আজ শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

Advertise

একাদশ সংসদ ও জনতার প্রত্যাশা

রণেশ মৈত্র  

বিগত ৩০ ডিসেম্বর, ২০১৮, পুরাতন বছর সমাপ্তির একদিন আগে এবং নতুন বছর শুরুর দু’দিন আগে অনুষ্ঠিত হলো একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। দুই দফায় সামরিক আইন জারী না হলে হয়তো আরও বেশী সংখ্যক নির্বাচন দেখার অভিজ্ঞতা এ দেশের মানুষের হতো। যাহোক এবারের নির্বাচনটি নিয়ে অতীতের মতই অনেকটা নানা রকম প্রশ্ন আছে।

তবে প্রশ্নাতীত এবং সর্বজন সমর্থিত, সর্বজন প্রশংসিত নির্বাচনেও কয়েকটি এ দেশের মাটিতে দেখার সুযোগও এই জীবনে আমার ঘটেছে। শৈশবে ছাত্রাবস্থায় (তখন ছাত্র ইউনিয়ন করি) ১৯৫৪ সালের মুসলিম বিরোধীরা যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন যাতে ভূমিকা বিজয় ঘটেছিল হক ভাসানী-সোহরাওয়াদীর নেতৃত্বাধীন যুক্তফ্রন্ট তৎকালীন শাসকদল মুসলিম লীগকে প্রকৃত অর্থেই কবরস্থ করেছিল। ঐ কবর খুঁড়েও আজ আর মুসলিম লীগের হাড়গোড় ও দেখা যাবে না। সবাই যেন ধূলায় মিশে গিয়েছে।

দ্বিতীয় প্রশংসিত ও প্রশ্নাতীত নির্বাচনটি দেখেছিলাম ১৯৭০ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ঐতিহাসিক ছয় দফা, এগার দফার ভিত্তিতে। তখন আমি রীতিমত যুবক-পাঠ্যজীবন ১০/১১ বছর আগেই শেষ করেছি। এ বারের বিজয় পশ্চিম পাকিস্তানী শোষণ উচ্ছেদের দাবীতে। এবারের বিজয় ছিল আরও গর্বের, আরও অনেক বেশী অহংকারের। পশ্চিমা শাসকগোষ্ঠী ভেবেছিল তারা ঐ নির্বাচনের মাধ্যমে অল্প হলেও কিছু আসন পাবে আর পারে পশ্চিম পাকিস্তান সবগুলি আসন। সুতরাং শেষ পর্যন্ত তারা মেজরিটি আসন পেয়ে যাবে এবং সহজেই সরকার গঠন করে পূর্ববাংলা তথা বাঙালীদের এক হাত দেখাবে। কিন্তু ফল আসলে উল্টোটা।

আওয়ামী লীগ পশ্চিম পাকিস্তান থেকে একটি আসনও না পেলেও পূর্ব বাংলায় প্রাপ্ত আসনগুলিকেই সমগ্র পাকিস্তানে মেজরিটি আসন পেয়ে সমগ্র পাকিস্তানকে শাসন করার অধিকার অর্জন করে। কিন্তু পাকিস্তান সামরিক সরকারগুলির ষড়যন্ত্রে একদিকে যেমন ক্ষমতায় হস্তান্তর ও হয়নি অপরদিকে তারা জুলফিকার ভূট্টোর নেতৃত্বে পাঞ্জাব এবং সিন্ধু প্রদেশের শাসন ভার দখল করতে সক্ষম হয়। বেলুচিস্তানে ন্যাপ নেতা গাউস বখস বেজেঞ্জার নেতৃত্বে এবং পাকিস্তান সীমান্ত প্রদেশেরও ন্যাপের সরকার গঠিত হয় খান আব্দুল ওয়ালি খানের নেতৃত্বে। উল্লেখ্য এই দুই প্রদেশের ন্যাপ চালিত সরকার ছিল পুরোপুরি বাঙালী সমর্থক এবং অবিলম্বে বঙ্গবন্ধুর হাতে গোটা পাকিস্তানের শাসনভার প্রত্যর্পণের অনুরীরা।

