আজ শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

Advertise

পহেলা বৈশাখ: বাঙালির উৎসব

সঙ্গীতা ইয়াসমিন  

বাংলা সনের প্রথম দিন, তথা বাংলা নববর্ষ হিসেবে প্রতিবছর পহেলা বৈশাখ বাংলাদেশ এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গে নববর্ষ হিসেবে বিশেষ উৎসবের মধ্য দিয়ে পালিত হয়। গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জি অনুসারে ভারতে ১৪ অথবা ১৫ এপ্রিল এবং বাংলা একাডেমি নির্ধারিত আধুনিক পঞ্জিকা অনুসারে বাংলাদেশে ১৪ এপ্রিল এই উৎসব পালিত হয়। এটি বিশ্বব্যাপী বাঙালির সর্বজনীন লোক উৎসব, প্রাচীনকাল থেকেই এই উৎসবের সাথে রয়েছে গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর কৃষ্টি ও সংস্কৃতির এক নিবিড় যোগাযোগ। এই উৎসব দিনে দিনে নতুন কলেবরে নতুন আঙ্গিকে ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্বব্যাপী ‘বাঙালির’ একমাত্র উৎসব হয়ে।

অধুনা এই বাংলা নতুন বছরের প্রথম দিন কিংবা পহেলা বৈশাখ উদযাপন নিয়ে নানাবিধ অপপ্রচারের অবতারণা হয়েছে। প্রাচীন এই সাংস্কৃতিক উৎসবের ঐতিহ্যকে সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্পে জ্বালিয়ে ভস্মীভূত করাই যার মূল উদ্দেশ্য। উৎসবকে ঘিরে বিতর্কে জড়িয়ে থাকা দু’পক্ষই যথারীতি নিজের যুক্তিতে অটল। একদল প্রমাণ করেই ছাড়বেন কীভাবে এই নববর্ষ উদযাপন ও এর ক্রমবিস্তার ইসলামের সাথে সম্পর্কিত; অন্যদলও গলা ফাটিয়ে বলছেন ভারতবর্ষে মুসলিম শাসনামলেও হিন্দু সনাতন পঞ্জিকা ব্যবহৃত হত। অর্থাৎ মহামতি আকবরের সময়ে এই বঙ্গাব্দ প্রতিষ্ঠা পেয়েছে বলে যে প্রচলিত ধারণা রয়েছে তারও বহু আগে থেকে বাংলা সন চালু ছিল বলে ইতিহাসবিদদেরও দাবি। যদিও এই বিতর্কের রেশ ধরে কেউই কোনো নির্দিষ্ট গন্তব্যের মিলিত বিন্দুতে পৌঁছুতে সক্ষম হননি। আর তাতে আমাদের উৎসবেরও বিশেষ কোনো ক্ষতিবৃদ্ধি আছে বলে মনে হয় না। তবে ধর্মের আচ্ছাদনে আমজনতার মগজ ধোলাই করে যারা ফায়দা লুটতে চান কেবল তারাই এই কর্মে ব্যস্ত আছেন। আর এ তো দিনের আলোর মতোই সত্যি যে, গত তিন দশক ধরে বাংলাদেশের আনাচেকানাচে, অলিগলিতে, নর্দমা-ডোবা-নালায় ধর্মের নামে সাম্প্রদায়িকতার যে বিষবৃক্ষের বীজ রোপিত হয়েছে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় পহেলা বৈশাখকে ঘিরে বিতর্কও সেই নিন্দনীয় উদ্যোগ বাস্তবায়নের নিরলস প্রচেষ্টারই অংশ বই অন্য কিছুই নয়।

