আজ বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪

Advertise

মুক্তিযোদ্ধা আইয়ুব খান আত্মহত্যা করেছেন: বেশ করেছেন!

আবু সাঈদ আহমেদ  

চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার আইয়ুব খান ঢাকার একটি হোটেলে আত্নহত্যা করেছেন। আত্নহত্যার কারণটি অত্যন্ত দু:খজনক এবং লজ্জাস্কর।



৭ জুলাই আত্নহত্যা করার আগে তিনি চিরকুটে জানিয়ে গেছেন- “চট্টগ্রাম দক্ষিণ ইউনিট মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড ঘোষণা করার জন্য মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের সচিব এম এ হান্নানকে মাছ, শুঁটকি ও টাকা দেওয়ার পরও তিনি ইউনিট কমাণ্ড ঘোষণা করেননি। তাকে (সচিব) দেওয়া টাকা ফেরত চাইতে তার বাসায় গেলে আমাকে গলা ধাক্কা দিয়ে অপমান করে বের করে দেওয়ায় আত্মহত্যা করলাম।”



ঐ হোটলে তিনি ৭ জুন তারিখ থেকে অবস্থান করছিলেন। মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিবকে প্রধান করে মুক্তিযোদ্ধা আইয়ুব খানের আত্মহত্যার ঘটনা তদন্তে ৬ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। একজন যুগ্ম সচিবকে অভিযুক্ত সচিবের ঘটনা তদন্ত কমিটির প্রধান করা হয়েছে! এই তদন্ত কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া থেকেই আত্নহত্যার ঘটনার তদন্তের প্রতি সংশ্লিষ্টদের আন্তরিকতার প্রকৃত আঁচ অনুভব করা যায়।



২.
একটা মহৎ উদ্দেশ্য নিয়ে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় গঠন করা হয়েছিল। গঠনের পর হতে এই মন্ত্রণালয় একের পর এক বিতর্কিত কাজ করে গেছে। নিকট অতিতে এই মন্ত্রণালয়ের একজন মন্ত্রীকে বাদ দেয়ার নেপথ্যে কারণ ছিল মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা তৈরীতে অনিয়ম আর অন্যান্য দুর্নীতিতে নেতৃত্বদানের অভিযোগ। পদ কেড়ে নেয়া হলেও মন্ত্রী এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্যদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় নাই।



এই মন্ত্রণালয়েরই কতিপয় উচ্চপদস্থ দায়িত্বশীল কর্মকর্তা মুক্তিযোদ্ধার জাল সনদ দিয়ে চাকুরীর মেয়াদ বাড়ানোর চেষ্টা করেছিলেন। চারদিকে যখন তাদের প্রতি শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী উচ্চারিত হচ্ছিল সেই সময়ে অভিযুক্ত একজন কর্মকর্তা প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হয়েছিলেন।



এছাড়া মুক্তিযুদ্ধে অবদান রাখা বিদেশী বন্ধুদের সম্মাননা ক্রেষ্ট হতে বিশাল পরিমাণের স্বর্ণচুরির মত জঘন্য কাজের দায় এই মন্ত্রণালয় এড়াতে পারেনা। প্রায় বছর অতিক্রান্ত হয়ে গেলেও তদন্ত কমিটি ক্রেষ্ট হতে স্বর্ণচুরির ঘটনার তদন্ত শেষ করতে পারে নাই। অবস্থাদৃষ্টে বোঝা যায় ক্রেষ্ট হতে স্বর্ণচুরির ঘটনাটি ধামাচাঁপা দেওবার প্রক্রিয়ায় আছে।



৪.
একজন আইয়ুব খান আত্নহত্যা করেছেন। তিনি চিরকূটে নিজের অক্ষমতার কথা লিখে গেছেন। পরিবারের জন্য একমুঠো চাল রেখে যেতে পারছেন না- চিরকূটে এই করুণ আক্ষেপ আছে। এই চিরকূটের প্রেক্ষিতে একটা প্রশ্ন এসে যায়- প্রকৃতপক্ষে আমাদের সহজ সরল এবং সাধারণ মুক্তিযোদ্ধারা বা হাজার হাজার আইয়ুব খানরা কেমন আছেন?



