আজ শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

Advertise

এই মুহূর্তে নির্বাচন ও আওয়ামী লীগ

রহিম আব্দুর রহিম  

২০১২ খ্রিস্টাব্দের ১ ফেব্রুয়ারি একটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় ‘এই মুহূর্তে নির্বাচন, আওয়ামী লীগের ভরাডুবি।’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ হয়েছিলো। প্রকাশিত প্রতিবেদনে উল্লেখ ছিলো, জরিপকারীরা পাঁচটি ইস্যুকে গুরুত্ব দিয়ে জরিপ চালিয়ে ছিলেন। এর মধ্যে দ্রব্যমূল্য, আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি, দুর্নীতি, এমপিদের সাথে দলীয় নেতা কর্মীদের সম্পর্ক এবং এলাকার উন্নয়ন। এই জরিপে প্রতিটি নির্বাচনী এলাকায় ১২ ধরনের পেশার সাথে সম্পৃক্ত ব্যক্তিদের সাথে কথা বলে (প্রতি পেশায় ৫ জন করে ১২*৫=৬০) জরিপ প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছিলো। ওই সময় নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগ ৬৯, বিএনপি ১৭০, জাতীয় পার্টি- ২৩, জামায়াত ১৪ আসনে হাড্ডাহাড্ডি লড়বে ২১টি আসন পাবে বিজেপি। জামিয়াতে ওলামা ইসলাম ও জাগপা মিলে ৩ আসনে জয় লাভ করবে। ২০১২ থেকে ২০১৮, ব্যবধান ৭ বছরের। এখন আওয়ামী লীগের অবস্থা কী? এ ধরনের প্রশ্ন মাথায় রেখে লেখাটি তৈরি করা হয়েছে। বর্তমান অবস্থা বিশ্লেষণে বলা যায়, বিএনপিকে ক্ষমতা বসানোর কোনো ইস্যু ভোটাররা পাচ্ছে না, তবে আওয়ামী লীগ হেরে যাওয়ার সম্ভাবনা ৮০ শতাংশ।

সাংঘর্ষিক কথায় পাঠকরা বিব্রত বোধ করছেন। করারই কথা। ১৯৭১ থেকে ২০০৫ পর্যন্ত সরকার বদলের ইতিহাস প্রমাণ করে আওয়ামী লীগকে হারিয়ে দেওয়ার ন্যক্কারজনক ‘ইঞ্জিনিয়ারিং ইলেকশন’। দেশের এন্ট্রি আওয়ামী লীগ, কখনই আওয়ামী লীগের আপন বা শুভাকাঙ্ক্ষী হবে না। একে তো এন্ট্রি আওয়ামী লীগরা কখনো গোপনে- কখনো প্রকাশ্যে আবার কখনো ছদ্মবেশে সরকারের বিরুদ্ধে বিষকাঁটা লাগানোর চেষ্টা করছে, অহরহ দলের ভেতর ঢুকে পড়েছে সুবিধাভোগী একটি শ্রেণি।

একটি সরকারের পতন ঘটাতে হলে তৃণমূলে ৪ টি জায়গায় টার্গেট করে ষড়যন্ত্রকারীরা এগুতে থাকে, প্রথম কৃষিপ্রধান দেশে কৃষি পণ্যে, দ্বিতীয়টি যোগাযোগ ক্ষেত্রে, তৃতীয় আধুনিক উন্নয়ন (বিদ্যুৎ) ক্ষেত্রে, চতুর্থ হতাশা গ্রস্ত তরুণসমাজকে ক্ষেপিয়ে তোলার ইস্যু সৃষ্টি করা। এই চারটি ক্ষেত্র সামাল দিতে পারলে কোন সরকারের পতন ঘটার সম্ভাবনা থাকে না। এই চার ক্ষেত্রের কোথায় কী অবস্থা, তা সরকার সংশ্লিষ্টরাই ভালো বলতে পারবেন। তবে গ্রামের মানুষরা আত্মচিত্তে প্রাণ খুলে যখন বলেন, ‘ভালোই আছি গো, খাও-খাও নাই। মাদক বিরোধী সরকারের কঠোর অবস্থানও প্রশংসার দাবিদার। কমিউনিটি ক্লিনিকের সেবা পেয়ে পরম তৃপ্তিতে হতদরিদ্র গ্রামের মানুষরা। ঢাকার পাঠাও সার্ভিসের সেবকরা তো মহা খুশি, দৈনিক আয় ১৬শ টাকা থেকে ২ হাজার টাকা। যোগাযোগ থেকে জনগুরুত্বপূর্ণ প্রায় ৪১টি সেক্টরের উন্নয়ন দৃশ্যমান। তাতে করে বলা যায়, সাধারণ জনমানুষ এই সরকারের প্রতি ততটা নাখোশ নয়।

