আজ শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

Advertise

ক্ষমতা কি চোখের দৃষ্টি ও কানের ফুটো বন্ধ করে দেয়?

এখলাসুর রহমান  

বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল তখন তাদের কী ভূমিকা ছিলো? আজ তারা মতপ্রকাশের স্বাধীনতার কথা বেশ জোরেশোরে বলছে। তারা বলছে, তাদের সভা সমাবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না। বিএনপি নেতাদের অন্যায়ভাবে ধরপাকড় করার অভিযোগ আনছে তারা। কিন্তু সেই তারা যেদিন ক্ষমতায় ছিল তখন আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করতে শেখ হাসিনার উপর ২২ বারের বেশি হত্যা চেষ্টা চালানো হয়েছে। কিন্তু আওয়ামী লীগের শাসনামলে বিএনপির উপর এমন হামলা কয়টি হয়েছে?

সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় কোন প্রতিষ্ঠান আক্রান্ত হয়নি তাদের সময়ে? ২০০১ সালের ২০ জানুয়ারি সিপিবির সভায় টাইম বোমা নিক্ষেপ করা হয়, এতে  নিহত হয় ৭ জন ও আহত হয় ৫২ জন। ২০০১ সালের ১৪ এপ্রিল পহেলা বৈশাখ উদযাপন অনুষ্ঠানে বোমা বিস্ফোরণে নিহত হয় ১১ জন ও আহত হয় ১২০ জন। ২০০১ সালের ৩ জুন গির্জায় টাইম বোমা বিস্ফোরণে নিহত ১০ ও আহত ২৫। ২০০১ সালের ১৬ জুন আওয়ামী লীগ অফিসে বোমা বিস্ফোরণে নিহত ২২ ও আহত ৫০। ২০০১ সালের ১৬ নভেম্বর হিন্দু শিক্ষাবিদ অধ্যক্ষ গোপাল কৃষ্ণ মুহুরিকে হত্যা করা হয়।

হামলার ধারাবাহিকতা চলতে থাকে। ক্ষমতার উত্তাপে তারা ভুলে যায় ক্ষমতা হারানোর আশঙ্কার কথা। ২০০২ সালের ২১ এপ্রিল বৌদ্ধ ভিক্ষু মাহাথেরোকে হত্যা করা হয়। ২০০২ সালের ৭ ডিসেম্বর চারটি সিনেমা হলে বোমা বিস্ফোরণ হয়, এতে ময়মনসিংহে নিহত হয় ২৭ জন ও আহত হয় ২৯৮ জন। ২০০৩ সালের ১৭ জানুয়ারি সুফী সমাধিতে বোমা বিস্ফোরণ ঘটে টাঙ্গাইলের সখিপুরে নিহত ৭ ও আহত ২৬। ২০০৪ সালের ১২ জানুয়ারি সিলেটে হযরত শাহজালালের মাজারে বোমা বিস্ফোরণে নিহত ৫ ও আহত ৫২। ২০০৪ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপক হুমায়ুন আজাদের উপর আকস্মিক আক্রমণ, গুরুতর আহত এবং পরবর্তীতে মৃত্যুবরণ। ২০০৪ সালের ২ এপ্রিল ১০ ট্রাক অস্ত্রবাহী জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরে আটক হয়। ২০০৪ সালের ২১ মে হযরত শাহজালালের মাজারে বোমা বিস্ফোরণে নিহত ৩, ব্রিটিশ হাইকমিশনারসহ আহত ৬৫। ২০০৫ সালের ২৭ জানুয়ারি আওয়ামী লীগ নেতাদের উপর গ্রেনেড হামলায় সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এস. এম কিবরিয়াসহ নিহত ৫। ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট ৬৩ জেলায় বোমা হামলায় নিহত ২, আহত কমপক্ষে ১০০। ২০০৫ সালের ৩ অক্টোবর চাঁদপুর, লক্ষ্মীপুর ও চট্টগ্রাম আদালত ভবনে বোমা হামলায় নিহত ২ ও আহত ৩৯।

২০০৫ সালের ১৪ নভেম্বর সরকারি আবাসিক এলাকায় বোমা হামলায় ঝালকাঠিতে নিহত ২ ও আহত ৪। ২০০৫ সালের ১ ডিসেম্বর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে বোমা হামলায় গাজীপুরে নিহত ১ ও আহত ৫০। ২০০৫ সালের ৮ ডিসেম্বর নেত্রকোনায় উদীচী অফিসে বোমা বিস্ফোরণে নিহত ৮ ও আহত ১০০। ২০০৫ সালের ২৯ ডিসেম্বর গাজীপুরে আইনজীবী ভবনে বোমা হামলায় নিহত ১০ ও আহত ২২০। ২০০৫ সালের ২৯ ডিসেম্বর চট্টগ্রামে পুলিশ বক্সে বোমা হামলায় নিহত ৩ ও আহত ২৫। ২০০৩-২০০৫ সালে বাংলাভাইর দল (জেএমবি) কর্তৃক হত্যাকাণ্ডে নিহত ও আহত হয় অসংখ্য মানুষ।

