আজ শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪

Advertise

রোহিঙ্গা সমস্যায় ধর্মকে অগ্রাধিকার দেবেন না

ইমতিয়াজ মাহমুদ  

রোহিঙ্গাদের সাথে আমার পরিচয় সেই ১৯৭৫ সনে। টেকনাফে আমাদের বাসার সামনে একটা মাঠে ছোট ছোট কাঁচা ঘরে রোহিঙ্গা শরণার্থীরা বাস করতো। নিতান্ত শিশু ছিলাম। রোহিঙ্গা ইস্যুর সাথে জড়িত ইতিহাস রাজনীতি এইসব কিছুই জানতাম না। শুধু এইটুকু জানতাম যে রোহিঙ্গারা মায়ানমার থেকে আসা শরণার্থী, একসময় ওরা চলে যাবে। টেকনাফে আমরা বেশীদিন ছিলাম না- বছর দেড়েকের মতো ছিলাম- আমরা টেকনাফে থাকার সময়ই জেনেছিলাম যে বাংলাদেশ থেকে কিছু কিছু রোহিঙ্গাকে নৌকা করে নাফ নদী পার করিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হতো। রোহিঙ্গারা এই নৌকা অভিযান নিয়ে ভয়ে থাকতো।

শরণার্থী কথাটার মানে আমরা জানতাম। আমাদের নিজেদের লোকেরা যুদ্ধের সময় ভারতে শরণ নিয়েছিলেন। কথা ছিল আমরা নিজেরাও পালিয়ে যাবো, আমরা পালানোর আগেই আমার পিতাকে তুলে নিয়ে গেল পাকিস্তান আর্মির লোকেরা আর শুরু হলো আমাদের গ্রাম থেকে গ্রামান্তরে ছুটে বেড়ানো। আমাদের ধারনায় শরণার্থীরা নিজের দেশে নিজের পরিবেশে ফেরত যাওয়ার জন্যে উদগ্রীব থাকার কথা। কিন্তু রোহিঙ্গারা মায়ানমারর ফিরতে মোটেই আগ্রহী ছিল না। ওদেরকে দেখে মনে হতো ওরা টেকনাফেই বেশ আছে, এখান থেকে ওদের আর যাওয়ার ইচ্ছা নাই।

রোহিঙ্গাদের কথা আমরা বেশ বুঝতাম। বাংলা ভাষায় দক্ষিণ চট্টগ্রামের যে একটু কঠিন ধরনের একটা ডায়ালেক্ট আছে, সেই ডায়ালেক্টে ওরা কথা বলতো। একটু ভিন্নতা সম্ভবত ছিল- কিন্তু চট্টগ্রামের ভাষাই ওদের ভাষা- কেননা ওদের শিশুরা নারীরা পুরুষেরা সকলেই এই ভাষায়ই কথা বলতো, এমনকি নিজেদের মধ্যেও। রোহিঙ্গা মহিলারা আসতো আমার মায়ের কাছে নানারকম কাজে কর্মে বা সাহায্য সহযোগিতা চাইতে। পরস্পরের সাথে ওরা বাংলায়ই কথা বলতো- ভিন্ন ভিন্ন ডায়ালেক্টে যদিও।

হায় সাম্প্রদায়িকতা! সেই রোহিঙ্গাদের দুঃখ যেন আর যাচ্ছে না। মায়ানমার ওদের উপর অত্যাচার থামছেই না। সম্প্রতি নতুন করে রোহিঙ্গাদের বাড়িঘরে আগুন দেওয়া হয়েছে, মারাও গেছে কয়েকজন। আবার একঝাঁক শরণার্থী নাফ পেরিয়ে টেকনাফে ঢুকতে চেষ্টা করেছে।


