আজ মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ, ২০২৪

Advertise

‘দ্য গ্রেটেস্ট’ মোহাম্মদ আলী : আপনি আমার শ্রদ্ধা নিন

মো. মাহমুদুর রহমান  

মুষ্টিযোদ্ধা  মোহাম্মদ আলীর উদ্দেশে ব্রিটিশ দার্শনিক বাট্রান্ড রাসেল লিখলেন, ’বিশ্বের নির্যাতিত মানুষের পক্ষ নিয়ে আপনার এই সংগ্রাম অবিস্মরণীয়। আপনি আমার শ্রদ্ধা নিন।’ কিংবদন্তী এই মুষ্টিযোদ্ধার মৃত্যুর পর সারাবিশ্বের মানবিক হৃদয় থেকে তাঁর উদ্দেশ্যে প্রতিনিয়তই যেন উচ্চারিত হচ্ছে- ’আপনি আমার শ্রদ্ধা নিন।’ এই বিশ্বসেরা মুষ্টিযোদ্ধার সংগ্রামের ইতি ঘটে ৩ জুন পার্থিব জীবনের সমাপ্তির মাধ্যমে। নিভে যায় জীবনপ্রদীপ। কিন্তু জ্বলে ওঠে বিশ্বের সব প্রতিবাদী মানুষের বিবেকের প্রদীপ। পৃথিবীর সব প্রান্ত থেকে প্রিয় আলীর জন্য মানুষের ভালোবাসার স্বতঃস্ফূর্ত প্রমাণ তাদের গণমাধ্যমে ফুটে ওঠে।

১০ জুন তাঁর শেষ কৃত্যানুষ্ঠান পর্যন্ত বেশিরভাগ দেশের প্রধান প্রধান গণমাধ্যমগুলোতে মোহাম্মদ আলীর সংগ্রামী জীবনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরা হয়। একই সাথে ফেইসবুকসহ বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায়ও তাঁকে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করা হয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাসিন্দা ’দ্য গ্রেটেস্ট’ কে নিয়ে হয়তো আরও কিছুদিন মিডিয়া শোকাহত থাকত। কিন্তু এ শোকাবহ অথচ গৌরবের বিদায়কে ছাপিয়ে মানুষকে দুঃখের সাগরে ভাসায় ১২ জুনের হত্যাকাণ্ড। ফ্লোরিডার অরল্যান্ডের পালস নাইট ক্লাবে সন্ত্রাসী হামলায় ৪৯ জন নিহত ও ৫৩ জন নিরীহ মানুষ  

আহত হওয়ার ঘটনাকে আধুনিক যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে দ্বিতীয় বৃহত্তম কলঙ্কজনক ঘটনা হিসেবে মার্কিনীরা অভিহিত করছে। ’ওমর মতিন’ নামের এক সন্ত্রাসী সমকামীদের এ নাইট ক্লাবে হামলা করে। মোহাম্মদ আলী ও ওমর মতিন দুটো নাম মানুষকে ধাঁধাঁয় ফেলে দেয়। একজন বর্ণবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে গিয়ে মানুষে মানুষে বৈষম্যহীনতায় বিশ্বাসী ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত হন। তারপর ইসলামের শিক্ষা অনুযায়ী অন্যায় যুদ্ধে গিয়ে মানুষ হত্যা করতে অস্বীকার করেন। এ অস্বীকারের ফলস্বরূপ বিশ্বচ্যাম্পিয়ন শিরোপা হারাতে হয়। একই ধর্মের আরেকজন ওমর মতিন, একই দেশে জন্ম গ্রহণকারী, অবলীলায় নৃশংসভাবে মানুষ খুন করতে পারে। তাহলে ধর্ম থেকে কে সত্যিকার অনুপ্রেরণা পেয়েছে, ওমর মতিন নাকি মোহাম্মদ আলী?

