আজ বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪

Advertise

আবুসিনা ছাত্রাবাস ভবন সংরক্ষণ কেন জরুরি

আব্দুল করিম কিম  

সিলেট নগরীর কেন্দ্রস্থল চৌহাট্টা-ওসমানী মেডিকেল কলেজ রোডে ঐতিহাসিক আলিয়া মাদ্রাসা মাঠের দক্ষিণপ্রান্তে শত বছর প্রাচীন স্থাপত্য 'আবুসিনা ছাত্রাবাস ভবন'। এই ভবনটি সিলেটের শত বছর পূর্বের ইতিহাস ঐতিহ্যের স্মারক। শুধুমাত্র তাই নয় মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত এই ভবনটি।

সম্প্রতি কোনরূপ গণশুনানি ব্যতীত গোপনীয়ভাবে আদি-স্থাপত্যের এই ভবনটি ভেঙে সিলেট জেলা সদর হাসপাতালের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট ১৫তলা ভবন নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। শত বছর প্রাচীন এই স্থাপনা সংরক্ষণ করা যেখানে জরুরী ছিল, সেখানে তা ভেঙে ফেলা শুরু হলে স্থানীয় ও জাতীয় গণমাধ্যমে তা প্রচারিত হয়। তখন সিলেটের নানা শ্রেণিপেশার বিশিষ্ট নাগরিকেরা তা সংরক্ষণ করার দাবি তোলেন এবং এই ভবন রক্ষার দাবিতে একাধিক কর্মসূচি পালন করা হয়।

ভবনটির ইতিহাস-ঐতিহ্য ও স্থাপত্যমূল্য
সিলেট নগরীর কেন্দ্রস্থল ঐতিহাসিক আলিয়া মাদ্রাসা মাঠের দক্ষিণ পাশে সোয়া তিন একর জায়গা জুড়ে প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের মিশেলে আসাম প্যাটার্নের একতলা ইংরেজি বর্ণ ড় আকৃতির বিশাল ভবনটি ভবনটির স্থাপত্যরীতি দৃষ্টিনন্দন। এক সময় সিলেট শহরে এমন রীতিতে বাড়িঘর তৈরি করা হত। ১৮৫০ সালে এই ভবনের প্রথমপর্বের নির্মাণ কাজ শুরু হয়। মিশনারিদের উদ্যোগে এখানে সর্বপ্রথম স্বাস্থ্যসেবা দেয়া হয়। ১৮৭৬ সালে ১ জানুয়ারি এখান থেকেই প্যারীচরণ দাস প্রকাশ করেন সিলেটের প্রথম সংবাদপত্র ‘শ্রীহট্ট প্রকাশ’।

১৯১৪ থেকে ১৯১৮ সালে প্রথম বিশ্বযুদ্ধকালে এই ভবন সেনা ছাউনি হিসাবে ব্যবহৃত হয়েছে। ১৯৩৪ সালে সিলেটে আসাম অঞ্চলের প্রথম মেডিকেল কলেজ নির্মাণ করার প্রস্তাব এলেও তা ডিব্রুগড়ে স্থানান্তরিত হয়। পরে ১৯৩৬ সালে এ বাড়িতে চিকিৎসাসেবার জন্য ছোট পরিসরে হাসপাতাল ও মেডিকেল স্কুল চালু হয়। দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের সময় এ হাসপাতালের বর্ধিতাংশে বার্মা-ইংরেজ সৈনিকদের চিকিৎসা দানের লক্ষ্যে মিলিটারি হাসপাতাল চালু করা হয়। ১৯৪৮ সালে এ ভবনে মেডিকেল শিক্ষাদানের জন্য নির্মাণ করা হয় ‘লাইসেন্সড মেডিকেল ফ্যাকাল্টি’ (এলএমএফ)।

