আজ শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

Advertise

রবীন্দ্র জন্মশতবার্ষিকী ও পাবনা

রণেশ মৈত্র  

আজও, এই প্রায় ৬০টি বছর পরেও, কতই না গর্বিত বোধ করি, যখন সেই ১৯৬১ সালে যে বিশাল বাঙালির সাহিত্য সংস্কৃতির বিরুদ্ধে হানা পাকিস্তানী সামরিক চক্রের হামলাকে কী প্রচণ্ড সাহসিকতার সাথেই না সম্মিলিত প্রয়াসে সফল করে তুলতে সক্ষম হয়েছিলাম।

কী বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনার সাথেই না ঐ ‘মহাপ্রতাপশালী’ শাসক গোষ্ঠীর ভ্রুকুটি এবং তাদের তাবৎ হুমকিকে উপেক্ষা করে সংস্কৃতি সভ্যতা বাঁচানোর লড়াইয়ে সফল হতে পেরেছিলাম।

কথাগুলি বলছি পাকিস্তানের বাঙালি বিরোধী, গণ-বিরোধী, সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিরোধী শাসকচক্র ১৯৬১ তে কবিগুরু এবং বাঙালি সংস্কৃতির তথা বিশ্ব সংস্কৃতি সভ্যতার প্রাণ পুরুষ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মগত বার্ষিকী অনুষ্ঠানকে নানাভাবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে উদ্যত হয়েছিল তার বিরুদ্ধে পাবনার সাংস্কৃতিক মহলের এবং তরুণ সমাজের সম্মিলিত সকল প্রতিরোধক নিয়ে। এ কাহিনী তদানীন্তন সংস্কৃতি কর্মীরা গর্বের সাথে স্মরণে রাখলেও নতুন প্রজন্মেও তরুণ-তরুণীদের কাছে ঐ গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস অনেকটাই অজানা। সেই অজানা কাহিনীই স্মৃতি থেকে সাধ্যমত আজকের প্রয়াস এবং তার প্রতিফলন ঘটাতে এই ক্ষুদ্র নিবন্ধ।

প্রায় সকল পর্যায়েই আমরা বলে থাকি এবং বলতে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছি যে বাঙালি জাতি একটি ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। কথাটি ভিনদেশী মানুষদের কাছে “বিস্ময়কর কথা” বলে মনে হলেও কথাটি আমাদের জাতীয় জীবনে প্রায় সর্বাংশে সত্য। এই জাতিকে তার ইতিহাসের পরতে পরতে ঐ ক্রান্তিকালগুলিকে অতিক্রম করতে হয়েছে-আজও হচ্ছে।

প্রাসঙ্গিক সময়টা অর্থাৎ ষাটের দশক বাঙালি জাতির জীবনে অনন্য একটি দশক। নানাভাবে নানা পদক্ষেপে দৃপ্ত পদচারনায়।

আমরা তো পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর মাত্র মাস ছয়েক পেরুতে না পেরুতেই ১৯৪৮ এর মার্চে বাংলা ভাষাকে পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতি আদায়ের দাবীতে যে প্রচণ্ড ও জন-সম্পৃক্ত (পাবনাতে বিপুলভাবে) আন্দোলন গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছিলাম-পাবনার গণতান্ত্রিক আন্দোলনের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাসে তা ছিল অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ একটি ঘটনা। যা তখন পার্শ্ববর্তী অনেক জেলার তরুণ সমাজকে অনুপ্রাণিত করেছিল।

বাংলা বাঙালির মাতৃভাষা বাংলাভাষা এ দেশের কোটি কোটি হিন্দু মুসলমানের মিলিতভাবে সৃষ্ট, লালিত, বর্ধিত একটি ভাষা যা দিনে দিনে আজ আন্তর্জাতিকভাবে মর্যাদা অর্জন করেছে এবং সেই ভাষার রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি অর্জনের জন্য যে আন্দোলন তা ১৯৭১ এ আমাদের মুক্তিযুদ্ধের প্রথম সোপান হিসেবেও স্বীকৃতি অর্জন করেছে। কিন্তু এ পর্যন্ত আসার কাজটি কিন্তু সহজ ছিল না।

শুরু করেছি ১৯৬১ সালের রবীন্দ্র জন্ম শত বার্ষিকীতে পাবনার প্রসঙ্গ নিয়ে। আর এ যাবত তারই খানিকটা পটভূমি ও তাৎপর্য তুলে ধরতে প্রয়াসী হয়েছি।