সারা দেশের সাধারণ মানুষের মাঝে চরম ক্ষোভ দানা বেঁধেছে একটি কারণে, যেখানে প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং বলেছেন, মাত্র ৭শ টাকার বিনিময়ে পর্যায়ক্রমে সারাদেশে ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হবে। সেখানে কিভাবে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার নামে সাধারণ খেঁটে খাওয়া হতদরিদ্র, রিকশা-ভ্যানচালক থেকে শুরু করে এতিম অসহায়দের কাছ থেকে দুই হাজার থেকে দশ হাজার টাকা পর্যন্ত উৎকোচ গ্রহণ করেছে! বিষয়টি ভুক্তভোগীরা মনে রেখেছে, রাখছে। কৃষকরা তাদের প্রয়োজনীয় উপকরণ ক্রয়ে যা গুনেছে, পণ্য বিক্রিতে তা না পোষাতে না পেরে ক্ষুব্ধ তবে একেবারেই যে ক্ষতিগ্রস্ত এমনটা নয়।

দলীয় ব্যানারে টেন্ডারবাজি, টিআর, কাবিখার পার্সেন্টের খবর আরও খারাপ, ৩০ শতাংশ থেকে ক্ষেত্র ভেদে ৬০ শতাংশ পর্যন্ত নেওয়ার কেলেঙ্কারি সারা দেশে গরম তেলের মতো বুদ্বুদ করছে। শিক্ষাক্ষেত্রে অভাবনীয় যে সাফল্য এনেছে, তা আলোচিত হলেও জাতির মেরুদণ্ড শক্ত করার গবেষণালব্ধ শিক্ষা এখনো বাংলাদেশে চালু করা সম্ভব হয়ে উঠেনি। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের নাকে কান্না, আর ঘ্যান ঘ্যান মানুষ অতৃপ্ত। ডিজিটাল পদ্ধতির শিক্ষা গ্রহণ বা প্রদান নয়, যে শিক্ষা পদ্ধতি জাতিকে ‘কর্ম ডিজিটালে’ পরিণত করবে এধরনের শিক্ষা জাতির প্রত্যাশা। সম্প্রতি বিবিএস এর শ্রম শক্তি জরিপ তথ্যে জানা যায়, দেশে বর্তমানে ৪ কোটি ৮২ লাখ প্রকৃত বেকার। এর মধ্যে ২৫ লাখ বেকার ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার। বাকিরা গ্রাজুয়েশন থেকে শুরু করে সাক্ষর জ্ঞান সম্পন্ন ‘মৌসুমি বেকার’।