আমাদের শৈশবে এই পহেলা বৈশাখ আঞ্চলিকভাবে ‘আল বৈশাখ’ নামে পরিচিত ছিল। যদিও নামকরণের কোনো ইতিহাস আমার জানা নেই। তবে দিনটিকে ঘিরে কিছু উল্লেখযোগ্য কর্মকাণ্ড পারিবারিক ও সামাজিক পর্যায়ে খুবই গুরুত্বের সাথে পালন করা হত। এই দিন খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠে, ঘরদোর গুছিয়ে, ভালো কাপড় পরে পরিপাটি হয়ে সকলের সাথে কুশল বিনিময়, কারও সাথে কোনো বিতর্কে না জড়ানো, গুরুজনের কথা শোনা, পাঠ্য বই নিয়ে এক আধটু নাড়াচাড়া করা প্রচলিত নিয়মের মতই ছিল। মূলত দিনটিকে সবকিছুর শুভারম্ভ হিসেবে দেখা হত, যেখানে হিন্দু-মুসলিম ভেদে পালনীয়-বর্জনীয় কোনো ব্যাপার ছিল না।

পহেলা বৈশাখের হালখাতা অনুষ্ঠান এবং বৈশাখী মেলা এই দুইই ছিল আমাদের শৈশবের অতি আনন্দের ঘটনা। মেলায় কেনা কাঁচের চুড়ি, মাটির পুতুলসহ রংবাহারি নানারকম খেলনার পসরায় সারাদিন ঘুরেও কিশোরমন ক্লান্ত হত না। মেলার মাঠের চিনা বাদাম, মুড়ি-মুড়কি, কদমা আর বাতাসার সেই মনভোলানো গন্ধে আজও হারিয়ে যাই আমার মেয়েবেলায়। নাগরদোলা আর পুতুল নাচ ছিল আমাদের আলাভোলা শৈশবের আরেক বিস্ময়! মেলাকে ঘিরে কখনো বা যাত্রাপালারও আয়োজন হত সেই বৈশাখেই।
বৈশাখী উৎসবের এই সব আয়োজনই আমাদের গ্রামীণ সংস্কৃতির এক বিশাল ভাণ্ডার। তখন ঘরে ঘরে ডিস আর হিন্দি চ্যানেলের প্রাদুর্ভাব ছিল না, ছিল না ফেজবুক ও অ্যান্ড্রয়েডের নিত্য নতুন অ্যাপ্স। তাই কৃষিনির্ভর গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর জীবনে পহেলা বৈশাখের উৎসব ছিল জাতিভেদে আনন্দের এক মূর্ত প্রতীক। যদিও পহেলা বৈশাখকে ঘিরে বাড়িতে ভালো-মন্দ রান্না হত কি না মনে পড়ছে না, তবে চৈত্র সংক্রান্তিতে সাত পদের তিতে খাওয়ার রেওয়াজও জাতিভেদে অভিন্ন ছিল আমাদের সময়ে।

যবে থেকে নগর জীবনের ছোঁয়া লাগল মধ্যবিত্ত আটপৌরে জীবনে তখন থেকে এই পহেলা বৈশাখের আরেক রূপের সাথে পরিচিত হলাম। বিশেষ করে পান্তা ইলিশ, মাটির বাসন-কোসনে খাওয়া, আর বৈশাখী পোশাকে সজ্জিত হয়ে শহুরে মেলায় ঘুরে বেড়ানো। তাই বলে নগরকেন্দ্রিক এই মেলাও আমাদের সংস্কৃতি বিবর্জিত অত্যাশ্চর্য কিছু ঘটনা নয়; পরিবার-পরিজন নিয়ে মেলায় যাওয়া, সাথে বন্ধু-বান্ধবের সাথে দেখা সাক্ষাৎ, আর বাড়তি পাওনা হিসেবে সাংস্কৃতিক সংগঠনের নানাবিধ অনুষ্ঠান উপভোগ। যদিও আজকের কর্পোরাল বাণিজ্যের বিশ্বে পণ্য পসারের যুগে অন্যসব কিছুর মতো বৈশাখী উৎসবও এর করাল গ্রাস থেকে রেহাই পায়নি বিধায় ২০০ টাকার ইলিশ ৫ হাজার টাকায় বিকোয় বৈশাখী মৌসুমে।

