আজ বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪

Advertise

নির্বাচনী যাবতীয় প্রক্রিয়া শেষ: এবারে ভাবতে হবে

রণেশ মৈত্র  

নতুন মন্ত্রীসভা গঠনের মধ্য নির্বাচনের (২০১৮) যাবতীয় প্রক্রিয়া শেষ। এখান অপেক্ষা একাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন। নি:সন্দেহে তাও অতি সত্বর অনুষ্ঠিত হবে। তার আগে হয়তো মহিলা আসনে (পরেও হয়তো হতে পারে, তবে আগে হওয়ারই তো কথা) ৫০ জন সদস্য মনোনীত হবেন। আমাদের শাসকেরা সম্ভবত নির্ধারিত ৫০টি আসনে মহিলাদের সরাসরি নির্বাচন অপছন্দ করেন কারণ তাতে প্রত্যাশা অনুযায়ী দলীয় শক্তি বৃদ্ধি নাও পেতে পারে। তবুও চাইবো, ২০২৩-২৪ থেকে যেন আমরা মহিলাদের আসন ১০ তে উন্নীত হতে এবং সাধারণ আসন ৩০০ থেকে ৪০০ তে (জনসংখ্যার বিপুল বৃদ্ধির কারণে উন্নীত করে মোট ৫০০ আসনেই সরাসরি নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা সংবিধান সংশোধনীর মাধ্যমে।

এবারের নির্বাচন ভোটের মাধ্যমে কার্যত একদলীয় পার্লামেন্টই গঠন করলে একদলীয় শাসনের ব্যবস্থা সম্পন্ন করলো- যা বহুদলীয় গণতন্ত্রের মূল ধারণায় সম্পূর্ণ বিরোধী। সত্য বটে অনেক জায়গায় ভোটের দিন কুৎসিত কারচুপি হয়েছে- যা আদৌ কাম্য ছিল না। সন্দেহ নেই, নানা যৌক্তিক কারণেই বিএনপিসহ ছোট বড় সকল বিরোধী দল ও জোটের নির্মম পরাজয় ঘটেছে। তাই তাদের পরাজয় অবশ্যম্ভাবী ছিল নানা কারণে তবে ঠিক এমন করুণদশা কখনও কাম্য ছিল না। বিএনপির এতগুলি আসনে এবং বাম গণতান্ত্রিক জোটের এতগুলি প্রার্থীর জামানত বাজেয়াফত হওয়া প্রত্যাশিত ছিল না।

বাম গণতান্ত্রিক জোটের করুণ পরাজয়, প্রার্থীদের বিপুল সংখ্যা, সংগঠন ও প্রার্থীদের সাংগঠনিক শক্তির অভাব থাকায় জন সাধারণের সাথে প্রয়োজনীয় সম্পর্ক বহুকালেও গড়ে না ওঠা, নানাবিধ অপপ্রচার, সময় থাকতে নির্বাচনী প্রার্থীদের নিয়ে মাঠ-ঘাট চঞ্চল করে না তোলা, অর্থাভাব এবং সর্বোপরি জোটের অভ্যন্তরেও লুকিয়ে থাকা-কখনও বা প্রকাশ্যে আসা বিতর্ক-মতানৈক্য সহানুভূতিশীল অনেককে বিভ্রান্ত করেছে। কোথাও কোথাও দলগুলি ঐক্যমতে না এসে সবারই জামানত খোয়ানোর পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে।

সর্বাধিক ক্ষতিকর কাজটি হয়েছে অতগুলি প্রার্থী দাঁড় করিয়ে। তাদের নিজ নিজ পৌর এলাকায় কি উপযুক্ত সংগঠন ছিল ? বা উপজেলার ইউনিয়নগুলিতে ? ছিল না অবশ্যই। ফলাফল যা হবার তাই হয়েছে-ফলে আশংকা করি ব্যাপক হতাশা নেমে এসেছে কর্মীদের মধ্যে দেশব্যাপী।

