আজ শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪

Advertise

অগণতান্ত্রিক ক্ষমতাবাজরা কি শেখ হাসিনার ইমেজ নষ্ট করেনি?

এখলাসুর রহমান  

একাদশ সংসদ নির্বাচনের মাত্র ৪ দিন বাকি থাকতেই নির্বাচন কমিশনের সাথে বৈঠকে গেল জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। নির্বাচন কমিশনে ঐক্যফ্রন্ট নেতাদের উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হল। এক পর্যায়ে তারা বৈঠক বর্জন করে চলে এসে জরুরি সভা ডেকে সিইসি কেএম নূরুল হুদার পদত্যাগ দাবি করেন। ইতোমধ্যেই দেশজুড়ে ২০ দল ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট প্রার্থী ও তার সমর্থকদের প্রচার প্রচারণার বাধাদান দৃশ্যমান হয়েছে। গণতন্ত্রের রীতি ও নীতিই হচ্ছে সকল প্রার্থীদের অবাধ প্রচার প্রচারণার পরিবেশ সৃষ্টি। কিন্তু কেএম নূরুল হুদার নির্বাচন কমিশন তা কতোটা করতে পেরেছে? গণতন্ত্রে প্রতিপক্ষকে ভীতি প্রদর্শন, হুমকি, প্রচারকাজে বাধাদান যে কতোটা নগ্নভাবে বাস্তব সত্যে রূপ নিয়েছে তা কয়েকটি নজির তুলে ধরলেই যথেষ্ট।

টেকনাফে নৌকা প্রতীকের সমর্থনে আয়োজিত নির্বাচনী জনসভায় আওয়ামী লীগ নেতা মো. হাবিব নির্বাচনের দিন তিনি একাই ভোট টেবিলে সিল মেরে নেবেন ঘোষণা দিয়ে বলেন, এমপি, উপজেলা চেয়ারম্যান, যুবলীগ ও ছাত্রলীগ কাউকে লাগবে না। আমি একাই যথেষ্ট ভোট কেটে নেওয়ার জন্য। এ সময় বিএনপি নেতাকর্মীদের কেন্দ্রে যেতে নিষেধ করেন এবং চ্যালেঞ্জ ঘোষণা করে বলেন আমি আলি হোসেন হাজীর সন্তান। আমাদের পরিবারই যথেষ্ট, কাউকে লাগবে না। গত সোমবার টেকনাফের শাহপরীরদ্বীপে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠন কর্তৃক আয়োজিত নির্বাচনী জনসভায় ভাষণ দিতে গিয়ে তিনি এমন কথা বলেন।

'ধানের শীষের নেতা–কর্মীদের এখনো সময় আছে, নৌকার পক্ষে কাজ করেন। আপনারা যদি ভালো চান, সুস্থ থাকতে চান, ভালোভাবে এলাকায় বাস করতে চান, তাহলে আমাদের নেতা–কর্মীদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করেন। যদি অন্য কোনো পথ অবলম্বন করেন, ৩০ তারিখের পরে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কোনো ধানের শীষের প্রার্থী বা নেতা–কর্মী ও সমর্থক কেউ কেন্দ্রে যাবেন না। ভোট আপনারা দেখে নেবেন। যারা নৌকায় ভোট দেবেন, তাঁরা কেন্দ্রে যাবেন। যারা দেবেন না, তাঁরা কেন্দ্রে যাবেন না।’এই বক্তব্য নাটোর-২ (সদর ও নলডাঙ্গা) আসনের বর্তমান সাংসদ ও আসন্ন সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শফিকুল ইসলাম শিমুলের। ১৭ ডিসেম্বর নাটোর সদর উপজেলার ছাতনী ইউনিয়নের বারোঘরিয়া গ্রামে এক নির্বাচনী পথসভায় তিনি এমন বক্তব্য দেন। রোববার রাতে ওই বক্তব্যের ভিডিওটি স্থানীয় সাংবাদিকদের দেওয়া হলে বিষয়টি নিয়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। একই আসনের বিএনপির প্রার্থী সাবিনা ইয়াসমিন ওই ভিডিও প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে পাঠিয়ে সাংসদ শফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।