এরপর জেনারেল জিয়ার বে-আইনীভাবে আওয়ামীলীগের দুই নম্বর নেতা খোন্দকার মোস্তাক আহমেদের আবেদনে ও উৎসাহে গ্রহণ এবং অত:পর অনুষ্ঠিত নির্বাচন ‘হাঁ’ ‘না’ ভোটের মাধ্যমে করা হয়। তেলেসমাতির এই নির্বাচনে মানুষ না গেলেও বিপুল ভোট পড়ে এবং হ্যাঁ ভোট অবিলম্বে হলেও মানতে হলো। অত:পর বিডি সদস্যদের (সাধারণ ভোটারদের মাধ্যমে নয়) ভোটে জেনারেল আইয়ুব ও বিপুল জনপ্রিয়তা সম্পন্ন জননেত্রী বেগম ফাতেমা জিন্নার নির্বাচনে একই ধরণের ফলাফল দেখানো হয় যদিও মোহাতারিমা মিস ফাতেম জিন্নাহ পাকিস্তানের জাতির আপন অবিবাহিত বয়স্ক বোন ছিলেন তিনি। অন্তত; পূর্ববাংলায় একচেটিয়া ভোট পেলেও তাঁকে এখানে বেশ কিছু ভোটে পরাজিত দেখানো হয়।

এহেন দৃশ্যও কম দেখিনি। যাহোক আবার ২/৩টি ভোট দেখেছি নির্দলীয় নিরপেক্ষ তদারকি সরকারের নেতৃত্বে। ঐ নির্বাচনগুলি যথেষ্ট ভাল হলেও এবং সঠিক ফলাফলের প্রতিফলন ঘটালেও পরাজিত দলের প্রচার ছিল উল্টো। যে দল জিতেছে তারা এই নির্বাচনকে অকুণ্ঠ অভিনন্দন জানিয়েছে এবং যারাই পরাজিত হয়েছে তারা ঐ নির্বাচনকে “কারচুপির” বা “সূক্ষ্ম কারচুপি” অনুষ্ঠিত করা হয়েছে বলে অভিমতই দেনটি শুধু ঐ নির্বাচন বানচালের জন্য সংসদ বর্জন , অনির্দিষ্টকালের জন্য বর্জন “হরতাল” “লাগাতা হরতাল” করে শান্তিপূর্ণ জনজীবনকে অতিষ্ঠ করে তুলেছেন।

২০১৪ সালের নির্বাচন তো ছিল ঐতিহাসিক। যে আওয়ামীলীগ বিরোধীদলে থাকাকালে জামায়াতসহ অন্যান্যদেরকে সঙ্গে নিয়ে নির্বাচন বয়কট ও তীব্র গণতান্ত্রিক আন্দোলনের মাধ্যমে দিব্যি সংবিধান সংশোধন করে চিরতরে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা তুলে দিল। আজ নির্বাচন পরিচালনা করে আমলা ও পুলিশ। নির্বাচন কমিশন অথর্ব ও বিভক্ত। এবার সকল দলের উপস্থিতিতে যে নির্বাচনটি হলো তার সম্পর্কে আবার জানা গেল বিরোধীদলের পোলিং এজেন্টকে অনেক স্থানে বের করে দেওয়া হয়েছে আবার তাদেরকে বুথে ঢুকতেই দেওয়া হয় নি- একতরফা সিল মারা হয়েছে। এর পুরোপুরি বিশ্বাস না হলেও পুরাপুরি অস্বীকারও কেউ আজও করেন নি। তদুপরি অর্ধ শতাধিক বিরোধী দলীয় প্রার্থী নির্বাচন চলাকালীন পরিস্থিতি দেখে নির্বাচন বয়কট করলেন।