মোহাম্মদ আলী ছিলেন ক্যাসিয়াস মার্সেলাস ক্লে জুনিয়র। যুক্তরাষ্ট্রের কেন্টাকি রাজ্যের লুইসভিল শহরে ১৯৪২ সালে তাঁর জন্ম। তবে জন্মগতভাবেই প্রতিবাদী। মুষ্টিতে জোর ছিল প্রচণ্ড। ৬ মাস বয়সের শিশু ক্লে’র মুষ্টিবদ্ধ হাতের ঘুসিতে তাঁর মা ওডেসার সামনের দুটো দাঁত ভেঙ্গে যায়। এতে মায়ের কষ্ট হলেও বুঝতে বাকি থাকেনি বড় হয়ে ছেলে অসাধারণ কিছু হবে। ১৯৫৪ সালে সাইকেল চোরকে ধরতে ক্লে গেলেন পুলিশ অফিসার জো মার্টিনের কাছে। মুষ্টিযোদ্ধার বিষয়ে আগ্রহী জো মার্টিন ক্যাসিয়াস ক্লে’র প্রতিবাদী সুর শোনেই বুঝতে দেরি করেননি যে, এই ছেলেকে দিয়েই হবে। এরপর জো মার্টিনের হাত ধরেই ক্যাসিয়াস ক্লে জুনিয়র মুষ্টিযোদ্ধায় পরিণত হন।

১৯৬০ সালের রোম অলিম্পিকে তিনি চ্যাম্পিয়ন হয়ে স্বর্ণ জয় করেন। তারপর ১৯৬৪ সালে বিশ্ব হেভিওয়েট বক্সিং চ্যাম্পিয়ন। এসব সাফল্য সত্ত্বেও তাঁর মনে দুঃখবোধ ছিল। কালো চেহারার কারণে তৎকালীন আমেরিকার প্রচণ্ড বর্ণবাদী সমাজে কালো মানুষের দুর্দশা তাঁকে ভাবিত করত। এমনকি তিনি নিজেও বর্ণবাদের শিকার হন। এরকম পরিস্থিতিতে ১৯৫৯ সালে তিনি ’মোহাম্মদ স্পীকস’ নামক একটি পত্রিকার মাধ্যমে নতুন এক বৈষম্যহীন সমাজের সন্ধান পান। অলিম্পিক জয়ী মুষ্টিযোদ্ধা নিজ শহরে ফিরে এসেও যখন কালো চেহারার কারণে রেস্টুরেন্টে বসার জায়গা পাননি তখন তাঁর স্বর্ণের মেডেলটি নদীতে ফেলে দেয়া ছাড়া কীইবা করার ছিল।

এরকম পরিস্থিতিতে ক্যাসিয়াস ক্লে ইসলামের সৌন্দর্যে আকৃষ্ট হয়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। ক্যাসিয়াস ক্লে থেকে হয়ে যান মোহাম্মদ আলী। ১৯৬৪ সালের হেভিওয়েট ফাইনালের আগেই খেলার আয়োজকদের কাছে তাঁর ধর্মান্তরিত হওয়ার খবরটি প্রকাশিত হয়ে পড়ে। তারা সাধ্যমত চেষ্টা করেন যাতে মোহাম্মদ আলী ধর্মান্তরের বিষয়টি অস্বীকার করেন। এমনটি তিনি ধর্মান্তরিত হননি এমন ঘোষণা না দিলে খেলাটি স্থগিত করা হবে বলেও হুমকি দেয়া হয়। জবাবে মোহাম্মদ আলী শিরোপার চেয়ে তাঁর বিশ্বাসের মর্যাদা বেশি বলেই ঘোষণা দেন।

