আজ বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪

Advertise

যুক্তফ্রন্ট নিয়ে বিচ্ছিন্ন ভাবনা

আরিফ জেবতিক  

ড. কামাল হোসেন-বি. চৌধুরী-মান্না-রব সমন্বয়ে গঠিত যুক্তফ্রন্টের প্রথম নাগরিক সভা গতকাল অনুষ্ঠিত হলো। এই প্রসঙ্গে আমার কিছু বিচ্ছিন্ন প্রেডিকশন টুকে রাখছি ফেসবুকের দেয়ালে।

আপনারাও মুক্তভাবে নিজ নিজ মতামত জানান। আগামীতে আমরা দেখব কোনটা কোনটা সত্যি হলো।

১.
ড. কামাল হোসেনের অন্তর্ভুক্তি বিএনপির জন্য একটা লাইফলাইন। এই মুহূর্তে খালেদা জিয়া জেলে, তারেক রহমান পলাতক, বিএনপির জন্য নির্বাচনের মুখে একটা 'ফেইস ভ্যালু' দরকার। এখানে ড. কামাল ভালো চয়েস। বিএনপি সুশীল ভোটারদের মাঝে ড. কামাল হোসেনের মুখ ব্যবহার করে একটা সুশীল সুশীল ভাব প্রতিষ্ঠা করতে পারবে।

২.
যুক্তফ্রন্টের বাকি নেতারা আসলে ধইন্যাপাতা। এই কম্বিনেশনে যুক্তফ্রন্ট 'শেখ হাসিনা হঠাও'-এই কথার বাইরে নতুন কোনো স্বপ্ন, সম্ভাবনা, পরিকল্পনা হাজির করতে পারবেন বলে আমার মনে হয় না। আর এটা না পারলে খালি 'হঠাও' তে পাবলিক নড়েচড়ে বসবে না। 'হঠাও' গত ১০ বছর ধরেই হচ্ছে, জামাতের মতো বিধ্বংসী সংগঠনের নেতৃত্বেই হচ্ছে-হঠাতে পারেনি। এইখানে ন্যূনতম কোনো আদর্শগত ঐক্য নাই। একদিকে প্রকৌশলী শহীদুল্লাহ, জোনায়েদ সাকি অন্যদিকে ববি হাজ্জাজ টু হেফাজতের ইউসূফী। এই জগাখিচুড়ি কম্বিনেশনের নেতৃত্ব সম্ভব যদি সেটা বড় দল ( এক্ষেত্রে বিএনপি)'র হাতে থাকে। কিন্তু এখানে ঘটনা ঘটছে উল্টো। এরা চায় বিএনপি তার কর্মী সরবরাহ করবে আর বিএনপির কর্মীদের উনারা নেতৃত্ব দিবেন। একটু উচ্চাশাই বটে।

এরা বিবিধ ভাগাভাগি, মান অভিমান নিয়ে নিজেদের মধ্যে ভজঘট পাকিয়ে বসে কী না সেটাই আগামী দিনে দেখার বিষয়।

৩.
সবচাইতে ক্রিটিক্যাল ইস্যু হচ্ছে জামাত। বিএনপি জামাতকে ছাড়বে নাকি জামাত বিএনপিকে ছাড়বে? যেভাবে যুক্তফ্রন্ট নেতারা আবদার জানিয়েছেন, সেই আবদারে সাড়া দিয়ে এই বড় দুই দল ডিভোর্সে রাজি হবে কী না সন্দেহ আছে। অতীতে এর চাইতে অনেক বড় চাপের মুখেও বিএনপির শীর্ষ নেতারা জামাতকে ছাড়ে নি। সুতরাং খালেদা জিয়া কি তারেক রহমানের এক বার্তায় যুক্তফ্রন্টওয়ালাদের প্রত্যাশার বেলুন ফুটো হয়ে যেতে পারে।

৪.
আমার ধারনা সরকার এবং আওয়ামী লীগ এই যুক্তফ্রন্টকে একটা স্পেস দিবে। একেবারে মারমুখী হবে না। এরা যাতে ইলেকশনে আসে সেরকম একটা প্যাম্পারিং সিচুয়েশন রাখবে। কারণ আওয়ামী লীগ এইবার সবাইকে নিয়েই ইলেকশনে আসতে চাইবে। সবচাইতে ট্র্যাজিক হতে পারে ইলেকশনের ফলাফল। দেখা গেল মান্না-রব-বি চৌধুরী-সাকি-ইউসুফ-ববি হাজ্জাজরা সবাই বিএনপির ভোটে সিট নিয়ে আসলেন আর বিএনপির জাঁদরেল নেতারা হেরে বসে থাকলেন। এটা খুবই সম্ভব। একেবারে ডার্ক পলিটিক্স অথবা ডার্ক কৌতুক ঘটতে পারে।