সব মিলিয়ে নির্বাঘ্নেই বলা চলে এমন বিতর্কিত নির্বাচন নিয়ে পাঁচ বছর দেশ পরিচালনা সঠিক হবে না। আগামী ছয় মাস পর এই পার্লামেন্ট ভেঙ্গে দিয়ে নতুন নির্বাচন দেওয়া হোক সকলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে এবং একটি নিরপেক্ষ নির্দলীয় সরকারের অধীনে। এতে দেশ শান্তিপূর্ণভাবে পরিচালনা করা সম্ভব হবে-নতুবা এ নিয়ে যে বিক্ষোভ হবে- নানা অপশক্তি তার সুযোগ নিতে পারে।

ভারতের অবস্থা এ প্রসঙ্গে কি ? সেখানে কিন্তু লোকসভা বা রাজ্য নির্বাচনে বহু দল, বহু জোট অংশগ্রহণ করা স্বত্বেও এমন অভিযোগ কদাপি শুনা যায় নি। যে দল জিতেছে তার নেতা গিয়ে বিরোধীদলের নেতার সাথে সৌজন্যমূলক ভাবে কথাবার্তা বলেছে। ফলে দল ও নেতৃত্বের মধ্যে পরস্পর মর্য্যাদাসূচক ভ্রাতৃত্বসুলভ সম্পর্ক ও গড়ে উঠেছে। যে ক্ষেত্রে আমরা ভয়ংকর পিছিয়ে আছি- দুএকটি ক্ষুদ্র ব্যতিক্রম ব্যতিরেকে।

বলছিলাম পুনরায় বাবরি মসজিদ নির্মাণের চেষ্টা সম্পর্কে। সন্দেহ বিজেপি নিয়ন্ত্রিত কেন্দ্রীয় সরকার বা সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকার এ ব্যাপারে কোন প্রকার বাধা দেবেনই না বারং প্রকাশ্যে অপ্রকাশ্যে তারা যাবত সহযোগিতাই করবে। এর পরিণতি শুধু ভয়াবহ হতে পারে তাই না বরং দেশ বিদেশে আগুনের মত ছড়িয়ে পড়তে পারে-যেমনটি ঘটেছিল প্রথম দফায় ৮০ দশকের শেষ দিকে। তখন না বাংলাদেশ সরকার না ভারত সরকার কেউই এ গুনেননি এই ভয়াবহ পরিস্থিতির সম্মান দিতে। ফলে যা হবার তাই হলো। উভয় দেশে হিন্দু মুসলমান অনেক মরলো বিনাদোষে। শুধু তাই নয় মরলো মানুষ ভাঙচুর হলো হিন্দু-মুসলমান-বৌদ্ধ-খৃষ্টানের অসংখ্য প্রার্থনা গৃহ।

আবার কি সেই পথে ধাবিত হবে ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)। তার দোসররা তো তাই চাইছে। কিন্তু বিজেপি নাকি সংশয়চিস্ত অমন কিছু করলে তার ফলাফল সম্পর্কে। নীতিগত ভাবে অবশ্য বাবরি মসজিদ ভাঙ্গা ও তথাকথিত রামমন্দির বানাতে তারা বিগত নির্বাচনেও প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। কিন্তু আদালত বাদ সেধেছে তারা স্থগিতাদেশ দিয়ে রেখেছে। সরকার হিসাবে তাই বিজেপি আজও চুপচাপ কিন্তু স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারের চেষ্টা না কি অব্যাহত রেখেছে তবে দলটির মিত্ররা নাকি এই চেষ্টার আন্তরিকতা নিয়ে সন্দিগ্ধ।