সহজ উত্তর- তাঁরা ভালো নেই। ভালো না থাকার পেছনে একাধিক কারণ রয়েছে। প্রথম এবং প্রধান কারণ হচ্ছে তাঁরা ব্যক্তিস্বার্থ নিয়ে মুক্তিযুদ্ধ করেন নাই। চূড়ান্ত বিজয় অর্জনের পরেও তাদের সরল মস্তিষ্কে ব্যক্তিস্বার্থের চিন্তা স্থান পায় নাই। যুদ্ধ শেষে যারা ফিরে এসেছেন তাদের অধিকাংশই নিজ নিজ পেশায় ফিরে গেছেন।



মর্মান্তিক সত্য হচ্ছে নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধারা পরিবারের বোঝা হয়েছেন। যুদ্ধ শেষে এই সাধারণ সরল মুক্তিযোদ্ধারা আশা করেছিলেন প্রতিটা নাগরিকের অন্ন-বস্ত্র-বাসস্থান-চিকিৎসা-শিক্ষার মত মৌলিক চাহিদাগুলো রাষ্ট্র পূরণ করবে। তাই রাষ্ট্রের কাছে একান্ত নিজের জন্য কিছু দাবি করেন নাই- যতটুকু চেয়েছেন তা সামষ্টিকভাবে চেয়েছেন।



অবশ্য, বাহাত্তর পরবর্তী সময় থেকেই তাদের স্বপ্নভঙ্গ শুরু হয়। প্রতিদিন যা বেড়েছে এবং বেড়ে চলেছে। স্বার্থচিন্তা না করার কারণেই আজও অনেক মুক্তিযোদ্ধা পরিবার মানবেতর জীবন যাপন করছে। অসম সাহসী মুক্তিযোদ্ধা বৃদ্ধ বয়সে এসে রিকশা চালাতে বা দিন মজুরের কাজ করতে বাধ্য হচ্ছেন। এই মাটিতেই মুক্তিযোদ্ধার কন্যা দেহ ব্যবসা করা ছাড়া গত্যন্তর খুঁজে পান না। চাকুরীর জন্য মুক্তিযোদ্ধার সন্তানের সস্তা স্যান্ডেলের তলা ক্ষয়ে যায়, চাকুরী মেলেনা।



অর্থের অভাবে ব্যাহত হয় মুক্তিযোদ্ধার চিকিৎসা। জীবন সংগ্রামে পরাজিত সাধারণ মুক্তি্যোদ্ধা তাঁর সনদপত্র নিয়ে দ্বারে-দ্বারে ঘুরে জেনে যান সনদের মূল্য শূন্য। রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা না থাকায় কোটা সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয় সাধারণ মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারের সদস্যরা। সাংবিধানিক মৌলিক অধিকারগুলো নিম্ন ও মধ্যবিত্ত পরিবারের মানুষদের মতই মুক্তিযোদ্ধারা এবং তাদের পরিবারের সদস্যরা পান না।



মুক্তিযোদ্ধা ভাতা হিসেবে যে পরিমাণ অর্থ দেয়া হয় তা রসিকতার শামিল। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশে লাল সবুজ ক্যাপ পরে যে মুক্তিযোদ্ধারা যোগ দেন তারা জীবিত সাধারণ মুক্তিযোদ্ধাদের অতি ক্ষুদ্র একটি অংশ মাত্র। বৃহৎ অংশটি সবসময় আউট-অব-ফোকাসেই থেকে গেছে।



৫.
১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিজয় অর্জনের পরে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের ছাপিয়ে সক্রিয় হয়ে উঠে একদল ভন্ড মুক্তিযোদ্ধা। যাদের চিহ্নিত করা হয় সিক্সটিন্থ ডিভিশন হিসেবে। এছাড়া ভারতের সোনাগাছি ব্রিগেডের ধুরন্ধর সুবিধাবাদী গোষ্ঠী আর খাটের তলায় লুকিয়ে থাকা তথাকথিত চেতনাধারী বীর সেনানীরা প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের কাছ থেকে ধীরে ধীরে কৃতিত্ব ছিনতাই করে নেন।



অধিকাংশক্ষেত্রে এরাই এখন মুক্তিযুদ্ধের মুখপাত্র। এই গোষ্ঠীকে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং বুদ্ধিবৃত্তিক কারণে সহায়তা দেয় মুক্তিযোদ্ধাদেরই ক্ষমতাধর ও ক্ষমতালোভী একটা অংশ। সাধারণ মুক্তিযোদ্ধাদের একটা ক্ষুদ্র অংশ নিরূপায় হয়ে রাষ্ট্রের কাছে থেকে সুবিধা আদায়ে আর নিজেদের মুক্তিযোদ্ধাত্ব টিকিয়ে রাখতে সিক্সটিন্থ ডিভশন, সোনাগাছি সেক্টর আর খাঁটের তলায় লুকিয়ে ছিলাম ব্রিগেডের সাথে মিলেমিশে আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জামায়াতসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলে যোগ দিয়েছেন।



