আজ মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪

Advertise

নিরাপদ সড়ক, একটি ভয়ংকর সুন্দরের অপমৃত্যু

জুয়েল রাজ  

বাংলাদেশের পরিবহন ব্যবস্থা নৈরাজ্য ও শ্রমিক মালিকদের দৌরাত্ম্য সর্বজনবিদিত। দেশের এমন কোন পরিবার নেই যেখানে কোন না কোনভাবে, কেউ না কেউ দুর্ঘটনার শিকার বা ভুক্তভোগী নন।

আমার আপন ছোট মামা এখনো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন, একটা পা কেটে ফেলে দিতে হয়েছে। অন্য পায়ের ও অবস্থা খুব ভালো না। কয়েকবার অপারেশন করা হয়েছে।  সারা জীবন পঙ্গু হয়েই কাটাতে হবে। বাস থেকে নামার সময় তাড়াহুড়ো করে নামাতে গিয়ে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়; বাসের পিছনের চাকা দুটি পা থেঁতলে দেয়।

শ্রমিকদের দৌরাত্ম্যের কাছে প্রতিটি নাগরিক অসহায়। দুর্ব্যবহার থেকে শুরু করে গায়ে হাত তোলা পর্যন্ত সবই করে থাকে, কিন্তু প্রতিবাদের সুযোগ নেই।

একটা দুর্ঘটনা ঘটলে কিছু গাড়ি ভাংচুর হয় এই পর্যন্তই শেষ। অনিয়ম যেখানে নিয়ম। মন্ত্রী এমপি পুলিশ, আমলা কেউই নিয়ম মানতে রাজী না।  বাংলাদেশের জন্য এই ধাক্কাটা জরুরী ছিল। একটা দেশের পরিবহন সিস্টেম দিনের পর দিন এইভাবে চলতে পারে না।  মালিক সমিতি,  শ্রমিক সমিতি এবং বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন সংস্থা (বিআরটিএ) নামক দানবের হাতে জিম্মি পুরো পরিবহন ব্যবস্থা। যেখানে সরকার ও অনেকটাই  অসহায়।  লাইসেন্স,  ফিটনেস সহ যাবতীয় বিষয় দেখভাল করার দায়িত্ব বিআরটিএ-র। যেখানে টাকা দিলে সবই পাওয়া যায়,  ঘরে বসেই আপনি সব পেয়ে যাবেন সবকিছু।  প্রচলিত আছে এই  ভবনের ইট ও নাকি ঘুষ খায়।  আর তার প্রমাণ মিলছে শিশুরা যখন রাস্তায় যানবাহনের ফিটনেস ও  লাইসেন্স পরীক্ষা শুরু করলো,  আমরা সাধারণ মানুষরা  বিস্ময়  নিয়ে দেখলাম৷ কী এক অরাজক অবস্থা বাংলাদেশের সড়ক পরিবহনে। শুধুমাত্র গণপরিবহন নয়, ব্যক্তি মালিকানার যানেও একই অবস্থা  বিরাজমান।  সবকিছু মিলিয়ে বাংলাদেশের সব ধরণের মানুষের সমর্থন আদায় করে নেয় নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনটি।

এর থেকে মুক্তির একটা বার্তা নিয়ে এসেছিল  নবীন কিশোরের দল। কিন্তু  দুইদিন যেতে না যেতেই  আন্দোলনের পিঠে সওয়ার  হয়ে পড়ে সরকার বিরোধী চক্রান্ত। নিষ্পাপ শিশুদের বানিয়ে ফেলে তাদের অস্ত্র। অপমৃত্যু ঘটে একটি  ভয়ংকর সুন্দরের। সবচেয়ে ক্ষমতাবান একটি গোষ্ঠীকে ভয়ংকর সাহসের সাথে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছিল আন্দোলনকারীরা। সরকার বাধ্য হয়েছে প্রতিটা দাবী মেনে নিতে। যা  আরও আগেই সরকারের বাস্তবায়ন করার কথা ছিল। কিন্তু দেরীতে হলেও সরকার সেটা মেনে নিয়েছে।

সরকার শতভাগ আন্তরিকতা  দেখানোর পর, দাবী মেনে নেয়ার পর যখন আন্দোলন দীর্ঘায়ত করার চেষ্টা চলে তখনই আন্দোলনটি গতিপথ হারায়। প্রতিবাদ, আন্দোলন, ষড়যন্ত্র প্রতিটা বিষয় আলাদা। স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীদের নিরাপদ সড়কের দাবীটি  রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রে পর্যবসিত হয়।