মায়ানমারে গণতন্ত্র ফিরে আসার পরে রোহিঙ্গাদের উপর অত্যাচার মোটেই কমেনি, বরং উল্টো যেন আরও বেড়ে গেছে। এখন লোকে অং সান সু চিকে নিন্দা করছে। একদল দেখলাম আবার সু চির নোবেল পুরস্কার কেড়ে নেওয়ারও দাবী করছে।

দেখেন, রোহিঙ্গাদের উপর যে অত্যাচারটা হচ্ছে এর একটা প্রেক্ষাপট আছে এবং এই প্রেক্ষাপটটা আমাদের ইতিহাসের সাথে সম্পৃক্ত। লক্ষ করবেন, মায়ানমারের সকল মুসলমানদের উপর কিন্তু অত্যাচারটা হচ্ছে না। অত্যাচারটা হচ্ছে মূলত রোহিঙ্গাদের উপর। রোহিঙ্গারা বাস করে রাখাইন এলাকার মংডু, বুছিডং আর আরও তিন চারটা শহরে। মায়ানমারে অন্যান্য মুসলমানরা যে আছে- রোহিঙ্গাদের তুলনায় ওদের সংখ্যা অনেক বেশী- ওদের উপর এইসব অত্যাচার হচ্ছে না। যদিও অসহিষ্ণুতা নাকি প্রতিদিনই বাড়ছে। কিন্তু রোহিঙ্গাদের উপরই মায়ানমারের মানুষদের এতো রাগ কেন?

১৯৪৭ সনে ভারত পাকিস্তান ভাগাভাগি হয়। এর বছর খানেক আগে, এটা যখন নিশ্চিত হয়ে গেল যে ভারত স্বাধীন হয়ে মুসলমানদের জন্যে আর হিন্দুদের জন্যে আলাদা দেশ হবে তখন রোহিঙ্গা নেতারা বার্মিজ মুসলিম লীগ গঠন করে। আর ওদের নেতারা গিয়ে মুহম্মদ আলী জিন্নার সাথে দেখা করে পূর্ব পাকিস্তানের সাথে যুক্ত হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করে। ওদের ইচ্ছা ছিল রাখাইন প্রদেশ বা এর রোহিঙ্গা মুসলিম প্রধান এলাকাগুলি পূর্ব পাকিস্তানের অংশ হোক। মোহাম্মদ আলী জিন্না এই বিষয়ে খুব একটা আগ্রহ দেখাননি। ভারতবর্ষের মতোই মায়ানমারও তখন ব্রিটিশ কলোনি আর ভারতবর্ষের মতোই মায়ানমারও তখন স্বাধীনতার প্রস্তুতি চলছে।

ব্রিটিশদের কাছে রোহিঙ্গাদের এই দাবী বা আবদার- যে আমরা পূর্ব পাকিস্তানের অংশ হতে চাই- সেটা কেউ নিয়ে গিয়েছিল কিনা জানিনা, কিন্তু ওদের আর পাকিস্তানের সাথে যোগ দেওয়া হয়নি। সংক্ষেপে বলছি- ১৯৪৮ সনে মায়ানমার স্বাধীন হওয়ার পর থেকে মাঝে মাঝে সামরিক শাসন আর মাঝে মাঝে গণতন্ত্র এইভাবে চলেছে। সংবিধান রাষ্ট্রীয় নীতি এইসব পাল্টেছে কয়েকবার। রোহিঙ্গারা এর মধ্যেই নিজেদের অধিকার আদায়ের জন্যে গণতান্ত্রিকভাবেই আন্দোলন ইত্যাদি করেছে। ওদের কয়েকজন নেতা বার্মিজ পার্লামেন্ট সদস্যও ছিলেন।


