধ্য করেছে।’ আবার অনেকেই মনে করেছে, ‘গান্ধীজির দ্বি-জাতি তত্ত্বের জন্যই হিন্দু-মুসলিম ইস্যু করে কাশ্মিরের বিষয়টি বার বার সামনে আসছে’।

জনৈক এক মুসলিম যুবক (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) জম্বু-কাশ্মিরে গিয়েছিলেন স্ব-পরিবারে শ্রমিকের কাজ করতে। ঈদের আগেই বাড়ি ফিরেছেন। তার অভিযোগ ‘কাশ্মির-পাকিস্তান সীমান্তে পাকিস্তানি সৈনিকরা, সন্ধ্যা লাগলেই সীমান্তে বসবাসরত নারীদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। তাদের ধরে নিয়ে যায়। ওরা খুবই অসভ্য।’ ‘জম্বু-কাশ্মিরে বিগত ৩০ বছরের ব্যবধানে সময়ে-অসময়ে গোলা-গুলিতে ৪১ হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। ভূ-স্বর্গ জম্বু-কাশ্মির নয়, পৃথিবীর কোন সভ্য মাটি, বার বার রক্তাক্ত হোক এটা পৃথিবীর কোন মানবতা সমর্থন করে না। কাশ্মির ইস্যুতে শুধু সারা ভারতবর্ষেই নয়, সারা পৃথিবীর মানব সভ্যতায় নাড়া পড়েছে।

১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দে ভারত স্বাধীন হওয়ার পর জম্মু-কাশ্মিরবাসীদের কোন প্রতিশ্রুতির বলে, ভারতের সাথে অন্তর্ভুক্ত করা হলো? কেনো তাদের বিশেষ মর্যাদা দেওয়া হয়েছিল? আবার তা কেনো কেড়ে নেওয়া হলো ? এই প্রশ্নগুলো সর্বমহলে ঘুরপাক খাচ্ছে। বিষয়টি ভারতের আভ্যন্তরীণ, বিধায় এই নিয়ে কারো কোন কথা নেই। তবে আইনটি রহিত করনের প্রক্রিয়ায়, সমালোচনা ঝড় বইছে। মর্যাদা রহিত করার আগে এবং পরে কাশ্মিরবাসীদের সাথে আলোচনা-পর্যালোচনা, যুক্তি-তর্ক, সভা-সমাবেশ, সেমিনার, বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রচার-প্রচারণা, বিশ্লেষণ বা সমঝোতার প্রয়োজনীয়তা যেমন ছিলো, তেমনি গুরুত্ব সহকারে ৩৭০ ধারা রহিত পরবর্তী কাশ্মিরবাসীদের ভালো-মন্দের ফিরিস্তি তুলে ধরার যৌক্তিকতাও ছিল, কিন্তু তা কি হয়েছে ? এমন প্রশ্নও হাজারও বিবেকের।

গোটা পৃথিবী জানে, ২৯টি রাজ্য নিয়ে গঠিত ভারত বর্ষে বহুজাতি ও বহুভাষা-ভাষি মানুষের বসবাস। যে দেশে কখনও, কোনদিনই সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা, হত্যা, খুন, জখমের মতো ঘটনা ঘটে নি। তবে অন্ধত্বের বেড়াজালে ছোট খাটো ঘটনা অহরহ ঘটছে, ঘটে যাচ্ছে। বর্তমান অবস্থায় কাশ্মিরবাসীরা স্বাধীন রাষ্ট্র চায় ? না, তবে কেন ক্ষোভের আগুন? রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, কাশ্মিরের সাধারণ জনমানুষরা পরিচ্ছন্ন মনের অধিকারী। তারা কখনো সন্ত্রাস জঙ্গিবাদে বিশ্বাসী নয়। একটি রাষ্ট্রের উসকানিতে ওই অঞ্চলে সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ টিকে আছে। ক্ষোভের আগুন জ্বলছে মূলত: ‘৩৭০’ ধারা এবং ৩৫-এ রহিত হওয়ায়। কাশ্মিরবাসীদের মর্যাদা কেড়ে নেওয়ায়, মানসিকভাবে তারা আহত হয়েছেন, প্রচণ্ড কষ্ট পেয়েছেন, মর্যাদা দিয়ে মর্যাদা ক্ষুণ্ণ করায় তারা মর্যাদার লড়াইয়ে হেরে গেছে বলে মনে করছেন।

