আজ বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪

Advertise

সাংবাদিক মীর্জা : শেষ দেখাটা হলোই না

রণেশ মৈত্র  

৩ অক্টোবর; প্রায় দুই দশক আগে পাবনা হারিয়েছে তার হাল আমলের শ্রেষ্ঠ ও কর্মঠ সাংবাদিক মীর্জাকে। মীর্জা শামসুল ইসলাম দেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ প্রতিবেদক হওয়ায় দৈনিক বাংলা তাঁকে জেলা সংবাদদাতা থেকে স্টাফ রিপোর্টার পদে উন্নীত করেছিল।  মীর্জাই প্রথম পাবনা জেলায় ঢাকার কোন প্রথম শ্রেণির জাতীয় পত্রিকায় স্টাফ রিপোর্টার পদে উন্নীত হতে পেরেছিলেন। পেশাদার বেতনভুক্ত সাংবাদিক হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছিলেন।

পাকিস্তান আমল। তদুপরি আইয়ুব সামরিক শাসকের দৌরাত্ম্যে সংবাদপত্র আর সাংবাদিকদের জীবন বিপর্যস্ত। তাদের স্বাধীনতা অন্তর্হিত। এই সময়কালে সাংবাদিক জীবনের যাত্রা শুরু মীর্জা শামসুল ইসলামের।পাবনা শহরের পশ্চিম প্রান্তে ইছামতির তীরে এডওয়ার্ড কলেজের তৎকালীন রসায়ন শাস্ত্রের প্রফেসর সাহিত্যানুরাগী অধ্যাপক আব্দুল হামিদ কর্তৃক প্রকাশিত ও সম্পাদিত সাপ্তাহিক আমাদের দেশ পত্রিকাতেই তার হাতেখড়ি। লজিং থাকতেন মীর্জা শামসুল ইসলাম ঐ বাড়িতেই। অধ্যাপক তাকে তাঁর পত্রিকাতেই কাজ করার সুযোগ দেন। সেই থেকেই শুরু।

মীর্জা শামসুল ইসলামের বাড়ি বেড়া উপজেলার আমিনপুর গ্রামে। সেখান থেকেই ম্যাট্রিকুলেশন পাশ করে পাবনা এসেছিলেন উচ্চতর শিক্ষা অর্জনের তাগিদে। ভর্তি হয়েছিলেন এডওয়ার্ড কলেজে। লজিং থেকে পড়াকালেই মীর্জা শামসুল ইসলাম পৌরসভার স্কুল ইন্সপেক্টর পদে চাকুরী নেন। ঐ চাকুরী, সাংবাদিকতা ও লেখাপড়া  একসাথেই তিনটি দায়িত্বই  পালন করতেন তিনি।

এডওয়ার্ড কলেজ থেকে বিএ পাস করার পর হঠাৎ খবর পেলেন পাকিস্তান সরকার গঠিত প্রেস ট্রাষ্ট থেকে দৈনিক পাকিস্তান নামে একটি পত্রিকা প্রকাশ হতে চলেছে ষাটের দশকের গোড়ার দিকে। মীর্জা ঐ পত্রিকায় দরখাস্ত করে বসলেন পত্রিকার  পাবনাস্থ সংবাদদাতা হিসেবে  নিয়োগ দেয়ার আহবান জানিয়ে। বার্তা বিভাগ জানালো পরীক্ষামূলকভাবে নিয়মিত খবর পাঠাতে হবে।

খবর সংগ্রহ করা, খবর তৈরি করা, খবর লেখার ক্ষেত্রে নৈপুণ্য দেখাতে সামর্থ্য হওয়ায় পেয়ে গেলেন দৈনিক পাকিস্তানের পাবনাস্থ নিজস্ব সংবাদদাতা হিসেবে নিয়োগপত্র। সেই যে শুরু আর কখনোই পেছনে তাকাতে হয়নি মীর্জা শামসুল ইসলামকে– তার সাংবাদিকতা জীবনে প্রতিষ্ঠিত ও সুপ্রতিষ্ঠিত হওয়ার ক্ষেত্রে।