বিএনপির প্রার্থী সাবিনা ইয়াসমিন পরদিন সোমবার গণমাধ্যমকে জানান, শফিকুল ইসলাম প্রতিদিন তাঁর নির্বাচনী সভায় তাঁকে ও তাঁর ভোটারদের প্রকাশ্যে ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন। নিরাপত্তার কারণে সব বক্তব্যের ভিডিও ও অডিও ধারণ করা সম্ভব হয় না। তবে ১৭ ডিসেম্বর ছাতনীতে দেওয়া বক্তব্যের ভিডিওটি তিনি তাঁর কর্মীদের মাধ্যমে হাতে পান। সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, বিষয়টি তিনি প্রধান নির্বাচন কমিশনের কাছে পাঠিয়েছেন। কিন্তু কোনো প্রতিকার পাননি। এ কারণেই গণমাধ্যমকর্মীদের জানিয়েছেন। 

সেনাবাহিনী মোতায়েনে বিএনপি রীতিমতো উল্লাস প্রকাশ করেছিল। কিন্তু ২৪ ডিসেম্বরে সেনা মোতায়েনের পরে অবস্থার কোন পরিবর্তন হয়নি। নির্বাচনের ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায় যে, ১৯৯১ সালে তৎকালীন নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার প্রধান বিচারপতি শাহাবুদ্দিন আহমেদের আমল থেকেই সেনাবাহিনী মোতায়েনের প্রচলন শুরু হয়েছে। সেনা মোতায়েনের সুফল একেকবার একেকজন পেয়েছে। ১৯৯১ সালের নির্বাচনকালীন সময়ে সেনাবাহিনীর ভূমিকা আওয়ামী লীগের বিপক্ষে চলে গেছে। বিভিন্ন এলাকায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছিল সেনারা। আবার ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে সেনাবাহিনীর ভূমিকা বিএনপির বিপক্ষে গিয়েছিল। বিএনপির বিভিন্ন নেতাকর্মী ও দলের নানা কার্যক্রমের বিপক্ষে সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নিয়েছিল তারা। ২০০১ সালে আবার সেনাবাহিনীর ভূমিকা চলে গিয়েছিল আওয়ামী লীগের বিপক্ষে। ২০০৮ সালে সেনাবাহিনী মোতায়েনের সুফল আবার আওয়ামী লীগের পক্ষে চলে যায়। প্রতিটি নির্বাচনেই রাজনৈতিক দলগুলোর একমাত্র ভরসার স্থল থাকে সেনাবাহিনী।

বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীরাও এবার আশান্বিত ছিল যে সেনা মোতায়েনের পর হয়তো প্রচারণার স্বাধীনতা পাবে। কিন্তু তা পায়নি। অদ্যাবধি অনেক এলাকায় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী এলাকায় ভোট চাইতে যেতে পারছেনা। এলাকায় সাহস করে কেউ তার কোন পোস্টারও লাগাতে পারছেনা। তার অনুসারীদের প্রতিনিয়ত গ্রেপ্তার করে কারাগারে নেয়া হচ্ছে। প্রার্থীকে হয়তো নির্বাচনের আগের দিন পর্যন্তই ঢুকতে দেয়া হবেনা। এরকম ব্যবহার কোন গণতন্ত্র সম্মত? নির্বাচন কমিশন বলবেন কি?

হুমকি, ধমকি, গ্রেপ্তার করে কোন প্রার্থীর অনুসারীদের দাবিয়ে রাখা ও প্রার্থীকে মারধোর করে ভোটারদের প্রভাবিত করার রীতিকে কী বলা যায়? একসময় আমরা বেসিক ডেমোক্রেসির কথা শুনেছি। তবে কি এটাকে বলবো কন্ট্রোল ডেমোক্রেসি? নাকি ডেভেলপমেন্ট ডেমোক্রেসি? নাকি পাওয়ার ডেমোক্রেসি? রাষ্ট্রবিজ্ঞানীরা এই নির্বাচনী গণতন্ত্রের একটা নাম দেবেন কি? রাজনীতি করে নেতা হওয়া প্রার্থীরা গণতান্ত্রিক বিবেকতাড়িত হয়ে যা বলতে পারেনি তা বললেন ক্রীড়া জগত থেকে রাজনীতিতে আসা মাশরাফি বিন মুর্তজা। মঙ্গলবার (২৫ ডিসেম্বর) রাতে নড়াইল জেলা পরিষদ মিলনায়তনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এই আসনের আওয়ামী লীগ মনোনিত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী মাশরাফি বিন মুর্তজা বলেন, আমার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী যেন কোন প্রকার হুমকি ও বাধার সম্মুখীন না হন। মানুষের সিদ্ধান্তকে মূল্যায়ন করা হোক। আল্লাহ যাই চাইবে, আমি তাই মেনে নেব। জয়-পরাজয় যাই হোক, তা মেনে নেব। আমি বিশ্বাস করি, নির্বাচনে যে জিতবে তিনিই এলাকার উন্নয়নে কাজ করবেন। সমাজে অতি উৎসাহী মানুষের অভাব নেই। আপনারা অতি উৎসাহী মানুষকে পাত্তা দেবেন না। খেলোয়াড় হতে রাজনীতিতে আসা মাশরাফির মত এমন গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ কি রাজনীতি হতে উঠে আসা রাজনীতিকদের কারও মাঝে দেখা গেছে? নির্বাচন আর গণতন্ত্র একে অপরের পরিপুরক। নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব নির্বাচনকে গণতান্ত্রিক পথে পরিচালিত করা। এবারের নির্বাচন কমিশন কি তা পেরেছে? 

মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের রাজনীতির একমাত্র কাণ্ডারি হয়ে উঠেছেন ১৪ দল নেত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা। এবারের নির্বাচনকে ঘিরে যারা প্রার্থী ও তার অনুসারীদের ক্ষমতা দিয়ে দাবিয়ে রেখেছে তারা কারা? কেন এমনটি করে তারা তাকে ও দলকে বিতর্কিত করল? হুমকিতে ঠেলে দিল গণতন্ত্রকে? প্রশ্নবিদ্ধ করল নির্বাচনকে? কোন প্রবল শক্তিতে বলিয়ান হয়ে গণতন্ত্র রক্ষার নামে এই অগণতান্ত্রিক নির্বাচনী রেওয়াজটি চালু করে দিল? ক্ষমতা কারোই চিরস্থায়ী নয়। এই অগণতান্ত্রিক ভীতি প্রদর্শনের নির্বাচনী কৌশল এবার বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্টের উপর চাপল তা যে কোনদিন আওয়ামী লীগ ও মহাজোটের উপর চাপবেনা তার কি নিশ্চয়তা আছে? জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে উন্নয়নের নেত্রী হিসাবে শেখ হাসিনার একটা উজ্জ্বল ভাবমূর্তি ফুটে উঠেছে। ভীতিপ্রদর্শন ও ক্ষমতার অপব্যবহারকারীরা মূলত তার এই ভাবমূর্তির উপরই আক্রমণ করেছেন। গাছের ডালপালা রক্ষার নামে কোন পাগলে গাছের শেকড় কেটে দেয়, উন্নয়নের নামে গণতন্ত্রের মূলে যারা আঘাত করেছেন শেখ হাসিনা কি পারবেন তাদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নিতে? তিনি বলেছেন নির্বাচনী প্রচারকাজে কাউকে বাধা দেয়া চলবেনা। কিন্তু যারা বাধা দিয়েছেন ও দিয়ে চলেছেন তাদের ব্যাপারে কি বলবেন তিনি? মুক্তিযুদ্ধের চেতনার জাগরণে, জঙ্গিবাদ বিরোধিতায় ও উন্নয়নে শেখ হাসিনার জোটকে জনগণ এবার ভোট দিয়েই ক্ষমতায় বসাতো। কতিপয় অতি উৎসাহীরা কেন এসব অপকর্ম করল? প্রশ্নবিদ্ধ করল শেখ হাসিনাকে ও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের রাজনীতিকে? এই অপরীতির কুফল কি সারা জাতি ভুগবেনা? গণতন্ত্রে এই অগণতান্ত্রিক ভীতি প্রদর্শন ও ক্ষমতাবাজী কারা করেছে? যারা অপকর্ম করে এলাকায় গণবিচ্ছিন্ন হয়েছে। জনগণ তাদের ভোট দেবে এমন আত্মবিশ্বাস ছিলোনা যাদের তারাই এসব ক্ষমতাবাজী করে যাচ্ছে। তারা প্রতিদ্বন্দ্বীকে ভোটারদের কাছে যেতে দিচ্ছেনা। এতে কী প্রমাণ হয়?

