আজ শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

Advertise

রক্তে দিয়েছে দোলা, চেতনায় দেয় আলো

সঙ্গীতা ইমাম  

সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবের ধারাবাহিকতায় চল্লিশের দশকে ভারতবর্ষে একে একে গড়ে ওঠে সোভিয়েত সুহৃদ সমিতি, প্রগতি লেখক সংঘ, ফ্যাসিস্ট বিরোধী লেখক ও শিল্পী সংঘ, ভারতীয় গণনাট্য সংঘ প্রভৃতি। ১৯৩৬ সালের ১১ জুলাই কোলকাতায় প্রতিষ্ঠিত ‘বঙ্গীয় প্রগতি লেখক সংঘ’- এর ঢাকা শাখা প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৩৯ সালে। এর নিয়মিত সদস্য ছিলেন সতীশ পাকড়াশী, সোমেন চন্দ, রণেশ দাশগুপ্ত, কিরণশংকর সেনগুপ্ত, সত্যেন সেন। এঁদের মধ্যে দু’ জন সত্যেন সেন ও রণেশ দাশগুপ্ত উদীচীর প্রতিষ্ঠাতা।

সত্যেন সেন উদীচীর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। ১৯৫৬ সালের ঢাকা জেলা কৃষক সম্মেলনের পর মানুষের মুক্তির আদর্শকে সামনে রেখে প্রতিষ্ঠিত হয় ‘সৃজনী সাহিত্য ও শিল্পীগোষ্ঠী’। এরপর তিনি একটি গানের দল তৈরি করলেন ১৯৫৮ সালে। এই দল তৈরি করার পর পরই সত্যেন সেন কারারুদ্ধ হন এবং বেশির ভাগ সময়ই তাঁকে জেলে কাটাতে হয়। কিন্তু তাঁর তৈরি এ দলটির কর্মকাণ্ড টিকে থাকে। গানে এ দলের হাল ধরেন গোলাম মোহাম্মদ ইদু ও সাইদুর রহমান। সাথে ছিলেন আবদুল করিম, আবদুল খালেক প্রমুখ। শিল্পী জাহিদুর রহিম মাঝে মাঝে এই দলটির সাথে যুক্ত হতেন। এর সাথে যুক্ত হন সৃজনীর শুভ রহমান, মোজাম্মেল হোসেন মন্টু, আবেদ খান, নিয়ামত হোসেন, ইউসুফ পাশা, ইয়াহিয়া বখত প্রমুখ। এঁরা সবাই ছিলেন লেখক সাহিত্যিক কবি ও গল্পকার। এই গানের দলের মহড়া প্রথমে নারিন্দায় সাইদুর রহমানের বাসায় শুরু হয়। স্থানীয় ধর্মান্ধ মৌলবাদীদের আক্রমণের পর মুক্তধারা, আবেদ খানের বাসা, হাশেম খানের বাসা সর্বত্রই প্রায় একই অভিজ্ঞতার পর শান্তিনগরে পীর হবিবুর রহমান, মোর্শেদ আলী ও মোনায়েম সরকারের মেস (যা ন্যাপের মেস নামে পরিচিত ছিল) সেখানে দলটি উঠে আসে। এই বাসাটি রহিমা চৌধুরানীর বাসা ছিল। এখানে মসজিদ কমিটি মহড়ায় আপত্তি জানালে দলটির শুভানুধ্যায়ীরা পাল্টা হুমকি প্রদান করেন এবং দলটির বিরুদ্ধে মসজিদে প্রচারিত ইসলামী ছাত্র সংঘের লিফলেট কেড়ে নেন। এতে কাজ হয়। এ সময় গণকথাশিল্পী সত্যেন সেন দলটির নামকরণের প্রস্তাব দেন এবং নিজেই নাম রাখেন ‘উদীচী’।

