আজ শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

Advertise

‘নরসুন্দর’ পুলিশ অফিসার, ইউপি চেয়ারম্যানদের গ্রেপ্তার করুন

ফজলুল বারী  

হঠাৎ করে সোশ্যাল মিডিয়ায় দৃশ্যমান নরসুন্দর পুলিশ অফিসার, ইউপি চেয়ারম্যান! সাদা বাংলায় নাপিত। বখাটে কাটিং নামে তারা চুল কাটা নিয়েও ফতোয়া- ফরমান দিচ্ছেন! একজন এমপির কাজ সংসদে। কিন্তু হঠাৎ তেমন একজনকে একদিন দেখা গেলো পার্কে কোন কোন ছেলেমেয়ে প্রেম করে তাদের শায়েস্তায় মাঠে নেমেছেন! এসব আবার ভিডিও করে তা ছড়িয়ে দিচ্ছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়! যার যা কাজ সেই আসল  কাজের খবর নেই, উল্টো ‘নাই কাজতো খই ভাজ’ জাতীয় বাড়াবাড়ি আর কি! এরমাঝে ভাইরাল হয়েছে জামালপুরের নারী লোলুপ জেলা প্রশাসকের ভিডিও। বদমায়েশি করার জন্য অফিসকক্ষের লাগোয়া মিটিং রুমের চেয়ার টেবিল সরিয়ে সেখানে তিনি খাট পেতেছিলেন! ধরা পড়ার দিন  এক নারী অফিসকর্মীকে জড়িয়ে ধরে সেখানে নিতে নিতে বাতি নিভিয়ে দেন জেলার দাপুটে শাসক! এসব ভিডিও করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেবার প্রতিপক্ষ যে তার অফিসের ভিতরেও থাকতে পারে এর হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে ফেলাতে অতঃপর তিনি ধরা পড়েছেন। চালাক চতুররা ধরা পড়ে না।

হঠাৎ করে চুল কাটার প্রবণতার ছবি দেখে বাংলাদেশের জিয়া-এরশাদের সামরিক শাসনের সময়গুলোর কথা মনে পড়ে গেলো। যখনই বাংলাদেশে সামরিক শাসন এসেছে তখনই দেখা যেতো সেনা সদস্যরা লোকজনকে ধরে রাস্তার পাশে বসিয়ে চুল কেটে দিচ্ছেন! অথবা নারীর শরীরের যে অংশ দেখা যাচ্ছে জঘন্য চিন্তায় সেখানে লাগিয়ে দেয়া হচ্ছে আলকাতরা! আরেকটা কাজ করতো তখন সামরিক শাসনের সেনা জওয়ানরা। গাছের গোঁড়ায় শুধু সাদা চুন লাগিয়ে দেখাতো জংলি আইন বলবৎ করায় দেশের সবকিছু ফকফকা! এর সবই জাস্ট হাঁটুর বুদ্ধির অপতৎপরতা আর কি। সেই সামরিক শাসন নামের জংলী আইনের অভিযুক্ত পুলিশের ওসি-ইউপি চেয়ারম্যানকে এখনও আইন নিজের হাতে তুলে নেবার দায়ে গ্রেফতার করা হয়নি। গ্রেফতার করা হয়নি আইন হাতে তুলে নেয়া সেই এমপিকেও। সামাজিক নৈরাজ্য দূরীকরণের নামে এরা আসলে নয়া নৈরাজ্য সৃষ্টির হোতা। ছেলেমেয়েরা প্রেম করবে নাতো রাস্তাঘাটে ধর্ষণ করবে? কে চুল কিভাবে কাটলো না কাটলো এটা কি দেশের পয়লা নাম্বার সমস্যা? ছেলেপুলের আপনারা নির্বিঘ্ন শিক্ষা, কাজের ব্যবস্থা করেছেন? যত্ত সব বদমায়েশি বুদ্ধি।

