আজ শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

Advertise

আওয়ামী লীগ-হেফাজত সম্পর্কে যে আলোচনা

আব্দুল করিম কিম  

গত ৪ নভেম্বর রাজধানীতে অনুষ্ঠিত ‘শোকরানা মাহফিল’ নিয়ে অনেকেই প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। অনেকে ভাষা খুঁজে না পেয়ে নীরবতা পালন করছেন। আসলে কী বলবেন? গিলবেন না উগড়াবেন অনেকে বুঝে উঠতে পারছেন না। তবে আমি বিষয়টি গিলতে পারছি না। পুরো বিষয়টাকে বাংলাদেশের রাজনীতির চরম দেউলিয়াপনা ভেবে দীর্ঘশ্বাস ফেলছি। নষ্ট রাজনীতির এই পচন দেখে গা গুলিয়েছে। জাফর ইকবাল স্যারের মত গলায় আঙুল দিয়ে নয়, ৫ তারিখের জাতীয় পত্রিকাগুলো পড়ে হড়হড় বমি করেছি। বমি করলে গা গুলানো অনেকটা কমে। শরীর হালকাবোধ হয়। হালকা শরীরে পুরো বিষয়টি নিয়ে অনেক ভাবলাম। যদিও আমার ভাবাভাবিতে এই রাষ্ট্রের কিছুই যায় আসে না। তবুও এই রাষ্ট্রের নাগরিক হিসাবে আমার ভাবার অধিকার আছে। আর সে ভাবনা প্রকাশ করারও অধিকার আছে। যদিও মত প্রকাশের অধিকার এখন অলিখিতভাবে নিয়ন্ত্রিত। তবুও বর্তমান সরকারের একজন সাবেক ভোটার হিসাবে গত ৪ নভেম্বরের শোকরানা মাহফিল ও হেফাজত-আওয়ামী লীগ সৌহার্দ্য নিয়ে নিজের ভাবনা প্রকাশ করতে এই লেখার অবতারণা।

রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ৪ নভেম্বর কওমি মাদ্রাসার দাওরায়ে হাদিসের (তাকমীল) সনদকে মাস্টার্স ডিগ্রি (ইসলামিক স্টাডিজ ও আরবি) সমমান প্রদান আইন, ২০১৮’ পাস হওয়ার প্রেক্ষাপটে আল-হাইয়াতুল উলয়া লিল জামিয়াতিল কওমিয়া বাংলাদেশ-এর ব্যানারে ‘শোকরানা মাহফিল’ আয়োজন করা হয়। এতে উপস্থিত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হয়ে উপস্থিত হয়েছিলেন। সকাল নয়টায় কোরআন তেলওয়াতের মধ্য দিয়ে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেছেন হেফাজতে ইসলামের আমির শাহ আহমদ শফী।

হেফাজতে ইসলাম ২০১৩ সালের ৫ মে ঢাকা অবরোধ করে। সেই অবরোধকালে শাপলা চত্বরে যে তাণ্ডব চালানো হয় তাতে কোরআন শরীফ পোড়ানোর অভিযোগ করেছিলেন শেখ হাসিনা। আবার আহমদ শফীর এক ওয়াজের ভিডিওতে মহিলাদের নিয়ে করা ‘অসম্মানজনক’ মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় ২০১৩ সালের ১৪ জুলাই গণভবনে ৮৮টি নতুন শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বাসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আহমদ শফীর বক্তব্যকে ‘জঘন্য’ আখ্যায়িত করে বলেছিলেন, ‘তিনি (আহমদ শফী) কি মায়ের পেট থেকে জন্মান নাই? মায়ের সম্মানটুকু উনি রাখবেন না? উনার কোনো বোন নেই, ওনার স্ত্রী নেই? তাঁদের সম্মান রাখবেন না? এই বিষয়ে জাতীয় সংসদ অধিবেশনে পয়েন্ট অফ অর্ডারে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্যরা কঠিন প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছিলেন। হেফাজতে ইসলামের আমির আহমদ শফীর কঠোর সমালোচনা করে সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য বেবী মওদুদ, শেখ ফজিলাতুন নেসা বাপ্পী, তারানা হালিম, মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি ও কৃষি মন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বক্তব্য রেখেছিলেন।