উদীচী জন্মলগ্ন থেকেই দুঃখ-দুর্দশা এবং অধিকার সম্পর্কে মানুষকে গণসংগীতের মাধ্যমে সচেতন করে আসছে। উদীচীর গণসংগীতের মধ্য দিয়ে বারবার ধ্বনিত প্রতিধ্বনিত হয়েছে কৃষকের ন্যায্য দাবি, শ্রমিকের শ্রমের ন্যায্য অধিকারের দাবি। শুধু তাই নয়— দেশ এবং দেশের মানুষ যখনই সংকটময় অবস্থার মধ্যে পড়েছে তখনই উদীচীসহ অপরাপর সংগঠনের পরিবেশনায় গণসংগীত গণমানুষকে পথ চলতে প্রেরণা যুগিয়েছে, সাহস দিয়েছে। গণসংগীতের এই ধারার আরও বেশি বিস্তার ঘটানো, গণসংগীত যাতে আরও বেশি শ্রমজীবী মানুষকে উজ্জীবিত করতে পারে, তার অধিকার সম্পর্কে সচেতন করে তুলতে পারে, শোষণ-বঞ্চনার বিরুদ্ধে শিল্পীরা যাতে এ সকল বঞ্চিত-নিপীড়িত-শোষিত মানুষের পাশে গিয়ে দাঁড়াতে পারে সে লক্ষ্যে উদীচী ধারাবাহিকভাবে উদ্যোগ গ্রহণ করে এসেছে। ১৯৭৪ সালে ন্যাপ অফিসে উদীচী সাতদিনব্যাপী আয়োজন করে গণসংগীত প্রশিক্ষণের।  প্রতিটি শাখা থেকেই শিল্পীরা সে প্রশিক্ষণে অংশ নেয়। প্রায় ১২৫-১৩০ জন শিল্পী এ প্রশিক্ষণে অংশ নেয়। প্রশিক্ষণে প্রশিক্ষক হিসেবে ছিলেন আব্দুল লতিফ, লুত্ফর রহমান, সুখেন্দু চক্রবর্তী, ইন্দ্র মোহন রাজবংশী, সনজিদা খাতুন, ওয়াহিদুল হক, ম. হামিদ প্রমুখ। বাংলাদেশ টেলিভিশনের সবচেয়ে বড় স্টুডিওটি তখন নতুন তৈরি হয়। এখানে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হয় উদীচীর এ শিল্পীদের নিয়ে। এ প্রশিক্ষণ থেকে ক্রান্তিকালের গান নামক একটি সংকলন বের করা হয়। উদীচী ২০০৯ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে ২৮ মার্চ শিল্পীসংগ্রামী সত্যেন সেনের জন্মদিনকে কেন্দ্র করে ‘সত্যেন সেন গণসংগীত উত্সব ও জাতীয় গণসংগীত প্রতিযোগিতা’র আয়োজন করে আসছে। এ বছর একই দিন থেকে শুরু হচ্ছে উদীচীর একবিংশ জাতীয় সম্মেলন।

উদীচী জন্মলগ্ন থেকেই মঞ্চনাটক নিয়ে কাজ করে আসছে। যেমন ১৯৬৮ সালে বাংলা একাডেমীতে মঞ্চনাটক ‘আলো আসছে’র মঞ্চায়ন হয়। কিন্তু পথনাটকের ক্ষেত্রে উদীচী এদেশে পথিকৃৎ। ১৯৬৯ সালের ২০ জানুয়ারি ছাত্রনেতা আসাদ স্বৈরাচারী আইয়ুব শাহীর পুলিশের গুলিতে নিহত হন। এই ঘটনার বিরুদ্ধে দেশবাসীকে জাগিয়ে তোলার উদ্দেশ্যে  উদীচী ঢাকা নগর ও শ্রমিক অঞ্চলে ‘শপথ নিলাম’ নামে পথনাটক পরিবেশন করে। অল্প কয়েকদিনের মধ্যেই উল্কার বেগে নিউমার্কেট কাঁচাবাজার, সেকেন্ড গেট, বিএমএ মাঠ, বায়তুল মোকাররম চত্বর, সদরঘাট টার্মিনালের পাশে, ধুপখোলা মাঠে, কমলাপুর রেল স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে, বাংলা একাডেমী বটমূলে, ঢাকা ম্যাচ ফ্যাক্টরিতে, বাওয়ানী ও আদমজী জুট মিল মাঠে এই পথনাটক মঞ্চস্থ হয় এবং গণঅভ্যুত্থানে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে। এর পরই জহির রায়হানের ‘পোস্টার’ গল্পের নাট্যরূপ দিয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারসহ অন্যান্য স্থানে  এ পথনাটকটি মঞ্চস্থ করা হয়।