আমাদের জানা আছে, আজকের চীনের কথা, যে দেশটি তাদের মাতৃভাষা গুছিয়ে বলতে পারত না, যারা এখনো আন্তর্জাতিক ভাষা ইংলিশ বলতে অক্ষম। এই দেশের মানুষরা পৃথিবীর সকল প্রান্ত দখল করে রেখেছে, তাদের উৎপাদিত পণ্য বাজারে বিকিয়ে। এরা দীর্ঘ ৬৫ বছর কর্মমুখী শিক্ষাখাতে সর্বোচ্চ বরাদ্দ দিয়ে কর্মক্ষম জাতি গঠন করে শ্রেষ্ঠত্ব দখল করেছে। জাপানের একই অবস্থা। আওয়ামী লীগ সরকার তাদের গত নির্বাচনী ইশতেহার অনুযায়ী যথেষ্ট কাজকর্ম করেছেন। আগামী নির্বাচনী ইশতেহার হয়ত করেও ফেলেছেন। নির্বাচনী ইশতেহার যদি কারিগরি বা কর্মমুখী শিক্ষা চালুর জন্য নতুন কোন প্রতিষ্ঠান নয়, সারা দেশের সকল সরকারি, বেসরকারি স্কুল-কলেজ মাদরাসায় স্বল্প এবং দীর্ঘ মেয়াদি কারিগরি শিক্ষা চালু করে চীনের মতো বাড়ি বাড়ি ফ্যাক্টরি, ঘরে ঘরে কারিগর সৃষ্টির শিক্ষা চালু করে দেশের বৃহৎ তরুণ সমাজকে কর্মঠ কওে, দেশ বিদেশের বাজার দখলে আনতে পারে তবেই বাংলাদেশ অতিদ্রুত পৃথিবী ছাপিয়ে কর্মক্ষেত্রে নেতৃত্ব দেবে; এতে কোন সন্দেহ নেই।

নির্বাচনের আগে এই সরকারের শিক্ষকদের কিছু দাবি দাওয়া মেনে নিতেই পারেন এর মধ্যে বেসরকারি স্কুল কলেজ মাদরাসা শিক্ষক কর্মচারীদের ৫ শতাংশ ইনক্রিমেন্ট এবং বৈশাখী ভাতা। প্রধানমন্ত্রী দিতেও আগ্রহী তবে বিষয়টি সংশ্লিষ্টদের অজ্ঞতা, অদক্ষতা, চরম অবহেলা এবং আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় অহেতুক জল ঘোলা হচ্ছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে এনআই খানদের খুবই প্রয়োজন।

প্রসঙ্গে আসছি, সামনে নির্বাচন আওয়ামী লীগের ভাবনা দুই রকম, এরমধ্যে বিএনপি নির্বাচনে আসলে নমিনেশনের ধারা হবে একরকম, না আসলে নমিনেশন ধারা হবে অন্য রকম। আওয়ামী লীগের ভাবনায় যুক্তি রয়েছে। সম্প্রতি একটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত একটি শিরোনাম ছিল, ‘মনোনয়ন নিয়ে ত্রিমুখী জটিলতায় আওয়ামী লীগ’ এর মধ্যে একক প্রার্থী ঘোষণায় আগাম বিদ্রোহের আশঙ্কা, জোট-মহাজোটের রূপরেখা নির্ধারণের বিলম্ব (কারণ বিএনপি নির্বাচনে একধরনের, না নিলে অন্য ধরনের) বর্তমান ১৪ দলীয় জোটের শরিকদের প্রত্যাশা মাফিক আসন ছেড়ে দেওয়ার বিষয়টি রয়েছে। নভেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে তফশিল ঘোষণা হলে, নির্বাচন ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ নাগাদ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যতদ্রুত আওয়ামী লীগ সম্পৃক্ত ১৪ দলীয় প্রার্থী ঘোষণা হবে, ততদ্রুত পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণপূর্বক সমাধানের পথ সুগম হবে। প্রার্থী ঘোষণা নিয়ে আওয়ামী লীগে যে নোংরা প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে, তাতে করে ষড়যন্ত্রকারী শত্রুপক্ষ যে ফায়দা লুটবে তা স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে।