জোটকে প্রসারিত করার জন্যও কোন উদ্যোগ দৃশ্যমান হয় নি। আমি লিখেছি শুধুই কমিউনিস্ট ঐক্যের পরিস্থিতি এখনও আসে নি। এটা সাম্প্রতিক অতীতের পশ্চিমবাংলা বা ত্রিপুরাও নয়। কাজেই বাংলাদেশে প্রয়োজন ব্যাপকতম প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক ঐক্য-যাতে বামেরা থাকবে, অন্যান্য প্রগতিশীল শক্তিরা থাকবেন আর থাকবেন গণতন্ত্রী উদার গণতন্ত্রীরা। ওরাও খারাপ এরাও খারাপ না বলে যারাই খারাপ তাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন ও নির্বাচনী ঐক্যের প্রয়োজন। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে এটাই হোতা সঠিক কৌশল যা মৌলিক নীতিগুলি বাস্তবায়নে সহায়ক।

কৃষক,শ্রমিক, নিম্নমধ্যবিত্ত ও মধ্যবিত্তরাও যে কারণে, ন্যায্য মজুরী অভাবে, ফসলের ন্যায্য মূল্য না পেয়ে রীতিমত অস্থিরতায় ভুগছে। সংগঠন ও আস্থাভাজন নেতৃত্বের অভাবে বড় কোন আন্দোলনের ডাকও দেওয়া যাচ্ছে না। তাই শুরু করা প্রয়োজন মানববন্ধন, দোকানে দোকানে বাড়ীতে বাড়ীতে ছোট ছোট লিফলেট হাতে হাতে হাটে-বাজারে-দোকানে বাড়ীতে বিতরণ ও পরবর্তীতে দেশব্যাপী পোষ্টার। এরপর মিছিল সমাবেশ ভারতের মত। কঠিন পরিস্থিতিতে আদায় যোগ্য দাবীতে নিয়মতান্ত্রিক ও সুশৃঙ্খল ভাবে হরতাল তবে তার আগে সর্বত্র কর্তৃপক্ষের কাছে স্মারকলিপি প্রদান নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে দাবীগুলি বাস্তবায়নের জন্য।

বাংলাদেশের বামপন্থীদের অনেকের বক্তৃতা বিবৃতিতে ধারণা জন্মায়, যেহেতু বুর্জেয়ারা মেহনতি মানুষের দুশমন তাদের শোষক তাই এখুনি তাদের উচ্ছেদ সাধন করে এ দেশে সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে। কিন্তু গরীব মানুষেরা তো বুর্জেয়া শাসিত দেশগুলিতে নানা কারণে, মূলত, শিক্ষা ও চাকুরীর জন্য যেতে উদগ্রীব। ব্যক্তিগতভাবে আমি বার পাঁচেক অস্ট্রেলিয়া যাবার সুযোগ পেয়েছি সেখানকার সিডনী শহরে থেকেছি। ঐ শহরে সাবেক ন্যাপ, কমিউনিস্ট পার্টি ছাত্র ইউনিয়ন করা অনেকে স্থায়ীভাবে আছেন- তবে তাঁরা সাংস্কৃতিক কার্যকলাপ ছাড়া অন্য কিছুতে নেই। ও দেশের শাসনটা বুর্জেয়াদের হাতে- তা সে যে দলেরই হোক না কেন ? তবে তুলনামূলকভাবে লেবার পার্টি অনেকটা গণমুখী হওয়ায় এশিয়ানরা ব্যাপকভাবে লেবার পার্টি অনুসারী। কেউ কেউ ঐ পার্টিতে যোগও দিয়েছেন- স্থায়ীভাবে নেতৃত্বেও এসেছেন। যা হোক, অস্ট্রেলিয়ার পুঁজিপতিরা বৃহৎ পুঁজিপতি। তাদেরই রাজত্ব। সেখানে অতীতে কমিউনিস্ট পার্টি থাকলেও আজ আর তার অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায় না-মিউজিয়াম ছাড়া। আমি অবশ্য মিউজিয়ামে গিয়ে খোঁজ করতে চাইলেও তা করিনি। যা হোক অস্তিত্বকালীন সময়ে অস্ট্রেলিয়ার কমিউনিস্ট পার্টি শক্তিশালী ট্রেড ইউনিয়ন গড়ে তুলেছিল এক শিল্প এক ইউনিয়ন এই নীতিতে। দরকষাকষির অনুকূলে ভাল শক্তিও অর্জন করেছিল এবং তাই শক্তিশালী আন্দোলনের মাধ্যমে শ্রমজীবীদের জন্য ন্যুনতম মজুরী স্বীকৃত হয় প্রতি ঘণ্টায় ২০ ডলার। এর প্রয়োগ সর্বত্র। ন্যূনতম হওয়ায় বাড়তি মজুরীও কোন কোন শিল্পে শ্রমজীবীদেরকে দেওয়া হয়।

