আজ শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

Advertise

ভৌগোলিক সীমারেখা থাকুক; মনের ভূগোল হোক অবিভাজিত

মাসকাওয়াথ আহসান  

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বাংলাদেশ সফর ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের উষ্ণতার নবায়ন। জগতব্যাপী জাতীয় স্বার্থে ঐক্যবদ্ধ হবার একটি চল রয়েছে। মোদীর ঢাকা সফরের ৩৬ ঘন্টা জাতীয় স্বার্থে উনাকে সর্বোচ্চ সম্মান জানানো আমাদের কমনসেন্সের অংশ ও সাংস্কৃতিকভাবে অর্জিত বিনয়বোধ প্রদর্শন সামষ্টিক কর্তব্য।

আর একবিংশ শতকে প্রতিবেশীর সঙ্গে বৈরিতা জিইয়ে রাখা অনভিপ্রেত। এ হচ্ছে ইউরোপের মত রাষ্ট্রসমূহের মাঝে ভৌগলিক ব্যবধানগুলো মানসিকভাবে মুছে ফেলার সময়। এ হচ্ছে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দক্ষিণ এশিয়ার জন্য যে শান্তি ও নিরাপত্তা পথ মানচিত্রটি উত্থাপন করে রেখেছেন; তা বাস্তবায়নের পথে এগিয়ে গিয়ে ক্রমশঃ দক্ষিণ এশীয় ইউনিয়ন গড়ার কাল। এ কোন ছোট ছোট বিষয় নিয়ে শত্রু-শত্রু খেলার সময় নয়।

ভারতীয় উপমহাদেশের জনমানুষের ব্যক্তিগত হতাশাজনিত কারণে প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলোকে পাঞ্চিং ব্যাগ হিসেবে ব্যবহারের একটা বদ অভ্যাস গড়ে উঠেছে। এর পেছনে একটা গভীর হীনমন্যতার বোধ কাজ করে। যা অপ্রয়োজনীয় এক আত্মবিনাশী প্রক্রিয়া।

বৃটিশ ডিভাইড এন্ড রুলের চাকায় বোকার মতো ঘুরে-ঘুরে আজো পথের দিশা পেল না দক্ষিণ এশিয়ার মানুষ। মাঝে মধ্যে প্রকৃতি এদের মনে করিয়ে দেয় জীবনের তুচ্ছতার কথা; যখন ভূমিকম্পে বা বন্যায় অতর্কিতে মৃত্যু নেমে আসে তখন দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর হুঁশ হয়; কীসের ঝগড়া বিবাদ করছি; আগে মানুষ বাঁচাতে হবে। এই বোধোদয়টি স্থায়ী হয়না। আবার দক্ষিণ এশীয়রা ফিরে যায় ঈর্ষার ঘেরাটোপে আটকানো ক্লিশে শত্রু-শত্রু খেলায়।

ধর্মের ভিত্তিতে রাষ্ট্র গড়ে ১৯৪৭ সালে হিন্দু-মুসলমানের যৌথ পরিবারটি ভেঙ্গে যায়। তারপর এ এলাকার প্রতিটি দিন চলেছে অশান্তিতে। অথচ নাম পরিচয় না দিলে শুধু চেহারা দেখে বোঝার উপায় নেই কে হিন্দু-কে মুসলমান; অথচ কী এক অবিমৃষ্য অভিশপ্ত বিভাজনের আগুনে পুড়ছে এ অঞ্চল।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী একটি দক্ষিণ পন্থী রাজনৈতিক দলের নেতা হলেও ক্ষমতায় এসে যখন বললেন, আগে শৌচাগার তারপর মন্দির; তিনি স্পষ্ট করে দিলেন দক্ষিণ এশিয়ার বাস্তবতা জানেন তিনি। ধর্ম আঁকড়ে পড়ে নেই মোদী। মানুষকে মানুষ হিসেবেই দেখেন তিনি। পাকিস্তানের পেশোয়ার ট্র্যাজেডিতে শিশুগণহত্যার পর মোদীর চোখে অশ্রু দেখেছি; বার বার তিনি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফকে আশ্বস্ত করেন, ভারত পাকিস্তানের পাশে আছে। ঐ ঘটনায় বরং নওয়াজ শরীফের চেহারায় রুটিন প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। তাই মোদীর এই সমানুভূতিকে সম্মান দেখাতে ব্যর্থ হয়েছে পাকিস্তান। ভারতের সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জঙ্গীদের বোমা হামলায় নিহত পাকিস্তানী শিশুদের বিদেহী আত্মার শান্তির প্রার্থনায় অশ্রুসিক্ত ভারতের ছবিটি চোখে পড়ে। এই মানবিক ঔদার্য্যে সাড়া দিতে পাকিস্তান ব্যর্থ হয়েছে।