২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা করে শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগ নেতাদের নিশ্চিহ্ন করার চেষ্টা করা হয়। এতে আইভী রহমানসহ অনেকের প্রাণহানি ঘটে। রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার মদদে সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও অবৈধ অস্ত্রের আমদানি বিএনপি আমলেই সংঘটিত হয়েছিল। ক্ষমতায় থাকা বিএনপি কি তখন ভেবেছিল ক্ষমতা হারানোর পর কী পরিণতি হতে পারে?

বিএনপি আমলের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর কি ক্ষমতায় থাকতে কখনও ভেবেছেন আজকের এই পরিণতি? আইনের রক্ষক হয়ে ভক্ষকের ভূমিকায় থাকার অভিযোগে তিনি আজ জেলে। নেত্রকোনার মদন উপজেলার বাড়িবাদেরায় তার বাড়িটি ছিল ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দু। সবসময় এ বাড়িতে লোকজনের ভিড় লেগে থাকতো। আজ তার বাড়িটি খাঁ-খাঁ করছে শূন্যতায়। বাবরের ব্যবহৃত স্পিডবোটটি তারই পুকুরে অচল হয়ে পড়ে আছে। বাবর কি ক্ষমতায় থাকতে কখনও ভেবেছেন একদিন তার দল বিএনপিই তাকে বহিষ্কার করবে? এক সময়ের প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ক্ষমতায় থাকতে তার এই আজকের পরিণতির কথা ভেবেছেন কখনো? তার পুত্র তারেক রহমান ক্ষমতার উত্তাপে গড়ে তুলেন হাওয়া ভবন। আজ হাওয়া ভবন কোথায় আর তারেক রহমান কোথায়? এখন ক্ষমতায় আওয়ামী লীগ। ক্ষমতার উত্তাপের ধারাবাহিকতায় তাদেরও অনেকেই ভুলে যাচ্ছে ক্ষমতা হারানোর সম্ভাব্যতার কথা। নিজেদের নেতৃত্ব ও কর্তৃত্বের ভিত মজবুত করতে শত্রু ও মিত্রকে এক করে ফেলছে তারা।

দৈনিক যুগান্তর পত্রিকা ১০ আগস্ট, ২০১৮ তে লিখেছে- 'ঝালকাঠি শহরে নব্য আওয়ামী লীগ নেতার বাসায় গোপন বৈঠককালে জামায়াতে ইসলামীর ৮ নেতাকে আটক করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে শহরের পূর্বচাঁদকাঠি বিআইপির পেছনে মরিয়ম ম্যানশনের পাঁচতলা ভবনের একটি ফ্ল্যাট থেকে তাদের আটক করা হয়। মরিয়ম ম্যানশনের মালিক নব্য আওয়ামী লীগ নেতা দাবি করা মিডিয়া প্লাসের মালিক রিপন। এই শত্রুর মিত্র হয়ে ওঠা ও শত্রু সঙ্গের কী উদ্দেশ্য থাকতে পারে?'

পত্রিকায় আরও খবর বেরিয়েছে, বাবু মিশু নামের এক ব্যক্তি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে নিয়মিত যাতায়াত করে আবার সরকার বিরোধী তৎপরতায় জড়িত। ১১ আগস্ট, ২০১৮ বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকা শিরোনাম করেছে- 'সরকারবিরোধী নেটওয়ার্ক সাবেক সেনা কর্মকর্তাদের'।