আহমদ শফীর এই ওয়াজের আধা ঘণ্টার ভিডিওচিত্রে তৈরি পোশাক কারখানার শ্রমিক, স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীদের নিয়েও আপত্তিকর বক্তব্য পাওয়া যায়। ভিডিওচিত্রে শফী বলেছিলেন, ‘মহিলা তেঁতুলের মতো। … মহিলাদের দেখলে দিলের মধ্যে লালা বাইর হয়’ এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘উনি যে নেত্রীর পাশে বসতেন, তাঁকে যদি তেঁতুল মনে করে উনার জিবে পানি আসে, তাহলে আমার কিছু বলার নেই।’

২০১৩ সালের তাণ্ডব পরবর্তী সময়ে শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ নেতারা হেফাজতে ইসলাম ও আহমেদ শফী সম্পর্কে দেওয়া বিভিন্ন বক্তব্য ইউটিউবে এখনো সংরক্ষিত আছে। আবার হেফাজতে ইসলাম ২০১৩ সালের ৫ মে ঢাকা অবরোধকালে শাপলা চত্বরে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে তাদের শত শত কর্মীর মৃত্যুর অভিযোগ করেছিল। বিভিন্ন সমাবেশে আওয়ামী লীগ সম্পর্কে চরম বিষোদগার করে। কিন্তু এসবের কোন নিষ্পত্তি না করেই হেফাজতে ইসলাম ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নিজেদের মধ্যে একটি বোঝাপড়া করে নেয়। গড়ে ওঠে সখ্যতা। বিবদমান পক্ষের মধ্যে সখ্যতা গড়ে ওঠা খারাপ কিছু না। কিন্তু এই সখ্যতার জন্য নিজের আদর্শ ও স্বকীয়তা জলাঞ্জলি দেওয়া খারাপ। শোকরানা সমাবেশে উভয় পক্ষই নিজেদের আদর্শিক অবস্থান জলাঞ্জলি দিয়েছে।

হেফাজতে ইসলামের আলোচিত-সমালোচিত ১৩ দফার ৪ নং দফায় বলা হয়েছিল, প্রকাশ্যে নারী-পুরুষের অবাধ মেলামেশা বন্ধ করতে হবে। হেফাজত আমিরের এই শোকরানা সমাবেশ মঞ্চে নারী-পুরুষের অবাধ মেলামেশা না হলেও একাধিক পুরুষের মধ্যে একজন নারীকে সসম্মানে মঞ্চে বরণ করে নেয়াটাও তাদের আদর্শিক অবস্থানের পরিবর্তন। যদিও আহমেদ শফী ও হেফাজতের আদর্শ ত্যাগে কারো কিছু যায় আসে না। কিন্তু শেখ হাসিনার আদর্শ জলাঞ্জলিতে অনেকের যায় আসে। এই মাহফিলে যোগদান করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে বক্তব্য রাখেন; তাতে তিনি সর্বাত্মকভাবে প্রমাণ করার চেষ্টা করেছেন আওয়ামী লীগ একটি ধর্মাশ্রয়ী দল। ইসলামের খেদমত করাই এই দলের মূল উদ্দেশ্য।