১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের প্রাক্কালে যখন মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি চলছে, তখন উদীচীর নতুন পথনাটক ‘সামনে লড়াই’ অসহযোগ আন্দোলনের দিনগুলোতে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করে। মহান মুক্তিযুদ্ধে অস্ত্র হাতে সরাসরি যুদ্ধে নামেন উদীচীর শিল্পী-কর্মীরা। মুক্তিযুদ্ধের পর ১৯৭২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারিতেই আবার পথনাটক ‘রক্তের ইতিহাস’ মঞ্চস্থ করে উদীচী। মুক্তিযুদ্ধের নানা ঘটনার পাশাপাশি দেশ গড়ার সংগ্রামে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করার আহবান জানানো হয় এ নাটকের মাধ্যমে। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পর সমগ্র জাতি স্তম্ভিত হয়ে পড়ে। সারাদেশে বিরাজ করতে থাকে স্থবিরতা। রাজনৈতিক সামাজিক সকল কর্মকাণ্ড মুখথুবড়ে পড়ে। সাধারণ মানুষ অতিবাহিত করতে থাকে ভীত-সন্ত্রস্ত স্থবির জীবন। কিন্তু পালিয়ে বাঁচতে জানে না উদীচীর শিল্পীকর্মীরা। অচিরেই সংগঠিত হয়। উদীচীর শিল্পীরা ১৯৭৫ সালের ডিসেম্বর মাসে শিল্পকলা একাডেমীর অনুষ্ঠানে গান ধরেছিলেন সমবেত কণ্ঠে— “এদেশ বিপন্ন, বিপন্ন আজ”। সুকান্ত ভট্টাচার্যের কবিতা থেকে শিল্পী অজিত রায়ের সুর করা গান। পরের গান সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের কবিতা থেকে— “প্রিয় ফুল খেলবার দিন নয় অদ্য, ধ্বংসের মুখোমুখি আমরা”। এর পরপরই প্রথিতযশা শিল্পী মাহমুদ সেলিমের নেতৃত্বে রচিত হয় গীতিআলেখ্য ‘ইতিহাস কথা কও’। লোকজ ধরনে ও সুরে এই গীতিআলেখ্যের ভিতর দিয়ে প্রচণ্ড সাহসের সাথে উদীচী বাংলার স্বাধীনতার সংগ্রাম, বঙ্গবন্ধুর অবদান, তাঁর সাতই মার্চের ভাষণ তুলে ধরে। এটি প্রথম মঞ্চস্থ হয় ১৯৭৬ সালের ১৬ ডিসেম্বর কেরানীগঞ্জে। ১৯৭৭ সালের ২১ ফেব্রুয়ারিতে রমনা বটমূলে ‘ইতিহাস কথা কও’- এর নির্ধারিত মঞ্চায়ন যখন নিষিদ্ধ হয় তখন সেই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে রোকেয়া হলের সামনের রাস্তায় হাজার হাজার দর্শকের সামনে এটি মঞ্চায়িত হয়। তারপর সারাদেশের আনাচে-কানাচে উদীচীর শাখাগুলোর মাধ্যমে মানুষকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত করার জন্য এ নাটকটি কয়েক সহস্রবার মঞ্চায়ন হয়েছে। রাষ্ট্র ক্ষমতায় যখন স্বৈরশাসক জিয়াউর রহমান ছিলো, তখন দেশে ভাস্কর্য ও প্রতিমা ভাঙ্গা শুরু হলো। তার প্রতিবাদে কাজী আকরাম হোসেনের পাণ্ডুলিপি নিয়ে উদীচী পরিবেশন করে একটি নৃত্যনাট্য।