বেকার নেই সেদেশে। যদি কিছু থাকেও তাদেরকে বিস্তর বেতন-ভাতাদি দেওয়া হয়। এক পরিবারে তিনজন বেকার থাকলে তিনজনই বেকার ভাতা দেওয়া হয় যা দিয়ে তারা বাড়ী-গাড়ীও করতে পারে। কিন্তু এ সুযোগ পাওয়ার অধিকারী শুধুমাত্র সে দেশের নাগরিকেরা। বিদেশী অস্থায়ী ভিজিটররা নন। তাদের ও তাদের সন্তান সন্ততি সবার জন্যই শিক্ষা-চিকিৎসা পরিপূর্ণভাবে ফ্রি।

যখন বললাম, একটি মিলন মেলা ডাকুন সকল ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টি-ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক সদস্যরা একত্রে বসে একটা সংগঠন গড়ে তুলি অস্ট্রেলিয়া শাখা হিসেবে-এক. না গড়ে সবাই বলে উঠলেন আংকেল বা দাদু, এখানে আমরা যে সব সুযোগ সুবিধা পাচ্ছি তা তো সমাজতন্ত্রের চাইতে কম নয়। শোষণ এখানে থাকলেও কোন ভাবেই তা বুঝবার উপায় নেই কারণ যে সকল সুযোগ সুবিধা রাষ্ট্র আমাদেরকে দেয়, সোভিয়েত ইউনিয়নেও প্রায় একই সুযোগ-সুবিধা ছিল বরং মধ্যবিত্তের উপার্জন এখানকার চেয়ে ওখানে সম্ভবত; কমই ছিল- শ্রমিকদের মজুরীর ক্ষেত্রে তো তা সত্য ছিল বটেই। এখানে নি¤œতম মজুরী প্রতি ঘণ্টায় ২০ ডলার কিন্তু আমেরিকাতে এখনও তা সাত ডলার মাত্র। তাই আমরা কোন সংগঠন করিনি-করতে আগ্রহীও নই।

বললাম, কোন দাবীতে নাই বা হলো কিন্তু সমমনারা মাঝে মধ্যে বসে দেশ নিয়ে, দেশের আমাদের ভূমিকা নিয়ে আলোচনার জন্যও তো একটা সংগঠন থাকলে ভাল হয় কিন্তু সাড়া তেমন একটা না পাওয়াতে সেটা আর করা গেল না।

সুতরাং এ ব্যাপারে শেষ কথাটি হলো এখুনি পুঁজিবাদ নিপাত যাক-কৌশলগত ভাবে এ কথা না বলে আমরা যদি মেহনতি মানুষদের দাবীগুলি যথার্থভাবে তুলে ধরি সেটাই যুগোপযোগী এবং সবার কাছে গ্রহণযোগ্য ইস্যু হতে পারে-অধিকতর সংখ্যক মানুষকে আকৃষ্টও করা যেতে পারে।