কারণ পাকিস্তানে ভারতবিরোধী হীনমন্য হিংসা ভাইরাসের চাষবাস চলে এসেছে দীর্ঘদিন ধরে। অবশ্য পাকিস্তানের রাজনীতিতে এই ভারত-বিরোধী কার্ড এখন আর কোন কাজে আসে না। এটি এখন অত্যন্ত ভ্রান্ত প্রমাণিত হয়েছে। কারণ রাস্তায় ভারতবিরোধী শ্লোগান দিয়ে বাড়ী ফিরে যে লোক ভারতীয় চ্যানেল দেখে আর পুলকে খিল খিল করে হাসে; তাকে নিয়ে আর কিছু বলার অপেক্ষা থাকেনা।

ভারত-পাকিস্তান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অন্তঃসলিল প্রবাহটি রাজনীতির কারণে লুকিয়ে রাখা হলেও; গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর কিছু বে-আইনী কর্মকান্ড বাদ দিলে এই দুটি রাষ্ট্র গত কংগ্রেস-পাকিস্তান পিপলস পার্টির সরকারের সময়ে কূটনৈতিক সম্পর্কে বেশ কাছাকাছি চলে এসেছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বিজেপির নেতা হলেও সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং-এর সম্প্রীতিময় পররাষ্ট্রনীতি অক্ষুণ্ণ রেখেছেন। কোথাও কোন পরিবর্তন আসেনি। এই ভেতরের চিত্রটি্তে পাকিস্তানের আগ্রহের জায়গাটিই বেশী। কারণ ভারত পাকিস্তান-এর নিরাপত্তাহীনতাজনিত কারণে সেখানকার অনেক শিল্পপতিকে ভারতে কারখানা স্থানান্তরের সুযোগ করে দিয়েছে। সুতরাং যারা বাংলাদেশে জামাতের গ্যাস চেম্বারে বসে পাকিস্তানের জন্য আলুথালু হয়ে ভারত বিরোধিতা করে; তাদের খুব স্পষ্ট করে জেনে রাখা প্রয়োজন; দৃশ্যপট বদলেছে। ভারত-পাকিস্তান বিভিন্ন ক্ষেত্রে অংশীদারিতার সঙ্গে কাজ করছে। শিল্প-সংস্কৃতি থেকে ব্যবসা-বাণিজ্য অবধি।

সুতরাং বাংলাদেশে ভারত বিরোধিতা এখন ‘অসাড়’ একটি ধারণা। প্রতিবেশী দেশ হিসেবে দ্বিপাক্ষিক অমীমাংসিত বিষয়গুলো কেবল বন্ধুতার মাধ্যমে নিষ্পত্তি করা সম্ভব। শতবর্ষের ঘৃণার নরভোজী উতসব কোন ফলাফল বয়ে নিয়ে আসবে না।

১৯৭১ সালে যে মানবিক আচরণ বাংলাদেশের মানুষ ভারতের মাঝে দেখেছে; এরপর এতো বছর ধরে ভারতকে ভালোত্বের প্রমাণ দিতে হবে কেন! একজন মানুষ আমার জীবন বাঁচালে তার চেয়ে বড় বন্ধুতার উপহার আর কী হতে পারে! ভারত শুধু বাংলাদেশের মানুষকে বাঁচাতে শরণার্থীদের আশ্রয় দিয়েই দায় শেষ করেনি; ভারতীয় সেনারা প্রাণ দিয়েছেন বাংলাদেশে পাকিস্তানী সেনা ঘাতক আক্রান্ত কোটি কোটি মানুষকে বাঁচাতে। কেউ আমার জীবন বাঁচালে আমার মুক্তির যুদ্ধে পাশে দাঁড়ালে তার প্রতি জীবনের যে কোন মুহূর্তে বিদ্বেষ প্রকাশ করা কৃতঘ্নতা।

ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কোন্নয়নে আমার আগ্রহের জায়গা দুই দেশের বাংলাভাষী মানুষের ভেঙ্গে দেয়া যৌথ পরিবারটিতে অন্ততঃ মানসিক বন্ধনটা ফিরিয়ে আনা। ভৌগোলিক সীমারেখা থাকুক তার মতো; মনের ভূগোলটা হোক অবিভাজিত।