খবরটিতে তারা লিখেছে- 'একপর্যায়ে ধীরে ধীরে তারা সরকার উৎখাতের ভয়ঙ্কর ষড়যন্ত্রের পথে পা বাড়ান। গ্রেপ্তার হওয়ার পর আদালতে হাজির হয়ে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে ষড়যন্ত্রের আদ্যোপান্ত স্বীকার করেন আনিসুর রহমান চৌধুরী। সেখানে তিনি বলেন, ২০১৪ সালে মোহাম্মদপুরের জনৈক রাজনৈতিক নেতা ইব্রাহিম খলিল ওরফে বাবু মিশুর সঙ্গে তার পরিচয় হয়। পরে বাবু মিশু তার মামা হিসেবে জনৈক ইকবাল চৌধুরীর সঙ্গে তার পরিচয় করিয়ে দেন। ধীরে ধীরে তাদের মধ্যে সখ্য গড়ে ওঠে। এই বাবু মিশু প্রায়ই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, বঙ্গভবনসহ বিভিন্ন দূতাবাসে যাতায়াত করেন। তিনিই চৌধুরী আনিস নামে তাকে একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খুলে দেন। এ অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে তিনি সরকারবিরোধী বিভিন্ন প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করতেন। একপর্যায়ে বাবু মিশু ও ইকবাল চৌধুরী ডা. সেলিম নামের আরেক ব্যক্তির সঙ্গে তার পরিচয় করিয়ে দেন। ডা. সেলিম আগে ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকলেও এখন নিজেকে ছাত্রলীগ নেতা বলে পরিচয় দেন। এদিকে গাড়ি ব্যবসার সূত্রে আনিসুর রহমান চট্টগ্রামে যাতায়াত করতেন। তখন তার সঙ্গে র‍্যাব-৭-এর তৎকালীন অধিনায়ক লে. কর্নেল হাসিনের সখ্য গড়ে ওঠে। হাসিন তার ফেসবুক ফ্রেন্ড ছিলেন। ফেসবুকে সরকারবিরোধী মন্তব্য করতে হাসিন তাকে উৎসাহিত করতেন। এভাবে তাদের মধ্যে রাজনৈতিক মতাদর্শের মিল থেকে ঘনিষ্ঠতা বেড়ে যায়। আনিসুর রহমানের জবানবন্দিতে আরও বেশ কয়েকজন সামরিক কর্মকর্তার নাম উঠে এসেছে। তারা হলেন ক্যাপ্টেন (অব.) মারুফ রাজু (নেভি), ক্যাপ্টেন (অব.) গনিউল আজম (নেভি), মেজর (অব.) ফেরদৌস, স্কোয়াড্রন লিডার (অব.) ওয়াহিদুন নবী, ক্যাপ্টেন (অব.) আইয়ুব হোসেন, লে. কর্নেল (অব.) ফেরদৌস আজিজ ও লে. কর্নেল (অব.) তৌহিদ। এর মধ্যে ক্যাপ্টেন গনিউল আজম ও লে. কর্নেল তৌহিদ খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত নিরাপত্তা দল সিএসএফের সদস্য। ক্যাপ্টেন মারুফও একসময় সিএসএফে ছিলেন। এদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ গড়ে তোলেন বিডি পলিটিকো নামের একটি রাজনৈতিক ওয়েবসাইটের পরিচালক কামরুল ইসলাম। চলতি বছরের এপ্রিলে ইকবাল চৌধুরীর নেতৃত্বে বর্তমান সরকারকে উচ্ছেদের জন্য সামরিক, বেসামরিক ও অবসরপ্রাপ্তদের নিয়ে ৭০ জনের একটি টিম গঠনের পরিকল্পনা করা হয়েছিল।'

এখন কথা হল সরকার বিরোধী তৎপরতায় জড়িত বাবু মিশু প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে কার মাধ্যমে যেতো? প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের কোন কর্মকর্তা তাকে পাস দিত? তাকে বঙ্গভবনে ঢোকার কে পাস দিতো? দূতাবাসের কোন কর্মকর্তাদের সাথে ছিল তার সখ্যতা? প্রধানমন্ত্রীর বিশ্বস্তদের উচিত নয় কি এগুলো খুঁজে বের করা? নাকি ক্ষমতা চোখ কান বন্ধ করে দেয়? আজ যারা প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতাকে ব্যবহার করে নিজের কর্তৃত্বের ভিতকে মজবুত করছেন ক্ষমতা হারালে তারা কোথায় যাবেন তা অনুধাবন করতে কি খুব বেশী বুদ্ধি লাগে? কেন ক্ষমতায় থাকার সময় আত্মবিস্মৃতি ঘটে সকলের? বিএনপির লুৎফুজ্জামান বাবর প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার আস্থাভাজন থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করে গেছেন। আস্থা হারালো ক্ষমতা হারানোর পর। বাবর বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত হলেন। বিএনপির মহাসচিব আব্দুল মান্নান ভুঁইয়া খালেদা জিয়ার অনুগত থেকেই দলের মহাসচিব ও মন্ত্রিত্ব দুটো দায়িত্বই পালন করে গেছেন। ক্ষমতা হারানোর পর তিনিও হয়ে যান খালেদাবিরোধী সংস্কারপন্থী নেতা। যে মুশতাক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে বাসা থেকে হাঁসের মাংস রান্না করে এনে খাওয়াতেন পরবর্তীতে কী ভূমিকা ছিলো তার? কেন সময়ে সচেতন হচ্ছে না কেউ? নাকি ক্ষমতা চোখের দৃষ্টি ও কানের ফুটো বন্ধ করে দেয়?