কাশ্মির ইস্যুকে কেন্দ্র করে পাকিস্তান সরকার, সীমান্তে যে অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন করেছেন। তাতে করে অনেকেই কাশ্মির দরদী ও মুসলিম প্রীতির গন্ধ খুঁজে বেড়াচ্ছেন পাকিস্তানিদের মাঝে। যা আদৌ যুক্তিযুক্ত নয়। অবরুদ্ধ কাশ্মিরবাসীরা যাতে বর্ডার ক্রস করে, যেন পাকিস্তানে অনুপ্রবেশ করতে না পারে, সে জন্যই পাকিস্তান সরকার হয়তবা তাদের সৈন্য সামন্ত বর্ডারে এনেছে। এ নিয়ে সন্দেহ বা সাম্প্রদায়িক উস্কানির কিছু নেই। বিজেপি সরকার বিশেষ সুবিধা আইন রহিত করাতে সাধারণ বিশ্লেষকদের মাঝে কোন প্রতিক্রিয়া নেই। তবে প্রক্রিয়ায় প্রচণ্ড প্রতিক্রিয়া রয়েছে। আইনটি রহিত করার পরের দিনই; প্রথম সারীর নেতা-কর্মী থেকে শুরু করে, মাঠ পর্যায়ের প্রতিবাদী নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ছররা গুলি চালানো হচ্ছে সঙ্ঘবদ্ধ খেলাধুলায় অংশগ্রহণকারী কিশোরদের লক্ষ্য করে। যাদের গ্রেপ্তার না করে, বিল রহিতের পূর্বে বা পরে তাদের নিয়ে বসে সমঝোতার ভিত্তিতে কিছু একটা করার চিন্তা বিজেপি সরকার করতে পারতেন। বিজেপির দমননীতির কারণে, মোদি সরকারের সমালোচনায় মুখর ক্ষুদ বিজেপি ভক্ত সাধারণ জনমানুষ। অবরুদ্ধ কাশ্মির বিষয়ে সে দেশের উচ্চ আদালতে রিট হয়েছে। মহামান্য আদালত, সরকারের কাছে জানতে চেয়েছেন, ‘আর কত দিন এভাবে চলবে?’ সরকার জবাব দিয়েছেন, ‘দু’এক সপ্তাহ’।

বিজেপি সরকার এবং জম্বু-কাশ্মির বিষয়টি এমন আকার ধারণ করেছে যে, অবরুদ্ধ জম্বু-কাশ্মিরের জনমানুষকে অবমুক্ত না করে, নরেন্দ্র মোদি ভারতের স্বাধীনতা দিবসে দেয়া ভাষণের এক পর্যায়ে বলেছেন, ‘যে কাজ ৭০ বছরে হয়নি, তা ৭০ দিনে করে দেখিয়েছি।’ নরেন্দ্র মোদির এই উক্তিটি, শক্তিশালী গণতান্ত্রিক দেশের জন্য আদৌ শুভ সংবাদ বয়ে আনে না। বরং মনে পড়ে, ‘রোম যখন পুড়ছিলো, নীরু বাজাচ্ছিল বাঁশি।’

রহিম আব্দুর রহিম, শিক্ষক, কলামিস্ট, নাট্যকার ও শিশু সাহিত্যিক। ইমেইল: [email protected]

মুক্তমত বিভাগে প্রকাশিত লেখার বিষয়, মতামত, মন্তব্য লেখকের একান্ত নিজস্ব। sylhettoday24.com-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে যার মিল আছে এমন সিদ্ধান্তে আসার কোন যৌক্তিকতা সর্বক্ষেত্রে নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে sylhettoday24.com আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় গ্রহণ করে না।