ধর্মান্তর ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করলেও তিনি সারাবিশ্বের প্রতিবাদী যুবকদের আইকনে পরিণত হন ভিয়েতনাম যুদ্ধের সময়। সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়ে ভিয়েতনাম যুদ্ধে যেতে তিনি অস্বীকার করে। তাঁর মতে ভিয়েতনাম যুদ্ধ অন্যায়। মুসলমান কোনো অন্যায় যুদ্ধ করে না। তিনি বললেন, ’মুসলমান কখনও অন্যায় যুদ্ধ করে না। ইসলাম শান্তির ধর্ম, অস্ত্র বয়ে বেড়াবার ধর্ম নয়।’ এরকম ঘোষণা দিয়ে যুদ্ধে যেতে অস্বীকার করার পরিণতি সম্পর্কে সবাই সজাগ ছিলেন। তাই পরিবারের সদস্য ও বন্ধুবান্ধবরা তাঁকে যুদ্ধে যেতে রাজি করাতে চেষ্টা করলেন। কিন্তু তিনি তাঁর সিদ্ধান্তে অটল। হারাতে হলো শিরোপা। লড়তে হলো মামলা। যদিও চূড়ান্ত জয় হয়েছিল তাঁর। ১৯৭১ সালে মামলা নিষ্পত্তি হয় এবং তাঁর সিদ্ধান্তকেই আদালত সঠিক হিসেবে মেনে নেয়। ফিরে পান শিরোপা।

এভাবেই সারাজীবন অন্যায়ের বিরুদ্ধে আপোষহীন সংগ্রাম করে যান। সব সময় নির্যাতিত মানুষের পক্ষে অবস্থান নেন। অন্যায়ের বিপক্ষে ন্যায় ও নীতির পক্ষে লড়াকু এই মুষ্টিযোদ্ধাকে তাই সারাবিশ্বের মানুষ হেভিওয়েট বক্সিং চ্যাম্পিয়নের চেয়েও বেশি কিছু ভাবে। তিনি এমন এক মানুষ যিনি তার সব শিরোপা সম্মান আনন্দচিত্তে বিসর্জন দিতে পারেন অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে গিয়ে। তাঁর বিশ্বাসের পক্ষে পর্বতসম দৃঢ়তা নিয়ে দাঁড়াতে পারেন পার্থিব লোভ লালসাকে উপেক্ষা করে। অসাধারণ এসব গুণাবলীই তাকে নিয়ে গেছে অনন্য উচ্চতায়। তাঁর শহর লুইসভিল, দেশ আমেরিকা এবং ধর্মবিশ্বাসও পেয়েছে মানুষের শ্রদ্ধা।

ভিয়েতনাম যুদ্ধে যেতে তাঁর হৃদয় কোনোভাবেই সায় দিচ্ছিল না। নিরীহ ভিয়েতনামীদের কেন তিনি হত্যা করবেন? মানবতাবাদী মোহাম্মদ আলী কিছুতেই এ যুদ্ধ মেনে নিতে পারছিলেন না। তাই তিনি এত বড় রাষ্ট্রশক্তির সামনে এ অন্যায় যুদ্ধের বিষয়ে ’না’ উচ্চারণ করতে পেরেছিলেন। ১৯৬৭ সালের এ ’না’ উচ্চারণ কেড়ে নিয়েছিল তাঁর শিরোপা। শিরোপা হারানোর সিদ্ধান্ত জেনে যখন তিনি কর্তৃপক্ষের অফিস থেকে বেরিয়ে আসছেন তখনই তাঁর মাথায় পরিয়ে দেয়া হয় অন্যরকম এক অসাধারণ শিরোপা। একজন সাদা লোক তাঁর ছেলেদের নিয়ে মোহাম্মদ আলীর সামনে দাঁড়িয়ে বললেন, ’আমি চাই আমার ছেলেরা বড় হয়ে ঠিক আপনার মত হবে। আমি চাই যে তারা যা বিশ্বাস করবে তার জন্যে তারা আপনার মত নির্ভয়ে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে।’ আজও কত মানুষ যে চায় তার সন্তানরা মোহাম্মদ আলীর মত নির্ভীক হোক তা হয়তো তিনি জানতেন। তাই মৃত্যুর পর মানুষ তাকে কিভাবে মনে রাখবে জানতে চাইলে বলেন, তিনি চান সবাই তাকে যেন একজন মানুষ হিসেবে মনে রাখে, যে তার আত্মা বিক্রি করেনি।