প্রিয় প্রজন্ম ছেলেমেয়েদের নিয়ে আমি কাজ করি। কাকে কিভাবে ভালোবাসা দিয়ে ম্যানেজ করতে হয় অভিজ্ঞতা দিয়ে এর কিছু পথ জানি। এ নিয়ে যারা পড়াশুনা করেছেন তারা নিশ্চয় এ বিষয়গুলো নিয়ে অনেক ভালো জানেন। এমনিতে আমাদের দেশের শিশু-কিশোর-তরুণদের বিকাশের নানা সুযোগ-সুবিধা সীমিত। সুযোগ-সুবিধা আমাদের শৈশব-কৈশোরে যা যা ছিল তাও এখন নেই। শিশু   বিকাশের সুযোগ-সুবিধা মানে চলতি সময়ের কিন্ডারগার্টেন, ইংলিশ স্কুল নয়। আমাদের সামাজিক পরিবেশটি ছিল গুরুত্বপূর্ণ। শিক্ষকরা ছিলেন সেরা। এখন সবকিছুতে গোঁজামিল-মেকিপনা। সামাজিক নিরাপত্তার নানা কিছু ভেঙ্গে পড়েছে। আমাদের সময়ে যে সব খেলার মাঠ বা ফসল তোলার পর উদোম ক্ষেতের মাঠ ছিল। বৃষ্টির দিনেও কাদাজল মেখে হাডুডু, ফুটবল খেলা চলতো।  সেগুলোর বেশিরভাগ জুড়ে আজ বাড়িঘর-শপিং মল। আমাদের সময় পাড়ায় পাড়ায় নাটক-যাত্রা হতো। সিনেমা দেখা ছিল আমাদের কৈশোর-যৌবনের অন্যতম বিনোদন মাধ্যম। এখন সিনেমা হল বন্ধ। খেলার মাঠ নেই। নানান ভয়ের সংস্কৃতির কারণে শিশু-কিশোর জীবন গৃহবন্দী। মোবাইল-ইন্টারনেট নির্ভর বন্দী জীবন।

আমাদের শিক্ষকরা ছিলেন পিতৃতুল্য। আমরা তাদের শ্রদ্ধা করতাম-ভয় পেতাম। তারাও আমাদের সন্তানের মতো স্নেহ করতেন। এখনকার শিক্ষকদের সিংহভাগ চান্স মোহাম্মদ। অন্য চাকরিতে সুযোগ না পেয়ে ঘুষের বিনিময়ে শিক্ষকতার চাকরি নিয়েছেন। শিক্ষকতায় মনোযোগ নেই অথবা তাদের সে যোগ্যতাও নেই। এদের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক আবার ধর্ষকামী। স্কুল-মাদ্রাসা সবজায়গায় সমান বেহাল চিত্র। এমন একটি সময়ের প্রোডাক্ট ছেলেদের চুল কেটে কী সভ্য করবেন থানার ঘুষখোর ওসি বা জবরদস্তিতে নির্বাচিত এমপি-ইউপি চেয়ারম্যান? কথায় কথায় সারাদিন ডিজিটাল বাংলাদেশ বলে গলা ফাটান! আচরণ-ব্যবহারেতো এনালগ যুগের গ্রাম্য মোড়ল! এদের রুখতে হবে বাংলাদেশ।

উন্নত বিশ্ব শিক্ষাকে যেমন পণ্য করেছে তেমনি নিশ্চিত করেছে শিশুকাল-কৈশোরের বিকাশের নানান মানসম্মত অবকাঠামো। এখানে কারো শিক্ষক হওয়া অনেক কাঠখড় পোড়ানো সংগ্রাম কষ্টের। স্কুল মানে বিশাল স্থাপনা। এখানে খেলার মাঠ-জিমনেশিয়াম-লাইব্রেরি-মিলনায়তন সবকিছু বাধ্যতামূলক থাকবেই। স্কুলে বাচ্চাদের পড়ানো হয় খেলার ফাঁকে। তাই পড়াটা এরা এনজয় করে। স্কুল এদের কাছে গাদা গাদা বই-খাতার ভীতিকর গন্তব্য নয়। তাই সব বাচ্চা এখানে স্কুলে যেতে চায়। কেউ স্কুল মিস করতে চায় না। এখানকার স্কুলগুলোর নানা অবকাঠামো দেখি, বাচ্চাদের স্কুল জীবন এনজয় করা দেখি আর হাহাকার করে মন। আমার দেশের মেয়েগুলো মেয়ে হিসাবে বড় হয়। এখানে বড় হয় মানুষ হিসাবে। আমাদের দেশের দুর্ভাগা  বাচ্চারা এসব জানতো না দেখলো না। মূলত এখানে স্কুল জীবনেই বাচ্চাদের মেধা-আগ্রহ যাচাই করে তার ভবিষ্যৎ গড়ার কাঠামো ঠিক করা হয়। বাচ্চাটি ক্রিকেট, ফুটবল না সঙ্গীতে আগ্রহী? এক স্কুলে দেখা গেল বাচ্চাটি আগ্রহী ভিজুয়াল আর্টে। এই বিষয়ের শিক্ষক ছিলোনা সেই স্কুলে। শুধুমাত্র ওই বাচ্চাটির জন্যে হায়ার করা হল ভিজুয়াল আর্টের শিক্ষক। বাংলাদেশে এটা ভাবা যায়? সবই সম্ভব ছিল। যদি চুরি দুর্নীতিটা শুধু বন্ধ করা যেতো।