শোকরানা মাহফিলে বাংলাদেশের বিভিন্ন মাদ্রাসা থেকে হাজার হাজার ছাত্র ও শিক্ষককে সমবেত করা হয়েছিল। সরকারী পৃষ্ঠপোষকতায় এই মাহফিলকে সফল করার জন্য নজিরবিহীনভাবে দেশ জুড়ে শুরু হওয়া জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট পরীক্ষা হঠাৎ করেই স্থগিত করে সেটি ৮ নভেম্বর শুক্রবারে নেয়ার ঘোষণা দেয় শিক্ষাবোর্ডগুলো। সুনির্দিষ্ট কোনো কারণ উল্লেখ না করে জুনিয়র স্কুল স্তরের এমন দুটি পরীক্ষা আকস্মিকভাবে পিছিয়ে দেয়া হয়, যাতে সাতাশ লাখ পরীক্ষার্থীর অংশ নেওয়ার কথা।

শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ পরীক্ষা পেছানোর কারণ ব্যাখ্যা করে বলেছেন, “রোববার ঢাকায় মাদ্রাসা-কেন্দ্রিক একটি সমাবেশ আছে এবং সে কারণে শিশুরা যাতে নিরাপদে ভালোভাবে পরীক্ষা দিতে পারে সেজন্য পরীক্ষাটি পিছিয়ে দেয়া হয়েছে” (সূত্র: বিবিসি বাংলা)।

মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের মন জয় করতে গিয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ পাবলিক পরীক্ষা পিছিয়ে সাতাশ লক্ষ পরীক্ষার্থীদের চুয়ান্ন লাখ অভিভাবককে চরমভাবে বিরক্ত করা হয়েছে। এই মাহফিলে যোগ দিতে আসা শত শত যানবাহন ও মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের কাফেলার কারণে সপ্তাহের প্রথম কর্ম দিবসে রাজধানী জুড়ে তৈরি হওয়া যানজটে নগরবাসীকে দুর্ভোগ পোহাতে হয়।

এই মাহফিল আয়োজনের জন্য বেছে নেওয়া হয়েছিল ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যান’কে। বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাসে ‘সোহরাওয়ার্দী উদ্যান’-এর ভূমিকা অনন্য। তৎকালে রেসকোর্স ময়দান নামে পরিচিত এই উদ্যানেই ৭ মার্চ ১৯৭১ সালে লাখো মানুষের সমাবেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বলেছিলেন, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম। এই উদ্যানেই ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ সালে হানাদার পাক বাহিনী আত্মসমর্পণ করেছিল। ফলে ত্রিশ লক্ষ শহীদের রক্তে অর্জিত বাংলাদেশের জন্ম হয়। সেই মাঠে ১৯৯৮ সালে শেখ হাসিনার প্রথম মেয়াদের সরকারে স্বাধীনতা স্তম্ভ নির্মাণের কাজ শুরু করে। যা ২০১৩ সালে সমাপ্ত হয়। এই স্বাধীনতা স্তম্ভ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের স্মারক হিসেবে নির্মিত। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের অভ্যন্তরভাগে স্বাধীনতা স্তম্ভ নির্মাণকালে বলা হয়েছিল এই স্তম্ভকে ঘিরে সাংস্কৃতিক বলয় তৈরি করা হবে। উদ্যানের উত্তর পাশে কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে দেশব্যাপি প্রদক্ষিণ শেষে প্রজ্বলন করা হয়েছিল শিখা চিরন্তন। যা স্থাপনের তীব্র বিরোধিতা করেছিল কওমি মাদ্রাসার নেতারা। সেই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে কওমি মাদ্রাসার নেতারা শিখা চিরন্তনকে প্রজ্বলিত রেখেই শোকরানা সমাবেশ করেছেন। এই বিষয়কে শেখ হাসিনার এক অনন্য রাজনৈতিক বিজয় ভেবে অনেকে তালিয়া বাজাচ্ছেন।

আসলেই কি প্রধানমন্ত্রী বা আওয়ামী লীগের এই শোকরানা সমাবেশে রাজনৈতিক বিজয় হয়েছে? বাংলাদেশের জন্ম ইতিহাস ও সেই জন্ম সনদে রাষ্ট্র পরিচালনার যে মূলনীতি নির্ধারণ করা হয়েছিল, সেই আলোকে বলা যায় এই মাহফিল আয়োজন ও তাতে যোগদান করে শেখ হাসিনা পরাজিত হয়েছেন। পরাজিত করেছেন নিজেদের অসাম্প্রদায়িক চরিত্রকে। ক্ষতিগ্রস্ত করেছেন মুক্তিযুদ্ধের চার মূলনীতির অন্যতম ধর্মনিরপেক্ষতার নীতিকে।