শুভাকাঙ্ক্ষীদের প্রস্তাব, ক্লিন ইমেজের প্রার্থীদের পরস্পরকে বসিয়ে দিয়ে, নিজেরাই নিজেদের আসনের নমিনেশন নিশ্চিত করে একটি তালিকা নমিনেশন বোর্ডে জমা দেবেন। অসঙ্গতি কিংবা গোয়েন্দা রিপোর্ট প্রতিকুলে থাকা প্রার্থীদের এখানে সম্পৃক্ততার প্রয়োজন নেই। নমিনেশন বোর্ড বিচার বিশ্লেষণ করে প্রার্থী দিতে পারলে দলে যথেষ্ট শৃঙ্খলা ফিরে আসবে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন। তবে সাধারণ ভোটাররা চাচ্ছেন কর্মঠ, সৎ, দলের জন্য নিবেদিত, ত্যাগী, কর্মী বান্ধব প্রার্থীদের। কোন ক্রমেই যেনো দলীয় বলয়ের বাইরে ব্যক্তিকেন্দ্রিক রাজনীতি লালন-পালন করছেন এমন কোন প্রার্থী (বর্তমান এমপি, মন্ত্রী, সাবেক কোন ব্যক্তি) নমিনেশন না পায়। প্রবীণ প্রার্থী থাকবেন তবে অথর্বদের যেনো নমিনেশন না দেওয়া হয় এ দাবি তৃণমূলে। অনেকেই জনপ্রিয় নেতা হওয়ার যে প্রতিযোগিতায় নেমেছে তা ভুল। ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু একমাত্র জনপ্রিয়, পরিস্থিতি প্রমাণ করে আওয়ামী লীগ মধ্য দিয়ে জনপ্রিয় হওয়া যায়, জনপ্রিয় হয়ে আওয়ামী লীগ করতে হয় না। তবে ক্লিন ইমেজের প্রয়োজন রয়েছে। আওয়ামী লীগ বা বিএনপি প্রতীকে নৌকায় মানুষ ভোট দেন। যাকে নমিনেশন দেওয়া হবে সেই দলের জনপ্রিয় প্রার্থী হবেন।

এই সরকারের মেয়াদ যায় যায়, নির্বাচনকালীন একটি সরকার গঠন করতে হবে দ্রুত। যদি এই সরকারের আওয়ামী লীগ ঘরনার ১০ জন ক্লিন ইমেজের মন্ত্রী নিয়ে গঠিত হয়, তবে তাঁরা কারা? এমন এক প্রশ্ন নিয়ে সারাদেশে বিভিন্ন প্রান্তে থাকা শুভাকাঙ্ক্ষীদের সাথে কথা বলেছি। ঘুরে ফিরে যাঁদের নাম এসেছে এরাঁ হলেন, তোফায়েল আহমেদ, আমীর হোসেন আমু, আনিসুল হক, মতিয়া চৌধুরী, মাহমুদ আলী, মোজ্জামেল হক, আসাদুজ্জামান খান কামাল, আসাদুজ্জামান নুর, সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, তারানা হালিম, শরিক দলের অন্যান্য দুই একজনের নাম শোনা গেছে। কয়েক ডজন মন্ত্রীর মধ্যে মাত্র ১০ জন ক্লিন ইমেজের মন্ত্রী নাম পাওয়া মুস্কিল। সেখানে ৩০০ আসনের এমপিদের সম্বন্ধে জানতে চাইলে কী অবস্থা?

অনেক এমপি রয়েছেন যাঁরা সততা, ন্যায় নিষ্ঠ কর্মে ভূয়সী প্রশংসা কুড়িয়েছেন। মন্ত্রীদের সাথে পাল্লা দিয়ে এলাকার উন্নয়ন করেছেন, মানুষ তাদের পছন্দও করেন। আবার অনেক এমপি রয়েছেন, যাঁদের নাম শুনলে ভিক্ষুকও বমি করেন। এমন কিছু মন্ত্রী রয়েছেন যাঁরা দলীয় বলয়ে দুর্নীতির পাহাড় গড়েছে, তৃণমূলে রাজনীতির নামে বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার নাম ভাঙিয়ে রাজনীতি বারোটা বাজিয়েছে। খেয়াঘাটের মাঝি থেকে ল্যাট্রিনের সুইপারদের জায়গাতেও নিজের লোকদের প্রতিষ্ঠা করেছেন।

