আজ মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪

Advertise

বাংলাদেশে নির্বাচনী সুনামিতে বিরোধীরা ধরাশায়ী

শিতাংশু গুহ  

ইন্দোনেশিয়ায় ভয়াবহ সুনামিতে জানমালের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। শনিবার সন্ধ্যায় প্রায় এক মিটার উচ্চ জলস্রোত সুন্দা স্ট্রেইট উপকূল ভাসিয়ে নিয়ে যায়। সুনামি একটি ভীতিকর উচ্চারণ। ঘটনার বর্ণনা দেয়া হচ্ছে এভাবে যে, রকশিল্পীরা দর্শক ভর্তি হলে সঙ্গীত পরিবেশন করছিলেন, হঠাৎ জলরাশি হুড়মুড় করে সবকিছু ভাসিয়ে নিয়ে যায়! আমরা ব্যথিত, দুঃখিত।

ঠিক প্রায় একইভাবে বাংলাদেশে নির্বাচনী সুনামিতে বিরোধীরা ভেসে যাচ্ছেন। ইসি-সিইসি ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ নিয়ে বিতর্কে জড়িয়ে পড়লেও নির্বাচনী মাঠ স্পষ্টত: সরকারি দলের দখলে। বিরোধীরা কোণঠাসা। প্রচারণা বন্ধ করেছেন। সেনাবাহিনী মাঠে নেমেছে। দর্শক হিসাবে। সেনা নামলে জনগণ মাঠে নামবে বলে বিরোধীদের আশা-ভরসা ভঙ্গ হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশ ভ্রমণে সতর্কতা জারী করেছে। পর্যবেক্ষকদের ভিসা দিতে গড়িমসি করায় মার্কিন রাষ্ট্রদূত উষ্মা প্রকাশ করেছেন। এগুলো রুটিন। তবে প্রধানমন্ত্রী পুলিশ হত্যার চক্রান্ত হচ্ছে বলে যে অভিযোগ তুলেছেন, তা প্রণিধানযোগ্য। ঢাকায় বিদেশী রাষ্ট্রদূতগণ সক্রিয় আছেন? ভারত লো-প্রোফাইল মেনটেন করছে। যুক্তরাষ্ট্র প্রকাশ্যে খেলছে।

ইউরোপ সচরাচর মার্কিন লাইনে খেলে। এবার নির্বাচনে অন্যতম প্লেয়ার চীন? আইএসআই সুবিধা করতে পারছে না, তাই ‘বড়ভাই চীন’ মাঠে নেমেছে? ভারত-চীন-মার্কিনরা একই লাইনে খেলছেন না! এতে সুবিধা হচ্ছে সরকারী দলের। মাঠের বেষ্ট প্লেয়ার মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নিয়ন্ত্রণে সবকিছু আছে। নিয়ন্ত্রণ ছুটে যাবার মত কোন কারণ নেই?

ঐক্যফ্রন্টকে যারা ‘আশা-ভরসা’ দিয়েছিলো তাঁরা দেখছেন, শেখ হাসিনা কাউকেই পাত্তা দিচ্ছেন না? এতে তাদের গোস্বা আছে, কিন্তু করণীয় কিছু নেই? সাউথ ব্লকের আশীর্বাদ এখনো সরকারী দলের ওপর আছে। নির্বাচনটি ২০১৪’র মত একতরফা হচ্ছে, এটা ভাবার কোন কারণ নেই? এতে সবার অংশগ্রহণ থাকছে। যদিও এ মুহূর্তে কিছুটা সংশয় দেখে যাচ্ছে?

বড় বড় নেতারা অনেকেই জিতে আসবেন। নির্বাচনের পর নতুন রাজনৈতিক পলারাইজেশন হতে পারে? ম্যাডাম খালেদা জিয়া চিকিৎসার জন্যে স্থায়ীভাবে বিদেশ যাবেন। দেশ মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় এবং উন্নয়নের ধারায় এগিয়ে যাবে। ‘ট্যাকের জোর থাকলে অনেক কিছুই সম্ভব’- বাংলাদেশ এখন শক্ত ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে, বিদেশীরাও সময় মত লাইনে আসবেন, এটা সরকারি দলের আশা।

এটি এবারকার নির্বাচনী চিত্র। যারা ‘অলীক স্বপ্নে’ বিভোর, তাঁরা মোহভঙ্গ হবেন। সিলেটের ইনাম চৌধুরীর মোহভঙ্গ হয়েছে। তিনি এখন নতুন আশার আলো দেখছেন। মৌলবাদী হেফাজতের আশাও ভঙ্গ হবে? দেশ একাত্তরের চেতনায় চলুক। ২০২১-এ বাংলাদেশের স্বর্ণজয়ন্তী মহা ধুমধামে পালিত হউক। সদ্য অতীতের ভুলভ্রান্তি শুধরে দেশ সঠিক ট্র্যাকে চলতে শুরু করুক। করা উচিত।

কেমন হচ্ছে, ২০১৯’র পার্লামেন্ট? অভিযোগ ছিল, ঐক্যফ্রন্ট তাদের প্রধানমন্ত্রী প্রার্থীর নাম বলছেন না? বলার দরকার নেই তাই তারা বলেননি, কারণ তারা জানেন ওই পদটি তাদের জন্যে নয়? তবে সংসদে বিরোধী দল হবার সম্ভাবনা তাদের আছে? এরশাদ চাচার মতিগতি’র ঠিক নেই? বলা চলে, চাচার বুড়ো বয়সে ‘ভীমরতি’ ধরেছে? অথবা তাকে ‘সুখে থাকতে ভুতে কিলাইছে’?