আমাদের জাতীয় সংবিধানের প্রস্তাবনায় অঙ্গীকার করা হয়েছে, যে সকল মহান আদর্শ আমাদের বীর জনগণকে জাতীয় মুক্তি সংগ্রামে আত্মনিয়োগ ও বীর শহীদদিগকে প্রাণোৎসর্গ করতে উদ্বুদ্ধ করেছিল -জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার সেই সকল আদর্শ এই সংবিধানের মূলনীতি হবে; আরও অঙ্গীকার করা হয়েছে যে, আমাদের রাষ্ট্রের অন্যতম মূল লক্ষ্য হবে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে এমন একটি শোষণমুক্ত সমাজতান্ত্রিক সমাজের প্রতিষ্ঠা- যেখানে সকল নাগরিকের জন্য আইনের শাসন, মৌলিক মানবাধিকার এবং রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক সাম্য, স্বাধীনতা ও সুবিচার নিশ্চিত হবে।

এই প্রস্তাবনায় উল্লেখিত চার মূলনীতিই হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা। এই চার মূলনীতির পরিপন্থী কোন কাজ মুক্তিযুদ্ধের চেতনা হতে পারে না। ২০১৩ সালে সংবিধান রক্ষার নির্বাচনের দোহাই দিয়ে গত পাঁচ বছরে আইনের শাসন, মৌলিক মানবাধিকার এবং রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক সাম্য, স্বাধীনতা ও সুবিচার বাঁধাগ্রস্ত করে বাঙালীর ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা’কে অচেতন করে আইসিইউতে রেখে দেয়া হয়। হেফাজতের কাছে আত্মসমর্পণের মাধ্যমে ৪ নভেম্বর ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা’কে আনুষ্ঠানিকভাবে মৃত ঘোষণা করা হয়েছে।

শেখ হাসিনা’র আওয়ামী লীগের সাথে বঙ্গবন্ধুর আওয়ামী লীগের যোজন যোজন দূরত্ব। বাংলাদেশে এখন যা চলছে, তা স্রেফ রাজনীতি। যেখানে কোন মতাদর্শ বা আদর্শের বালাই নেই। এই রাজনীতি হচ্ছে নিরঙ্কুশ ক্ষমতা লাভের রাজনীতি। হ্যারল্ড ডুইট লাসওয়েল (Harold Dwight Lasswell) রাজনীতি সম্পর্কে বলেছেন, (Politics means who gets, what, when and how) “রাজনীতি হলো কে পায়, কি পায়, কখন পায় এবং কিভাবে পায় তার আলোচনা”। হ্যারল্ড ডুইট লাসওয়েল একজন নেতৃস্থানীয় আমেরিকান রাজনৈতিক বিজ্ঞানী এবং যোগাযোগ তত্ত্ববিদ। বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে রাজনীতি সম্পর্কে বলতে হলে, তিনি হয়তো বলতেন, “রাজনীতি হলো কে পাবে, কি পাবে, কখন পাবে এবং কিভাবে পাবে তার আলোচনা”। দেশে এখন সেই আলোচনা চলছে।

আব্দুল করিম কিম, সমন্বয়ক, সিলেটের ইতিহাস-ঐতিহ্য-সংস্কৃতি ও প্রকৃতি রক্ষা পরিষদ।

মুক্তমত বিভাগে প্রকাশিত লেখার বিষয়, মতামত, মন্তব্য লেখকের একান্ত নিজস্ব। sylhettoday24.com-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে যার মিল আছে এমন সিদ্ধান্তে আসার কোন যৌক্তিকতা সর্বক্ষেত্রে নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে sylhettoday24.com আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় গ্রহণ করে না।