এখলাসুর রহমান, লেখক ও কলামিস্ট

মুক্তমত বিভাগে প্রকাশিত লেখার বিষয়, মতামত, মন্তব্য লেখকের একান্ত নিজস্ব। sylhettoday24.com-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে যার মিল আছে এমন সিদ্ধান্তে আসার কোন যৌক্তিকতা সর্বক্ষেত্রে নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে sylhettoday24.com আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় গ্রহণ করে না।

আপনার মন্তব্য

লেখক তালিকা অঞ্জন আচার্য অধ্যাপক ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী ৪৮ অসীম চক্রবর্তী আজম খান ১১ আজমিনা আফরিন তোড়া ১০ আনোয়ারুল হক হেলাল আফসানা বেগম আবদুল গাফফার চৌধুরী আবু এম ইউসুফ আবু সাঈদ আহমেদ আব্দুল করিম কিম ৩২ আব্দুল্লাহ আল নোমান আব্দুল্লাহ হারুন জুয়েল ১০ আমিনা আইরিন আরশাদ খান আরিফ জেবতিক ১৭ আরিফ রহমান ১৬ আরিফুর রহমান আলমগীর নিষাদ আলমগীর শাহরিয়ার ৫৪ আশরাফ মাহমুদ আশিক শাওন ইনাম আহমদ চৌধুরী ইমতিয়াজ মাহমুদ ৭১ ইয়ামেন এম হক এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন একুশ তাপাদার এখলাসুর রহমান ৩৭ এনামুল হক এনাম ৪১ এমদাদুল হক তুহিন ১৯ এস এম নাদিম মাহমুদ ৩৩ ওমর ফারুক লুক্স কবির য়াহমদ ৬২ কাজল দাস ১০ কাজী মাহবুব হাসান কেশব কুমার অধিকারী খুরশীদ শাম্মী ১৭ গোঁসাই পাহ্‌লভী ১৪ চিররঞ্জন সরকার ৩৫ জফির সেতু জহিরুল হক বাপি ৪৪ জহিরুল হক মজুমদার জাকিয়া সুলতানা মুক্তা জান্নাতুল মাওয়া জাহিদ নেওয়াজ খান জুনাইদ আহমেদ পলক জুয়েল রাজ ১০২ ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন ১২ ড. কাবেরী গায়েন ২৩ ড. শাখাওয়াৎ নয়ন ড. শামীম আহমেদ ৪১ ডা. আতিকুজ্জামান ফিলিপ ২০ ডা. সাঈদ এনাম ডোরা প্রেন্টিস তপু সৌমেন তসলিমা নাসরিন তানবীরা তালুকদার তোফায়েল আহমেদ ৩০ দিব্যেন্দু দ্বীপ দেব দুলাল গুহ দেব প্রসাদ দেবু দেবজ্যোতি দেবু ২৭ নাজমুল হাসান ২৪ নিখিল নীল পাপলু বাঙ্গালী পুলক ঘটক প্রফেসর ড. মো. আতী উল্লাহ ফকির ইলিয়াস ২৪ ফজলুল বারী ৬২ ফড়িং ক্যামেলিয়া ফরিদ আহমেদ ৪২ ফারজানা কবীর খান স্নিগ্ধা বদরুল আলম বন্যা আহমেদ বিজন সরকার বিপ্লব কর্মকার ব্যারিস্টার জাকির হোসেন ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ ১৮ ভায়লেট হালদার মারজিয়া প্রভা মাসকাওয়াথ আহসান ১৯০ মাসুদ পারভেজ মাহমুদুল হক মুন্সী মিলন ফারাবী মুনীর উদ্দীন শামীম ১০ মুহম্মদ জাফর ইকবাল ১৫৩ মো. মাহমুদুর রহমান মো. সাখাওয়াত হোসেন মোছাদ্দিক উজ্জ্বল মোনাজ হক ১৪ রণেশ মৈত্র ১৮৩ রতন কুমার সমাদ্দার রহিম আব্দুর রহিম ৫৫ রাজু আহমেদ ১৫ রাজেশ পাল ২৮ রুমী আহমেদ রেজা ঘটক ৩৮ লীনা পারভীন শওগাত আলী সাগর শাওন মাহমুদ