উইকিপিডিয়ার তথ্যমতে, হিন্দু সৌর পঞ্জিকা অনুসারে বাংলায় বারো মাস সম্রাট আকবরের শাসনামলের অনেক আগে থেকেই পালিত হত। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ৫৫০ খ্রিস্টাব্দের দিকে বরাহমিহির পঞ্চম খণ্ডে "পঞ্চ সিদ্ধান্তিকা" নামক একটি গ্রন্থ রচনা করেন যার এক খণ্ডের নাম ‘সূর্যসিদ্ধান্ত’। দিন, মাস, বৎসর গণনার ক্ষেত্রে ‘সূর্যসিদ্ধান্ত’ বিশেষ স্থান অধিকার করে আছে। ভারতীয় জ্যোতির্বিজ্ঞানীগণ সূর্যের অবস্থান অনুসারে আকাশকে বারোভাগে ভাগ করেছেন, যাকে রাশি নামে অভিহিত করেন। সূর্যের পরিক্রমণের ফলে যখন সূর্য এক রাশি থেকে অন্য রাশিতে স্থানান্তরিত হয় সেই সময়কে সংক্রান্তি বলা হয়। ফলে, বারো মাসে বারোটি সংক্রান্তি আসে, যা এক একটি মাসের শেষ দিন। যেদিন রাত্রি ১২টার মধ্যে সংক্রান্তি হয় তার পরদিনই মাসের প্রথম দিন। যেদিন রাত্রি ১২টার মধ্যে সূর্য শূন্য ডিগ্রি দ্রাঘিমাংশে প্রবেশ করে তার পরদিনই নতুন বছর বা বৈশাখের প্রথম দিন।

প্রাচীন বঙ্গদেশের (গৌড়) রাজা শশাঙ্ক (রাজত্বকাল আনুমানিক ৫৯০-৬২৫ খৃষ্টাব্দ) বঙ্গাব্দ চালু করেছিলেন। সপ্তম শতাব্দীর প্রারম্ভে শশাঙ্ক বঙ্গদেশের রাজ চক্রবর্তী রাজা ছিলেন। আধুনিক ভারতের বাংলা, হার ও উড়িষ্যার অধিকাংশ এলাকা তার সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত ছিল। অনুমান করা হয় যে, জুলিয়ান ক্যালেন্ডারের সোমবার ১২ এপ্রিল ৫৯৪ এবং গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডারের সোমবার ১৪ এপ্রিল ৫৯৪ বঙ্গাব্দের সূচনা হয়েছিল।

বঙ্গাব্দের প্রতিষ্ঠা সম্পর্কিত দ্বিতীয় মতামত অনুযায়ী তথ্যটি এরূপ; ভারতবর্ষে মুঘল সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠার পরে হিজরি পঞ্জিকা অনুসারে কৃষি পণ্যের খাজনা আদায় করা হত,যা ছিল কৃষকদের জন্য সাংঘর্ষিক। কারণ চন্দ্র ও সৌরবর্ষের মধ্যে ১১ থেকে ১২ দিনের ব্যবধানের ফলে ৩০ সৌরবর্ষ ৩১ চন্দ্রবর্ষের সমান হত। কৃষকেরা সৌরবর্ষ অনুযায়ী চাষবাস করলেও চন্দ্রবর্ষ অনুযায়ী রাজস্ব দিতে হত। সম্রাট আকবর কৃষকদের এই সমস্যা নিরসনে একটি বিজ্ঞানভিত্তিক, আধুনিক ও যুগোপযোগী বর্ষপঞ্জির প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন। সম্রাটের আদেশে তৎকালীন বাংলার বিখ্যাত জ্যোতির্বিজ্ঞানী ও চিন্তাবিদ ফতেহউল্লাহ সিরাজি সৌর এবং হিজরি সনের উপর ভিত্তি করে নতুন বাংলা সনের নিয়ম বিনির্মাণ করেন। ৯২২ হিজরি সনে এই বাংলা সনের প্রবর্তন হলেও সম্রাটের সিংহাসনে আরোহণের সময়কে স্মরণীয় করে রাখার লক্ষ্যে ১৫৮৪ খ্রিস্টাব্দের (৯৬৩ হিজরি সন) ১১ মার্চ থেকে বাংলা সন গণনা কার্যকর করা হয়। এতে জন্ম বছরেই বঙ্গাব্দ ৯৬৩ বছর বয়স নিয়ে বাংলার মাটিতে অবতরণ করে। প্রথমে এই সনের নাম ছিল ফসলি সন, পরে বঙ্গাব্দ নামে পরিচিতি লাভ করে। বাংলা সন বা বঙ্গাব্দ বাংলাদেশ এবং ভারতবর্ষের একটি ঐতিহ্যমণ্ডিত সৌরপঞ্জিকা ভিত্তিক বর্ষপঞ্জি।