এই যে এসব দেশ খেলাধুলার নানা আসর, এশিয়ান গেমস, অলিম্পিকে এতো এতো পদক পায়,  এসবতো আর একদিনে হঠাৎ করে সৃষ্টি হয়ে যায়নি। সব অবকাঠামোর মূলে স্কুল। স্কুলেই তাকে সামাজিক শিক্ষাও দেয়া হয়। গড়ে তোলা হয় নানান প্রফেশনাল স্কিল। বাচ্চার বিকাশে কোন মনোবিদ বা বিশেষ চিকিৎসার প্রয়োজন দেখা দিলে স্কুল কাউন্সিলর অভিভাবকদের বৈঠকে ডাকেন। চীন সহ মঙ্গোলিয়ান দেশগুলোর লোকজনের বেশিরভাগ উচ্চতায় খাটো। কিন্তু তাদের বাচ্চারা এসব দেশে অনেক লম্বা হয়ে বেড়ে উঠছে। এর কারণ এসব দেশের স্কুলিং। খেলার মাঝে মাঝে পড়া। আর খাঁটি দুধ।

আমাদের সিংহভাগ বাচ্চাদের এসব নসিবেই নাই। ভাত দেবার মুরোদ নেই কিল মারার গোঁসাইরা আছেন! দুষ্টু প্রকৃতির বখাটে ছেলেপুলে সব দেশে আছে। কিন্তু তাদের নার্সিংয়েরও আধুনিক সভ্য ব্যবস্থা আছে। মনোবিদদের নিয়োগ দিয়ে গড়া হয় এসব বাচ্চাদের নার্সিং এর নানা মাধ্যম। আমার অভিজ্ঞতা সাধারণ চিন্তার একটু বেয়াদব-বেয়াড়া টাইপের ছেলেপুলে তুলনামূলক মেধাবী হয়। যথাযথ নার্সিং এর মাধ্যমে পাল্টে দেয়া যায় তাদের জীবন। চুল কাটার স্টাইল বা ছেলেমেয়েদের পার্কে যাওয়াকে যারা দেশের মূল সমস্যা হিসাবে চিহ্নিত করেছে এরা আসলে বুদ্ধি প্রতিবন্ধী। এদেরর দায়িত্ব থেকে সরিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা দরকার। আইন নিজের হাতে তুলে নেয়ায় এদের গ্রেফতার করে বিচারের সম্মুখীন করতে হবে।

গত নির্বাচনের সময় আওয়ামী লীগ-বিএনপি দু’দলই তাদের ইস্তেহারে বেকার ভাতা চালুর প্রস্তাব করেছিল। আমাদের দেশের বাস্তবতা ভোটের পর রাজনৈতিক দলগুলো ইস্তেহার-অঙ্গীকার সচেতনভাবেই ভুলে যায়। একাধিক টিভি চ্যানেলের টকশো’র বিজ্ঞ আলোচকরা বেকার ভাতার অঙ্গীকারকে অবাস্তব বলছিলেন। কিন্তু বেকার ভাতা মোটেই অবাস্তব কিছু নয়।