আমার কথা যদি বলি, ঐ রবীন্দ্র জন্ম শত বার্ষিকীর ২৫ বৈশাখ এর আগের দু’দিন ৭ ও ৮ মে পাবনাতে অনুষ্ঠিত হয়েছিল পূর্ব পাকিস্তানের মফস্বল সাংবাদিকদের প্রথম প্রাদেশিক সম্মেলন। ঐ সম্মেলনেই গঠিত হয়েছিল “পূর্ব পাকিস্তান মফস্বল সাংবাদিক সমিতি” যা পরবর্তীতে “পূর্ব পাকিস্তান সাংবাদিক সমিতি” এবং সর্বশেষ “বাংলাদেশ সাংবাদিক সমিতি” নামে পরিচিতি অর্জন করে এবং ঐ সমিতি সমগ্র পূর্ব পাকিস্তানের তথা বাংলাদেশের মফস্বল এলাকায় কর্মরত সাংবাদিকদের কে একটি মর্যাদার আসনে প্রতিষ্ঠিত করেছিল তাদের অর্থনৈতিক দাবী দাওয়া প্রতিষ্ঠায়ও ব্যাপক ভূমিকা রাখাতে সক্ষম হয়েছিল। তখনকার প্রেক্ষিতে কাজটি সহজ ছিল না।

তখনকার দিনের তরুণ সাংবাদিকেরা সারা প্রদেশেই অত্যন্ত সক্রিয়ভাবে সংশ্লিষ্ট ছিলেন সাংস্কৃতিক আন্দোলনে তাদেরই একজন আমি, এই নিবন্ধের লেখক।

আর ঐ সম্মেলনকে কেন্দ্র করেই ১ মে, ১৯৬১ তে পাবনা প্রেসক্লাব প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এবং ক্লাবটিও সাংবাদিকতা ও সংস্কৃতি প্রসারে অসাধারণ ভূমিকা রেখেছিল।

৮ মে সম্মেলনের (পূর্ব পাকিস্তান মফস্বল সাংবাদিক সম্মেলন) সমাপ্ত দিনের সন্ধ্যায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় তদানীন্তন উপাচার্য। উৎসবটি হবে এক সপ্তাহ ধরে। কিন্তু সপ্তাহব্যাপী রবীন্দ্র জন্ম শতবার্ষিকী উদযাপন তখনকার অন্নদা গোবিন্দ পাবলিক লাইব্রেরীতে কোন চাট্টিখানি কথা ছিল না। কারণ তৎকালীন গঠনতন্ত্রে অন্নদা গোবিন্দ পাবলিক লাইব্রেরীর সভাপতি হতেন পদাধিকার বলে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আজকের জেলা প্রশাসক।

শতবার্ষিকী উদযাপনের পেছনের দিনগুলি, তার সিদ্ধান্ত গ্রহণের দিনগুলি এবং সপ্তাহব্যাপী অনুষ্ঠানের পরবর্তী দিনগুলি সম্পর্কে জানা না হলে এর ঐতিহাসিকতা বা গৌরব কাহিনী অজানাই থেকে যাবে।

রবীন্দ্র জন্ম শতবার্ষিকী অনুষ্ঠানের মাস খানেক আগে। ঐ শতবার্ষিকী উদযাপনের কর্মসূচী প্রণয়নের জন্য লাইব্রেরী পরিচালনা কমিটির সভা ডাকেন তদানীন্তন লাইব্রেরীর সম্পাদক ভাষা সৈনিক প্রয়াত রওশন জান চৌধুরী। ভাল কর্মসূচী প্রণয়ন, তা যথাযথ উদযাপনের বিষয়গুলিতে তিনি তাঁর ভূমিকা বক্তব্যে গৃহীত কর্মসূচী সুচারুরূপে পালনে সকলের আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করে বলেন, পাকিস্তান সরকার এই রবীন্দ্র জন্ম শতবার্ষিকী প্রায় নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে একথাটি মনে রেখেই কর্মসূচী প্রণীত হোক।

উল্লেখ্য, তৎকালীন জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, যিনি ছিলেন লাইব্রেরীর পদাধিকারবলে সভাপতি, নানাবিধ ব্যস্ততাজনিত কারণে সভায় উপস্থিত হতে পারছেন না বলে আগেই সম্পাদককে জানিয়ে দিয়েছিলেন। তাই কমিটির অন্যতম সহ-সভাপতি আমজাদ হোসেন (পরবর্তীকালে এম.এন.এ.) সভাপতিত্ব করেন।