সুতরাং, বঙ্গাব্দ বা বাংলা সন গণনার জন্মবৃত্তান্ত কোনো মীমাংসায় পৌঁছুতে না পারলেও গ্রামীণ কৃষিনির্ভর অর্থনীতির বঙ্গভূমির প্রেক্ষাপটে এর আবির্ভাব ও ব্যবহারিক গুরুত্ব যে অপরিসীম সেকথা সর্বজন বিদিত। সময়ের প্রয়োজনে এই সন গণনা যে যুক্তিযুক্ত ছিল সেটি ইতিহাসলব্ধ প্রমাণিত সত্য। গ্রাম-বাংলার কৃষকেরা আজও বাংলা মাসের হিসেবেই চাষাবাদ করেন। গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার কৃষকের জীবনে খুব বেশী প্রভাব ফেলতে সক্ষম হয়নি বলেই মনে হচ্ছে।

ইতিহাসবিদদের মতে, ১৯১৭ সালে প্রথম মহাযুদ্ধের সময় ব্রিটিশদের বিজয়ের প্রত্যাশায় এই অঞ্চলে পহেলা বৈশাখের দিনে বিভিন্ন পূজা-অর্চনা এবং শোভাযাত্রার আয়োজন করানো হয়, এবং সেটাই ছিল প্রথম পালিত হওয়া বর্ষবরণ উৎসব। এরপর ১৯৩৮ সালেও অনুরূপ কর্মকাণ্ডের উল্লেখ পাওয়া যায়। পরবর্তী সময়ে ১৯৬৭ সনের আগে ঘটা করে পহেলা বৈশাখ পালনের রীতি খুব একটা জনপ্রিয় ছিল না।

নববর্ষ বা পহেলা বৈশাখকে ঘিরে এতো বিতর্কের পরেও একে ঘিরে যে আনন্দ উৎসব, তা নিঃসন্দেহে চিরায়ত বাংলার এক অপরূপ রূপের সমাহার, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক অপূর্ব মেলবন্ধন। দেশীয় সংস্কৃতির প্রচার-প্রসার ও লালনে এক অনিন্দ্য ঘটনা। আমাদের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীরাও নানা রঙয়ে ঢঙয়ে বর্ষবরণে ‘বৈসাবি’ উৎসব পালন করে, যা আমাদের সংস্কৃতির বৈচিত্র্যময়তা আর সার্বজনীনতাকেই নির্দেশ করে। বিশ্বের অন্যান্য জাতিগোষ্ঠীতেও বর্ষবরণের রেওয়াজ বর্তমান।

খ্রিষ্টীয় নতুন বছরের উৎসব সারা পৃথিবীতে বিশাল জাঁকজমকের সাথে পালিত হয়। চায়নাতেও চৈনিক নতুন বছর নিয়ে আসে উৎসবের গণজোয়ার। নতুন বছরকে ঘিরে চৈনিক সংস্কৃতিতে রয়েছে রকমারি উৎসব এবং এই দিন সরকারী ছুটির দিন।

সময়ের হাত ধরে প্রজন্ম পরম্পরায় এই আয়োজন বেঁচে থাকুক প্রতিটি বাঙালির হৃদয়ে। একে ঘিরে কবির কাব্যসূধা ঝরুক অবিরল। একে ধারণ করুক আমাদের চারুকলা-সংগীতসহ শিল্প-সাহিত্যের সকল শাখা। দিনে দিনে এই উৎসব পরিব্যাপ্ত হয়ে বিশ্বসংস্কৃতির দরোজায় করাঘাত করুক আপন মহিমায়। আর বাঙালির নিজস্ব জমিনেই চাই তার উর্বর চাষাবাদ-উপযুক্ত পরিচর্যা!