২০১৮’র নির্বাচন রাজনীতিতে একটি গুনগত পরিবর্তন আনবে? আগামী পাঁচ বছর রাজনৈতিক দৃশ্যপট পাল্টে যাবে। অনেক পুরানো চেহারা হারিয়ে যাবে। স্বাধীনতার স্বপক্ষের নতুন ধারা জন্ম নেবে বা নেয়ার সম্ভাবনা থাকবে। বিএনপি-জাপা-জামাত ‘মুসলিম লীগ’-এ পরিণত হতে পারে? ধর্মভিত্তিক রাজনীতির দিন শেষ হবে? অবশ্য পুরোপুরি উল্টো একটি দৃশ্যপটও আছে?

সবকিছু ঠিকঠাক চললে ২০২৪ সালের পার্লামেন্টে শুধু স্বাধীনতার সপক্ষরাই থাকবেন। ২০১৯-এ এর কিছুটা আলামত দেখা যেতে পারে। ৩০শে ডিসেম্বর নির্বাচন। নির্বাচনটি হচ্ছে। মানুষ ভোট দেবে।  নির্বাচনের আগে-পরে দেশব্যাপী কোন সংঘাতের আশঙ্কা নেই? সময় এসেছে, এখন নির্বাচনের পরের অবস্থা নিয়ে ভাবার। জয়বাংলা হোক এই ভাবনার ভিত্তি। সবাইকে ‘শুভ বড়দিন’।

শিতাংশু গুহ, কলাম লেখক

মুক্তমত বিভাগে প্রকাশিত লেখার বিষয়, মতামত, মন্তব্য লেখকের একান্ত নিজস্ব। sylhettoday24.com-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে যার মিল আছে এমন সিদ্ধান্তে আসার কোন যৌক্তিকতা সর্বক্ষেত্রে নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে sylhettoday24.com আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় গ্রহণ করে না।

আপনার মন্তব্য

লেখক তালিকা অঞ্জন আচার্য অধ্যাপক ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী ৪৮ অসীম চক্রবর্তী আজম খান ১১ আজমিনা আফরিন তোড়া ১০ আনোয়ারুল হক হেলাল আফসানা বেগম আবদুল গাফফার চৌধুরী আবু এম ইউসুফ আবু সাঈদ আহমেদ আব্দুল করিম কিম ৩২ আব্দুল্লাহ আল নোমান আব্দুল্লাহ হারুন জুয়েল ১০ আমিনা আইরিন আরশাদ খান আরিফ জেবতিক ১৭ আরিফ রহমান ১৬ আরিফুর রহমান আলমগীর নিষাদ আলমগীর শাহরিয়ার ৫৪ আশরাফ মাহমুদ আশিক শাওন ইনাম আহমদ চৌধুরী ইমতিয়াজ মাহমুদ ৭১ ইয়ামেন এম হক এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন একুশ তাপাদার এখলাসুর রহমান ৩৭ এনামুল হক এনাম ৪১ এমদাদুল হক তুহিন ১৯ এস এম নাদিম মাহমুদ ৩৩ ওমর ফারুক লুক্স কবির য়াহমদ ৬৩ কাজল দাস ১০ কাজী মাহবুব হাসান কেশব কুমার অধিকারী খুরশীদ শাম্মী ১৭ গোঁসাই পাহ্‌লভী ১৪ চিররঞ্জন সরকার ৩৫ জফির সেতু জহিরুল হক বাপি ৪৪ জহিরুল হক মজুমদার জাকিয়া সুলতানা মুক্তা জান্নাতুল মাওয়া জাহিদ নেওয়াজ খান জুনাইদ আহমেদ পলক জুয়েল রাজ ১০২ ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন ১২ ড. কাবেরী গায়েন ২৩ ড. শাখাওয়াৎ নয়ন ড. শামীম আহমেদ ৪১ ডা. আতিকুজ্জামান ফিলিপ ২০ ডা. সাঈদ এনাম ডোরা প্রেন্টিস তপু সৌমেন তসলিমা নাসরিন তানবীরা তালুকদার তোফায়েল আহমেদ ৩০ দিব্যেন্দু দ্বীপ দেব দুলাল গুহ দেব প্রসাদ দেবু দেবজ্যোতি দেবু ২৭ নাজমুল হাসান ২৪ নিখিল নীল পাপলু বাঙ্গালী পুলক ঘটক প্রফেসর ড. মো. আতী উল্লাহ ফকির ইলিয়াস ২৪ ফজলুল বারী ৬২ ফড়িং ক্যামেলিয়া ফরিদ আহমেদ ৪২ ফারজানা কবীর খান স্নিগ্ধা বদরুল আলম বন্যা আহমেদ বিজন সরকার বিপ্লব কর্মকার ব্যারিস্টার জাকির হোসেন ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ ১৮ ভায়লেট হালদার মারজিয়া প্রভা মাসকাওয়াথ আহসান ১৯০ মাসুদ পারভেজ মাহমুদুল হক মুন্সী মিলন ফারাবী মুনীর উদ্দীন শামীম ১০ মুহম্মদ জাফর ইকবাল ১৫৩ মো. মাহমুদুর রহমান মো. সাখাওয়াত হোসেন মোছাদ্দিক উজ্জ্বল মোনাজ হক ১৪ রণেশ মৈত্র ১৮৩ রতন কুমার সমাদ্দার রহিম আব্দুর রহিম ৫৫ রাজু আহমেদ ১৬ রাজেশ পাল ২৮ রুমী আহমেদ রেজা ঘটক ৩৮ লীনা পারভীন শওগাত আলী সাগর শাওন মাহমুদ