আর এই দৃষ্টিভঙ্গি থেকে বিচার করলে নিঃসন্দেহে বলা যায়, জামায়াত, হেফাজত বর্জনের দাবী জোরে সোরে তোলা, দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, দলবাজি, হেফাজত প্রীতির বিরুদ্ধে ঐক্য অবশ্যই আন্তরিক প্রচেষ্টাও উদ্যোগ নিলে ড. কামাল হোসেন ও অপরাপর গণতান্ত্রিক প্রগতিশীল শক্তিকে একটি .......... শক্তিতে পরিণত হতে পারতাম। সে উদ্যোগ তখন নিলে অনেক বেশী উপকার হতো। কিন্তু সময় এখনও আছে।

আমার মতে বিএনপিকেও এই জোটে নেওয়া ভাল যদি তারা তাদের ২০ দলীয় উগ্র দক্ষিণপন্থী শক্তিগুলিকে ছেড়ে আসতে রাজী হয়। একদিকে সরকারের উপর জামায়াত হেফাজত নিষিদ্ধ করার দাবী জোরদার করা-অপরদিকে বিএনপি থেকে তাদেরকে বিচ্ছিন্ন বা সংযোগ ছিন্ন করার চেষ্টা করা জাতীয় স্বার্থে, সংবিধানের মূলনীতিগুলি অবিকল উদ্ধার করতে অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। এবং সে কাজটির জন্য বর্তমানকালে ড. কামাল হোসেন ছাড়া ভিন্ন কোন কাউকে ভাবা যায় না। তাঁর নেতৃত্বে অনেক প্রখ্যাত আইনজীবী ও বেশ কিছু রাজনৈতিক দল আস্থার সাথেই আজও সমবেত হবেন বলে বিশ্বাস করি। পাকিস্তানী ধারা আমাদের রাজনীতিতে যেভাবে বেঁকে বসেছে তাতে এ ছাড়া উত্তম কোন বিকল্প দেখি না।

সত্য বটে, ড. কামাল হোসেনের সাম্প্রতিক ভূমিকা বেশ কিছুটা বিতর্কিত হয়েছে। আবার তাঁকে প্রগতিশীল ধারায় সম্পৃক্ত রাখার ব্যাপারে আমাদের অনেকে যে উন্নাসিকতা ও নেতিবাচকতাও ভূমিকা পালন করেছে-তাও কম সত্য নয়। তিনি চানটি-তবু ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীদের চাপেই ধানের শীষ প্রতীক ঐক্যফ্রন্টের প্রতীকে পরিণত হয়। উচিত ছিল গণফোরাম প্রার্থীদের “উদীয়মান সূর্য”, এবং বিএনপি বাদে বাদ বাকী দলগুলিরও নিজ নিজ দলীয় প্রতীকে নির্বাচন করা।

ড. কামাল হোসেনের স্পষ্ট অভিমত ছিল, ঐক্যফ্রন্টে জামায়াতে ইসলামী থাকবে না কিন্তু শেষ পর্যন্ত দেখা গেল গণফোরাম, রব জাসদ, মান্নার দল ও বিএনপি নিয়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট, ড. কামাল হোসেনের দাবী সবাই মেনে নিলেন। কিন্তু হঠাৎ ২০ দলীয় উগ্র দক্ষিণপন্থী জোটের পৃথক সভা করে বিএনপি জামায়াতে ইসলামীকে ধানের শীষ প্রতীক দিলো। এটা সুস্পষ্টভাবেই ঐক্যফ্রন্টের গৃহীত নীতিমালা লঙ্ঘন। এই ক্ষেত্রে ড. কামাল হোসেন তাঁর ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করেছেন। বলেছেন, ‘জামায়াতে ইসলামীকে ধানের শীষ প্রতীক দেওয়া হবে জানলে আমি ঐক্যফ্রন্টে যোগ দিতাম না।” এতে স্পষ্টতই বুঝা যায় বিএনপি আসলে প্রতারণামূলক ভাবে এমন সিদ্ধান্ত ঐক্যফ্রন্টের মূল নেতাকেও না জানিয়ে গ্রহণ ও কার্যকর করেছে।