আমাদের প্রচলিত বৈশাখী উৎসবে অত্যন্ত জনপ্রিয় এবং আকর্ষণীয় অঙ্গ মঙ্গল শোভাযাত্রা। গত কয়েক বছর ধরে এই শোভাযাত্রাকে ঘিরে, বৈশাখী মেলার ভিড়ে নারীর শ্লীলতাহানির খবর উৎসবের আমেজকে ম্লান করে দিচ্ছে, যা নিঃসন্দেহে জঘন্য ও নিন্দনীয়। শুধু বৈশাখী উৎসব কেনো যেকোনো ভিড়েই আজ আমাদের মেয়েরা, বোনেরা কিংবা মায়েরা নিরাপদ নয়! সেক্ষেত্রে দেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে সকল উৎসবই হয়তো বন্ধ করা কিংবা বিতর্কিত করে ফতোয়া জারি করা হতে পারে (!?) যদিও এই ফতোয়া দানকারীদের আমাদের চিনতে অসুবিধে হয় না মোটেই। তাই এখনই সময় একতাবদ্ধ হবার! সংস্কৃতিবিরোধী, সম্প্রীতিবিরোধী এই সব অপচেষ্টা রুখতে হলে আমাদের ‘আমি’ থেকে ‘আমরা’য় উন্নীত হওয়া এখন সময়ের দাবি।

দুঃখজনক হলেও সত্য যে, জাতিগোষ্ঠী হিসেবে এই একটি পরিচয় ছাড়া আমাদের আর কোনো পরিচয়ই নেই! আমরা মুসলমান আগে না বাঙালি আগে, বাংলাদেশী না কি বাঙালি, বিএনপি-আওয়ামী লীগ-জামাতি কিংবা বামাতি এমন বিচিত্র দ্বিধাদ্বন্দ্বে কাটিয়েছি কাল। আজও আমাদের জাতির জনক সকলের হয়ে ওঠেন নি। স্বাধীনতার ঘোষক নিয়ে আমাদের দ্বিধাগ্রস্ত হবার দিন শেষ হয়নি। বস্তুত আমাদের অস্তিত্বের স্বরূপ নিয়ে নিজেরাই সন্দিহান আমরা। আমরা দ্বিধা-শঙ্কায় শতধা বিভক্ত। আমরা কখনও আস্তিক, কখনও নাস্তিক, কেউবা প্রগতিশীল কিংবা প্রতিক্রিয়াশীল! আমাদের এই সব শঙ্কা, এই সব ধূসর দ্বিধা মনের আকাশ থেকে সরিয়ে আসুন সকলে মিলে দাঁড়াই একই ছাতার তলায়, গাই সাম্যের গান, গাই বাংলার গান!

“মুছে যাক গ্লানি, মুছে যাক জরা
অগ্নিস্নানে শুচি হোক ধরা।”

মনের ভেতরের পুঞ্জীভূত সকল গ্লানি দূর করে নতুন অঙ্গীকার নিয়ে সম্প্রীতির বন্ধনে একীভুত হই। বিশ্বের দরবারে আমাদের সংস্কৃতির উজ্জ্বল দিকগুলো তুলে ধরি।

নতুন বছর ১৪২৫ নিয়ে আসুক সকলের কল্যাণ সুখ আর সমৃদ্ধি। সকল পশ্চাৎপদতা দূর হয়ে এগিয়ে যাক একটি বাংলাদেশ।
তথ্যসহায়তা: উইকিপিডিয়া বঙ্গাব্দ/বাংলা নববর্ষ/পহেলা বৈশাখ।