আমরা তখন তরুণ। অল্পদিন আগে স্নতক পাশ করে কলেজ থেকে বেরিয়েছি। ছাত্র নেতা (প্রয়াত) বাল্যবন্ধু আবদুল মতিন ও আমার কথা বলছি। সভাতে কমিটির সদস্য আমরাও আমন্ত্রিত হয়ে উপস্থিত থাকি এবং আলোচনায় অংশগ্রহণ করি। বস্তুত: সপ্তাহ ব্যাপী রবীন্দ্র জন্ম শতবার্ষিকী পালনের প্রস্তাব এবং তার খুঁটি নাটি করণীয় বিষয়ে প্রাসঙ্গিক নানাবিধ বক্তব্য আমরাই তুলে ধরি। সর্বসম্মতিক্রমে সে প্রস্তাবগুলি গৃহীতও হয়।

সভার পরদিন লাইব্রেরী সম্পাদক রওশন জান চৌধুরী জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের বাংলোতে গিয়ে অবহিত করেন। জেলা ম্যাজিস্ট্রেট তখন জানালেন কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশ এসেছ রবীন্দ্র জন্ম শতবার্ষিকী যাতে পালিত না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে। একথা জানিয়ে তিনি বললেন, আমি ব্যক্তিগতভাবে রবীন্দ্রভক্ত। তাই অনুষ্ঠান না করার কথা আমি বলতে পারব না। তবে সরকার যেহেতু চাইছেন না আবার জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে আমিই যেহেতু সভাপতি তাই এ জটিলতা নিয়ে কমিটিতে বসে দুকূল রক্ষা করে একটি সংশোধিত কর্মসূচী গ্রহণ করুন। তবে কোন অনুষ্ঠান ইচ্ছে থাকা সত্বেও আমি নিজে সম্ভবত: এই অনুষ্ঠান মালায় উপস্থিত থাকতে পারবো না।

অতি দ্রুততার সাথেই রওশন জান চৌধুরী পুনরায় কার্যকরী কমিটির সভা পূর্বতন সভার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ এমন তবে এজেন্ডা দিয়ে।

সভায় উপস্থিত হয়ে সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতির আলোচনা সম্পর্কে প্রতিবেদন পেশ করলেন শঙ্কিত চিত্ত সাধারণ সম্পাদক। কিন্তু তাঁর ঐ প্রতিবেদন জানা মাত্র আমাদের চোখ, মুখের প্রতিক্রিয়া বুঝতে পেরে তিনি বললেন, এক বা দুই দিনের কর্মসূচী গ্রহণ করা হোক-সাতদিনের পরিবর্তে সরকারী মনোভাব বিবেচনায় রেখে।

আমাদের প্রতিক্রিয়া হলো অত্যন্ত ক্ষুব্ধ। স্পষ্টত উচ্চারণে আমরা বললাম, সরকারের সিদ্ধান্ত বা মনোভাব একান্তই সরকারের। সরকারটি অবৈধ, অনির্বাচিত এবং বাঙালি ও বাঙালি সংস্কৃতি বিরোধী। তাই বাংলার শ্রেষ্ঠতম এবং বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠতম কবি রবীন্দ্রনাথকে নিশানা করলেও মূল টার্গেট বাঙালি সংস্কৃতি, বাংলার কাব্য-সাহিত্য-উপন্যাস-নৃত্য, সঙ্গীত প্রভৃতি। তাই ঐ মনোভাবের সাথে বাংলার জনগণের কোন দায়িত্ব বাংলার সাহিত্য সংস্কৃতি সভ্যতা সমুন্নত রাখার তাকে বিকশিত করার ।

এবং যেহেতু রবীন্দ্র নাথই হলেন বাংলার সাহিত্য সংস্কৃতি সভ্যতার প্রাণপুরুষ সেই হেতু রবীন্দ্র নাথের জন্ম শত বার্ষিকী পূর্ব গৃহীত সিদ্ধান্ত মোতাবেকই উদযাপিত হবে। সভায় অন্যান্য সদস্যরাও এতে সায় দিলেও আমরা আর একই ভেবে বললাম, ঘোষণা দেব (একটি কাগজে লিখে গেটে টানিয়ে) তিন দিন ব্যাপী উৎসব কিন্তু পালন করা হবে সপ্তাহব্যাপী আরও জাঁকজমক সহকারে।

এবারে দেখি সম্পাদক সহ বাদবাকি সকল সদস্যই প্রচণ্ডভাবে সমর্থন জানালেন ঐ সংশোধিত কর্মসূচী অনুযায়ী। তাঁরা বলেই ফেললেন, এটাই উত্তম প্রস্তাব এতে দুকূলই রক্ষা হবে। আর সামরিক কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত বা মনোভাব পুরোপুরি অমান্য করাটাও লাইব্রেরীর জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। উল্লেখ্য, লাইব্রেরীটি সরকারী নয় পুরোপুরি বেসরকারি। যা হোক, এভাবেই সংশোধন না করেও “সংশোধিত কর্মসূচী” অনুমোদিত হলো। পরে জানলাম জেলা ম্যাজিস্ট্রেটও এতে খুশী হয়েছেন।