আন্দোলনের তৃতীয় চতুর্থদিনের কার্যক্রম দেখলে কিছু  মনস্তাত্ত্বিক বিষয় সামনে চলে আসে। লাখ লাখ শিশুদের রাস্তায় রেখে, বাংলাদেশে একটি  আরববসন্তের স্বপ্ন দেখা শুরু করেন দেশের কিছু রাজনৈতিক দল। এবং একটি চক্র গোপন সভায় মিলিত হওয়া শুরু করেন। কেউ কেউ দেশে বিদেশে সংবাদ মাধ্যমে একে সরকার পতনের আন্দোলন হিসাবে  বক্তব্য দেয়া শুরু করেন। যে কাজটি করেছেন শহিদুল আলম।

একটা বিষয় যদি দেখেন, গণজাগরণ মঞ্চের একটা প্রতিশোধ নেয়ার প্রবণতা  ছিল।  ২০১৩ সালে যারা এর বিরোধিতা করেছিল সেই অংশটা সবচেয়ে সক্রিয় পরিলক্ষিত হলো এবারের আন্দোলনে। জাগরণ মঞ্চের স্লোগানের বিপরীত স্লোগান বেছে নেয়া হয়েছে। ''we want justice”। ভারত, পাকিস্তান, খোদ লন্ডনেও সেই বিরোধী অংশটি প্রতিবাদমুখর হয়ে উঠে। যাদের রাজনৈতিক একটি পরিচয় আছে।  

সড়কমন্ত্রী, শ্রমিক মালিক  সব বাদ দিয়ে আন্দোলনের লক্ষ্যবস্তু হয়ে পড়ে পুলিশ বাহিনী। ২০১৪ সালের  ৫ জানুয়ারির নির্বাচন পূর্ববর্তী ও পরবর্তী  সময় যেভাবে পুলিশের উপর চোরাগোপ্তা,  কোথাও প্রকাশ্যে হামলা শুরু হয়েছিল, এবারের আক্রমণটা ছিল ভিন্ন। পুলিশকে  ডেকে এনে মারমুখী করার প্রবণতা ছিল। যাতে করে পুলিশ আন্দোলনকারীদের উপর হামলা চালায়। হতাহতের ঘটনা ঘটে। সাধারণ মানুষ, পুলিশ ও সরকারে বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়। ব্রিটিশ শাসন থেকে শুরু করে এই আন্দোলনের পূর্ব পর্যন্ত পুলিশ এই পরিমাণ অপদস্থ হওয়ার রেকর্ড আছে কী না জানা নেই। তবুও পুলিশ হাসিমুখে সেটা মেনে নিয়েছে।

 ষড়যন্ত্রের  সেই ফাঁদে পা দেয় নাই।  পুলিশ ফর্মুলা ব্যর্থ হওয়ার পর,  গুজব থিয়োরি  নিয়ে মাঠে আসে সরকার বিরোধী চক্র।  ধর্ষণ, খুন, চোখ তুলে ফেলা, লাশ গুম নানা গুজবে সয়লাব  হয়ে যায় বাংলাদেশ। কোনটা গুজব কোনটা  সত্য দিশেহারা হয়ে যায় সারা দেশ। আক্রমণের কেন্দ্রস্থল শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়। সেই একই অবস্থা, যাতে করে আওয়ামী লীগ বা তার দলীয় নেতাকর্মীরা পালটা হামলা চালায়। এবং শেষ পর্যন্ত তাই হয়েছে। ষড়যন্ত্রের ফাঁদে পা দেয় ছাত্রলীগ কর্মীরা।

অন্যদিকে আবার, বিআরটিএ অফিস নিয়ে মুখে তালা ছিল আন্দোলনকারীদের। সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ দুর্নীতির আতুরঘর। এটি নিয়ে কেউ টু-শব্দটি  করেনি।  বিআরটিএ যদি ঠিক হয়ে যায়, সড়কে দুর্ঘটনা ৮০ ভাগ কমে যাবে।

শ্রমিকদের পাশাপাশি মালিক পক্ষের কি কোন দায় নেই? উদাহরণ হিসাবে একটি ঘটনা উল্লেখ করি,  কুষ্টিয়া থেকে খুলনাগামী  বাস গড়াই। আপ মানে খুলনায় যাওয়া  ডাউন মানে খুলনা থেকে  কুষ্টিয়া আসা। আপে যেতে মালিকপক্ষের  নির্দেশ দুই ঘণ্টা বিশ মিনিট  ডাউনেও ধরা টাইম দুই ঘণ্টা  পঁচিশ মিনিট।  এই সময়ের হেরফের হলে, প্রতি এক মিনিট বিলম্বের কারণে  পঞ্চাশ টাকা করে জরিমানা  গুনতে হয় ড্রাইভার,   তাহলে এক মিনিটে পঞ্চাশ,  দুই মিনিটে একশ, তিন  মিনিটে দেড়শ, চার মিনিটে  দুশো। বাসচালক  বলেন, ওনারা এসি রুমে বসে অর্ডার করেন, আর আমরা ঠোঁটের উপরে জানটা নিয়ে টানি বাস। এই হলো বাস্তবতা।