কিন্তু মায়ানমার ওদের সাথে একটা বিরাট অন্যায় করেছে। মায়ানমারে যে নাগরিকত্ব সংক্রান্ত আইন, সেখানে রোহিঙ্গাদেরকে সেই দেশের নাগরিক হিসাবে স্বীকার করা হয়নি। বুঝেন ব্যাপারটা। একটা জনগোষ্ঠী এরা প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে মায়ানমারে বাস করে, কয়েকশ বছর ধরে ওরা যে সেখানে আছে সেটা স্বীকৃত, ওদেরকে আপনি বলে দিলেন তোমরা এই দেশের নাগরিক না। কত বড় অন্যায় ভেবে দেখেছেন? প্রথমবার এইরকম আইনটা কবে হয়েছে ভুলে গেছি, সম্প্রতি ১৯৮৩ বয়া ৮৪ সনে সেই আইন নতুন করে বানিয়েছে ওরা এইবার ওদের স্ট্যাটাস আরও খারাপ হয়েছে।

এখন মায়ানমারের নাগরিকদের কয়েকটা শ্রেণীতে ভাগ করা হয়েছে- সেই শ্রেণীর কোনটাতেই রোহিঙ্গারা পড়ে না। তার মানে বুঝেছেন? ওরা পাসপোর্ট পাবে না, ভোট দিতে পারবে না, সরকারী চাকরী পাবে না- একদম নিজভূমে পরবাসী কথাটার বাস্তব উদাহরণ।

আইনে আছে চাইলে একজন রোহিঙ্গা নাগরিকত্বের জন্যে আবেদন করতে পারে, কিন্তু তার জন্য ওকে দলিল দস্তাবেজ দিয়ে প্রমাণ করতে হবে ষাট বছরের চেয়ে বেশী সময় যাবত সে মায়ানমারের বাসিন্দা। সরকারী রেকর্ড ইত্যাদি থেকে এইরকম প্রমাণ করা রোহিঙ্গাদের জন্যে অসম্ভব না হলেও অনেক কঠিন। আর এই কঠিন কাজটা ওরা যদি সাধনও করতে পারে তাইলেও সে হবে 'ন্যাচারালাইজড' সিটিজেন। নাগরিকত্বের শ্রেণীবিভাগে যাদের অবস্থান নীচের দিকে।

এইরকম বৈষম্য ওদের সাথে কেন করা হচ্ছে? এর জবাবে বার্মিজরা যে কথা বলে সেটা হচ্ছে এই রোহিঙ্গারা আমাদের নাগরিক না, ওরা কংকালেই আমাদের নাগরিক ছিল না এবং ওরা কোনদিন নিজেদেরকে বার্মিজ নাগরিক দাবীও করেনি, ওরা নিজেদেরকে বার্মিজ বলে না, আলাদা হওয়ার জন্যে ওরা মায়ানমারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছে, এখনো ওরা সেই যুদ্ধ চালু রেখেছে, ওরা কি করে বার্মিজ নাগরিক হবে? আপনি যদি ওদেরকে জিজ্ঞাসা করেন, তাইলে ওরা কোন দেশের নাগরিক? বার্মিজরা বলে, সে আমরা কি করে জানবো, যাও রোহিঙ্গাদেরকেই জিজ্ঞাসা কর। যদি বলেন যে, না, কিন্তু ওদের উপর যে প্রতিদিন অত্যাচার হচ্ছে সেটা তো অন্যায়। বার্মিজদের জবাব হবে- তোমাদের যদি এতোই মহব্বত ওদের জন্যে, তোমার এক কাজ কর, সব রোহিঙ্গাদেরকে নিয়ে যাও তোমাদের দেশে, আমরা খরচ বাবদ কিছু টাকা দিয়ে দিই।