ব্রজেন বসাক, নারায়ণ বসাক, রূপবানী শিকদার, শম্ভু জোয়ার্দার প্রমুখ পাবনার পাকিস্তান উত্তর খ্যাতনামা শিল্পীদের নিয়ে সাতদিন ব্যাপী রবীন্দ্র জন্মশতবার্ষিকী উৎসব আকারে পালিত হলো। শেষ দিনের অনুষ্ঠানে কঠোরভাবে নিন্দা জানানো হলো সামরিক সরকারের রবীন্দ্র ও বাঙালি বিরোধী মনোভাবের। হাজারো দর্শক সাতদিন ধরে অনুষ্ঠানমালা উপভোগ করলেন।

সকল কর্মী, শিল্পী সাহিত্যানুরাগী উৎসাহিত হলেন। যে সকল কলেজ শিক্ষক ও অন্যান্য বিশিষ্ট জন রবীন্দ্র সাহিত্যের নানাদিক, রবীন্দ্র সঙ্গীত ও তাঁর শিল্প কর্মের নানাদিক নিয়ে আলোচনা করে উৎসবকে সমৃদ্ধ ও হৃদয় গ্রাহী করে তুলেছিলেন তাঁরাও সপ্রশংস অভিনন্দন জানালেন আয়োজকদেরকে।

এ সাফল্যে আশাবাদী হয়ে আমরা যারা সাবেক ছাত্র ইউনিয়ন কর্মী ছিলাম তারা স্থির করলাম আরও অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে হবে যাতে বলতে পারি পাবনাতে মাস ব্যাপী রবীন্দ্র জন্ম শতবার্ষিকী পালিত হয়েছে পাবনাতে। দেখলাম এমন আকাঙ্ক্ষা ছাত্র ইউনিয়ন বহির্ভূত আরও অনেকেরও। তাই ইচ্ছা সহজেই পূর্ণতা পেল।

তখন পাবনার প্রতিটি পাড়ায় অনেক ক্লাব ছিল। ঐ ক্লাবগুলিতে সাংস্কৃতিক ক্রিয়াকলাপ, শরীর চর্চা প্রভৃতি নিয়মিত হতো। ঐ সকল ক্লাবের নেতারাই আমাদের কাছে তাঁদের ক্লাবের অনুষ্ঠানে যেন কবিতা আবৃত্তি, বা আলোচনা করি রবীন্দ্র জীবনের নানা দিক নিয়ে। কেউ বা আসতেন কি কি করা যায় বা করা সম্ভব তা নিয়ে পরামর্শ করতে। এভাবে কোথাও একদিন, কোথাও দুই দিন, কোথাও বা তিন দিন ব্যাপী উৎসবের আয়োজন হলো-অনুষ্ঠিতও হলো।

জানি না, আর কোন জেলা শহরে এমনটি হয়েছিল কি না। তবে পাবনার সাংস্কৃতিক অঙ্গন সেদিন নিশ্চিতভাবেই গৌরববোজ্জ্বল ভূমিকা পালন করেছিল। বলেছি, ক্রান্তিকালের কথাও। সেটি বলেছি, বাংলাদেশে আবারও আদর্শিক পিছিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া বেশ জোরে সোরে সুরু হয়েছে। সংবিধানের সাম্প্রদায়িকীকরণ, সাম্প্রদায়িক সহিংসতার ছড়াছড়ি কিন্তু অপরাধীদের বিচার শাস্তিহীনতা, পাঠ্যসূচী পাঠ্য পুস্তকে সাম্প্রদায়িক বিষয়বস্তু সংমিশ্রণ, জামায়াতে ইসলামী, ধর্মাশ্রয়ী সংগঠন ও রাজনীতির বৈধতা প্রদান, রাষ্ট্রধর্ম ইসলামকে সংরক্ষণের পাকাপাকি ব্যবস্থা যে পাকিস্তানীকরণ প্রক্রিয়া, হেফাজতের আমীর তেঁতুল হুজুরের দম্ভ বিচরণ ও সরকারের উপর অশুভ প্রভাব স্থাপন এ সবই আজকের সংস্কৃতি কর্মী, বুদ্ধিজীবী সমাজ মেনে নেওয়াতে এবং নিশ্চুপ থেকে মৌন সমর্থন জানানোতে দেশটি বাঙালী সংস্কৃতি সভ্যতা ঐতিহ্য সবই আজও বিপদাপন্ন এবং এভাবেই ক্রান্তিলগ্নে পৌঁছেছি আমরা।

সে আমলে সাহসী লেখক হলেও আজ কি আমরা ভয় পাচ্ছি?