আপনার মন্তব্য

লেখক তালিকা অঞ্জন আচার্য অধ্যাপক ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী ৪৮ অসীম চক্রবর্তী আজম খান ১১ আজমিনা আফরিন তোড়া ১০ আনোয়ারুল হক হেলাল আফসানা বেগম আবদুল গাফফার চৌধুরী আবু এম ইউসুফ আবু সাঈদ আহমেদ আব্দুল করিম কিম ৩২ আব্দুল্লাহ আল নোমান আব্দুল্লাহ হারুন জুয়েল ১০ আমিনা আইরিন আরশাদ খান আরিফ জেবতিক ১৭ আরিফ রহমান ১৬ আরিফুর রহমান আলমগীর নিষাদ আলমগীর শাহরিয়ার ৫৪ আশরাফ মাহমুদ আশিক শাওন ইনাম আহমদ চৌধুরী ইমতিয়াজ মাহমুদ ৭১ ইয়ামেন এম হক এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন একুশ তাপাদার এখলাসুর রহমান ৩৭ এনামুল হক এনাম ৪২ এমদাদুল হক তুহিন ১৯ এস এম নাদিম মাহমুদ ৩৩ ওমর ফারুক লুক্স কবির য়াহমদ ৬৩ কাজল দাস ১০ কাজী মাহবুব হাসান কেশব কুমার অধিকারী খুরশীদ শাম্মী ১৭ গোঁসাই পাহ্‌লভী ১৪ চিররঞ্জন সরকার ৩৫ জফির সেতু জহিরুল হক বাপি ৪৪ জহিরুল হক মজুমদার জাকিয়া সুলতানা মুক্তা জান্নাতুল মাওয়া জাহিদ নেওয়াজ খান জুনাইদ আহমেদ পলক জুয়েল রাজ ১০২ ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন ১২ ড. কাবেরী গায়েন ২৩ ড. শাখাওয়াৎ নয়ন ড. শামীম আহমেদ ৪১ ডা. আতিকুজ্জামান ফিলিপ ২০ ডা. সাঈদ এনাম ডোরা প্রেন্টিস তপু সৌমেন তসলিমা নাসরিন তানবীরা তালুকদার তোফায়েল আহমেদ ৩১ দিব্যেন্দু দ্বীপ দেব দুলাল গুহ দেব প্রসাদ দেবু দেবজ্যোতি দেবু ২৭ নাজমুল হাসান ২৪ নিখিল নীল পাপলু বাঙ্গালী পুলক ঘটক প্রফেসর ড. মো. আতী উল্লাহ ফকির ইলিয়াস ২৪ ফজলুল বারী ৬২ ফড়িং ক্যামেলিয়া ফরিদ আহমেদ ৪২ ফারজানা কবীর খান স্নিগ্ধা বদরুল আলম বন্যা আহমেদ বিজন সরকার বিপ্লব কর্মকার ব্যারিস্টার জাকির হোসেন ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ ১৮ ভায়লেট হালদার মারজিয়া প্রভা মাসকাওয়াথ আহসান ১৯০ মাসুদ পারভেজ মাহমুদুল হক মুন্সী মিলন ফারাবী মুনীর উদ্দীন শামীম ১০ মুহম্মদ জাফর ইকবাল ১৫৩ মো. মাহমুদুর রহমান মো. সাখাওয়াত হোসেন মোছাদ্দিক উজ্জ্বল মোনাজ হক ১৪ রণেশ মৈত্র ১৮৩ রতন কুমার সমাদ্দার রহিম আব্দুর রহিম ৫৫ রাজু আহমেদ ১৬ রাজেশ পাল ২৮ রুমী আহমেদ রেজা ঘটক ৩৮ লীনা পারভীন শওগাত আলী সাগর শাওন মাহমুদ