অপ্রাসঙ্গিকভাবে উদাহরণ টেনে বলা যায়, দেশ স্বাধীনের পর বাংলাদেশের মানুষরা কবে বাংলাদেশ ব্যাংক চিনেছেন? কোন আমলে সামাজিক দায়বদ্ধতা হতদরিদ্র মাঝে চিকিৎসা সেবা, শীতবস্ত্র বিতরণ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অনুদান, ক্রীড়া কালচারে উন্নয়নে স্পন্সর প্রদানের ব্যবস্থা হয়েছে? সাধারণ জনগণের দ্বারপ্রান্তে ব্যাংক সেবা পৌঁছে দিয়েছেন? উত্তর আসবে শেখ হাসিনার মনোনীত সাবেক বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নর ড. আতিউর রহমানের আমলে। অথচ ড. আতিউর রহমান সরকার যন্ত্রে নেই। একইভাবে অনেক কর্মঠ সরকার দরদী নিষ্ক্রিয় মানুষদের সরকার কর্মযজ্ঞের সাথে সম্পৃক্ত করার ভাবনা নিয়েই আওয়ামী লীগকে এগুতে হবে।

জাতীয় প্রেসক্লাব আঙ্গিনায় কথা হয়েছে, নবীন-প্রবীণ শুভাকাঙ্ক্ষী দুই একজন সাংবাদিকের সাথে। আলাপের এক পর্যায়, তাঁরা জোরালো ভাষায় বলেছেন, একমাত্র শেখ হাসিনার মেধা, মনন, যোগ্যতা দিয়ে দেশ পরিচালিত হচ্ছে। বাকিরা পালের গোদা। তাদের আশঙ্কা এই সরকার ক্ষমতায় আসার প্রারম্ভে থেকে প্রধানমন্ত্রীর চারপাশে আইএসআই এর (আমলা) এজেন্টরা সারাক্ষণ ঘুরঘুর করে,করছে। এদের চিহ্নিত করে কাট-ছাঁট না করতে পারলে আওয়ামী লীগের কপালে দুর্দশা রয়েছে।

গত ৩১ আগস্ট দৈনিক সংবাদ পত্রিকায় প্রকাশিত একটি শিরোনাম ছিল, ‘বিএনপি-জামাত কর্মকর্তারা জেলা প্রশাসক’ সংবাদ বডিতে বলা হয়েছে জেলা প্রশাসক (ডিসি) হিসাবে পদায়ন পাচ্ছেন বিএনপি-জামাত পন্থি কর্মকর্তারা। প্রতিবেদক পরোক্ষভাবে জেলাগুলোর নামও উল্লেখ্য করেছেন। অথচ বহাল তবিয়তে এরা এখনো রয়েছেন। তবে ইতোমধ্যে বিশটি জেলার জেলা প্রশাসক পরিবর্তনও করা হয়েছে।

আওয়ামী লীগ দলের ভেতর স্বাধীনতার পক্ষ-বিপক্ষে শংকর জাতের নেতার ভিড় তো রয়েছেই। এর উপর সুকৌশলে তাদের মাঝে ঢুকে পড়েছে সুবিধাবাদী আর একটি গোষ্ঠী। যারা আওয়ামী লীগ নেতাদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সহযোগিতায় লোভনীয় পদ-পদবি, চাকুরী-বাকুরী লুফে নিয়েছেন। কোন কোন জেলায় রাজনীতির নামে ব্যবসায়ী ব্যক্তিরা তৃণমূল নেতা কর্মীদের মাঝে অর্থ বিলিয়ে রাজনৈতিক চরিত্র-আদর্শকে ধ্বংসের পথে ঢেলে দিয়েছে। সরকারের ভোটের মাঠে ফসল ফলেছে বলে মনে হচ্ছে। তবে লাগাম ছাড়লে দুর্গতি নিশ্চিত।

এখনও সময় আছে দ্রুত সামাল দেওয়ার, জাতির কাছে প্রমাণ করার। দুর্নীতিবাজ, অথর্ব, লোভী, স্বাধীনতা বিরোধীদের পৃষ্ঠপোষকদের মুখ উন্মোচিত করে যদি, তাদের নির্বাচন থেকে সরিয়ে রেখে সাধারণ জনমানুষের মন জয় করতে পারে। তবেই ভোটের ফসল উঠতে পারে, না হলে সময়ই বলে দিবে ভরাডুবি কাকে বলে!

