আজ বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪

Advertise

একজন বাতিঘর, জাফর ইকবাল

আজমিনা আফরিন তোড়া  

কলিংবেল বাজার প্রায় সাথেসাথেই দরজা খুলে গেলো। দরজায় আবির্ভূত হলো খুব পরিচিত এক মুখ, পরিচয় যদিও কখনো সামনা সামনি নয়, টেলিভিশন-পেপার পত্রিকা আর বইয়ের ফ্ল্যাপেই যাকে চিনেছি— নাকের নিচে ঝাঁটার মত গোঁফ, চোখে চশমা, সাদা-পাকা অগোছালো চুল! সবার পরিচিত ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল। যেন দরজার ওপাশে প্রস্তুত হয়েই ছিলেন আমরা আসব বলে। আমাদের দেখে বাচ্চাদের মত খুশি হলেন আবার খানিকটা লজ্জাও যেন পেলেন। বলছি ২৩ ডিসেম্বরের কথা, স্যারের জন্মদিনের কথা।

আমাদের মধ্যে কেউই স্যারের সাথে এর আগে সামনা-সামনি কথা বলেনি। কেবল বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘সাংস্কৃতিক সংগঠন কর্মী’ পরিচয় দেয়াতেই আমাদের পিঠ চাপড়ে নিয়ে বসালেন সোজা নিজের ড্রইং রুমে। এই হলেন আমাদের স্যার। বলা নেই, কওয়া নেই, চেনা-পরিচয় নেই— কেবল তাঁর শিক্ষার্থী পরিচয় দিলেই বুকের কাছে নিয়ে বসেন, স্বপ্নের গল্প, স্বপ্ন দেখবার গল্প শোনান। এত দীর্ঘদিন থেকে বারবার হত্যার হুমকি, প্রতিক্রিয়াশীল শক্তি কর্তৃক প্রকাশিত হিটলিস্টের শীর্ষে তার নাম থাকা, উড়ো চিঠিতে হত্যার হুমকি, এমনকি কাফনের কাপড় পর্যন্ত পেয়ে আসছেন নিয়মিত। অথচ ছাত্র-ছাত্রীদের প্রতি তার এত আস্থা আর মমতা যে নিজের ঘরে পর্যন্ত নিয়ে যেতে তার বুক কাঁপেনি কোনো দিন। স্যার যে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ান একই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুবাদে আমাকে সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী হলে থাকতে হয়। সৌভাগ্যবশত স্যার যে কোয়ার্টারে থাকেন সেখান থেকে আমাদের হলের দূরত্ব বড়জোর ২০ গজ।

মনে পড়ে ২০১৪ সালের ঘটনা। সেদিন কোন এক রাজাকারের ফাঁসির রায় হয়েছে। আমরা সবাই জানি যুদ্ধাপরাধীদের বিপক্ষে স্যারের শক্ত অবস্থান। তাই ফাঁসির রায় হওয়াতে স্যার স্বভাবতই খুশি। স্যারের কণ্ঠেই জাতি আর একবার শিখেছে, “ক-তে কাদের মোল্লা, তুই রাজাকার তুই রাজাকার”। “ন- তে নিজামী, তুই রাজাকার তুই রাজাকার”।

সেদিন রাত আনুমানিক ৯/৯.৩০ টা হবে। কে বা কারা স্যারের বাড়ির পেছনের বারান্দায় পর পর ৩ টা হাত বোমা ফুটিয়ে পালিয়ে গেলো। আমাদের ক্যাম্পাসে সীমানা প্রাচীর না থাকায় সেদিনও দুর্বৃত্তরা অন্ধকারে মিলিয়ে গেলো! আপনার আমার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটলে ঘটনার পর কী করতাম আমরা? ভয়ে ঘরে সিটিয়ে থাকতাম, নয়ত পুলিশের আশ্রয় নিতাম, বা অন্য কোনো নিরাপদ আশ্রয়ে আত্মগোপন করতাম। কিন্তু এই স্বপ্নদ্রষ্টা সেদিন কী করেছিলেন, জানেন? তিনি আর তার সহধর্মিণী ড. ইয়াসমিন হক ম্যাম হামলার পরপরই কোয়র্টার থেকে বের হয়ে অল্প দূরত্বে অবস্থিত আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী হল দুটিতে ছুটে এসে খোঁজ নেন আমরা ভাল আছি কি না। ঐদিনের স্যারের কথাগুলো মনে পড়ে, “তোমরা ভয় পেয়েছো? ভয় পেয়ো না। ওরা কিচ্ছু করতে পারবে না আমাদের। ওরা ’৭১ এ আমাদের হারাতে পারেনি, এখনো পারবে না!” সেদিন ২য় বর্ষের ছাত্রী হয়ে আমার বড় অবাক লেগেছে! এমন একটা অবস্থায় আমাদের খবর নেয়ার জন্য আমাদের লোকাল গার্ডিয়ান হিসেবে নিজেদের পরিচয় দিতেই যারা বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন সেই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, হল প্রভোস্ট কেউ সশরীরে হলে আসা তো দূরে থাক, একটা ফোন পর্যন্ত দেন নি, সেখানে কী করে এই দুজন মানুষ জীবনের মায়া দূরে ঠেলে আমাদের খোঁজ নিতে এসেছেন যেখানে আমরা সুরক্ষিত ছিলাম হলের ভেতর! বুক ভর্তি ভালোবাসা না থাকলে এতটা বোধ হয় করা সম্ভব না!