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আপনি কি পারবেন এইসব অতি উৎসাহী ও গণতন্ত্রে অগণতান্ত্রিক পন্থা অবলম্বনকারীদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে? জঙ্গিবাদ বিরোধী, মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের প্রজন্ম ও গোটা জাতি আপনার দিকে তাকিয়ে আছে।

এখলাসুর রহমান, লেখক ও কলামিস্ট

মুক্তমত বিভাগে প্রকাশিত লেখার বিষয়, মতামত, মন্তব্য লেখকের একান্ত নিজস্ব। sylhettoday24.com-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে যার মিল আছে এমন সিদ্ধান্তে আসার কোন যৌক্তিকতা সর্বক্ষেত্রে নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে sylhettoday24.com আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় গ্রহণ করে না।

আপনার মন্তব্য

লেখক তালিকা অঞ্জন আচার্য অধ্যাপক ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী ৪৮ অসীম চক্রবর্তী আজম খান ১১ আজমিনা আফরিন তোড়া ১০ আনোয়ারুল হক হেলাল আফসানা বেগম আবদুল গাফফার চৌধুরী আবু এম ইউসুফ আবু সাঈদ আহমেদ আব্দুল করিম কিম ৩২ আব্দুল্লাহ আল নোমান আব্দুল্লাহ হারুন জুয়েল ১০ আমিনা আইরিন আরশাদ খান আরিফ জেবতিক ১৭ আরিফ রহমান ১৬ আরিফুর রহমান আলমগীর নিষাদ আলমগীর শাহরিয়ার ৫৪ আশরাফ মাহমুদ আশিক শাওন ইনাম আহমদ চৌধুরী ইমতিয়াজ মাহমুদ ৭১ ইয়ামেন এম হক এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন একুশ তাপাদার এখলাসুর রহমান ৩৭ এনামুল হক এনাম ৪২ এমদাদুল হক তুহিন ১৯ এস এম নাদিম মাহমুদ ৩৩ ওমর ফারুক লুক্স কবির য়াহমদ ৬৩ কাজল দাস ১০ কাজী মাহবুব হাসান কেশব কুমার অধিকারী খুরশীদ শাম্মী ১৭ গোঁসাই পাহ্‌লভী ১৪ চিররঞ্জন সরকার ৩৫ জফির সেতু জহিরুল হক বাপি ৪৪ জহিরুল হক মজুমদার জাকিয়া সুলতানা মুক্তা জান্নাতুল মাওয়া জাহিদ নেওয়াজ খান জুনাইদ আহমেদ পলক জুয়েল রাজ ১০২ ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন ১২ ড. কাবেরী গায়েন ২৩ ড. শাখাওয়াৎ নয়ন ড. শামীম আহমেদ ৪১ ডা. আতিকুজ্জামান ফিলিপ ২০ ডা. সাঈদ এনাম ডোরা প্রেন্টিস তপু সৌমেন তসলিমা নাসরিন তানবীরা তালুকদার তোফায়েল আহমেদ ৩১ দিব্যেন্দু দ্বীপ দেব দুলাল গুহ দেব প্রসাদ দেবু দেবজ্যোতি দেবু ২৭ নাজমুল হাসান ২৪ নিখিল নীল পাপলু বাঙ্গালী পুলক ঘটক প্রফেসর ড. মো. আতী উল্লাহ ফকির ইলিয়াস ২৪ ফজলুল বারী ৬২ ফড়িং ক্যামেলিয়া ফরিদ আহমেদ ৪২ ফারজানা কবীর খান স্নিগ্ধা বদরুল আলম বন্যা আহমেদ বিজন সরকার বিপ্লব কর্মকার ব্যারিস্টার জাকির হোসেন ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ ১৮ ভায়লেট হালদার মারজিয়া প্রভা মাসকাওয়াথ আহসান ১৯০ মাসুদ পারভেজ মাহমুদুল হক মুন্সী মিলন ফারাবী মুনীর উদ্দীন শামীম ১০ মুহম্মদ জাফর ইকবাল ১৫৩ মো. মাহমুদুর রহমান মো. সাখাওয়াত হোসেন মোছাদ্দিক উজ্জ্বল মোনাজ হক ১৪ রণেশ মৈত্র ১৮৩ রতন কুমার সমাদ্দার রহিম আব্দুর রহিম ৫৫ রাজু আহমেদ ১৬ রাজেশ পাল ২৮ রুমী আহমেদ রেজা ঘটক ৩৮ লীনা পারভীন শওগাত আলী সাগর শাওন মাহমুদ