আমার এই খবরগুলি মস্তিষ্ক প্রসূত নয়। একটি ব্যাপক প্রচারমূলক দৈনিকে খবর দেখেছিলাম রামমন্দির বানানো হোক এই দাবীতে ইতোমধ্যে নানা নামে দুটি সংগঠন অযোধ্যায় সমাবেশ করেছে। শ্লোগান দিয়ে আগে মন্দির, তব সরকার। এই শ্লোগান এমনভাবে তৈরি যাতে সরাসরি দিল্লীর মসনদে গিয়ে আঘাত লাগে। কিন্তু দিল্লী সরকারও কৌশল ঘটাচ্ছে। একদিকে সমাবেশ ওয়ালাদের জমায়েত বড় করার জন্য নানা অঞ্চল থেকে বিশেষ করে বিজেপির ঘাঁটি এলাকাগুলি থেকে বিশেষ করে বিজেপির ঘাঁটি এলাকাগুলি থেকে লোক বহন করার জন্য বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করেছিল অপরদিকে আবার শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার নামে প্লাটুন কে প্লাটুন নানা বাহিনী সমগ্র এলাকা ঘিরে রেখেছিল। ঐ এলাকার অসাম্প্রদায়িক বুদ্ধিজীবীগণ দাবী তুলেছিলেন যে সমাবেশকারীরা তাদের বক্তৃতায় ও শ্লোগানে এমনই ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টি করেছে যে সংখ্যালঘু মুসলমানদের মধ্যে যথেষ্ট আতংক ও উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে। জানিনা সে আতংক, উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা ইতোমধ্যে কেটে উঠতে শুরু করেছে কিনা বা ইতোমধ্যেই সেরে উঠেছে কিনা।

তবে এটুকু উপলব্ধি সহজেই করা যায়, যতক্ষণ পর্যন্ত তথাকথিত বিজেপি সরকার ঘোষণা না দেবে যে রামমন্দির নির্মাণ বা বাবরি মসজিদ তারা ভাঙবে না- এবং তাদের জঙ্গি মিত্র রাষ্ট্রীয় সেবক সংঘ (আরএসএস) প্রভৃতিও অনুরূপ ঘোষণা না দিচ্ছে ততক্ষণ মুসলিম সম্প্রদায়ের মন থেকে কিছুতেই আতংক পুরোপুরি পূরণ হবে না। আবার তেমন কোন ঘোষণা দিলে নির্বাচনে তার প্রতিক্রিয়াটি দাঁড়াবে ? নির্বাচনের তো মাত্র দু’আড়াই মাস বাকী। যে কোন মুহূর্তে ভারতের নির্বাচন কমিশন নির্বাচনী শিডিউল ঘোষণা দিয়ে বসতে পারে।

এহেন দ্বিধা-দ্বন্দ্বের মধ্যে দুলছে পৃথিবীর সর্ববৃহৎ গণতান্ত্রিক ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র।

কিন্তু এটা যে কারণে ঘটতে পেরেছিল অর্থাৎ যে সকল মূল কারণে বিজেপি নির্বাচনে ভারতের সকল প্রান্তে বিপুল বিজয় অর্জন করতে সক্ষম হয়েছিল সেগুলি দ্রুত দূর করে না ফেলতে পারলে শঙ্কা বয় বহু লোকের মনে থেকেই যাবে।

আবার ভেবে দেখা যাক-যেন কি পরিস্থিতিতে ভারত বর্ষে এমন সাম্প্রদায়িক পরিস্থিতির হয়েছিল যে কারণে কংগ্রেসের এবং তাবৎ ধর্মনিরপেক্ষ প্রগতিশীল শক্তির ব্যাপক পরাজয় ঘটেছিল তা দেখা দরকার তার সমাধান ঐক্যবদ্ধভাবে করা দরকার।

সকলেরই জানা যে রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে সি.পি.আই.এম, সি.পি.আই ও বাদবাকি কমিউনিস্ট দলগুলিই হলো নির্ভরযোগ্য ভাবে অসম্প্রদায়ক ও সাম্প্রদায়িকতার বিরোধী। মুসলিম সম্প্রদায়ও তা জানতেন এবং তাঁরা কমিউনিস্ট পার্টিগুলিকেই ভোট দিতেন। কিন্তু নানাবিধ যৌক্তিক অযৌক্তিক ইস্যুতে তাঁরা বিভক্ত হয়ে পড়লেন। ফলে মুসলিম ভোটও তাঁদের বিভক্ত হয়ে পড়লো।

ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস একি বুর্জেয়া দল। কিন্তু তারাই ভারতের বৃহত্তর এবং ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক দল-ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে তাদের ভূমিকা ঐতিহাসিক। এই দলটি অসাম্প্রদায়িক, দলের নেতা মহাত্মা গান্ধী, পণ্ডিত জওয়াহেরলাল নেহেরু, মওলানা আবুল কালাম আজাদসহ বহু নেতা কোথাও সামান্যতম সাম্প্রদায়িক হাঙ্গামার সামান্যতম খবর পেলেই সেখানে ছুটে যেতেন-সাফল্যের সাথে সমস্যা মেটাতেন। ফলে তাঁদের পাশেও ব্যাপক মুসলিম সমর্থন ছিল আর হিন্দুরা তো মুসলিম লীগের সাম্প্রদায়িকতার ভিত্তিতে কংগ্রেস বিরোধিতা ফলে কোটি কোটি হিন্দু ভোট তো তাদের ছিলই। তাদের সাথে কমিউনিস্ট পার্টিরও আন্দোলনরত ঐক্য ছিল কিন্তু কিছুকাল আগে সে  ঐক্যে ফাটল ধারায় পরিস্থিতি ভিন্ন রূপ নিয়েছে। সর্বভারতীয় ভিত্তিতে বহু অসাম্প্রদায়িক দলের সাথে কংগ্রেসের অনৈক্য আজও পুরাপুরি  মেটে নি। কমিউনিস্ট পার্টির সাথেও না। পশ্চিম বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী কে সময় বিজেপি মন্ত্রীসভায় রেলমন্ত্রী ছিলেন। বর্তমানে তিনি বিজেপি বিরোধী কিন্তু পুরোপুরি বিশ্বাসযোগ্য নয় তাঁর বিজেপি বিরোধী ভূমিকা। বিজেপির বর্তমান দুর্দশা দেখে তিনি কৌশলে একটি কথা ছেড়ে দিয়েছেন দিল্লীর সিংহাসনে এবার বাঙালী বসবে অর্থাৎ তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী হতে আগ্রহী।

যখন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী বলছেন তিনি চান শুধু বিজেপি পরাজিত হোক এবং সেজন্য সকল বিজেপি বিরোধী শক্তি ঐক্যবদ্ধ হোক। সেক্ষেত্রে তিনি প্রধানমন্ত্রী ও নেবেন না। এতে অনেক আঞ্চলিক দলই সাড়া দিয়েছেন। কেউ কেউ দেননি-কেউ কেউ চুপচাপ আছেন। এমন নাজুক একটা পরিস্থিতিতে তৃণমূল নেত্রী মমতা ব্যানার্জী দিল্লীর সিংহাসন দখলের কথা বলে কার্যত: বিজেপি বিরোধী কথা বললেন না কি বিজেপি বিরোধী ঐক্য ফাটল ধরাতে চাইছেন তা এখনও স্পষ্ট নয়।

এমন বিষয়টি নির্ভর করে অনেকটা কমিউনিস্ট পার্টিগুলির উপরে। তাঁদের পূর্বতন নীতি “কংগ্রেস......বিজেপি....” যদি তাঁরা এখনও আঁকড়ে ধরে রাখেন তবে কমিউনিস্ট পার্টি এবং কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ঐক্য ক্ষতিগ্রস্ত হবে-লাভবান হবে বিজেপি।

এবারকার পরিস্থিতিতে বিজেপিকে পরাজিত করার সমূহ সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে এবং সাম্প্রদায়িকতার বিষয় ভারত থেকে কমিয়ে আনার যে সুযোগ এসেছে-অসাম্প্রদায়িকতা সকল দলই তা উপলব্ধি করে ঐক্যবদ্ধভাবে নির্বাচনে অংশ নেবে আশা করি।

রণেশ মৈত্র, লেখক, একুশে পদকপ্রাপ্ত সাংবাদিক; মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক। ইমেইল : [email protected]