সেইশুরু। এরপর থেকে ক্যাম্পাসের কোথায় পাইনি এই জাফর-ইয়াসমিন দম্পতিকে! শিক্ষার্থীবান্ধব যে কোন ন্যায্য দাবিতে আশীর্বাদের মত শক্ত সমর্থন ছিল এই দুটি মানুষের। কোন মেয়ে ক্যাম্পাসে বা বাইরে যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছে, জাফর দম্পতি আছেন সাথে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার ফরমের অযাচিত মূল্য বেড়েছে? জাফর দম্পতি আছেন সাথে। মেধাবিহীন শিক্ষার্থী ভর্তি হবে বিশ্ববিদ্যালয়ে, তাও আবার শিক্ষক/কর্মকর্তাদের সন্তান হওয়ার সুবাদে? আপোষহীন প্রতিবাদে কোটাবিরোধী আন্দোলনে জাফর দম্পতি আছেন ছাত্রদের সাথে। প্রতি বছর সারা দেশের বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তিচ্ছুদের শিক্ষার্থীদের কথা কেউ ভাবে না। তাদের অর্থ দণ্ড, দিশাহীনের মত নির্ঘুম রাত কাটিয়ে সারারাত জার্নি করে এক-এক বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা দেয়া। কেউ ভাবেন নি, একা এই জাফর ইকবাল কথা বলে গিয়েছেন দিনের পর দিন সমন্বিত পরীক্ষা পদ্ধতির কথা। এ তো গেল আমার দেখা শাবিপ্রবিতে কাটানো তাদের পাঁচ বছর। তার আগের কথা না হয় নাই বা বললাম।

৩২০ একর মাটিতে ন্যায় যে কোনো যুক্তিসঙ্গত কাজের সাথে কেউ থাক বা না থাক, জাফর দম্পতি আছেন সাথে। এই শাবিপ্রবির ক্যাম্পাসের বাইরে কখনো এই দম্পতিকে সিলেটের কোন বিষয়ে কোন নাক গলাতে দেখি নি। তবু এলাকাবাসীর তার উপর ক্ষোভের সীমা নেই। নীতির আদর্শে এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনার প্রশ্নে আপোষহীন জন্যই বোধ হয় তার প্রতি এলাকাবাসীর এত ক্ষোভ! শাবিপ্রবিতে যেবার মুক্তিযুদ্ধের ভাস্কর্য (যা এলাকাবাসীর ভাষ্যমতে মূর্তি) নির্মাণের কথা উঠল, কেবল জাফর দম্পতির বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করল সিলেটবাসী। যেন জাফর ইকবাল নিজের গাঁটের পয়সা খরচ করে ভাস্কর্য তৈরি করতে যাচ্ছেন। আর ঘুণে ধরা মেরুদণ্ডহীন প্রশাসন উগ্রপন্থীদের হাস্যকর সেই দাবি মেনে নিল। শাবিপ্রবি বঞ্চিত হল দেশের উচ্চতম মুক্তিযুদ্ধের ভাস্কর্য থেকে।