১৯৮৩ থেকে ১৯৯০ পর্যন্ত উদীচী একনাগাড়ে স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে গান ও পথনাটক রচনা করে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে শুরু করে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল পর্যন্ত অনুষ্ঠান করে বেড়িয়েছে। গানগুলোর মধ্যে ছিলো ‘নতুন বাংলাদেশ’- এর প্যারোডি ‘নতুন জংলি ড্রেস’, ‘কথা কইলে হেয় চেইত্যা যায়’, ‘কুহুকুহু ডাক শুনিয়া’, ‘বড় গঙ্গে শাসনতন্ত্র’, ‘ধামি মীরজাফর আলী’, ‘এসেছি আঁধার রাতে’, ‘আমার ভাগার সময় হলো দাও বিদায়’ এবং আরও অনেক গান। এ সময় উদীচী যে নাটকগুলি পরিবেশন করে তার মধ্যে অন্যতম ‘হইতে সাবধান’, ‘নরক গুলজার’, ‘আমার মাটি আমার ধান’, ‘মিছিল’, ‘দিন বদলের পালা’, ‘ধলা গেরামের নাম’, ‘রাজা রাজা খেলা’। ‘রাজা রাজা খেলা’ নাটকটি পরিবেশিত হয় ১৯৮৭ সালে।

শহীদ জননী জাহানারা ইমামের নেতৃত্বে একাত্তরের ঘাতক দালালদের বিচারের দাবিতে সংগঠিত হতে থাকে বাংলার মানুষ। এ সময় মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিকাশ কেন্দ্র প্রকাশ করে ‘একাত্তরের ঘাতক দালালরা কে কোথায়’। এই গ্রন্থটিকে মূল ধরে মোফাক্খারুল ইসলাম জাপানের রচনা ও নির্দেশনায় উদীচী মঞ্চস্থ করে পথনাটক ‘রাজাকারের পাঁচালী’। এই নাটকটি ১৯৯১ সালে উদীচী নির্মাণ করে। ১৯৯১ সালে উদীচী আরও নির্মাণ করে নাটক ‘ইঁদুরের কিসসা’। ১৯৭৫ সালের পর থেকে স্বাধীনতার বিপক্ষশক্তি ক্ষমতায় থাকার কারণে স্বাধীনতার সত্যিকারের ইতিহাস বিকৃত করে ভ্রান্ত ইতিহাস তরুণ সমাজকে শেখানো হচ্ছিল। ১৯৯০ সালের পর এই বিকৃতি চরমে পৌঁছে। ১৯৯৩ সালে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে শুরু হয়েছিল নানা চক্রান্ত। তাঁকে নিয়ে একাত্তরের পরাজিত শক্তি শুরু করেছিলো নোংরা রাজনীতি ও নানা ধরনের কুতর্ক। এমনকি মুক্তিযুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর অবদানকে অস্বীকার করা শুরু হয়েছিল। এমন সময় উদীচী কেন্দ্রীয় নাটক বিভাগ রাস্তায় নামে ব্যঙ্গাত্মক নাটক ‘ঈশ্বরের আদালত’ নিয়ে। নাটকটির রচনা ও নির্দেশনা ছিলেন মোফাক্খারুল ইসলাম জাপান। প্রথম মঞ্চায়ন হয় জাতীয় শহীদ মিনারে। ইতিহাস বিকৃতির এই নোংরা রাজনীতির বিরুদ্ধে এবং সমগ্র দেশব্যাপী শিশু কিশোরদেরকে স্বাধীনতার সঠিক ইতিহাস পাঠ করানোর মানসে ১৯৯৪ সালে উদীচী গঠন করে ‘স্বাধীনতার ইতিহাস প্রতিযোগিতা পরিষদ’।