আজ অবস্থা এমন দাড়িয়েছে যে আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জামায়াত ও অন্যান্য রাজনৈতিক দলের মুক্তিযোদ্ধারাই প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা। যাদের কোন রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টরা নাই তারা সকলেই এক একজন আইয়ুব খান। সহজ সরল সাধারণ মুক্তিযোদ্ধারা বুঝে গেছেন এদের বিরুদ্ধ লড়াই করে জেতার মত অবস্থা আর নাই। তাই তাঁরা এসব কর্মকান্ড নীরবে সয়ে গেছেন, সয়ে যান।



৬.
ইতিহাস তিন প্রকার- ১. সরকারী ইতিহাস, ২. বেসরকারী/প্রতিপক্ষের ইতিহাস এবং ৩. প্রকৃত ইতিহাস। স্বাধীনতার পর হতে বাংলাদেশ সরকারী ইতিহাস আর বেসরকারী ইতিহাসের চাঁপেপৃষ্ট। আমাদের ইতিহাস সুপার হিরো আর সুপার ভিলেনের ইতিহাস। আদ্যন্ত ফ্যান্টাসীতে পরিণত হওয়া ইতিহাসে রক্তমাংসের মানুষের উপস্থিতি নাই, সাধারণ মানুষের বীরত্বের স্থান নাই। আমাদের মুক্তিযোদ্ধারা ছিলেন রক্তমাংসের এক একজন অসীম সাহসী মানুষ। তাঁরা নিজের দায়বোধ থেকেই যুদ্ধ করেছিলেন। তাঁরা রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতায় সম্পৃক্ত হয়ে সুপার হিরো বনে যান নাই বলেই সরকারী আর বেসরকারী ইতিহাস তাদের স্থান দেয় নাই।



প্রকৃত ইতিহাস হারিয়ে গেছে এবং এক এক করে হারিয়ে যাচ্ছেন ইতিহাসের স্বাক্ষীরা। আমরা আজও জীবন্ত মুক্তিযোদ্ধাদের দেখতে পারছি। কিন্তু আগামী প্রজন্মের সেই সৌভাগ্য হবেনা। এক একজন আইয়ুব খানের সাথে মরে যাবে প্রকৃত ইতিহাসের এক একটি অংশ, আমাদের মুক্তিযুদ্ধের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাসের এক একজন স্বাক্ষী।



৭.
আইয়ু্ব খানের আত্নহত্যার দায় রাষ্ট্র এড়াতে পারেনা। গত চুয়াল্লিশ বছর যারা রাষ্ট্র ক্ষমতায় ছিলেন এই আত্নহত্যার দায় তাদের সকলের। গত চুয়াল্লিশ বছরে রাষ্ট্রের প্রতিটা সদস্যের জন্য খাদ্য-বস্ত্র-বাসস্থান-চিকিৎসা-শিক্ষা ও কর্মসংস্থান নিশ্চিত হবার কথা ছিল। কিন্তু চুয়াল্লিশ বছর ধরে ধারাবাহিকভাবে ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের রাজনীতিক আর তাদের সাঙ্গ-পাঙ্গরা আঙ্গুল ফুলে বটগাছ হলেও সাধারণ মানুষের অবস্থার উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন ঘটে নাই।



সাধারণ মানুষের অবস্থার প্রকৃত পরিবর্তন ঘটলে আইয়ুব খানের মত মুক্তিযোদ্ধাদের রাষ্ট্রের কাছে অগাধ সম্মান ছাড়া চাওয়ার আর কিছু থাকত না। ঘুষের উপঢৌকন সাজিয়ে স্থানীয় একটা কমিটি ঘোষণার আর্জি নিয়ে হাজির হতে হত না নীতিহীন সচিবের দরজায় আর ঘুষের জন্য প্রদানকৃত অর্থ ফেরত চেয়ে গলা ধাক্কাও খেতে হতনা।



কিন্তু বাস্তবতা অন্যরকম, নির্মম আর মর্মান্তিক। বর্তমান সময়ে স্বাধীনতা ও বিজয় দিবস ব্যতীত মুক্তিযোদ্ধারাও সাধারণ মানুষদের মত রাষ্ট্রের কাছে মূল্যহীন। তাঁরা বেঁচে থাকার অক্ষম সংগ্রামে লিপ্ত। আফসোস, আত্নহত্যা করার আগে পরিবারের জন্য এক কেজি চাল রেখে না যেতে পারার কষ্টে ভারাক্রান্ত আইয়ুব খান প্রধানমন্ত্রীর কণ্ঠে শুনে যেতে পারলেন না 'দেশের মানুষ এখন চারবেলা খায়।'