সিলেট শহরে বা দেশের অন্য কোথাও দেখি নি স্যারকে এমন খোলামেলা ঘোরাফেরা করতে। যেখানে যান, নিরাপত্তা বলয়ে ঘেরা অবস্থায়ই যান। অথচ সারা ক্যাম্পাস উনি পায়ে হেঁটেই বেড়ান। এক শাবিপ্রবির ক্যাম্পাসেই বুঝি উনি নিজেকে সুরক্ষিত মনে করতেন। আরে, সব তো ওনারই ছাত্র। কে মারবে তাকে? আশেপাশে তার এত এত ছাত্র! এর চেয়ে বেশি নিরাপদ তিনি আর কোথায় হতে পারেন? মাথায় আঘাতের পরও তাই বিশ্বাস করতে পারেন নি বাইরের কাউ তাকে আঘাত করতে পারে! ওই অবস্থাতেও আমাদের অনুরোধ করে গেছেন, “যে ছেলেটা আমার উপর হামলা চালিয়েছে, তাকে কিছু করো না। আগে খোঁজ নাও ও আমার ছাত্র কিনা”।


আজ জাফর স্যারের উপর হামলা হয়েছে, সারা দেশ থেকে আওয়াজ উঠেছে। মাঝ রাতে না ঘুমিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে মানুষ জড়ো হয়েছে। গণজাগরণ মঞ্চ মিছিল করেছে তৎক্ষণাৎ, সারা দেশের স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সমাবেশ মিছিল করেছে, করছে। সমাজের বিভিন্ন অঙ্গন থেকে আওয়াজ এসেছে, সাথে আমরা স্যারের ছাত্র-ছাত্রীরা তো আছিই! কিন্তু এই আঘাতই কি প্রথম আঘাত ছিলো? স্যারকে যে কারণে আঘাত করা হয়েছে একই কারণে আঘাত করা হয়েছিল অভিজিৎ, রাজীব, অনন্তদের। আমরা সেদিন গুটিকয়েক মানুষ আওয়াজ তুলেছিলাম ‘মুক্তচিন্তা মুক্তি পাক’ বলে। প্রতিটি আঘাতে আমরা আজকের মত যদি সমস্বরে আওয়াজ তুলতাম, ওরা এতটা মাথাচাড়া দিতে পারত না বলেই আমার বিশ্বাস। সেই আঘাতগুলোর সময়ে আজকের মত সমাজের সর্বস্তর থেকে আওয়াজ তুলিনি। তুলিনি বলেই হয়ত আজ স্যারের গায়ে ৩৮টা সেলাই পড়ল। তাই স্যারের শরীরের এই ৩৮ সেলাইয়ের দায় আমাদের সবার ঘাড়ে পড়ে। হয়ত রাজীব, অনন্ত বিজয় দাশদের লোকে চিনত না বলে আওয়াজ দেয়নি। চেনা-অচেনা নির্বিশেষে সর্বস্তরের মানুষের আওয়াজ তোলা দরকার মুক্তচিন্তার উপর, মানুষের নিজস্ব কণ্ঠস্বরের উপর চাপাতির আঘাতের। নয়ত রক্ত ঝরতেই থাকবে।

জাফর স্যার এ যাত্রায় বেঁচে গেলেন। দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠছেন তিনি। আততায়ীদের হয়ত বুকের মধ্যে খুব জ্বালা করছে স্যার বেঁচে যাওয়াতে। স্যার যদি মারাও যেতেন, খুব ক্ষতি হত কি? স্যার মারা গেলে পরিকল্পনাকারীরা হয়ত আনন্দে আত্মহারা হত। কিন্তু জাফর ইকবালরা কি আসলেই মরে? নাকি প্রতিদিন তৈরি করে যায় অসংখ্য নতুন জাফর ইকবাল? সেই তৈরি হওয়া নতুন গোঁফওয়ালা বা গোঁফবিহীন জাফর ইকবালদের কাছে তাদের দাবি থাকে মুক্তবুদ্ধির চর্চা করার আর ছোট বড় সকল অন্যায়ের বিরুদ্ধে কঠোর কণ্ঠে রুখে দাঁড়াবার!

আজ জাফর ইকবাল আহত, দুদিন ‘মানববন্ধন’ আর ‘বিক্ষোভ মিছিল’ করলেই দায়িত্ব শেষ হয়ে যায় না। বরং দায়িত্ব বেড়ে গেছে বহুগুণে। নিরাপত্তার বলয় ছেড়ে, সকল ‘কিন্তু’ উপেক্ষা করে, অন্যায়ের বিরুদ্ধে, মুক্তির পক্ষে, সকল প্রতিকূলতায় আমাদের দীর্ঘমেয়াদী লড়াইয়ে নামতে হবে, প্রতিবাদ করতে হবে এই জনপদকে শিক্ষিত করে তোলার মধ্য দিয়ে, প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে সংস্কৃতি আর মুক্তবুদ্ধিচর্চাকে আরও বহুগুণে বাড়িয়ে দিয়ে। তবেই হয়ত আমরা গড়ে যেতে পারব একটি সুস্থ বাসযোগ্য পৃথিবী, আমার আপনার ভবিষ্যৎ সন্তানটির জন্য।