উদীচীর এ কর্মকাণ্ড মেনে নিতে পারেনি স্বাধীনতা বিরোধীরা। আর তাই ১৯৯৯ সালে উদীচীর দ্বাদশ জাতীয় সম্মেলনে বোমা হামলা করে কেড়ে নিয়েছে দশটি তাজা প্রাণ। ক্ষত-বিক্ষত করেছে দুই শতাধিক মানুষকে। ২০০৫ সালে আবার নেত্রকোনায় উদীচী অফিসের সামনে বোমা হামলা করে কেড়ে নিয়েছে হায়দার-শেলীকে। কিন্তু থামাতে পারেনি উদীচীর কর্মকাণ্ড। বরং যশোরের বোমা হামলাকে কেন্দ্র করে ১৯৯৯ সালেই মঞ্চস্থ করা হয়েছে নাটক ‘পুনরুত্থান’। উদীচী স্বাধীন দেশে ঘাপটি মেরে থাকা স্বাধীনতা বিরোধীদের স্বরূপ উন্মোচন করে পরিবেশন করে নাটক ‘বর্ণচোরা’, ‘স্বাধীনতার সংগ্রাম’, ‘তাতাল’, ‘পূর্ণিমা’ প্রভৃতি নাটক।

সাম্প্রদায়িকতা বিরোধী সংগ্রামের অংশ হিসেবে ২০১৩ সালের জানুয়ারি মাসেও যুদ্ধাপরাধীদের বিচারকার্য ত্বরান্বিত করার দাবিতে সারাদেশে সপ্তাহব্যাপী (১২-১৮) কর্মসূচি পালিত হয়। এরপর ০৫ জানুয়ারি কাদের মোল্লার রায় ঘোষণা করলে শাহবাগ গণজাগরণ মঞ্চসহ সারাদেশে যে অগ্নিস্ফূরণ ঘটে উদীচী তার অনুঘটকের ভূমিকা পালন করে। উদীচীর শিল্পী-কর্মীরা প্রথমদিন থেকে সঙ্গীত, আবৃত্তি ও নাটক নিয়ে শাহাবাগসহ সারাদেশের আন্দোলনকে মুখর রেখেছে। উদীচীর আবৃত্তি বিভাগ পরিবেশন করেছে হেলাল হাফিজের ‘অস্ত্র সমর্পণ’, রুদ্র মোহাম্মদ শহীদুল্লাহর ‘বাতাসে লাশের গন্ধ পাই’, সলিল চৌধুরীর ‘শপথ’ কবিতার প্যারোডি পরিবেশন করা হয়। উদীচীর নাটক বিভাগ পরিবেশিত নাটকগুলোর মধ্যে অন্যতম ছিলো ব্যঙ্গ নাটক ‘ইহা একটি নাটক’। আর সঙ্গীত বিভাগ পরিবেশন করে অগ্নিঝরা ‘গণসংগীত’। এ সময় উদীচীর শিল্পীকর্মীরা রচনা করেছেন অজস্র গান ও কবিতা।

লড়াই সংগ্রামের আদর্শকে সামনে রেখে উদীচী এখনও সকল প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে মানুষের সাথে, মানব মুক্তির মিছিলে। একবিংশ সম্মেলনে তাই প্রত্যাশা প্রতিষ্ঠাকালীন শপথেই ভাস্বর হোক উদীচীর পথচলা। জয় উদীচী।

সঙ্গীতা ইমাম, শিক্ষক, সংগঠক ও সংস্কৃতি কর্মী

মুক্তমত বিভাগে প্রকাশিত লেখার বিষয়, মতামত, মন্তব্য লেখকের একান্ত নিজস্ব। sylhettoday24.com-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে যার মিল আছে এমন সিদ্ধান্তে আসার কোন যৌক্তিকতা সর্বক্ষেত্রে নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে sylhettoday24.com আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় গ্রহণ করে না।