আপনার মন্তব্য

লেখক তালিকা অঞ্জন আচার্য অধ্যাপক ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী ৪৮ অসীম চক্রবর্তী আজম খান ১১ আজমিনা আফরিন তোড়া ১০ আনোয়ারুল হক হেলাল আফসানা বেগম আবদুল গাফফার চৌধুরী আবু এম ইউসুফ আবু সাঈদ আহমেদ আব্দুল করিম কিম ৩২ আব্দুল্লাহ আল নোমান আব্দুল্লাহ হারুন জুয়েল ১০ আমিনা আইরিন আরশাদ খান আরিফ জেবতিক ১৭ আরিফ রহমান ১৬ আরিফুর রহমান আলমগীর নিষাদ আলমগীর শাহরিয়ার ৫৪ আশরাফ মাহমুদ আশিক শাওন ইনাম আহমদ চৌধুরী ইমতিয়াজ মাহমুদ ৭১ ইয়ামেন এম হক এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন একুশ তাপাদার এখলাসুর রহমান ৩৭ এনামুল হক এনাম ৪১ এমদাদুল হক তুহিন ১৯ এস এম নাদিম মাহমুদ ৩৩ ওমর ফারুক লুক্স কবির য়াহমদ ৬২ কাজল দাস ১০ কাজী মাহবুব হাসান কেশব কুমার অধিকারী খুরশীদ শাম্মী ১৭ গোঁসাই পাহ্‌লভী ১৪ চিররঞ্জন সরকার ৩৫ জফির সেতু জহিরুল হক বাপি ৪৪ জহিরুল হক মজুমদার জাকিয়া সুলতানা মুক্তা জান্নাতুল মাওয়া জাহিদ নেওয়াজ খান জুনাইদ আহমেদ পলক জুয়েল রাজ ১০২ ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন ১২ ড. কাবেরী গায়েন ২৩ ড. শাখাওয়াৎ নয়ন ড. শামীম আহমেদ ৪১ ডা. আতিকুজ্জামান ফিলিপ ২০ ডা. সাঈদ এনাম ডোরা প্রেন্টিস তপু সৌমেন তসলিমা নাসরিন তানবীরা তালুকদার তোফায়েল আহমেদ ৩০ দিব্যেন্দু দ্বীপ দেব দুলাল গুহ দেব প্রসাদ দেবু দেবজ্যোতি দেবু ২৭ নাজমুল হাসান ২৪ নিখিল নীল পাপলু বাঙ্গালী পুলক ঘটক প্রফেসর ড. মো. আতী উল্লাহ ফকির ইলিয়াস ২৪ ফজলুল বারী ৬২ ফড়িং ক্যামেলিয়া ফরিদ আহমেদ ৪২ ফারজানা কবীর খান স্নিগ্ধা বদরুল আলম বন্যা আহমেদ বিজন সরকার বিপ্লব কর্মকার ব্যারিস্টার জাকির হোসেন ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ ১৮ ভায়লেট হালদার মারজিয়া প্রভা মাসকাওয়াথ আহসান ১৯০ মাসুদ পারভেজ মাহমুদুল হক মুন্সী মিলন ফারাবী মুনীর উদ্দীন শামীম ১০ মুহম্মদ জাফর ইকবাল ১৫৩ মো. মাহমুদুর রহমান মো. সাখাওয়াত হোসেন মোছাদ্দিক উজ্জ্বল মোনাজ হক ১৪ রণেশ মৈত্র ১৮৩ রতন কুমার সমাদ্দার রহিম আব্দুর রহিম ৫৫ রাজু আহমেদ ১৫ রাজেশ পাল ২৮ রুমী আহমেদ রেজা ঘটক ৩৮ লীনা পারভীন শওগাত আলী সাগর শাওন মাহমুদ