আজমিনা আফরিন তোড়া, সাবেক শিক্ষার্থী, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট।

মুক্তমত বিভাগে প্রকাশিত লেখার বিষয়, মতামত, মন্তব্য লেখকের একান্ত নিজস্ব। sylhettoday24.com-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে যার মিল আছে এমন সিদ্ধান্তে আসার কোন যৌক্তিকতা সর্বক্ষেত্রে নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে sylhettoday24.com আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় গ্রহণ করে না।

আপনার মন্তব্য

লেখক তালিকা অঞ্জন আচার্য অধ্যাপক ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী ৪৮ অসীম চক্রবর্তী আজম খান ১১ আজমিনা আফরিন তোড়া ১০ আনোয়ারুল হক হেলাল আফসানা বেগম আবদুল গাফফার চৌধুরী আবু এম ইউসুফ আবু সাঈদ আহমেদ আব্দুল করিম কিম ৩২ আব্দুল্লাহ আল নোমান আব্দুল্লাহ হারুন জুয়েল ১০ আমিনা আইরিন আরশাদ খান আরিফ জেবতিক ১৭ আরিফ রহমান ১৬ আরিফুর রহমান আলমগীর নিষাদ আলমগীর শাহরিয়ার ৫৪ আশরাফ মাহমুদ আশিক শাওন ইনাম আহমদ চৌধুরী ইমতিয়াজ মাহমুদ ৭১ ইয়ামেন এম হক এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন একুশ তাপাদার এখলাসুর রহমান ৩৭ এনামুল হক এনাম ৪২ এমদাদুল হক তুহিন ১৯ এস এম নাদিম মাহমুদ ৩৩ ওমর ফারুক লুক্স কবির য়াহমদ ৬৩ কাজল দাস ১০ কাজী মাহবুব হাসান কেশব কুমার অধিকারী খুরশীদ শাম্মী ১৭ গোঁসাই পাহ্‌লভী ১৪ চিররঞ্জন সরকার ৩৫ জফির সেতু জহিরুল হক বাপি ৪৪ জহিরুল হক মজুমদার জাকিয়া সুলতানা মুক্তা জান্নাতুল মাওয়া জাহিদ নেওয়াজ খান জুনাইদ আহমেদ পলক জুয়েল রাজ ১০২ ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন ১২ ড. কাবেরী গায়েন ২৩ ড. শাখাওয়াৎ নয়ন ড. শামীম আহমেদ ৪১ ডা. আতিকুজ্জামান ফিলিপ ২০ ডা. সাঈদ এনাম ডোরা প্রেন্টিস তপু সৌমেন তসলিমা নাসরিন তানবীরা তালুকদার তোফায়েল আহমেদ ৩১ দিব্যেন্দু দ্বীপ দেব দুলাল গুহ দেব প্রসাদ দেবু দেবজ্যোতি দেবু ২৭ নাজমুল হাসান ২৪ নিখিল নীল পাপলু বাঙ্গালী পুলক ঘটক প্রফেসর ড. মো. আতী উল্লাহ ফকির ইলিয়াস ২৪ ফজলুল বারী ৬২ ফড়িং ক্যামেলিয়া ফরিদ আহমেদ ৪২ ফারজানা কবীর খান স্নিগ্ধা বদরুল আলম বন্যা আহমেদ বিজন সরকার বিপ্লব কর্মকার ব্যারিস্টার জাকির হোসেন ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ ১৮ ভায়লেট হালদার মারজিয়া প্রভা মাসকাওয়াথ আহসান ১৯০ মাসুদ পারভেজ মাহমুদুল হক মুন্সী মিলন ফারাবী মুনীর উদ্দীন শামীম ১০ মুহম্মদ জাফর ইকবাল ১৫৩ মো. মাহমুদুর রহমান মো. সাখাওয়াত হোসেন মোছাদ্দিক উজ্জ্বল মোনাজ হক ১৪ রণেশ মৈত্র ১৮৩ রতন কুমার সমাদ্দার রহিম আব্দুর রহিম ৫৫ রাজু আহমেদ ১৬ রাজেশ পাল ২৮ রুমী আহমেদ রেজা ঘটক ৩৮ লীনা পারভীন শওগাত আলী সাগর শাওন মাহমুদ