হ্যাঁ, ড. কামাল হোসেন এটা জানার পর ঐক্যফ্রন্ট থেকে পদত্যাগ করে বেরিয়ে আসতে পারতেন কিন্তু সম্ভবত: শেষ মুহূর্তে তাঁর তেমন পদক্ষেপ ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীদের নির্বাচনী বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে-এই রকমটাই আমার ধারণ। এখন এর মর্যাদা আগামীর ও বর্তমানের রাজনীতিতে বিএনপি দেবে কিনা তা তারাই জানে।

আবারও ভুল করবে বিএনপি ? বিএনপির নির্বাচনী ফলাফলে যথেষ্ট ক্ষুব্ধ হওয়ার ও এ নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করার সঙ্গত কারণ আছে। তাই ঐক্যফ্রন্ট ও তাঁরা একযোগে এই নির্বাচন বাতিল করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নতুন নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবী জানিয়েছেন। নির্বাচন কমিশন ও সরকার এ দাবী প্রত্যাখ্যান করেছেন।

এহেন পরিস্থিতিতে বিএনপি বলেছে তাদের সদস্যরা যেহেতু নির্বাচন বয়কট করেছে সুতরাং শপথ গ্রহণ ও সংসদ অধিবেশনে যোগদান করলে নির্বাচনে বৈধতা দেওয়া হবে। তাই তাঁরা তাতে রাজী নন। তবে গণফোরাম থেকে নির্বাচিত দুইজন সদস্য শপথ নিতে ও সংসদে যোগ দিতে ইচ্ছুক বলে মত প্রকাশ করায় ঐক্যফ্রন্টে স্পষ্ট দ্বিমত দেখা দিয়েছে। সে কারণে ঐক্যফ্রন্টের সভা ডেকে সেখান থেকেই এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।

তবে একটি কথা স্পষ্টত:ই বলা দরকার, কারচুপি যতই ঘটে থাকুক তার সুনির্দিষ্ট প্রতিবাদ, উদাহরণসহ সংসদের, আদালতে ও জনগণের সমাবেশে তুলে ধরাই হলো আন্দোলনের প্রকৃষ্ট পন্থা-শপথ গ্রহণ বা সংসদ অধিবেশন বর্জন নয়। সংসদের ভেতরে বাইরে আন্দোলন চালাতে হবে, তাতে জন সম্পৃক্তি ঘটাতে হবে ধারাবাহিক আন্দোলনের মধ্য দিয়ে এবং সে ভাবেই জনমত সঙ্গে আনা যেতে পারে-অন্য যে পথ তা হলো সন্ত্রাসী পথ-গণতন্ত্র-বিরোধী পথ এবং এ কথা পূর্বেই প্রমাণিত ঐ পথে সাফল্য আসবে না।

সর্বশেষ কথাটি হলো জামায়াত ও ধর্মাশ্রয়ী দলগুলিকে পরিত্যাগ করে তাদের গণহত্যা ও স্বাধীনতা বিরোধী ভূমিকাকে স্পষ্টভাবে তুলে ধরতে হবে।

রণেশ মৈত্র, লেখক, একুশে পদকপ্রাপ্ত সাংবাদিক; মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক। ইমেইল : [email protected]

মুক্তমত বিভাগে প্রকাশিত লেখার বিষয়, মতামত, মন্তব্য লেখকের একান্ত নিজস্ব। sylhettoday24.com-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে যার মিল আছে এমন সিদ্ধান্তে আসার কোন যৌক্তিকতা সর্বক্ষেত্রে নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে sylhettoday24.com আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় গ্রহণ করে না।