বিকৃত এবং বিভ্রান্ত আত্মার মানুষের ভিড়ে মোহাম্মদ আলীর আত্মার স্মৃতি মানুষের হৃদয়ে এই শতাব্দীতে জ্বল জ্বল করবে তা নিঃসন্দেহে বলা যায়। বিশেষ করে ধর্মের নামে বিভ্রান্ত আত্মার কিছু মানুষ যখন নিরীহ মানুষদের হত্যাযজ্ঞে মেতে ওঠেছে তখন মানুষ কিভাবে ভুলবে শান্তির দূত মোহাম্মদ আলীকে? অরল্যান্ডের এই নিষ্ঠুর ও নৃশংস হত্যাযজ্ঞ মোহাম্মদ আলীর জীবনকে আরও বেশি আলোচিত করবে যুক্তরাষ্ট্রে। যুক্তরাষ্ট্রের নাইন ইলেভেন হামলার পর তিনি এর নিন্দা করেছিলেন। কিছু মুসলমানের নাম হামলার সাথে জড়িত শোনে দুঃখ পেয়েছিলেন। বলেছিলেন, ইসলাম খুনিদের ধর্ম নয়। ভাগ্যিস তিনি অরল্যান্ড নাইট ক্লাবে হামলার আগে মারা গেছেন। নতুবা আজও তার কষ্টের সীমা থাকতো না। তিনি হয়তো ’ওমর মতিন’দের ভয় করতেন। বক্সিং রিংয়ে সাহসী যোদ্ধা হলেও তিনি অনেক কিছু ভয় করতেন। বিমানে চড়তে তাঁর ছিল খুবই ভয়। বিমান চড়ার ভয়ে তিনি রোম অলিম্পিকে যেতে চাইছিলেন না। তাই মানুষের খুনি অমানুষদের ভয় পাওয়া ছিল স্বাভাবিক। তিনি হয়তো অবাক হতেন এই ভেবে, তাঁকে যে ধর্ম অন্যায় যুদ্ধ করতে নিষেধ করল সেই ধর্মে মানুষ খুনের অনুমিত ওরা কোথায় পেল? সত্যিই এসব বিভ্রান্তির হাত থেকে পৃথিবীকে রক্ষা করতে হলে মোহাম্মদ আলীর মত শান্তিকামী মানুষের জীবন আরও বেশি আলোচিত হওয়া উচিত।

রাষ্ট্র, গোষ্ঠী ও ব্যক্তির উগ্রতা, হিংস্রতা, অন্যায় ও অমানবিকতার বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর অনুপ্রেরণার নাম মুষ্টিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী। বর্ণবাদ ও ধর্মীয় উগ্রতার বিরুদ্ধে সংগ্রামে শ্রদ্ধার সাথে মোহাম্মদ আলীর নাম মানবতাবাদীরা স্মরণ করবে বহুকাল। তাইতো দার্শনিক বাট্রান্ড রাসেলের সুর ধ্বনিত হবে পৃথিবীর সব প্রান্তে-অগণিত কণ্ঠে, ’আপনি আমার শ্রদ্ধা নিন।’

মো. মাহমুদুর রহমান, ব্যাংকার। ইমেইল : [email protected]

মুক্তমত বিভাগে প্রকাশিত লেখার বিষয়, মতামত, মন্তব্য লেখকের একান্ত নিজস্ব। sylhettoday24.com-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে যার মিল আছে এমন সিদ্ধান্তে আসার কোন যৌক্তিকতা সর্বক্ষেত্রে নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে sylhettoday24.com আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় গ্রহণ করে না।