ঐ যে মায়ানমারের বিরুদ্ধে যুদ্ধের কথা, সেটা তো জানেন? মায়ানমারের স্বাধীনতার কয়েক বছর পরই রোহিঙ্গারা জেহাদ শুরু করে। রোহিঙ্গা মুজাহিদরা মংডু ও বুছিডংসহ বিভিন্ন জায়গায় সরকারী অফিস আদালতে হামলা করে, নন-মুসলিম লোকজনকে মারে। এইরকম কয়েকদিন চলার পর বার্মিজ আর্মি কড়াকড়ি কয়েকটা অভিযান চালায় আর মুজাহিদরা অস্ত্র শস্ত্র ফেলে আর্মির কাছে আত্মসমর্পণ করে। এইভাবে বেশ কয়েকটা মুজাহিদ গ্রুপ জন্ম হয়েছে, সন্ত্রাস করেছে, আত্মসমর্পণ করেছে। এই সন্ত্রাসী মুজাহিদদের দাবী কি ছিল? ওরা মুসলিম, ওরা মায়ানমারের নাগরিকত্ব মানে না, ওরা রাখাইন প্রদেশ নিয়ে পাকিস্তানের সাথে যোগ দিতে চায়।

একটা এলাকায় যখন এইরকম ইন্সারজেন্সি চলতে থাকে তখন কিছু সাধারণ মানুষ তো ক্ষতিগ্রস্ত হয়। রোহিঙ্গাদের হামলায় মায়ানমারের এথনিক বার্মিজরা অতিষ্ঠ হয়ে থাকতো। একসময় মায়ানমারর বৌদ্ধ ভিক্ষুরা রেঙ্গুনে অনশন কর্মসূচীতেও নেমেছিল (১৯৫৪ সনের অনশন কর্মসূচীটা বেশ বড় ছিল)। কয়েক হাজার ভিক্ষু অনশন করছে। কেন? ভাই এই রোহিঙ্গা মুজাহিদদের হাত থেকে আমাদেরকে বাঁচান। আবার মায়ানমারর সেনাবাহিনী যখন মুজাহিদদের বিরুদ্ধে অভিযান চালায় তখন কিছু সংখ্যক নিরীহ রোহিঙ্গাও অত্যাচারের শিকার হয়। এইভাবে চলতে থাকে বছরের পর বছর।

এইরকম একটা বড় জ্বেহাদি গ্রুপ গঠিত হয়েছিল জাফর কাওয়ালের নেতৃত্বে আমাদের স্বাধীনতার পর পর। বেশ বড় সংগঠন ছিল জাফর কাওয়ালের। কয়েক বছর পরে ওরা যখন সারেন্ডার করে তখন সারেন্ডারকারীদের সংখ্যাই ছিল তিনশ নাকি চারশ।

জাফর কাওয়ালের নাম কেন বলছি, কারণ এই জাফর কাওয়ালের সময় থেকেই রোহিঙ্গাদের মধ্যে মুসলিম মৌলবাদী লাইনে (আমাদের দেশের জামাতিদের লাইনে) রাজনৈতিক মেরুকরণ হতে থাকে। ততদিনে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়ে গেছে এবং রোহিঙ্গাদেরও আর রাখাইন প্রদেশ নিয়ে মুসলিম রাষ্ট্র পাকিস্তানে যোগ দেওয়ার সুযোগ থাকলো না। ওরা তখন বিশ্বব্যাপী ইসলামি বিপ্লবের লাইনে রওনা দিল।

জাফর কাওয়াল আত্মসমর্পণ করেছে- জাফর কাওয়ালের পরে আরও এইরকম কয়েকটা গ্রুপ আত্মসমর্পণ করেছে। এখান রোহিঙ্গাদের মধ্যে যে কয়েকটা সশস্ত্র গ্রুপ আছে এরা সকলেই রেডিক্যাল মুসলিম লাইনের দল। এদের কয়েকটা গ্রুপের সাথে আল কায়দার যোগাযোগ ছিল বলে একটা খবর ছিল। আর আমাদের দেশের মুসলিম জঙ্গিবাদী দলগুলির সাথে যে রোহিঙ্গা গ্রুপগুলির সংযোগ সে তো আপনারা জানেনই।