সঙ্গীতা ইয়াসমিন, কানাডা প্রবাসী লেখক

মুক্তমত বিভাগে প্রকাশিত লেখার বিষয়, মতামত, মন্তব্য লেখকের একান্ত নিজস্ব। sylhettoday24.com-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে যার মিল আছে এমন সিদ্ধান্তে আসার কোন যৌক্তিকতা সর্বক্ষেত্রে নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে sylhettoday24.com আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় গ্রহণ করে না।

আপনার মন্তব্য

লেখক তালিকা অঞ্জন আচার্য অধ্যাপক ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী ৪৮ অসীম চক্রবর্তী আজম খান ১১ আজমিনা আফরিন তোড়া ১০ আনোয়ারুল হক হেলাল আফসানা বেগম আবদুল গাফফার চৌধুরী আবু এম ইউসুফ আবু সাঈদ আহমেদ আব্দুল করিম কিম ৩২ আব্দুল্লাহ আল নোমান আব্দুল্লাহ হারুন জুয়েল ১০ আমিনা আইরিন আরশাদ খান আরিফ জেবতিক ১৭ আরিফ রহমান ১৬ আরিফুর রহমান আলমগীর নিষাদ আলমগীর শাহরিয়ার ৫৪ আশরাফ মাহমুদ আশিক শাওন ইনাম আহমদ চৌধুরী ইমতিয়াজ মাহমুদ ৭১ ইয়ামেন এম হক এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন একুশ তাপাদার এখলাসুর রহমান ৩৭ এনামুল হক এনাম ৪১ এমদাদুল হক তুহিন ১৯ এস এম নাদিম মাহমুদ ৩৩ ওমর ফারুক লুক্স কবির য়াহমদ ৬৩ কাজল দাস ১০ কাজী মাহবুব হাসান কেশব কুমার অধিকারী খুরশীদ শাম্মী ১৭ গোঁসাই পাহ্‌লভী ১৪ চিররঞ্জন সরকার ৩৫ জফির সেতু জহিরুল হক বাপি ৪৪ জহিরুল হক মজুমদার জাকিয়া সুলতানা মুক্তা জান্নাতুল মাওয়া জাহিদ নেওয়াজ খান জুনাইদ আহমেদ পলক জুয়েল রাজ ১০২ ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন ১২ ড. কাবেরী গায়েন ২৩ ড. শাখাওয়াৎ নয়ন ড. শামীম আহমেদ ৪১ ডা. আতিকুজ্জামান ফিলিপ ২০ ডা. সাঈদ এনাম ডোরা প্রেন্টিস তপু সৌমেন তসলিমা নাসরিন তানবীরা তালুকদার তোফায়েল আহমেদ ৩১ দিব্যেন্দু দ্বীপ দেব দুলাল গুহ দেব প্রসাদ দেবু দেবজ্যোতি দেবু ২৭ নাজমুল হাসান ২৪ নিখিল নীল পাপলু বাঙ্গালী পুলক ঘটক প্রফেসর ড. মো. আতী উল্লাহ ফকির ইলিয়াস ২৪ ফজলুল বারী ৬২ ফড়িং ক্যামেলিয়া ফরিদ আহমেদ ৪২ ফারজানা কবীর খান স্নিগ্ধা বদরুল আলম বন্যা আহমেদ বিজন সরকার বিপ্লব কর্মকার ব্যারিস্টার জাকির হোসেন ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ ১৮ ভায়লেট হালদার মারজিয়া প্রভা মাসকাওয়াথ আহসান ১৯০ মাসুদ পারভেজ মাহমুদুল হক মুন্সী মিলন ফারাবী মুনীর উদ্দীন শামীম ১০ মুহম্মদ জাফর ইকবাল ১৫৩ মো. মাহমুদুর রহমান মো. সাখাওয়াত হোসেন মোছাদ্দিক উজ্জ্বল মোনাজ হক ১৪ রণেশ মৈত্র ১৮৩ রতন কুমার সমাদ্দার রহিম আব্দুর রহিম ৫৫ রাজু আহমেদ ১৬ রাজেশ পাল ২৮ রুমী আহমেদ রেজা ঘটক ৩৮ লীনা পারভীন শওগাত আলী সাগর শাওন মাহমুদ