৫.
যুক্তফ্রন্টের এই আড়ম্বরে এখানে যুক্ত কারো লসের কিছু নেই। এরা এমনিতে গুরুত্বপূর্ণ কিছু না, এখন পাইলে পাইলেন না পাইলে হারানোর কিছু নেই। একমাত্র হারালেন প্রকৌশলী শহীদুল্লাহ। 'তেল-গ্যাস-বিদ্যুৎ-বন্দর' আন্দোলনকে আওয়ামী লীগ দীর্ঘদিন ধরেই বিএনপি-জামাতের পেট্রোনাইজ করা আন্দোলন বলে আসতে চায়। আমাদের মতো আম জনতা বারবারই বলে আসছিলাম যে এটা বামদের আন্দোলন। এই ঘটনার পর আওয়ামী লীগ তাদের দাবির একটা লেজিটিমেসি পেয়ে গেল মনে হচ্ছে।

আরিফ জেবতিক, ব্লগার ও সাংবাদিক

মুক্তমত বিভাগে প্রকাশিত লেখার বিষয়, মতামত, মন্তব্য লেখকের একান্ত নিজস্ব। sylhettoday24.com-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে যার মিল আছে এমন সিদ্ধান্তে আসার কোন যৌক্তিকতা সর্বক্ষেত্রে নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে sylhettoday24.com আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় গ্রহণ করে না।

আপনার মন্তব্য

লেখক তালিকা অঞ্জন আচার্য অধ্যাপক ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী ৪৮ অসীম চক্রবর্তী আজম খান ১১ আজমিনা আফরিন তোড়া ১০ আনোয়ারুল হক হেলাল আফসানা বেগম আবদুল গাফফার চৌধুরী আবু এম ইউসুফ আবু সাঈদ আহমেদ আব্দুল করিম কিম ৩২ আব্দুল্লাহ আল নোমান আব্দুল্লাহ হারুন জুয়েল ১০ আমিনা আইরিন আরশাদ খান আরিফ জেবতিক ১৭ আরিফ রহমান ১৬ আরিফুর রহমান আলমগীর নিষাদ আলমগীর শাহরিয়ার ৫৪ আশরাফ মাহমুদ আশিক শাওন ইনাম আহমদ চৌধুরী ইমতিয়াজ মাহমুদ ৭১ ইয়ামেন এম হক এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন একুশ তাপাদার এখলাসুর রহমান ৩৭ এনামুল হক এনাম ৪২ এমদাদুল হক তুহিন ১৯ এস এম নাদিম মাহমুদ ৩৩ ওমর ফারুক লুক্স কবির য়াহমদ ৬৩ কাজল দাস ১০ কাজী মাহবুব হাসান কেশব কুমার অধিকারী খুরশীদ শাম্মী ১৭ গোঁসাই পাহ্‌লভী ১৪ চিররঞ্জন সরকার ৩৫ জফির সেতু জহিরুল হক বাপি ৪৪ জহিরুল হক মজুমদার জাকিয়া সুলতানা মুক্তা জান্নাতুল মাওয়া জাহিদ নেওয়াজ খান জুনাইদ আহমেদ পলক জুয়েল রাজ ১০২ ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন ১২ ড. কাবেরী গায়েন ২৩ ড. শাখাওয়াৎ নয়ন ড. শামীম আহমেদ ৪১ ডা. আতিকুজ্জামান ফিলিপ ২০ ডা. সাঈদ এনাম ডোরা প্রেন্টিস তপু সৌমেন তসলিমা নাসরিন তানবীরা তালুকদার তোফায়েল আহমেদ ৩১ দিব্যেন্দু দ্বীপ দেব দুলাল গুহ দেব প্রসাদ দেবু দেবজ্যোতি দেবু ২৭ নাজমুল হাসান ২৪ নিখিল নীল পাপলু বাঙ্গালী পুলক ঘটক প্রফেসর ড. মো. আতী উল্লাহ ফকির ইলিয়াস ২৪ ফজলুল বারী ৬২ ফড়িং ক্যামেলিয়া ফরিদ আহমেদ ৪২ ফারজানা কবীর খান স্নিগ্ধা বদরুল আলম বন্যা আহমেদ বিজন সরকার বিপ্লব কর্মকার ব্যারিস্টার জাকির হোসেন ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ ১৮ ভায়লেট হালদার মারজিয়া প্রভা মাসকাওয়াথ আহসান ১৯০ মাসুদ পারভেজ মাহমুদুল হক মুন্সী মিলন ফারাবী মুনীর উদ্দীন শামীম ১০ মুহম্মদ জাফর ইকবাল ১৫৩ মো. মাহমুদুর রহমান মো. সাখাওয়াত হোসেন মোছাদ্দিক উজ্জ্বল মোনাজ হক ১৪ রণেশ মৈত্র ১৮৩ রতন কুমার সমাদ্দার রহিম আব্দুর রহিম ৫৫ রাজু আহমেদ ১৬ রাজেশ পাল ২৮ রুমী আহমেদ রেজা ঘটক ৩৮ লীনা পারভীন শওগাত আলী সাগর শাওন মাহমুদ