মালিক সমিতির সভাপতি  মশিউর রহমান রাঙ্গা, যিনি জাতীয় পার্টির এমপি সরকারের  স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বে রয়েছেন।  কিন্তু আন্দোলন চলমান অবস্থায় কোথাও তার পদত্যাগের  দাবী বা তাকে নিয়ে কোন কথা উঠেনি। কারণ রাঙ্গা সাহেব আওয়ামী লীগ নয়, জাতীয় পার্টির এমপি।  কিন্তু এই ষড়যন্ত্রের লক্ষ্য যখন আওয়ামী লীগ তখন,  মুক্তিযুদ্ধের প্রতিটি স্তম্ভকে বিতর্কিত করার অপচেষ্টা থাকে। সর্বশেষ টার্গেট করা হয়  বঙ্গবন্ধুকে, ইদানীং সরকার বিরোধী  প্রতিটা আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুর নামে কিছু পোস্টার থাকে, যা পরিকল্পিতভাবে  ব্যবহার করা হয়। দিনশেষে দেখা যায় এরা  বঙ্গবন্ধুকে আসলে ব্যঙ্গ করেই এই কাজগুলো করে। সেটা কোটা আন্দোলন বলেন আর হালের নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলন বলেন।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের দ্বিতীয় দাবী ছিল নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খানের ক্ষমা প্রার্থনা। মন্ত্রী সেটি করেছেন। নিহতের পরিবারের কাছে ক্ষমা পাশে গিয়ে সমবেদনা জানিয়েছেন। কিন্তু এক শ্রেণি সরব হয়ে উঠলেন তার পদত্যাগ নিয়ে, সেটা ও রাজনৈতিক বলেই আমার ধারণা।  কেন শাজাহান খান পদত্যাগ করবেন? সড়কমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, পদত্যাগ দাবী করলে তাঁর পদত্যাগ দাবী ছিল  যুক্তিসংগত। কিন্তু লক্ষ্যবস্তু শাজাহান খান, কারণ তিনি শ্রমিক পরিবহন নেতা।   

আওয়ামী লীগ রাজনৈতিক  দল,  ভোটের রাজনীতিতে  বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে  শাজাহান খানকে তাদের প্রয়োজন। পেশী শক্তি, জনশক্তির  বাইরে বাংলাদেশের রাজনীতি এখনো বের হয়ে আসতে পারেনি। রাজনীতির সেই গুণগত পরিবর্তন এখনো আসেনি বাংলাদেশে। এই অবস্থায় আওয়ামী লীগ শাজাহান খানকে বলি দিতে চাইবে না এটাই স্বাভাবিক। খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী থাকা অবস্থায় তাঁর গাড়ি বহর আটকে দেয়া নেতা শাজাহান খান। ২০১৪ সালের আগুন, জ্বালাও পোড়াও হরতাল অবরোধে রাস্তায় গাড়ি নেমেছিল। বন্ধ করতে পারেনি। এর কারণ ও অনেকটাই শাজাহান খান। যার কারণে দ্বিতীয় লক্ষ্যবস্তু তিনি। আরেকটা বিষয় খুব লক্ষণীয়, এসব সরকার বিরোধী আন্দোলনে বাংলাদেশের মাদ্রাসাগুলো খুব সক্রিয় থাকে।  এবারের আন্দোলনে কোন মাদ্রাসা ছাত্রের কোন অংশগ্রহণ ছিল না!  যাতে করে রাজনৈতিক রং দেয়া না যায়। কিন্তু ছাত্রদের মাঝখান থেকেই অনেক মাঝবয়েসী মাদ্রাসা ছাত্রদের নানা ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পাওয়া গেছে।   

একটি দেশের পুরো পরিবহন  সিস্টেম চাইলেই একদিনে বদলে দেয়া সম্ভব নয়। এবং যা সম্পূর্ণ একটি চক্র ধারা নিয়ন্ত্রিত। লক্ষ লক্ষ লাইসেন্স রাতারাতি যাচাই বাছাই করা সম্ভব নয়। লক্ষ লক্ষ গাড়ির ফিটনেস  একদিনে যাচাই করা  সম্ভব নয়। ফুটওভার ব্রিজ, আন্ডার ব্রিজ, একেকদিনে সম্ভব নয়।  

চিত্রটা একবার কল্পনা করুন, মাসের পর মাস,  শিশুরা স্কুলে নেই। রাস্তায় দাঁড়িয়ে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ  করছে। লাইসেন্স চেক করছে। রাষ্ট্রের একটা কাঠামো আছে, প্রতিটা বিষয়ের নির্দিষ্ট কর্তৃপক্ষ আছে। সরকার আছে, আপনি ক্যু করে বসলেন, আজকে রাস্তায়, পরের দিন, সচিবালয়ে, তার পরেরদিন পুলিশ স্টেশন বা সেনা দপ্তর, ব্যাংক সব নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নিলেন। তাইলে সরকারের আর বাকী থাকল কি?