বেকার ভাতা মানে অনির্দিষ্টকাল ভাতা দিয়ে যাওয়া নয়। বেকার ভাতা তালিকাভুক্ত বেকারদের চাকরির ক্ষেত্র তৈরির সাময়িক প্রক্রিয়া মাত্র। অস্ট্রেলিয়ায় বেকার ভাতা দেবার প্রক্রিয়াটি এখানে সবার সঙ্গে শেয়ার করছি। অস্ট্রেলিয়ার কিছু শেয়ার করলে বাংলাদেশ অস্ট্রেলিয়া নয় বলে ধেই ধেই করে ওঠেন। অথচ সারাক্ষণ বলেন বাংলাদেশ উন্নত দেশ হয়ে যাচ্ছে-উন্নত দেশ করতে হবে। কারো চুল কাটা নিয়ন্ত্রণ বা পার্কে যাওয়া বন্ধ করলেই কোন দেশ উন্নত হয়ে যায় না। উন্নত দেশ করতে দেশের মানুষের জীবনমান উন্নত করতে হবে। অধিকার দিতে মানুষকে মানুষ হিসাবে। অধিকার দেয়া আর দয়া দেখানো এক নয়।

অস্ট্রেলিয়া নামের এই কল্যাণ রাষ্ট্র এর নাগরিকদের সেন্টার লিংক নামের সংস্থার মাধ্যমে বেকার সহ নিম্ন আয়ের পরিবারের সদস্যদের ভাতার ব্যবস্থা করে। এদেশের স্কুল টুয়েলভ ক্লাস পর্যন্ত। বেকার ভাতা ছাড়াও স্বল্প অথবা নিম্ন আয়ের পরিবারের সন্তানদের টুয়েলভ ক্লাস পর্যন্ত ভাতা দেয়া হয় অভিভাবক বা কেয়ারারের মাধ্যমে। প্রতি দুই সপ্তাহ পরপর ভাতার টাকা  অভিভাবক অথবা কেয়ারারের ব্যাংক একাউন্টে চলে যায়। এমন পরিবারের মা যদি সন্তানের ছয় বছর পর্যন্ত বাচ্চা লালনপালন উপলক্ষে কাজ করতে না চান সেই মাকেও দেয়া হয় পেরেন্টিয়াল ভাতা। কাজেই বাড়িতে যিনি গৃহস্থালির কাজ করেন তাদেরও একটি নিয়মিত আয় আছে। এসব ভাতার সঙ্গে খাবার খরচ, বাড়িভাড়া, বিদ্যুৎ ব্যয় বিবেচনায় রাখা হয়।

অস্ট্রেলিয়ার নাগরিকদের প্রাথমিক চিকিৎসা ফ্রি। সরকারি স্কুলে টুয়েলভ ক্লাস পর্যন্ত পড়াশুনা ও যাতায়াত ব্যয় ফ্রি। সব নাগরিক সরকারি হাসপাতালেও ফ্রি চিকিৎসা পান। তবে স্পেশালিষ্ট চিকিৎসক সব ক্ষেত্রে পুরোটা ফ্রি নয়। উচ্চ শিক্ষার জন্য শিক্ষা ঋণের ব্যবস্থা করা হয়। উচ্চ শিক্ষার সময়ও নিম্ন আয়ভূক্তরা সাপ্তাহিক ভাতা পান এবং হ্রাসকৃত মূল্যে ভ্রমণ এবং ওষুধ কিনতে পারেন। বয়স্কভাতা এবং আবাসন-চিকিৎসা ব্যবস্থা থাকায় বয়স্ক ব্যক্তিরা এদেশে কারও গলগ্রহ থাকেন না। সামাজিক নিরাপত্তার এসব ব্যবস্থার কারণে এদেশে মানুষের গড় আয়ুও বেশি।