আপনার মন্তব্য

লেখক তালিকা অঞ্জন আচার্য অধ্যাপক ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী ৪৮ অসীম চক্রবর্তী আজম খান ১১ আজমিনা আফরিন তোড়া ১০ আনোয়ারুল হক হেলাল আফসানা বেগম আবদুল গাফফার চৌধুরী আবু এম ইউসুফ আবু সাঈদ আহমেদ আব্দুল করিম কিম ৩২ আব্দুল্লাহ আল নোমান আব্দুল্লাহ হারুন জুয়েল ১০ আমিনা আইরিন আরশাদ খান আরিফ জেবতিক ১৭ আরিফ রহমান ১৬ আরিফুর রহমান আলমগীর নিষাদ আলমগীর শাহরিয়ার ৫৪ আশরাফ মাহমুদ আশিক শাওন ইনাম আহমদ চৌধুরী ইমতিয়াজ মাহমুদ ৭১ ইয়ামেন এম হক এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন একুশ তাপাদার এখলাসুর রহমান ৩৭ এনামুল হক এনাম ৪১ এমদাদুল হক তুহিন ১৯ এস এম নাদিম মাহমুদ ৩৩ ওমর ফারুক লুক্স কবির য়াহমদ ৬২ কাজল দাস ১০ কাজী মাহবুব হাসান কেশব কুমার অধিকারী খুরশীদ শাম্মী ১৭ গোঁসাই পাহ্‌লভী ১৪ চিররঞ্জন সরকার ৩৫ জফির সেতু জহিরুল হক বাপি ৪৪ জহিরুল হক মজুমদার জাকিয়া সুলতানা মুক্তা জান্নাতুল মাওয়া জাহিদ নেওয়াজ খান জুনাইদ আহমেদ পলক জুয়েল রাজ ১০২ ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন ১২ ড. কাবেরী গায়েন ২৩ ড. শাখাওয়াৎ নয়ন ড. শামীম আহমেদ ৪১ ডা. আতিকুজ্জামান ফিলিপ ১৯ ডা. সাঈদ এনাম ডোরা প্রেন্টিস তপু সৌমেন তসলিমা নাসরিন তানবীরা তালুকদার তোফায়েল আহমেদ ৩০ দিব্যেন্দু দ্বীপ দেব দুলাল গুহ দেব প্রসাদ দেবু দেবজ্যোতি দেবু ২৭ নাজমুল হাসান ২৪ নিখিল নীল পাপলু বাঙ্গালী পুলক ঘটক প্রফেসর ড. মো. আতী উল্লাহ ফকির ইলিয়াস ২৪ ফজলুল বারী ৬২ ফড়িং ক্যামেলিয়া ফরিদ আহমেদ ৪২ ফারজানা কবীর খান স্নিগ্ধা বদরুল আলম বন্যা আহমেদ বিজন সরকার বিপ্লব কর্মকার ব্যারিস্টার জাকির হোসেন ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ ১৮ ভায়লেট হালদার মারজিয়া প্রভা মাসকাওয়াথ আহসান ১৮৯ মাসুদ পারভেজ মাহমুদুল হক মুন্সী মিলন ফারাবী মুনীর উদ্দীন শামীম ১০ মুহম্মদ জাফর ইকবাল ১৫৩ মো. মাহমুদুর রহমান মো. সাখাওয়াত হোসেন মোছাদ্দিক উজ্জ্বল মোনাজ হক ১৪ রণেশ মৈত্র ১৮৩ রতন কুমার সমাদ্দার রহিম আব্দুর রহিম ৫৫ রাজু আহমেদ ১৪ রাজেশ পাল ২৮ রুমী আহমেদ রেজা ঘটক ৩৮ লীনা পারভীন শওগাত আলী সাগর শাওন মাহমুদ