রাষ্ট্রের  নির্বাহী প্রধান একাত্মতা ঘোষণা করে প্রতিশ্রুতি দেয়ার পরও এই আন্দোলন যখন দীর্ঘ করা হয়, সেখানেই প্রশ্নের জন্ম নেয়।

জুয়েল রাজ, সম্পাদক, ব্রিকলেন; যুক্তরাজ্য প্রতিনিধি, দৈনিক কালেরকন্ঠ

মুক্তমত বিভাগে প্রকাশিত লেখার বিষয়, মতামত, মন্তব্য লেখকের একান্ত নিজস্ব। sylhettoday24.com-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে যার মিল আছে এমন সিদ্ধান্তে আসার কোন যৌক্তিকতা সর্বক্ষেত্রে নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে sylhettoday24.com আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় গ্রহণ করে না।

আপনার মন্তব্য

লেখক তালিকা অঞ্জন আচার্য অধ্যাপক ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী ৪৮ অসীম চক্রবর্তী আজম খান ১১ আজমিনা আফরিন তোড়া ১০ আনোয়ারুল হক হেলাল আফসানা বেগম আবদুল গাফফার চৌধুরী আবু এম ইউসুফ আবু সাঈদ আহমেদ আব্দুল করিম কিম ৩২ আব্দুল্লাহ আল নোমান আব্দুল্লাহ হারুন জুয়েল ১০ আমিনা আইরিন আরশাদ খান আরিফ জেবতিক ১৭ আরিফ রহমান ১৬ আরিফুর রহমান আলমগীর নিষাদ আলমগীর শাহরিয়ার ৫৪ আশরাফ মাহমুদ আশিক শাওন ইনাম আহমদ চৌধুরী ইমতিয়াজ মাহমুদ ৭১ ইয়ামেন এম হক এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন একুশ তাপাদার এখলাসুর রহমান ৩৭ এনামুল হক এনাম ৪২ এমদাদুল হক তুহিন ১৯ এস এম নাদিম মাহমুদ ৩৩ ওমর ফারুক লুক্স কবির য়াহমদ ৬৩ কাজল দাস ১০ কাজী মাহবুব হাসান কেশব কুমার অধিকারী খুরশীদ শাম্মী ১৭ গোঁসাই পাহ্‌লভী ১৪ চিররঞ্জন সরকার ৩৫ জফির সেতু জহিরুল হক বাপি ৪৪ জহিরুল হক মজুমদার জাকিয়া সুলতানা মুক্তা জান্নাতুল মাওয়া জাহিদ নেওয়াজ খান জুনাইদ আহমেদ পলক জুয়েল রাজ ১০২ ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন ১২ ড. কাবেরী গায়েন ২৩ ড. শাখাওয়াৎ নয়ন ড. শামীম আহমেদ ৪১ ডা. আতিকুজ্জামান ফিলিপ ২০ ডা. সাঈদ এনাম ডোরা প্রেন্টিস তপু সৌমেন তসলিমা নাসরিন তানবীরা তালুকদার তোফায়েল আহমেদ ৩১ দিব্যেন্দু দ্বীপ দেব দুলাল গুহ দেব প্রসাদ দেবু দেবজ্যোতি দেবু ২৭ নাজমুল হাসান ২৪ নিখিল নীল পাপলু বাঙ্গালী পুলক ঘটক প্রফেসর ড. মো. আতী উল্লাহ ফকির ইলিয়াস ২৪ ফজলুল বারী ৬২ ফড়িং ক্যামেলিয়া ফরিদ আহমেদ ৪২ ফারজানা কবীর খান স্নিগ্ধা বদরুল আলম বন্যা আহমেদ বিজন সরকার বিপ্লব কর্মকার ব্যারিস্টার জাকির হোসেন ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ ১৮ ভায়লেট হালদার মারজিয়া প্রভা মাসকাওয়াথ আহসান ১৯০ মাসুদ পারভেজ মাহমুদুল হক মুন্সী মিলন ফারাবী মুনীর উদ্দীন শামীম ১০ মুহম্মদ জাফর ইকবাল ১৫৩ মো. মাহমুদুর রহমান মো. সাখাওয়াত হোসেন মোছাদ্দিক উজ্জ্বল মোনাজ হক ১৪ রণেশ মৈত্র ১৮৩ রতন কুমার সমাদ্দার রহিম আব্দুর রহিম ৫৫ রাজু আহমেদ ১৬ রাজেশ পাল ২৮ রুমী আহমেদ রেজা ঘটক ৩৮ লীনা পারভীন শওগাত আলী সাগর শাওন মাহমুদ