আজ শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

Advertise

অস্ত্রটা ফেইক হলে গোলাগুলিও কি ফেইক হয়না?

এখলাসুর রহমান  

বিমান ছিনতাইকারী কে? কী তার উদ্দেশ্য ছিল? বিমানের এত নিরাপত্তায় সে কীভাবে অস্ত্র নিয়ে বিমানে উঠতে সক্ষম হল? প্রধানমন্ত্রীর সাথে কী কথা বলতে চেয়েছিল কথিত অস্ত্রধারী?

সংবাদ সম্মেলনে তার আটকের খবর প্রচার হল। বলা হল সুস্থ হলে তার কাছ থেকে তথ্য বের করা হবে। কিন্তু পরবর্তীতে তার মৃত্যু সংবাদ ভেসে এল। এখন আবার সংবাদ পত্রে খবর বেরোচ্ছে তার হাতে কোন অস্ত্রই ছিলনা। ছিল একটি খেলনা পিস্তল। আরও খবর বেরুলো কথিত ছিনতাইকারী ছিল একজন ব্যর্থ প্রেমিক। তার নাম নিয়েও বিভ্রান্তি। কেউ বলছে মাহাদি, কেউ সাগর, কেউ মাজেদুল সর্বশেষ পলাশ। প্রথমে সংবাদপত্রে লিখেছে, চট্টগ্রামে বিমান ছিনতাই চেষ্টাকারী যুবককে ইতিমধ্যে কব্জা করে ফেলেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। সাগর নামের সন্দেহভাজন ওই ব্যক্তিকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় আটক করা হয় বলে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ কমিশনার মাহবুবার রহমান গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন। এদিকে বিমানবন্দরের অন্য একটি সূত্র জানিয়েছে, চিত্রনায়িকা শিমলার প্রেমে ব্যর্থ হয়েই নাকি তিনি এই কাণ্ড ঘটিয়েছেন! সিভিল এভিয়েশন সচিব মহিবুল হক গণমাধ্যমকে বলেছেন, নায়িকা শিমলার প্রেমে ব্যর্থ হয়ে মাহাদি (সাগর) নামে ওই যুবক এ বিমান ছিনতাইয়ের চেষ্টা করেছিলেন।

রোববার সন্ধ্যায় বাংলাদেশ বিমানের বিজি-১৪৭ নং ফ্লাইটটি দুবাইয়ের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করে। পরে বিমানটিকে চট্টগ্রামের শাহ আমানত বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করতে হয়। ঢাকা-চট্টগ্রামের মাঝামাঝি অবস্থায় থাকার সময় সেই যুবক অস্ত্র দেখিয়ে বিমানের পাইলটদের জিম্মি করার চেষ্টা করে। এসময় পাইলটদের বুদ্ধিমত্তায় পরিস্থিতি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। এমনই এক শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতির পর বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি উড়োজাহাজ- ফ্লাইট নাম্বার বিজি- ১৪৭ এর ছিনতাইকারীদেরকে আটক করে জিম্মি দশার অবসান ঘটায় সেনা এবং নৌ কমান্ডোদের যৌথ বাহিনী। এয়ার ভাইস মার্শাল মফিদুর রহমান গণমাধ্যমের সামনে ব্রিফ করেন সর্বশেষ পরিস্থিতি। তিনি জানান, কোনো রকম ক্ষয়ক্ষতি ছাড়াই জিম্মিদশার অবসান ঘটিয়েছে কমান্ডোরা। যাত্রী, পাইলট, ক্রুদের কেউ হতাহত হয়নি। দুর্বৃত্তদেরও আটক করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, বিমানটির কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সরাসরি তত্ত্বাবধানে এই অপারেশন পরিচালিত হয়েছে।

সংবাদপত্রে প্রথমে এসেছে, বিমান ছিনতাইকারী আটক, পরিস্থিতি সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে। পরবর্তীতে লিখেছে নিহত। আরও লিখেছে, চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ছিনতাইয়ের কবলে পড়া বাংলাদেশ বিমানের উড়োজাহাজটি নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে সেনাবাহিনী। রোববার রাত পৌনে ৮টার দিকে সেনা স্পেশাল ফোর্সের অভিযানে সন্দেহভাজন এক ছিনতাইকারীকে আহতাবস্থায় আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পরিচালক।