মুক্তমত বিভাগে প্রকাশিত লেখার বিষয়, মতামত, মন্তব্য লেখকের একান্ত নিজস্ব। sylhettoday24.com-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে যার মিল আছে এমন সিদ্ধান্তে আসার কোন যৌক্তিকতা সর্বক্ষেত্রে নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে sylhettoday24.com আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় গ্রহণ করে না।

আপনার মন্তব্য

লেখক তালিকা অঞ্জন আচার্য অধ্যাপক ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী ৪৮ অসীম চক্রবর্তী আজম খান ১১ আজমিনা আফরিন তোড়া ১০ আনোয়ারুল হক হেলাল আফসানা বেগম আবদুল গাফফার চৌধুরী আবু এম ইউসুফ আবু সাঈদ আহমেদ আব্দুল করিম কিম ৩২ আব্দুল্লাহ আল নোমান আব্দুল্লাহ হারুন জুয়েল ১০ আমিনা আইরিন আরশাদ খান আরিফ জেবতিক ১৭ আরিফ রহমান ১৬ আরিফুর রহমান আলমগীর নিষাদ আলমগীর শাহরিয়ার ৫৪ আশরাফ মাহমুদ আশিক শাওন ইনাম আহমদ চৌধুরী ইমতিয়াজ মাহমুদ ৭১ ইয়ামেন এম হক এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন একুশ তাপাদার এখলাসুর রহমান ৩৭ এনামুল হক এনাম ৪১ এমদাদুল হক তুহিন ১৯ এস এম নাদিম মাহমুদ ৩৩ ওমর ফারুক লুক্স কবির য়াহমদ ৬৩ কাজল দাস ১০ কাজী মাহবুব হাসান কেশব কুমার অধিকারী খুরশীদ শাম্মী ১৭ গোঁসাই পাহ্‌লভী ১৪ চিররঞ্জন সরকার ৩৫ জফির সেতু জহিরুল হক বাপি ৪৪ জহিরুল হক মজুমদার জাকিয়া সুলতানা মুক্তা জান্নাতুল মাওয়া জাহিদ নেওয়াজ খান জুনাইদ আহমেদ পলক জুয়েল রাজ ১০২ ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন ১২ ড. কাবেরী গায়েন ২৩ ড. শাখাওয়াৎ নয়ন ড. শামীম আহমেদ ৪১ ডা. আতিকুজ্জামান ফিলিপ ২০ ডা. সাঈদ এনাম ডোরা প্রেন্টিস তপু সৌমেন তসলিমা নাসরিন তানবীরা তালুকদার তোফায়েল আহমেদ ৩১ দিব্যেন্দু দ্বীপ দেব দুলাল গুহ দেব প্রসাদ দেবু দেবজ্যোতি দেবু ২৭ নাজমুল হাসান ২৪ নিখিল নীল পাপলু বাঙ্গালী পুলক ঘটক প্রফেসর ড. মো. আতী উল্লাহ ফকির ইলিয়াস ২৪ ফজলুল বারী ৬২ ফড়িং ক্যামেলিয়া ফরিদ আহমেদ ৪২ ফারজানা কবীর খান স্নিগ্ধা বদরুল আলম বন্যা আহমেদ বিজন সরকার বিপ্লব কর্মকার ব্যারিস্টার জাকির হোসেন ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ ১৮ ভায়লেট হালদার মারজিয়া প্রভা মাসকাওয়াথ আহসান ১৯০ মাসুদ পারভেজ মাহমুদুল হক মুন্সী মিলন ফারাবী মুনীর উদ্দীন শামীম ১০ মুহম্মদ জাফর ইকবাল ১৫৩ মো. মাহমুদুর রহমান মো. সাখাওয়াত হোসেন মোছাদ্দিক উজ্জ্বল মোনাজ হক ১৪ রণেশ মৈত্র ১৮৩ রতন কুমার সমাদ্দার রহিম আব্দুর রহিম ৫৫ রাজু আহমেদ ১৬ রাজেশ পাল ২৮ রুমী আহমেদ রেজা ঘটক ৩৮ লীনা পারভীন শওগাত আলী সাগর শাওন মাহমুদ