এবারে বেকার ভাতার প্রসঙ্গে আসি। বেকাররা এদেশের সেন্টার লিংকের সঙ্গে যোগাযোগের দিনই তাদেরকে নথিভুক্ত করে তাদেরকে একটি কাস্টমার রেফারেন্স নাম্বার দেয়া হয়। তার সঙ্গে প্রত্যক্ষ সাক্ষাৎকারের দিন তারিখ ঠিক হয় সেদিনই। সাক্ষাৎকারে নাগরিকত্বের প্রমাণপত্র, শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ যদি থাকে তা সঙ্গে নিতে হয়। একজন বেকার যে দিন সেন্টার লিংকের সঙ্গে যোগাযোগ করেন সেদিন থেকে হিসাব করেই এরিয়ারসহ দেয়া ব্যাংক একাউন্টের মাধ্যমে দেয়া হয় পাক্ষিক বেকার ভাতা। যোগাযোগের দিন থেকে নানা প্রক্রিয়া শেষে এই ভাতা পেতে কখনো কখনো মাসাধিককালও লেগে যায়। তালিকাভুক্ত বেকার ব্যক্তিকে কোন একটি জব সেন্টারের সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দেয় সেন্টার লিংক। এসব জব সেন্টার এনজিও প্রকৃতির বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। বেকারদের চাকরি খুঁজে দিতে সহায়তার বিনিময়ে এরা সরকার থেকে সার্ভিস চার্জ পান। তালিকাভুক্ত বেকার ব্যক্তিটিকে সপ্তাহের নির্দিষ্ট দিনগুলোয় জব সেন্টারে গিয়ে ফোনে বা অনলাইনে জব খুঁজতে হয়। জব সেন্টারের কাছেও কোন কাজের প্রস্তাব এলে তালিকাভুক্ত বেকারদের সেখানে নিয়োগের চেষ্টা করা হয়। এসবের বেশিরভাগ কাজ শ্রমিকের। শারীরিক কারণে কেউ এসব কাজে যেতে না চাইলে তাদেরকে জোর করা হয়না।

জব সেন্টারে যৌক্তিক কারণ ছাড়া কেউ অনুপস্থিত থাকলে তার ভাতা স্থগিত হয়ে যায়। তখন সেন্টার লিংক, জব সেন্টার উভয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে ভাতা পুনর্বহাল করাতে হয়। এমন তালিকাভুক্তদের নিয়ে নানান ওয়ার্কশপেরও আয়োজন করা হয় জব সেন্টারে। কোন প্রতিষ্ঠান এসব তালিকাভুক্ত বেকারকে চাকরি দিলে সরকার সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানটিকে আর্থিক প্রণোদনা দেয়। ছয়মাসে এই প্রণোদনার পরিমাণ আট হাজার ডলারের বেশি। প্রণোদনার জন্যেও অনেক প্রতিষ্ঠান এসব ভাতাভূক্ত বেকারদের কাজ দিতে উৎসাহী হয়। প্রথম দিন কাজে যেতে নতুন চাকুরিপ্রাপ্তদের দেখতে যাতে ভালো দেখায় সে জন্যে তাদের পোশাক-জুতো কিনতেও টাকা দেয়া হয়। দেয়া হয় প্রথম কয়েকদিনের যাতায়াত ভাতা। নতুন চাকরির বেতন না পাওয়া পর্যন্ত ভাতা অব্যাহত রাখা হয়। অস্ট্রেলিয়ার এই পাক্ষিক বেকার ভাতার পরিমাণ বাংলাদেশের টাকায় কুড়ি হাজার টাকার বেশি। রাষ্ট্র নাগরিকদের এই সার্ভিস প্রদানকে তার কৃতিত্ব নয় দায়িত্ব হিসাবে দেখে। বাংলাদেশে বেকার ভাতা চালু করলে সপ্তাহে নিশ্চয় তা দশ হাজার টাকা আশা করেননা। ঘুষ-দুর্নীতি বন্ধ করা গেলে বাংলাদেশেও এটি চালু করা সম্ভব। বেকারভাতার ব্যবস্থা থাকায় অস্ট্রেলিয়ার আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে। বেকারভাতা চালু করলে বাংলাদেশের সামাজিক নিরাপত্তা, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিতেও নাটকীয় অগ্রগতি ঘটবে। চুল কেটে বা পার্কে যাওয়া বন্ধ করে কোন দেশের আইনশৃঙ্খলার নিয়ন্ত্রণ হবে যারা মনে করেন তাদেরকে গাধা নাম দিলে আসল গাধাও মাইন্ড করবে। কারণ আসল গাধাও এদের মতো গর্দভ নয়।