অভিযান সমাপ্ত হওয়ার পর সিভিল এভিয়েশন কার্যালয়ে এ বিষয়ে ব্রিফিং করে ঘটনার বিস্তারিত তথ্য গণমাধ্যমকে জানান সিভিল এভিয়েশনের নতুন চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. নাইম হাসান। রোববার বিকালে দুবাইয়ের উদ্দেশে ক্রুসহ ১৪৮ জন যাত্রী নিয়ে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বাংলাদেশ বিমানের একটি উড়োজাহাজ উড্ডয়ন করে। উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পরই ছিনতাইয়ের কবলে পড়ে বিমানটি। বিমানের চট্টগ্রামগামী ফ্লাইটটি যখন মাঝ আকাশে, তখন এক ব্যক্তি পাইলটকে অস্ত্র ঠেকিয়ে উড়োজাহাজটি জিম্মি করেন। অবস্থা বেগতিক দেখে চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিমানের জরুরি অবতরণ করা হয়। জরুরি অবতরণের পরপরই রানওয়েতে বিমানটি ঘিরে ফেলে সেনাবাহিনী, র‍্যাব ও পুলিশ। পরে সব যাত্রীকে নিরাপদে নামিয়ে আনা হলেও একজন ক্রুকে ওই ছিনতাইকারী জিম্মি করে রাখে বলা হয়। পরে বিমানবন্দরে যায় সোয়াত টিম ও বোম ডিসপোজাল ইউনিট। ঘটনাস্থলে ছুটে যায় ফায়ার সার্ভিসও।

বিমানের বিজি-১৪৭ নম্বর ফ্লাইটটি চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা হয়ে দুবাই যাওয়ার কথা। কিন্তু উড্ডয়নের পরপরই এ ঘটনা ঘটে। এরপরই দ্রুত ফ্লাইটের সব যাত্রীকে নামিয়ে দেয়া হয়। বিমানটি রানওয়েতে অবস্থান করে এবং সেটি ঘিরে ফেলেন সেনাবাহিনী, পুলিশ, র‍্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। যাত্রীদের সকলকে নামিয়ে আনলেও সাগর নামে একজন ক্রু ও ছিনতাইকারী বিমানটির ভেতরে থেকে যায়। বিমানটি রোববার বিকাল ৫টা ৪০ মিনিটের দিকে জরুরি অবতরণ করা হয়। তাৎক্ষণিক সেখানে বিমান ওঠানামা বন্ধ করা হয় বলে জানান বিমানবন্দরের এক কর্মকর্তা মোহাম্মদ উল্লাহ। সেনাবাহিনীর স্পেশাল ফোর্স ও নৌ কমোডোর এয়ার ভাইস মার্শাল মফিদুর রহমানের নেতৃত্বে নৌ কমোডোর দলের অভিযানে সন্দেহভাজন ওই ছিনতাইকারীকে আহতাবস্থায় আটক করা হয় এবং আহতাবস্থায় ক্রু সাগরকে উদ্ধার করা হয়। বিমানবন্দর সূত্রে জানা যায়, ঢাকা থেকে ১৪৮ জন যাত্রী নিয়ে বিমানটি ছেড়ে যায়। এর মধ্যে ৮৬ জন ছিলেন দুবাইগামী যাত্রী। বাকি ৬১ জন অভ্যন্তরীণ যাত্রী, যাদের চট্টগ্রামে নামার কথা ছিল। আর চট্টগ্রাম থেকে দুবাইগামী বাকি যাত্রীদের ওঠার কথা ছিল। বিমান ছিনতাইয়ের ঘটনা পরবর্তী আইএসপিআর-এর সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, বাংলাদেশ বিমানের একটি উড়োজাহাজ বিজি-১৪৭ ফ্লাইট ছিনতাইকারী মাহাদি (২৬) সেনাবাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে গোলাগুলিতে নিহত হয়েছে।বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম ২৪ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল মতিউর রহমান।