এই ভবনের মিলনায়তন পঞ্চাশ ও ষাটের দশকে সিলেটের সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে ব্যবহৃত হয়েছে। ১৯৫৫ সালে এই ভবনের মিলনায়তনে সুর সম্রাট ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ শাস্ত্রীয় সংগীত পরিবেশন করেন। ১৯৬২ সালে পাকিস্তান সরকার মেডিকেল স্কুলকে মেডিকেল কলেজে রূপান্তর করে।

মুক্তিযুদ্ধে ভবনটির সম্পৃক্ততা
মুক্তিযুদ্ধে শহীদ বুদ্ধিজীবী প্রফেসর ডা. শামসুদ্দীন আহমদ এই মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল চত্বরেই গণহত্যার শিকার হয়েছিলেন। তিনি ছিলেন এই মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের শল্য বিভাগের অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান (১৯৬৯-১৯৭১)।
১৯৭১ সালরে ৯ এপ্রিল দায়িত্ব পালনকালে পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে প্রফেসর ডা. শামসুদ্দীন আহমদ, ডা. শ্যামল কান্তি লালা, নার্স মাহমুদুর রহমান, পিয়ন মো. মুহিবুর রহমান ও মোখলছেুর রহমান, অ্যাম্বুলেন্স ড্রাইভার কোরবান আলী সহ মোট নয়জন নির্মমভাবে শহীদ হয়েছিলেন।

ভবনটির বর্তমান অবস্থা
স্বাধীনতার পর ১৯৭৮-৭৯ সালে হাসপাতালটি পরিপূর্ণভাবে কাজলহাওরে স্থানান্তরিত হলে পরিত্যক্ত ভবনটিকে ‘আবুসিনা ছাত্রাবাস’ হিসাবে মেডিকেল ছাত্রদের জন্য আবাসিক হোস্টেল হিসাবে ব্যবহার করা শুরু হয়। ২০১২ সালে সিলেট বিভাগীয় মিউজিয়ামের জন্য জায়গা খোঁজা শুরু হলে এই ভবনটিকে যাদুঘর করার প্রস্তাব দিয়ে স্থানীয় সংবাদপত্রে কলাম লিখি। বিভাগীয় যাদুঘর কমিটির অন্যতম সদস্য ড. মোস্তাফা শাহজামান চৌধুরী বাহার বিভাগীয় মিউজিয়ামের জন্য এ সময় এই ভবনের নাম প্রস্তাব করেন। কিন্তু ছাত্রাবাস হিসাবে ব্যবহার হচ্ছে বলে এ ভবনের নাম অনুমোদন হয় না। নগরীর কুমারগাও এলাকায় বিভাগীয় যাদুঘরের জন্য একটি জায়গা প্রাথমিক ভাবে নির্ধারণ করা হয়। যদিও ২০১৩ সালের রাজনৈতিক অস্থিরতা ও সরকারের নতুন মেয়াদকালে বিভাগীয় যাদুঘর নির্মাণের বিষয়টি ধামাচাপা পড়ে যায়।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্বে সিলেটে একাধিক প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অনেক প্রকল্পের সাথে ২৫০ শয্যার জেলা হাসপাতাল নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর এসময় স্থাপন করা হয়। কিন্তু এই আদি-ঐতিহ্যের ভবন ভেঙে জেলা হাসপাতাল নির্মাণের তথ্য স্থানীয় বা জাতীয় কোন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ করা হয়নি। বিষয়টি সম্পূর্ণরূপে গোপন রাখা হয়েছে।

সম্প্রতি ভবনটি খালি করে দেয়া হয়। এখানে অবস্থানরত ওসমানী মেডিকেল কলেজের ছাত্রদের অন্যত্র স্থানান্তর করা হয়। ভবনটির সামনের অংশ টিন দিয়ে আড়াল করে ভবনের একাংশ ভেঙে ভেতরের মাঠে নির্মাণ সামগ্রী স্তূপাকার করা হয় ও ভবনটির সামান্য অংশ ভেঙে সেসব মাল ভেতরের মাঠে নেওয়া হয়।