রণেশ মৈত্র, লেখক, একুশে পদকপ্রাপ্ত সাংবাদিক; মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক। ইমেইল : [email protected]

মুক্তমত বিভাগে প্রকাশিত লেখার বিষয়, মতামত, মন্তব্য লেখকের একান্ত নিজস্ব। sylhettoday24.com-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে যার মিল আছে এমন সিদ্ধান্তে আসার কোন যৌক্তিকতা সর্বক্ষেত্রে নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে sylhettoday24.com আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় গ্রহণ করে না।

আপনার মন্তব্য

লেখক তালিকা অঞ্জন আচার্য অধ্যাপক ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী ৪৮ অসীম চক্রবর্তী আজম খান ১১ আজমিনা আফরিন তোড়া ১০ আনোয়ারুল হক হেলাল আফসানা বেগম আবদুল গাফফার চৌধুরী আবু এম ইউসুফ আবু সাঈদ আহমেদ আব্দুল করিম কিম ৩২ আব্দুল্লাহ আল নোমান আব্দুল্লাহ হারুন জুয়েল ১০ আমিনা আইরিন আরশাদ খান আরিফ জেবতিক ১৭ আরিফ রহমান ১৬ আরিফুর রহমান আলমগীর নিষাদ আলমগীর শাহরিয়ার ৫৪ আশরাফ মাহমুদ আশিক শাওন ইনাম আহমদ চৌধুরী ইমতিয়াজ মাহমুদ ৭১ ইয়ামেন এম হক এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন একুশ তাপাদার এখলাসুর রহমান ৩৭ এনামুল হক এনাম ৪১ এমদাদুল হক তুহিন ১৯ এস এম নাদিম মাহমুদ ৩৩ ওমর ফারুক লুক্স কবির য়াহমদ ৬২ কাজল দাস ১০ কাজী মাহবুব হাসান কেশব কুমার অধিকারী খুরশীদ শাম্মী ১৭ গোঁসাই পাহ্‌লভী ১৪ চিররঞ্জন সরকার ৩৫ জফির সেতু জহিরুল হক বাপি ৪৪ জহিরুল হক মজুমদার জাকিয়া সুলতানা মুক্তা জান্নাতুল মাওয়া জাহিদ নেওয়াজ খান জুনাইদ আহমেদ পলক জুয়েল রাজ ১০২ ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন ১২ ড. কাবেরী গায়েন ২৩ ড. শাখাওয়াৎ নয়ন ড. শামীম আহমেদ ৪১ ডা. আতিকুজ্জামান ফিলিপ ২০ ডা. সাঈদ এনাম ডোরা প্রেন্টিস তপু সৌমেন তসলিমা নাসরিন তানবীরা তালুকদার তোফায়েল আহমেদ ৩০ দিব্যেন্দু দ্বীপ দেব দুলাল গুহ দেব প্রসাদ দেবু দেবজ্যোতি দেবু ২৭ নাজমুল হাসান ২৪ নিখিল নীল পাপলু বাঙ্গালী পুলক ঘটক প্রফেসর ড. মো. আতী উল্লাহ ফকির ইলিয়াস ২৪ ফজলুল বারী ৬২ ফড়িং ক্যামেলিয়া ফরিদ আহমেদ ৪২ ফারজানা কবীর খান স্নিগ্ধা বদরুল আলম বন্যা আহমেদ বিজন সরকার বিপ্লব কর্মকার ব্যারিস্টার জাকির হোসেন ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ ১৮ ভায়লেট হালদার মারজিয়া প্রভা মাসকাওয়াথ আহসান ১৯০ মাসুদ পারভেজ মাহমুদুল হক মুন্সী মিলন ফারাবী মুনীর উদ্দীন শামীম ১০ মুহম্মদ জাফর ইকবাল ১৫৩ মো. মাহমুদুর রহমান মো. সাখাওয়াত হোসেন মোছাদ্দিক উজ্জ্বল মোনাজ হক ১৪ রণেশ মৈত্র ১৮৩ রতন কুমার সমাদ্দার রহিম আব্দুর রহিম ৫৫ রাজু আহমেদ ১৫ রাজেশ পাল ২৮ রুমী আহমেদ রেজা ঘটক ৩৮ লীনা পারভীন শওগাত আলী সাগর শাওন মাহমুদ