এইসব কথা কেন বলছি? নিরীহ রোহিঙ্গাদেরকে নির্বিচারে অত্যাচার করাকে জাস্টিফাই করার জন্যে? না। এইসব কথা বলছি কারণ রোহিঙ্গা সমস্যার স্বরূপটা আমাদের জানা দরকার। আমাদের দেশের একদল লোক রোহিঙ্গা সমস্যাকে মুসলিমদের সাথে বৌদ্ধদের বিবাদ হিসাবে দেখিয়ে উত্তেজনা তৈরি করতে চায়। এতো সরলীকরণ করলে হবে না। সবার আগে যে কথাটা আমাদেরকে মাথায় রাখতে হবে মায়ানমারের রোহিঙ্গারা সেখানকারই একটা এথনিক গ্রুপ। সংখ্যায় যত কমই হোক, ওদের অধিকার আছে সেই দেশের নাগরিক হিসাবে সেখানেই মর্যাদার সাথে বসবাস করার আর সেই দেশের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করার। কেবলমাত্র রোহিঙ্গা বলেই ওদের সাথে রাষ্ট্র বৈষম্য করবে সেটা তো অন্যায়।

আর এই যে আমরা রোহিঙ্গাদের বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার খবর পাই, রোহিঙ্গা হত্যার খবর পাই সে যে অন্যায় সেটা তো আর নানা রকমভাবে ব্যাখ্যা করে বলার দরকার নাই। কিন্তু ওদের সেই দুর্দশা তো আপনি ফটোশপ করে বা বানানো ফটো পোস্ট করে সমাধান করতে পারবেন না। এইসব করে আপনি এখানে দাঙ্গা লাগাতে পারবেন, তাতে রোহিঙ্গাদের বিশেষ কোন লাভ হবার তো কোন সম্ভাবনা দেখি না। ওদের জন্যে যদি কিছু করতে চান আমাদের সরকারকে পদক্ষেপ নিতে হবে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক নানা পর্যায়ে সমস্যাটি তুলে ধরার জন্যে। আন্তর্জাতিক চাপ উপেক্ষা করা মায়ানমারের পুরনো অভ্যাস। কিন্তু মায়ানমারও তো পাল্টাচ্ছে। আঞ্চলিক আর আন্তর্জাতিক চাপ সৃষ্টি করা ছাড়া আপনি মায়ানমারের বিরুদ্ধে আর কি করতে পারেন?

আর প্রতিবাদ সে তো করতেই হবে। অন্যায়ের প্রতিবাদ করা তো আমাদের সকলেরই দায়িত্ব। প্রতিবাদও করতে হবে যেন মায়ানমারের শাসকরা বুঝতে পারে বিশ্বের মানুষ এই অন্যায় সহ্য করবে না। কিন্তু আমরা যখন রোহিঙ্গাদের এই মানবিক বিপর্যয়ের প্রতিবাদ করবো সেটা যেন ওদের মৌলবাদী সশস্ত্র গ্রুপগুলির প্রতি নৈতিক সমর্থনে রূপ পরিগ্রহ না করে সেটাও তো একটু খেয়াল রাখা দরকার। দুনিয়ার যেখানেই এইসব জিহাদীরা সন্ত্রাসের পথে নেমেছে তার কোনটাই কি শেষ বিচারে মানুষের পক্ষে গেছে?

রোহিঙ্গাদের প্রতি অন্যায় মানুষের প্রতি অন্যায়। মেহেরবানী করে এটাকে আপনাদের ইসলামী আন্দোলনের সাথে মিলিয়ে নিবেন না। তাইলে এই অসহায় জনগোষ্ঠীটি সারা দুনিয়ার মানুষের সহমর্মিতা হারাবে।

ইমতিয়াজ মাহমুদ, অ্যাডভোকেট, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট। ইমেইল: [email protected]

মুক্তমত বিভাগে প্রকাশিত লেখার বিষয়, মতামত, মন্তব্য লেখকের একান্ত নিজস্ব। sylhettoday24.com-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে যার মিল আছে এমন সিদ্ধান্তে আসার কোন যৌক্তিকতা সর্বক্ষেত্রে নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে sylhettoday24.com আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় গ্রহণ করে না।