একটু বয়েস হয়ে গেলে অনেক মানুষকে দেখা যায় একটা প্যারানয়ায় ভোগে; একটা পলিথিন ব্যাগে দু'টুকরো পান ঠিকঠাক আছে কীনা বার বার নেড়ে চেড়ে দেখে। তার মনের মধ্যে অজানা ভয় কেউ তার পলিথিন ব্যাগটা চুরি করে নেবে। বাংলাদেশে এরকম কিছু ভারতবিরোধী আছে; যারা ভারত তার পলিথিন ব্যাগের মাঝের দুটি প্রায় শুকনো পানের দিকে লোলুপ দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে এই ভয়ে ঘুমাতে পারেনা। এই মানসিক অনিশ্চয়তার কোন ভিত্তি নেই; এ কেবলই প্যারানয়া।

এখন বাংলাদেশের দক্ষিণপন্থী নেত্রী খালেদা জিয়া এবং পাকিস্তানের দক্ষিণপন্থী নেতা নওয়াজ শরীফের সমস্যা হচ্ছে এরা বাই-চান্স রাজনীতিবিদ। জেনারেল জিয়াউর রহমানসূত্রে খালেদা অন্যদিকে জেনারেল জিয়াউল হক সূত্রে নওয়াজ শরীফের রাজনীতিতে উত্থান ঘটেছে। এরা মূলতঃ দুটো রাজনৈতিক পীর বংশের অভ্যুদয় ঘটিয়েছেন। দুজনেই মরিয়া কী করে নিজেদের ছেলে বা উত্তরাধিকারকে গদিনশীন করা যায়; এই চিন্তাতেই তাদের বেশীরভাগ সময় অতিবাহিত হয়।



কিন্তু নরেন্দ্র মোদী একজন সাধারণ দলীয় কর্মী থেকে অধ্যবসায়ের মাধ্যমে আজকের এই জায়গায় এসেছেন। দরিদ্র ঘরের ছেলে; বাবার চায়ের দোকানে কাজে সাহায্য করতেন, স্কুলে যেতেন আবার এরমধ্যে অংশ নিতেন দলীয় প্রাত্যহিক আলোচনাচক্রে ও শরীর চর্চায়। পথে পথে নিরন্ন শিশু দেখে তাদের ভাগ্য পরিবর্তনই মোদীর জীবনের ব্রত হয়ে দাঁড়ায়। ঘর মোদীর ভালো লাগেনি; ভালো লাগেনি সংসার; বেছে নিয়েছেন সন্ন্যাস। সন্ন্যাস থেকে আবার ফেরেন অধিকারবঞ্চিত মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের মিছিলে। মোদী জীবনের এতো চড়াই-উতরাই-এর মাঝেও দিল্লী ও গুজরাট বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা করেছেন। গণতন্ত্রের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে উত্তরাধিকারের রাজনৈতিক ব্যবসাকে প্রত্যাখ্যান করেছেন মোদি। ভারতের প্রতিটি শিশুই উনার স্বপ্নের উত্তরাধিকার।



‘গুজরাট ট্র্যাজেডি’ মোদির রাজনৈতিক জীবনের একটি কালো চিহ্ন। সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় ব্যাপক প্রাণহানির ঘটনা থামাতে না পারা গুজরাটের ততকালীন মূখ্যমন্ত্রী হিসেবে মোদীর অক্ষমতার জায়গা। কিন্তু তদন্তে কোথাও এই দাঙ্গার পেছনে মোদীর যোগসাজশের প্রমাণ পাওয়া যায়নি, এবং গুজরাটের অনুতাপ মোদীকে ভারতের মুসলমান সম্প্রদায়ের কাছে নিয়ে এসেছে। বিজেপির নেতারা অনেকে নানারকম সাম্প্রদায়িক উস্কানীমূলক কথাবার্তা বলে। এটা দক্ষিণ এশিয়ার সব দেশের রোগ; এইখানে কারো মুখের কথার ওপর কোন ট্যাক্স ধার্য্য করা হয়নি যে! মোদী এদের থামতে বলেছিলেন, আপনারা এসব বাজে কথা বলা বন্ধ না করলে আমি পদত্যাগ করবো।



কাজেই দক্ষিণপন্থী রাজনীতির মানুষ হয়েও মোদীর মাঝে যথেষ্ট ইতিবাচকতা দৃশ্যমান। তিনি অতিথি হিসেবে ঢাকায় আসছেন। বাংলাদেশের পক্ষের দাবী-দাওয়াগুলো যেহেতু আগেই উত্থাপন করা আছে; অতিথির এই আগমন চট-জলদি কী পেলাম বা পেলাম না তা দিয়ে পট করে মাপামাপি অনুচিত হবে। অতিথির কাছে কিছু চাইতে নেই এতো বাল্যশিক্ষার অংশ।