রোববার রাত পৌনে ৯টার দিকে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।এর আগে আইএসপিআরও জানায়, অভিযানের পর ছিনতাইকারীকে আহত অবস্থায় আটক করা হয়েছে।পরিস্থিতি সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়, বিমানের ভেতরে অভিযান চালানোর সময় ওই ব্যক্তিকে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয় কিন্তু সে অস্বীকৃতি জানালে গুলি চালানো হয়। পরে তার মৃত্যু হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, বিমানে ক্রুসহ ১৪৮ জন যাত্রী ছিলেন। তারা সবাই নিরাপদে বের হয়ে এসেছেন। ওই বিমানটির একজন যাত্রী, বাংলাদেশের একজন সংসদ সদস্য মঈন উদ্দিন খান বাদল স্থানীয় গণমাধ্যমকে বলেছেন, ''বিমানে একজন যাত্রী অস্ত্র নিয়ে বিমানটি হাইজ্যাক করার চেষ্টা করেছিল। সে বাঙালি। সে গুলি করেছে তবে সব যাত্রীকে নিরাপদে নামিয়ে আনা হয়েছে। পাইলট আমার কাছে এসেছিল, সে বলেছে হাইজ্যাকার একজন, সে গুলি করেছে। পাইলট তাকে পারসুয়েট করার চেষ্টা করেছে। হাইজ্যাকার বলেছে, সে শেখ হাসিনার সঙ্গে কথা বলতে চায়। ''বিমানে থাকা একজন যাত্রী ওসমান গণি সাংবাদিকদের বলেছেন, ঢাকা থেকে বিমানটি রওনা হওয়ার একটু পরেই একজন যাত্রী ককপিটের দিকে যায়। এরপর আমরা কিছু গুলির শব্দ শুনেছি। এছাড়াও আরেকটি খবর হলো, বাংলাদেশ বিমানের উড়োজাহাজ বিজি-১৪৭ ছিনতাই চেষ্টাকারী যুবকের হাতের অস্ত্রটি খেলনা পিস্তল ছিল। চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের কমিশনার মোহাম্মদ মাহবুবার রহমান সাংবাদিকদের এমন তথ্যই দিয়েছেন। তিনি বলেন, তার কাছে যে অস্ত্রটি পাওয়া গেছে এটা ভুয়া, খেলনা পিস্তল।

বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলীও রাতে এক টেলিভিশনে একই কথা বলেছেন। তিনিও বলেছেন, ওই পিস্তলটি ছিল খেলনা। বিমান ছিনতাই চেষ্টাকারী মাহাদি (২৬) সেনাবাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে গোলাগুলিতে নিহত হয়েছেন। তবে টিকিটে তার নাম মাজিদুল বলে জানা গেছে। এখন কথা হলো খেলনা পিস্তল হলে গোলাগুলি হলো কিভাবে। একটি সংবাদে দুর্বৃত্তদের আটক করতে সক্ষম হয়। তাহলে দুর্বৃত্ত কয়জন ছিল? এটা স্রেফ একজন অস্ত্রধারীর বিমান ছিনতাইয়ের ঘটনা না হয়ে কি বড় ধরনের নাশকতার ছক হতে পারেনা? এর রহস্য উন্মোচন করতে পারতো অস্ত্রধারী ব্যক্তিটির বেঁচে থাকা। প্রয়োজন ছিল তাকে বাঁচিয়ে রাখা। কিন্তু সেটি না হয়ে বিমান ছিনতাই নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে এক ধূম্রজাল।

ব্যর্থ প্রেম, মানসিক রোগী, খেলনা পিস্তল প্রভৃতি কত কী কথা! একজন খেলনা পিস্তলধারীর সাথে সেনাবাহিনীর কমান্ডো যুদ্ধ করবে তা কি বিশ্বাসযোগ্য? এব্যাপারে জিম্মি হওয়া ক্রুর বক্তব্য কী? এবিষয়ে কোনপ্রকার ধামাচাপা কাম্য নয়।

দেশবাসীর প্রত্যাশা এর সত্যিকারের কারণ, রহস্য ও এর পেছনে নেপথ্য কোন চক্রান্তের জাল বিস্তৃত ছিল কিনা তা বের করা হোক। ঘটনার পর দিন তার নাম হয়ে গেল পলাশ। এয়ারলাইন্সের একটি বিমান ছিনতাই চেষ্টার ঘটনা। এটা কোন হেলাফেলার বিষয় নয়। আর যিনি ছিনতাই করতে চেয়েছিলেন সেই পলাশ আহমেদ কিংবা মাহাদি জাহান নাকি এক সময়ের জনপ্রিয় অভিনেত্রী এবং জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রাপ্ত চিত্রনায়িকা সিমলার স্বামী।

মাহাদি জাহান (mahibi jahan) নামে তার ফেসবুক আইডি’র খোঁজও মিলেছে। তাতে দেখা গেছে নিজের বিভিন্ন মুহূর্তের ছবি ও তথ্য শেয়ার করেছেন তিনি।

বিমান ছিনতাই চেষ্টার আগে নিজের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন মো. পলাশ আহমেদ ওরফে মাহাদি। ওইদিন (রোববার) দুপুর ১টা ৩ মিনিটে ওই স্ট্যাটাসে তিনি লিখেন- ‘ঘৃণা নিঃশ্বাসে প্রশ্বাসে’। ফেসবুকে এটাই ছিল তার শেষ স্ট্যাটাস। হামলাকারী কি মাহাদি, মাহাদি জাহান, সাগর না পলাশ আহমেদ? পুলিশ এখন বলছে তার শরীরে বাঁধা বোমা সদৃশটা ফেইক ছিল। তবে কি ফেইক বোমা ও ফেইক খেলনার বিরুদ্ধেই ছিল এই কমান্ডো অভিযান? তবে কেন তারা এই ফেইক অস্ত্রধারীটিকে বাঁচিয়ে রাখতে পারলোনা?