আপনার মন্তব্য

লেখক তালিকা অঞ্জন আচার্য অধ্যাপক ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী ৪৮ অসীম চক্রবর্তী আজম খান ১১ আজমিনা আফরিন তোড়া ১০ আনোয়ারুল হক হেলাল আফসানা বেগম আবদুল গাফফার চৌধুরী আবু এম ইউসুফ আবু সাঈদ আহমেদ আব্দুল করিম কিম ৩২ আব্দুল্লাহ আল নোমান আব্দুল্লাহ হারুন জুয়েল ১০ আমিনা আইরিন আরশাদ খান আরিফ জেবতিক ১৭ আরিফ রহমান ১৬ আরিফুর রহমান আলমগীর নিষাদ আলমগীর শাহরিয়ার ৫৪ আশরাফ মাহমুদ আশিক শাওন ইনাম আহমদ চৌধুরী ইমতিয়াজ মাহমুদ ৭১ ইয়ামেন এম হক এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন একুশ তাপাদার এখলাসুর রহমান ৩৭ এনামুল হক এনাম ৪১ এমদাদুল হক তুহিন ১৯ এস এম নাদিম মাহমুদ ৩৩ ওমর ফারুক লুক্স কবির য়াহমদ ৬৩ কাজল দাস ১০ কাজী মাহবুব হাসান কেশব কুমার অধিকারী খুরশীদ শাম্মী ১৭ গোঁসাই পাহ্‌লভী ১৪ চিররঞ্জন সরকার ৩৫ জফির সেতু জহিরুল হক বাপি ৪৪ জহিরুল হক মজুমদার জাকিয়া সুলতানা মুক্তা জান্নাতুল মাওয়া জাহিদ নেওয়াজ খান জুনাইদ আহমেদ পলক জুয়েল রাজ ১০২ ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন ১২ ড. কাবেরী গায়েন ২৩ ড. শাখাওয়াৎ নয়ন ড. শামীম আহমেদ ৪১ ডা. আতিকুজ্জামান ফিলিপ ২০ ডা. সাঈদ এনাম ডোরা প্রেন্টিস তপু সৌমেন তসলিমা নাসরিন তানবীরা তালুকদার তোফায়েল আহমেদ ৩১ দিব্যেন্দু দ্বীপ দেব দুলাল গুহ দেব প্রসাদ দেবু দেবজ্যোতি দেবু ২৭ নাজমুল হাসান ২৪ নিখিল নীল পাপলু বাঙ্গালী পুলক ঘটক প্রফেসর ড. মো. আতী উল্লাহ ফকির ইলিয়াস ২৪ ফজলুল বারী ৬২ ফড়িং ক্যামেলিয়া ফরিদ আহমেদ ৪২ ফারজানা কবীর খান স্নিগ্ধা বদরুল আলম বন্যা আহমেদ বিজন সরকার বিপ্লব কর্মকার ব্যারিস্টার জাকির হোসেন ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ ১৮ ভায়লেট হালদার মারজিয়া প্রভা মাসকাওয়াথ আহসান ১৯০ মাসুদ পারভেজ মাহমুদুল হক মুন্সী মিলন ফারাবী মুনীর উদ্দীন শামীম ১০ মুহম্মদ জাফর ইকবাল ১৫৩ মো. মাহমুদুর রহমান মো. সাখাওয়াত হোসেন মোছাদ্দিক উজ্জ্বল মোনাজ হক ১৪ রণেশ মৈত্র ১৮৩ রতন কুমার সমাদ্দার রহিম আব্দুর রহিম ৫৫ রাজু আহমেদ ১৬ রাজেশ পাল ২৮ রুমী আহমেদ রেজা ঘটক ৩৮ লীনা পারভীন শওগাত আলী সাগর শাওন মাহমুদ