রহিম আব্দুর রহিম, শিক্ষক, কলামিস্ট, নাট্যকার ও শিশু সাহিত্যিক। ইমেইল: [email protected]

মুক্তমত বিভাগে প্রকাশিত লেখার বিষয়, মতামত, মন্তব্য লেখকের একান্ত নিজস্ব। sylhettoday24.com-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে যার মিল আছে এমন সিদ্ধান্তে আসার কোন যৌক্তিকতা সর্বক্ষেত্রে নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে sylhettoday24.com আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় গ্রহণ করে না।

আপনার মন্তব্য

লেখক তালিকা অঞ্জন আচার্য অধ্যাপক ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী ৪৮ অসীম চক্রবর্তী আজম খান ১১ আজমিনা আফরিন তোড়া ১০ আনোয়ারুল হক হেলাল আফসানা বেগম আবদুল গাফফার চৌধুরী আবু এম ইউসুফ আবু সাঈদ আহমেদ আব্দুল করিম কিম ৩২ আব্দুল্লাহ আল নোমান আব্দুল্লাহ হারুন জুয়েল ১০ আমিনা আইরিন আরশাদ খান আরিফ জেবতিক ১৭ আরিফ রহমান ১৬ আরিফুর রহমান আলমগীর নিষাদ আলমগীর শাহরিয়ার ৫৪ আশরাফ মাহমুদ আশিক শাওন ইনাম আহমদ চৌধুরী ইমতিয়াজ মাহমুদ ৭১ ইয়ামেন এম হক এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন একুশ তাপাদার এখলাসুর রহমান ৩৭ এনামুল হক এনাম ৪১ এমদাদুল হক তুহিন ১৯ এস এম নাদিম মাহমুদ ৩৩ ওমর ফারুক লুক্স কবির য়াহমদ ৬৩ কাজল দাস ১০ কাজী মাহবুব হাসান কেশব কুমার অধিকারী খুরশীদ শাম্মী ১৭ গোঁসাই পাহ্‌লভী ১৪ চিররঞ্জন সরকার ৩৫ জফির সেতু জহিরুল হক বাপি ৪৪ জহিরুল হক মজুমদার জাকিয়া সুলতানা মুক্তা জান্নাতুল মাওয়া জাহিদ নেওয়াজ খান জুনাইদ আহমেদ পলক জুয়েল রাজ ১০২ ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন ১২ ড. কাবেরী গায়েন ২৩ ড. শাখাওয়াৎ নয়ন ড. শামীম আহমেদ ৪১ ডা. আতিকুজ্জামান ফিলিপ ২০ ডা. সাঈদ এনাম ডোরা প্রেন্টিস তপু সৌমেন তসলিমা নাসরিন তানবীরা তালুকদার তোফায়েল আহমেদ ৩১ দিব্যেন্দু দ্বীপ দেব দুলাল গুহ দেব প্রসাদ দেবু দেবজ্যোতি দেবু ২৭ নাজমুল হাসান ২৪ নিখিল নীল পাপলু বাঙ্গালী পুলক ঘটক প্রফেসর ড. মো. আতী উল্লাহ ফকির ইলিয়াস ২৪ ফজলুল বারী ৬২ ফড়িং ক্যামেলিয়া ফরিদ আহমেদ ৪২ ফারজানা কবীর খান স্নিগ্ধা বদরুল আলম বন্যা আহমেদ বিজন সরকার বিপ্লব কর্মকার ব্যারিস্টার জাকির হোসেন ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ ১৮ ভায়লেট হালদার মারজিয়া প্রভা মাসকাওয়াথ আহসান ১৯০ মাসুদ পারভেজ মাহমুদুল হক মুন্সী মিলন ফারাবী মুনীর উদ্দীন শামীম ১০ মুহম্মদ জাফর ইকবাল ১৫৩ মো. মাহমুদুর রহমান মো. সাখাওয়াত হোসেন মোছাদ্দিক উজ্জ্বল মোনাজ হক ১৪ রণেশ মৈত্র ১৮৩ রতন কুমার সমাদ্দার রহিম আব্দুর রহিম ৫৫ রাজু আহমেদ ১৬ রাজেশ পাল ২৮ রুমী আহমেদ রেজা ঘটক ৩৮ লীনা পারভীন শওগাত আলী সাগর শাওন মাহমুদ