এখন এ রহস্য বের হবে কিভাবে? কথিত বিমান ছিনতাইকারীর অস্ত্রটা ফেইক হলে গোলাগুলিও কি ফেইক হয়না?

এখলাসুর রহমান, লেখক ও কলামিস্ট

মুক্তমত বিভাগে প্রকাশিত লেখার বিষয়, মতামত, মন্তব্য লেখকের একান্ত নিজস্ব। sylhettoday24.com-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে যার মিল আছে এমন সিদ্ধান্তে আসার কোন যৌক্তিকতা সর্বক্ষেত্রে নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে sylhettoday24.com আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় গ্রহণ করে না।

আপনার মন্তব্য

লেখক তালিকা অঞ্জন আচার্য অধ্যাপক ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী ৪৮ অসীম চক্রবর্তী আজম খান ১১ আজমিনা আফরিন তোড়া ১০ আনোয়ারুল হক হেলাল আফসানা বেগম আবদুল গাফফার চৌধুরী আবু এম ইউসুফ আবু সাঈদ আহমেদ আব্দুল করিম কিম ৩২ আব্দুল্লাহ আল নোমান আব্দুল্লাহ হারুন জুয়েল ১০ আমিনা আইরিন আরশাদ খান আরিফ জেবতিক ১৭ আরিফ রহমান ১৬ আরিফুর রহমান আলমগীর নিষাদ আলমগীর শাহরিয়ার ৫৪ আশরাফ মাহমুদ আশিক শাওন ইনাম আহমদ চৌধুরী ইমতিয়াজ মাহমুদ ৭১ ইয়ামেন এম হক এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন একুশ তাপাদার এখলাসুর রহমান ৩৭ এনামুল হক এনাম ৪১ এমদাদুল হক তুহিন ১৯ এস এম নাদিম মাহমুদ ৩৩ ওমর ফারুক লুক্স কবির য়াহমদ ৬২ কাজল দাস ১০ কাজী মাহবুব হাসান কেশব কুমার অধিকারী খুরশীদ শাম্মী ১৭ গোঁসাই পাহ্‌লভী ১৪ চিররঞ্জন সরকার ৩৫ জফির সেতু জহিরুল হক বাপি ৪৪ জহিরুল হক মজুমদার জাকিয়া সুলতানা মুক্তা জান্নাতুল মাওয়া জাহিদ নেওয়াজ খান জুনাইদ আহমেদ পলক জুয়েল রাজ ১০২ ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন ১২ ড. কাবেরী গায়েন ২৩ ড. শাখাওয়াৎ নয়ন ড. শামীম আহমেদ ৪১ ডা. আতিকুজ্জামান ফিলিপ ২০ ডা. সাঈদ এনাম ডোরা প্রেন্টিস তপু সৌমেন তসলিমা নাসরিন তানবীরা তালুকদার তোফায়েল আহমেদ ৩০ দিব্যেন্দু দ্বীপ দেব দুলাল গুহ দেব প্রসাদ দেবু দেবজ্যোতি দেবু ২৭ নাজমুল হাসান ২৪ নিখিল নীল পাপলু বাঙ্গালী পুলক ঘটক প্রফেসর ড. মো. আতী উল্লাহ ফকির ইলিয়াস ২৪ ফজলুল বারী ৬২ ফড়িং ক্যামেলিয়া ফরিদ আহমেদ ৪২ ফারজানা কবীর খান স্নিগ্ধা বদরুল আলম বন্যা আহমেদ বিজন সরকার বিপ্লব কর্মকার ব্যারিস্টার জাকির হোসেন ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ ১৮ ভায়লেট হালদার মারজিয়া প্রভা মাসকাওয়াথ আহসান ১৯০ মাসুদ পারভেজ মাহমুদুল হক মুন্সী মিলন ফারাবী মুনীর উদ্দীন শামীম ১০ মুহম্মদ জাফর ইকবাল ১৫৩ মো. মাহমুদুর রহমান মো. সাখাওয়াত হোসেন মোছাদ্দিক উজ্জ্বল মোনাজ হক ১৪ রণেশ মৈত্র ১৮৩ রতন কুমার সমাদ্দার রহিম আব্দুর রহিম ৫৫ রাজু আহমেদ ১৫ রাজেশ পাল ২৮ রুমী আহমেদ রেজা ঘটক ৩৮ লীনা পারভীন শওগাত আলী সাগর শাওন মাহমুদ