ভবনটি কি ব্যাবহার অনুপযোগী?
ভবনটির বর্তমান অবস্থা ও এর স্থাপত্যরীতি নিয়ে শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থাপত্য বিভাগ একটি গবেষণাপত্র তৈরি করে। সেই গবেষণাপত্রে ভবনটিকে সংরক্ষণ উপযোগী বলা হয়।
 
বাংলাদেশের প্রত্নতাত্ত্বিক আইনে শত বছরের প্রাচীন ভবন ভেঙে ফেলতে হলে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের ছাড়পত্র নিতে হয়। অধিদপ্তরের ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিকমূল্য বিবেচনায় নিয়ে ভাঙার অনুমতি প্রদান করে অথবা তা তালিকাভুক্ত করে নেয়। দুঃখের বিষয় এই ভবনটির কাস্টডিয়ান ওসমানী মেডিকেল কলেজ বা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কেউই ভবনটিকে তালিকাভুক্ত করার কোন উদ্যোগ নেননি। সিলেটে এতো এতো সংবাদমাধ্যম থাকা স্বত্বেও এই ভবন ধ্বসে পড়ার কোন সংবাদ কোথাও প্রকাশ হতে দেখা যায়নি।

এই অবস্থায় কয়েক কোটি টাকা মূল্যের ভবনটিকে নামমাত্র মূল্যে ভেঙে ফেলার টেন্ডার হয়েছে। ইতিহাস-ঐতিহ্য-মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি যাদের কাছে কোন আবেদন রাখে না তারা ভবনটি ভেঙে ফেলতে বিভিন্ন অপতৎপরতা শুরু করেছে। অপপ্রচার চলছে ভবন স্থানান্তর করা হলে, জেলা হাসপাতাল নির্মাণের টাকা ফেরত চলে যাবে।

আমাদের প্রশ্ন হচ্ছে, বর্তমান সরকারের নীতিনির্ধারণী মহলে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ নেতা ও মন্ত্রী থাকা সত্বেও একটি ন্যায়সংগত কারণে জায়গা পরিবর্তনের হেতু হাসপাতালের টাকা কেন ফেরত যাবে? সিলেটের সর্বজন শ্রদ্ধেয় সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত যেখানে ভবনটি সংরক্ষণের পক্ষে মতামত দিয়েছেন, সেখানে মাননীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনকে কে বা কারা ভুল তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করছে?

ভবনটি সংরক্ষণ করার প্রয়োজনীয়তা
সিলেট বাংলাদেশের অন্যতম ইতিহাস ঐতিহ্য সমৃদ্ধ নগর। সাত’শত বছর পূর্বে হযরত শাহজালাল (রহ.)-এর সিলেট আগমনের পূর্বেও এখানে প্রাচীন বসতি ছিল। স্বাধীন হিন্দু রাজাদের রাজধানী হিসাবে সুরমা নদীর তীরে গড়ে উঠেছিল প্রাচীন শ্রীহট্ট। দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য সিলেট ভূকম্পপ্রবণ এলাকা হওয়ায় ১৮৬৯ ও ১৮৯৭ সালের ভূমিকম্পে হাজার বছরের পুরনো বিভিন্ন শাসনামলের প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনাগুলো ধ্বংস হয়। টিকে থাকা হাতেগোনা কিছু প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন অজ্ঞতা ও অসচেতনতার কারণে বিনষ্ট হতে চলেছে।

প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন একটি জাতির ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির ধারক ও বাহক হিসেবে পরিগণিত। বাংলাদেশের হাজার বছরের ইতিহাস, জাতিসত্তা বিকাশের সুদীর্ঘ পথ-পরিক্রমা উদঘাটনে প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনগুলো অনন্য ভূমিকা পালন করে। এই ভবনটি সংরক্ষণ করে ভবনটিকে বিভাগীয় যাদুঘর হিসাবে ব্যবহার করা যেতে পারে। ভবনটির অবস্থান নগরের কেন্দ্রস্থলে এবং পর্যটকদের প্রধান আকর্ষণ দরগা-ই-হযরত শাহজালাল (রহ.)-এর একবারেই সন্নিকটে হওয়ায় এখানে যাদুঘর প্রতিষ্ঠা করাই যুক্তিসংগত। কোন কারণে যদি যাদুঘরের চিন্তা না করাই হয় তবুও ভবনটি সংরক্ষণ করে সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজেও যেন তা ব্যবহার করা হয়। যদিও সিলেট শহরে শিশুদের যথাযথভাবে বিকাশ উপযোগী কোন পার্ক বা ইতিহাস জানার মতো যথার্থ কোন জায়গা নেই, সেই কারণে এই ভবনটি জনগণের প্রয়োজনেই ব্যবহার করা যেত।