আপনার মন্তব্য

লেখক তালিকা অঞ্জন আচার্য অধ্যাপক ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী ৪৮ অসীম চক্রবর্তী আজম খান ১১ আজমিনা আফরিন তোড়া ১০ আনোয়ারুল হক হেলাল আফসানা বেগম আবদুল গাফফার চৌধুরী আবু এম ইউসুফ আবু সাঈদ আহমেদ আব্দুল করিম কিম ৩২ আব্দুল্লাহ আল নোমান আব্দুল্লাহ হারুন জুয়েল ১০ আমিনা আইরিন আরশাদ খান আরিফ জেবতিক ১৭ আরিফ রহমান ১৬ আরিফুর রহমান আলমগীর নিষাদ আলমগীর শাহরিয়ার ৫৪ আশরাফ মাহমুদ আশিক শাওন ইনাম আহমদ চৌধুরী ইমতিয়াজ মাহমুদ ৭১ ইয়ামেন এম হক এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন একুশ তাপাদার এখলাসুর রহমান ৩৭ এনামুল হক এনাম ৪২ এমদাদুল হক তুহিন ১৯ এস এম নাদিম মাহমুদ ৩৩ ওমর ফারুক লুক্স কবির য়াহমদ ৬৩ কাজল দাস ১০ কাজী মাহবুব হাসান কেশব কুমার অধিকারী খুরশীদ শাম্মী ১৭ গোঁসাই পাহ্‌লভী ১৪ চিররঞ্জন সরকার ৩৫ জফির সেতু জহিরুল হক বাপি ৪৪ জহিরুল হক মজুমদার জাকিয়া সুলতানা মুক্তা জান্নাতুল মাওয়া জাহিদ নেওয়াজ খান জুনাইদ আহমেদ পলক জুয়েল রাজ ১০২ ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন ১২ ড. কাবেরী গায়েন ২৩ ড. শাখাওয়াৎ নয়ন ড. শামীম আহমেদ ৪১ ডা. আতিকুজ্জামান ফিলিপ ২০ ডা. সাঈদ এনাম ডোরা প্রেন্টিস তপু সৌমেন তসলিমা নাসরিন তানবীরা তালুকদার তোফায়েল আহমেদ ৩১ দিব্যেন্দু দ্বীপ দেব দুলাল গুহ দেব প্রসাদ দেবু দেবজ্যোতি দেবু ২৭ নাজমুল হাসান ২৪ নিখিল নীল পাপলু বাঙ্গালী পুলক ঘটক প্রফেসর ড. মো. আতী উল্লাহ ফকির ইলিয়াস ২৪ ফজলুল বারী ৬২ ফড়িং ক্যামেলিয়া ফরিদ আহমেদ ৪২ ফারজানা কবীর খান স্নিগ্ধা বদরুল আলম বন্যা আহমেদ বিজন সরকার বিপ্লব কর্মকার ব্যারিস্টার জাকির হোসেন ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ ১৮ ভায়লেট হালদার মারজিয়া প্রভা মাসকাওয়াথ আহসান ১৯০ মাসুদ পারভেজ মাহমুদুল হক মুন্সী মিলন ফারাবী মুনীর উদ্দীন শামীম ১০ মুহম্মদ জাফর ইকবাল ১৫৩ মো. মাহমুদুর রহমান মো. সাখাওয়াত হোসেন মোছাদ্দিক উজ্জ্বল মোনাজ হক ১৪ রণেশ মৈত্র ১৮৩ রতন কুমার সমাদ্দার রহিম আব্দুর রহিম ৫৫ রাজু আহমেদ ১৬ রাজেশ পাল ২৮ রুমী আহমেদ রেজা ঘটক ৩৮ লীনা পারভীন শওগাত আলী সাগর শাওন মাহমুদ