আপনার মন্তব্য

লেখক তালিকা অঞ্জন আচার্য অধ্যাপক ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী ৪৮ অসীম চক্রবর্তী আজম খান ১১ আজমিনা আফরিন তোড়া ১০ আনোয়ারুল হক হেলাল আফসানা বেগম আবদুল গাফফার চৌধুরী আবু এম ইউসুফ আবু সাঈদ আহমেদ আব্দুল করিম কিম ৩২ আব্দুল্লাহ আল নোমান আব্দুল্লাহ হারুন জুয়েল ১০ আমিনা আইরিন আরশাদ খান আরিফ জেবতিক ১৭ আরিফ রহমান ১৬ আরিফুর রহমান আলমগীর নিষাদ আলমগীর শাহরিয়ার ৫৪ আশরাফ মাহমুদ আশিক শাওন ইনাম আহমদ চৌধুরী ইমতিয়াজ মাহমুদ ৭১ ইয়ামেন এম হক এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন একুশ তাপাদার এখলাসুর রহমান ৩৭ এনামুল হক এনাম ৪২ এমদাদুল হক তুহিন ১৯ এস এম নাদিম মাহমুদ ৩৩ ওমর ফারুক লুক্স কবির য়াহমদ ৬৩ কাজল দাস ১০ কাজী মাহবুব হাসান কেশব কুমার অধিকারী খুরশীদ শাম্মী ১৭ গোঁসাই পাহ্‌লভী ১৪ চিররঞ্জন সরকার ৩৫ জফির সেতু জহিরুল হক বাপি ৪৪ জহিরুল হক মজুমদার জাকিয়া সুলতানা মুক্তা জান্নাতুল মাওয়া জাহিদ নেওয়াজ খান জুনাইদ আহমেদ পলক জুয়েল রাজ ১০২ ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন ১২ ড. কাবেরী গায়েন ২৩ ড. শাখাওয়াৎ নয়ন ড. শামীম আহমেদ ৪১ ডা. আতিকুজ্জামান ফিলিপ ২০ ডা. সাঈদ এনাম ডোরা প্রেন্টিস তপু সৌমেন তসলিমা নাসরিন তানবীরা তালুকদার তোফায়েল আহমেদ ৩১ দিব্যেন্দু দ্বীপ দেব দুলাল গুহ দেব প্রসাদ দেবু দেবজ্যোতি দেবু ২৭ নাজমুল হাসান ২৪ নিখিল নীল পাপলু বাঙ্গালী পুলক ঘটক প্রফেসর ড. মো. আতী উল্লাহ ফকির ইলিয়াস ২৪ ফজলুল বারী ৬২ ফড়িং ক্যামেলিয়া ফরিদ আহমেদ ৪২ ফারজানা কবীর খান স্নিগ্ধা বদরুল আলম বন্যা আহমেদ বিজন সরকার বিপ্লব কর্মকার ব্যারিস্টার জাকির হোসেন ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ ১৮ ভায়লেট হালদার মারজিয়া প্রভা মাসকাওয়াথ আহসান ১৯০ মাসুদ পারভেজ মাহমুদুল হক মুন্সী মিলন ফারাবী মুনীর উদ্দীন শামীম ১০ মুহম্মদ জাফর ইকবাল ১৫৩ মো. মাহমুদুর রহমান মো. সাখাওয়াত হোসেন মোছাদ্দিক উজ্জ্বল মোনাজ হক ১৪ রণেশ মৈত্র ১৮৩ রতন কুমার সমাদ্দার রহিম আব্দুর রহিম ৫৫ রাজু আহমেদ ১৬ রাজেশ পাল ২৮ রুমী আহমেদ রেজা ঘটক ৩৮ লীনা পারভীন শওগাত আলী সাগর শাওন মাহমুদ