হাসপাতালের জন্য কি বিকল্প স্থানের অভাব
একটি এলাকায় সরকারি হাসপাতাল মানুষের চিকিৎসার প্রধান কেন্দ্র এবং শুধুমাত্র ওসমানী হাসপাতাল এই প্রয়োজনীয়তা পূরণ করতে পারছে না। তাই স্বাস্থ্যসেবাকে উন্নত করার জন্য সরকারি হাসপাতাল অত্যন্ত জরুরী। কিন্তু জনবহুল চৌহাট্টা-মেডিকেল কলেজ রোডের এইস্থানে ১৫ তলা হাসপাতাল নির্মাণ করা হলে ট্র্যাফিক জ্যামের জন্যও রোগীরা বিড়ম্বনার মধ্যে পড়বেন। এই ভবনের গা ঘেঁষেই রয়েছে ১০০ শয্যার শহীদ ডা. শামসুদ্দীন আহমদ সদর হাসপাতাল। প্রস্তাবিত হাসপাতালটির গা ঘেঁষে আছে সিলেট জেলা স্টেডিয়াম। খেলা চলাকালে ফ্লাডলাইটের আলো ও দর্শকের চিৎকার হাসপাতালের জন্য সুবিবেচনার নয়। আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে অনুষ্ঠিত রাজনৈতিক দলের সভা ও ওয়াজ মাহফিল রোগীদের জন্য সমস্যা সৃষ্টি করবে। নগর পরিকল্পনাবিদদের পরামর্শ না নিয়ে এই হাসপাতাল নির্মাণ ভবিষ্যতে সমস্যা সৃষ্টি করবে।

হাসপাতাল সিলেট মহানগরীর বর্ধিত অংশে নির্মাণ করা হলে, তা দূরবর্তী রোগীদের উপকারে আসবে। ২৫০ শয্যার প্রস্তাবিত হাসপাতালটি টুকেরবাজার বা বাদাঘাট এলাকায় নির্মাণ করা হলে সুনামগঞ্জ থেকে আসা রোগীদের জন্য দ্রুত সেবা পাওয়ার সুযোগ হয়। এছাড়াও হাসপাতালটি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মালিকানাধীন বিভিন্ন জায়গা বেদখল হয়ে আছে সেসব জায়গায় স্থানান্তর করা সম্ভব।

এমতাবস্থায় ভবনটি সংরক্ষণের জন্য চলমান আন্দোলনে আপনাদের বিচক্ষণ সহযোগিতা ও দিক-নির্দেশনা প্রত্যাশা করছি। পাশাপাশি এই প্রত্যয় ব্যক্ত করছি, প্রায় শত বছরের প্রাচীন ঐতিহাসিক স্থাপনা ‘আবু সিনা ছাত্রাবাস ভবন’ সংরক্ষণ করে সিলেট বিভাগীয় যাদুঘর ঘোষণা ও ২৫০ শয্যার হাসপাতাল বিকল্প স্থানে নির্মাণের আন্দোলন চলমান রাখার।

আব্দুল করিম কিম, সমন্বয়ক, সিলেটের ইতিহাস-ঐতিহ্য-সংস্কৃতি ও প্রকৃতি রক্ষা পরিষদ।

মুক্তমত বিভাগে প্রকাশিত লেখার বিষয়, মতামত, মন্তব্য লেখকের একান্ত নিজস্ব। sylhettoday24.com-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে যার মিল আছে এমন সিদ্ধান্তে আসার কোন যৌক্তিকতা সর্বক্ষেত্রে নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে sylhettoday24.com আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় গ্রহণ করে না।