পররাষ্ট্র নীতিতে শিষ্টাচার ব্যক্তিগত জীবনের মতই। সম্পর্কের সুষমাটা থাকলে চাওয়া-পাওয়ার হিসেব মেলাতে ক্যালকুলেটার নিয়ে বসতে হয়না। আমিতো শুনেছি, না চাহিলেই ভালোবাসা পাওয়া যায়; সুতরাং তিস্তার জল পাওয়া যাবে না এরকম হতেই পারেনা।

মাসকাওয়াথ আহসান, সাংবাদিক, সাংবাদিকতা শিক্ষক

মুক্তমত বিভাগে প্রকাশিত লেখার বিষয়, মতামত, মন্তব্য লেখকের একান্ত নিজস্ব। sylhettoday24.com-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে যার মিল আছে এমন সিদ্ধান্তে আসার কোন যৌক্তিকতা সর্বক্ষেত্রে নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে sylhettoday24.com আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় গ্রহণ করে না।

আপনার মন্তব্য

লেখক তালিকা অঞ্জন আচার্য অধ্যাপক ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী ৪৮ অসীম চক্রবর্তী আজম খান ১১ আজমিনা আফরিন তোড়া ১০ আনোয়ারুল হক হেলাল আফসানা বেগম আবদুল গাফফার চৌধুরী আবু এম ইউসুফ আবু সাঈদ আহমেদ আব্দুল করিম কিম ৩২ আব্দুল্লাহ আল নোমান আব্দুল্লাহ হারুন জুয়েল ১০ আমিনা আইরিন আরশাদ খান আরিফ জেবতিক ১৭ আরিফ রহমান ১৬ আরিফুর রহমান আলমগীর নিষাদ আলমগীর শাহরিয়ার ৫৪ আশরাফ মাহমুদ আশিক শাওন ইনাম আহমদ চৌধুরী ইমতিয়াজ মাহমুদ ৭১ ইয়ামেন এম হক এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন একুশ তাপাদার এখলাসুর রহমান ৩৭ এনামুল হক এনাম ৪১ এমদাদুল হক তুহিন ১৯ এস এম নাদিম মাহমুদ ৩৩ ওমর ফারুক লুক্স কবির য়াহমদ ৬২ কাজল দাস ১০ কাজী মাহবুব হাসান কেশব কুমার অধিকারী খুরশীদ শাম্মী ১৭ গোঁসাই পাহ্‌লভী ১৪ চিররঞ্জন সরকার ৩৫ জফির সেতু জহিরুল হক বাপি ৪৪ জহিরুল হক মজুমদার জাকিয়া সুলতানা মুক্তা জান্নাতুল মাওয়া জাহিদ নেওয়াজ খান জুনাইদ আহমেদ পলক জুয়েল রাজ ১০২ ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন ১২ ড. কাবেরী গায়েন ২৩ ড. শাখাওয়াৎ নয়ন ড. শামীম আহমেদ ৪১ ডা. আতিকুজ্জামান ফিলিপ ২০ ডা. সাঈদ এনাম ডোরা প্রেন্টিস তপু সৌমেন তসলিমা নাসরিন তানবীরা তালুকদার তোফায়েল আহমেদ ৩০ দিব্যেন্দু দ্বীপ দেব দুলাল গুহ দেব প্রসাদ দেবু দেবজ্যোতি দেবু ২৭ নাজমুল হাসান ২৪ নিখিল নীল পাপলু বাঙ্গালী পুলক ঘটক প্রফেসর ড. মো. আতী উল্লাহ ফকির ইলিয়াস ২৪ ফজলুল বারী ৬২ ফড়িং ক্যামেলিয়া ফরিদ আহমেদ ৪২ ফারজানা কবীর খান স্নিগ্ধা বদরুল আলম বন্যা আহমেদ বিজন সরকার বিপ্লব কর্মকার ব্যারিস্টার জাকির হোসেন ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ ১৮ ভায়লেট হালদার মারজিয়া প্রভা মাসকাওয়াথ আহসান ১৯০ মাসুদ পারভেজ মাহমুদুল হক মুন্সী মিলন ফারাবী মুনীর উদ্দীন শামীম ১০ মুহম্মদ জাফর ইকবাল ১৫৩ মো. মাহমুদুর রহমান মো. সাখাওয়াত হোসেন মোছাদ্দিক উজ্জ্বল মোনাজ হক ১৪ রণেশ মৈত্র ১৮৩ রতন কুমার সমাদ্দার রহিম আব্দুর রহিম ৫৫ রাজু আহমেদ ১৫ রাজেশ পাল ২৮ রুমী আহমেদ রেজা ঘটক ৩৮ লীনা পারভীন শওগাত আলী সাগর শাওন মাহমুদ