আবু সাঈদ আহমেদ, লেখক, কলামিস্ট, অনলাইন এক্টিভিস্ট।

মুক্তমত বিভাগে প্রকাশিত লেখার বিষয়, মতামত, মন্তব্য লেখকের একান্ত নিজস্ব। sylhettoday24.com-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে যার মিল আছে এমন সিদ্ধান্তে আসার কোন যৌক্তিকতা সর্বক্ষেত্রে নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে sylhettoday24.com আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় গ্রহণ করে না।

আপনার মন্তব্য

লেখক তালিকা অঞ্জন আচার্য অধ্যাপক ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী ৪৮ অসীম চক্রবর্তী আজম খান ১১ আজমিনা আফরিন তোড়া ১০ আনোয়ারুল হক হেলাল আফসানা বেগম আবদুল গাফফার চৌধুরী আবু এম ইউসুফ আবু সাঈদ আহমেদ আব্দুল করিম কিম ৩২ আব্দুল্লাহ আল নোমান আব্দুল্লাহ হারুন জুয়েল ১০ আমিনা আইরিন আরশাদ খান আরিফ জেবতিক ১৭ আরিফ রহমান ১৬ আরিফুর রহমান আলমগীর নিষাদ আলমগীর শাহরিয়ার ৫৪ আশরাফ মাহমুদ আশিক শাওন ইনাম আহমদ চৌধুরী ইমতিয়াজ মাহমুদ ৭১ ইয়ামেন এম হক এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন একুশ তাপাদার এখলাসুর রহমান ৩৭ এনামুল হক এনাম ৪২ এমদাদুল হক তুহিন ১৯ এস এম নাদিম মাহমুদ ৩৩ ওমর ফারুক লুক্স কবির য়াহমদ ৬৩ কাজল দাস ১০ কাজী মাহবুব হাসান কেশব কুমার অধিকারী খুরশীদ শাম্মী ১৭ গোঁসাই পাহ্‌লভী ১৪ চিররঞ্জন সরকার ৩৫ জফির সেতু জহিরুল হক বাপি ৪৪ জহিরুল হক মজুমদার জাকিয়া সুলতানা মুক্তা জান্নাতুল মাওয়া জাহিদ নেওয়াজ খান জুনাইদ আহমেদ পলক জুয়েল রাজ ১০২ ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন ১২ ড. কাবেরী গায়েন ২৩ ড. শাখাওয়াৎ নয়ন ড. শামীম আহমেদ ৪১ ডা. আতিকুজ্জামান ফিলিপ ২০ ডা. সাঈদ এনাম ডোরা প্রেন্টিস তপু সৌমেন তসলিমা নাসরিন তানবীরা তালুকদার তোফায়েল আহমেদ ৩১ দিব্যেন্দু দ্বীপ দেব দুলাল গুহ দেব প্রসাদ দেবু দেবজ্যোতি দেবু ২৭ নাজমুল হাসান ২৪ নিখিল নীল পাপলু বাঙ্গালী পুলক ঘটক প্রফেসর ড. মো. আতী উল্লাহ ফকির ইলিয়াস ২৪ ফজলুল বারী ৬২ ফড়িং ক্যামেলিয়া ফরিদ আহমেদ ৪২ ফারজানা কবীর খান স্নিগ্ধা বদরুল আলম বন্যা আহমেদ বিজন সরকার বিপ্লব কর্মকার ব্যারিস্টার জাকির হোসেন ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ ১৮ ভায়লেট হালদার মারজিয়া প্রভা মাসকাওয়াথ আহসান ১৯০ মাসুদ পারভেজ মাহমুদুল হক মুন্সী মিলন ফারাবী মুনীর উদ্দীন শামীম ১০ মুহম্মদ জাফর ইকবাল ১৫৩ মো. মাহমুদুর রহমান মো. সাখাওয়াত হোসেন মোছাদ্দিক উজ্জ্বল মোনাজ হক ১৪ রণেশ মৈত্র ১৮৩ রতন কুমার সমাদ্দার রহিম আব্দুর রহিম ৫৫ রাজু আহমেদ ১৬ রাজেশ পাল ২৮ রুমী আহমেদ রেজা ঘটক ৩৮ লীনা পারভীন শওগাত আলী সাগর শাওন মাহমুদ