আপনার মন্তব্য

লেখক তালিকা অঞ্জন আচার্য অধ্যাপক ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী ৪৮ অসীম চক্রবর্তী আজম খান ১১ আজমিনা আফরিন তোড়া ১০ আনোয়ারুল হক হেলাল আফসানা বেগম আবদুল গাফফার চৌধুরী আবু এম ইউসুফ আবু সাঈদ আহমেদ আব্দুল করিম কিম ৩২ আব্দুল্লাহ আল নোমান আব্দুল্লাহ হারুন জুয়েল ১০ আমিনা আইরিন আরশাদ খান আরিফ জেবতিক ১৭ আরিফ রহমান ১৬ আরিফুর রহমান আলমগীর নিষাদ আলমগীর শাহরিয়ার ৫৪ আশরাফ মাহমুদ আশিক শাওন ইনাম আহমদ চৌধুরী ইমতিয়াজ মাহমুদ ৭১ ইয়ামেন এম হক এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন একুশ তাপাদার এখলাসুর রহমান ৩৭ এনামুল হক এনাম ৪২ এমদাদুল হক তুহিন ১৯ এস এম নাদিম মাহমুদ ৩৩ ওমর ফারুক লুক্স কবির য়াহমদ ৬৩ কাজল দাস ১০ কাজী মাহবুব হাসান কেশব কুমার অধিকারী খুরশীদ শাম্মী ১৭ গোঁসাই পাহ্‌লভী ১৪ চিররঞ্জন সরকার ৩৫ জফির সেতু জহিরুল হক বাপি ৪৪ জহিরুল হক মজুমদার জাকিয়া সুলতানা মুক্তা জান্নাতুল মাওয়া জাহিদ নেওয়াজ খান জুনাইদ আহমেদ পলক জুয়েল রাজ ১০২ ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন ১২ ড. কাবেরী গায়েন ২৩ ড. শাখাওয়াৎ নয়ন ড. শামীম আহমেদ ৪১ ডা. আতিকুজ্জামান ফিলিপ ২০ ডা. সাঈদ এনাম ডোরা প্রেন্টিস তপু সৌমেন তসলিমা নাসরিন তানবীরা তালুকদার তোফায়েল আহমেদ ৩১ দিব্যেন্দু দ্বীপ দেব দুলাল গুহ দেব প্রসাদ দেবু দেবজ্যোতি দেবু ২৭ নাজমুল হাসান ২৪ নিখিল নীল পাপলু বাঙ্গালী পুলক ঘটক প্রফেসর ড. মো. আতী উল্লাহ ফকির ইলিয়াস ২৪ ফজলুল বারী ৬২ ফড়িং ক্যামেলিয়া ফরিদ আহমেদ ৪২ ফারজানা কবীর খান স্নিগ্ধা বদরুল আলম বন্যা আহমেদ বিজন সরকার বিপ্লব কর্মকার ব্যারিস্টার জাকির হোসেন ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ ১৮ ভায়লেট হালদার মারজিয়া প্রভা মাসকাওয়াথ আহসান ১৯০ মাসুদ পারভেজ মাহমুদুল হক মুন্সী মিলন ফারাবী মুনীর উদ্দীন শামীম ১০ মুহম্মদ জাফর ইকবাল ১৫৩ মো. মাহমুদুর রহমান মো. সাখাওয়াত হোসেন মোছাদ্দিক উজ্জ্বল মোনাজ হক ১৪ রণেশ মৈত্র ১৮৩ রতন কুমার সমাদ্দার রহিম আব্দুর রহিম ৫৫ রাজু আহমেদ ১৬ রাজেশ পাল ২৮ রুমী আহমেদ রেজা ঘটক ৩৮ লীনা পারভীন শওগাত আলী সাগর শাওন মাহমুদ