ফজলুল বারী, প্রবাসী সাংবাদিক

মুক্তমত বিভাগে প্রকাশিত লেখার বিষয়, মতামত, মন্তব্য লেখকের একান্ত নিজস্ব। sylhettoday24.com-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে যার মিল আছে এমন সিদ্ধান্তে আসার কোন যৌক্তিকতা সর্বক্ষেত্রে নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে sylhettoday24.com আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় গ্রহণ করে না।

আপনার মন্তব্য

লেখক তালিকা অঞ্জন আচার্য অধ্যাপক ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী ৪৮ অসীম চক্রবর্তী আজম খান ১১ আজমিনা আফরিন তোড়া ১০ আনোয়ারুল হক হেলাল আফসানা বেগম আবদুল গাফফার চৌধুরী আবু এম ইউসুফ আবু সাঈদ আহমেদ আব্দুল করিম কিম ৩২ আব্দুল্লাহ আল নোমান আব্দুল্লাহ হারুন জুয়েল ১০ আমিনা আইরিন আরশাদ খান আরিফ জেবতিক ১৭ আরিফ রহমান ১৬ আরিফুর রহমান আলমগীর নিষাদ আলমগীর শাহরিয়ার ৫৪ আশরাফ মাহমুদ আশিক শাওন ইনাম আহমদ চৌধুরী ইমতিয়াজ মাহমুদ ৭১ ইয়ামেন এম হক এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন একুশ তাপাদার এখলাসুর রহমান ৩৭ এনামুল হক এনাম ৪১ এমদাদুল হক তুহিন ১৯ এস এম নাদিম মাহমুদ ৩৩ ওমর ফারুক লুক্স কবির য়াহমদ ৬২ কাজল দাস ১০ কাজী মাহবুব হাসান কেশব কুমার অধিকারী খুরশীদ শাম্মী ১৭ গোঁসাই পাহ্‌লভী ১৪ চিররঞ্জন সরকার ৩৫ জফির সেতু জহিরুল হক বাপি ৪৪ জহিরুল হক মজুমদার জাকিয়া সুলতানা মুক্তা জান্নাতুল মাওয়া জাহিদ নেওয়াজ খান জুনাইদ আহমেদ পলক জুয়েল রাজ ১০২ ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন ১২ ড. কাবেরী গায়েন ২৩ ড. শাখাওয়াৎ নয়ন ড. শামীম আহমেদ ৪১ ডা. আতিকুজ্জামান ফিলিপ ২০ ডা. সাঈদ এনাম ডোরা প্রেন্টিস তপু সৌমেন তসলিমা নাসরিন তানবীরা তালুকদার তোফায়েল আহমেদ ৩০ দিব্যেন্দু দ্বীপ দেব দুলাল গুহ দেব প্রসাদ দেবু দেবজ্যোতি দেবু ২৭ নাজমুল হাসান ২৪ নিখিল নীল পাপলু বাঙ্গালী পুলক ঘটক প্রফেসর ড. মো. আতী উল্লাহ ফকির ইলিয়াস ২৪ ফজলুল বারী ৬২ ফড়িং ক্যামেলিয়া ফরিদ আহমেদ ৪২ ফারজানা কবীর খান স্নিগ্ধা বদরুল আলম বন্যা আহমেদ বিজন সরকার বিপ্লব কর্মকার ব্যারিস্টার জাকির হোসেন ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ ১৮ ভায়লেট হালদার মারজিয়া প্রভা মাসকাওয়াথ আহসান ১৯০ মাসুদ পারভেজ মাহমুদুল হক মুন্সী মিলন ফারাবী মুনীর উদ্দীন শামীম ১০ মুহম্মদ জাফর ইকবাল ১৫৩ মো. মাহমুদুর রহমান মো. সাখাওয়াত হোসেন মোছাদ্দিক উজ্জ্বল মোনাজ হক ১৪ রণেশ মৈত্র ১৮৩ রতন কুমার সমাদ্দার রহিম আব্দুর রহিম ৫৫ রাজু আহমেদ ১৫ রাজেশ পাল ২৮ রুমী আহমেদ রেজা ঘটক ৩৮ লীনা পারভীন শওগাত আলী সাগর শাওন মাহমুদ