রেডিও পাকিস্তানের পাবনাস্থ সংবাদদাতা হিসেবেও নিয়োগ পেলেন তিনি। তখনও পূর্ব বাংলায় টেলিভিশনের প্রচলন হয়নি। সংবাদ পিপাসু সকলকেই তখন টাটকা খবরের জন্য বেতারের উপর নির্ভর করতে হতো। দৈনিক পত্রিকাগুলো এখন যেমন যেদিনের পত্রিকা সেই দিন সকালেই নিজ নিজবাড়িতে পাওয়া যায়-তখন তা পাওয়া যেতনা। ঢাকা থেকে প্রকাশিত পত্রিকাগুলো আসতো একদিন পর। কারণ তখনো যমুনা সেতু নির্মিত না হওয়াতে রাজধানী থেকে পত্রিকাগুলি আসতে একদিন বিলম্ব হতো। আসতে হতো ঢাকা থেকে ট্রেনযোগে সিরাজগঞ্জের জগন্নাথগঞ্জ ঘাট দিয়ে।

ভালো লিখনির কারণে তিনি ছিলেন সাংবাদিকতায় পাবনার অন্যতম পথিকৃৎ, পাবনা প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এবং পূর্ব পাকিস্তান সাংবাদিক সমিতির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এ কে এম আজিজুল হক সাহেবের বিশেষ স্নেহধন্য। খবর সংগ্রহ করে দেয়া, জরুরি খবরের প্রেস টেলিগ্রাম ড্রাফট করে দেয়া হক সাহেবই মীর্জাকে প্রাথমিক শিক্ষা দিয়েছিলেন হাতে কলমে।

পরবর্তীতে মীর্জা শামসুল ইসলাম প্রেসক্লাবের সদস্য হন। আমৃত্যু সদস্য থাকাকালে মীর্জা প্রতিবার দুই বছর মেয়াদে পর পর তিনবার সভাপতি নির্বাচিত হন।

এ কে এম আজিজুল হক ছাড়াও আনোয়ারুল হক, প্রসাদ রায় ও আমার সাথে ছিল তার বিশেষ ঘনিষ্ঠতা বেঁচে থাকা অবধি বজায় রেখেছিলেন মীর্জা শামসুল ইসলাম।

খবর তৈরির ক্ষেত্রে মীর্জার ছিল বিশেষ নৈপুণ্য। সকল দিকে থাকতো বিশেষ নজর। এ ক্ষেত্রে তার নৈপুণ্যের কয়েকটা উদাহরণ তুলে ধরলে বিষয়টা উপলব্ধি করা সহজ হবে।

একবার ওয়াপদার ঢাকা অফিসে থেকে প্রকাশিত তাদের সাপ্তাহিক বুলেটিন আসে পাবনা প্রেসক্লাবে। মীর্জা ঐ বুলেটিনগুলির উপর নজর রাখতেন। একবার একটি হাতে নিয়ে চোখ বুলাতে বুলাতে তার নজরে পড়লো কয়েকশ কোটি টাকার  এক বাঁধ নির্মাণ প্রকল্পের খবর। বুলেটিনগুলি বাংলায় প্রকাশ হত। মীর্জা শামসুল ইসলাম আর কাউকে না দেখিয়ে ঐ বুলেটিনের সংশ্লিষ্ট খবরটি কেটে একটি প্রেস টেলিগ্রাম ফরমে আঠা দিয়ে সেটে দৈনিক পাকিস্তানে পাঠিয়ে দিলেন নিজে টেলিগ্রাম অফিসে গিয়ে। নিজে গেলেন অন্যদের কাছে বিষয়টি গোপন রাখার উদ্দেশ্যে। ফিরে এসে দিব্যি প্রেসক্লাবের পূর্বদিকের ছাদে বসে আড্ডা।

পরদিন পত্রিকা এলে দেখা গেল মীর্জা শামসুল ইসলামের নাম দিয়ে দৈনিক পাকিস্তানের প্রথম পাতায় তিন কলাম শিরনামে খবরটি ছাপা হয়েছে একটি বিশেষ খবর হিসেবে।

আর একটি উদাহরণ- একবার সাইক্লোনে শাহজাদপুরে ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়। বহু ঘরবাড়ির টিন ও খড়ের চাল উড়ে যায়। বাড়ি ঘর ভেঙে পড়ে।  উপড়ে পড়া ঘর ও গাছচাপা পড়ে  বেশ কিছু মানুষ মারা যায়। খবরটি পাওয়া মাত্র  মীর্জা শামসুল ইসলাম ছুটলেন শাহজাদপুরে। পরদিন ফিরে এলেন নোট ও ক্যামেরার অনেকগুলি ছবি নিয়ে।

অতঃপর শুরু হলো  সাত দিন ধরে শাহজাদপুরের সাইক্লোনের উপর প্রতিদিন একটি করে সিরিজ রিপোর্ট। খবরতো একটি আইটেমেই শেষ করা যেত। সিরাজগঞ্জ এবং পাবনার সাংবাদিকেরা তাই করেছিল-কিন্তু মীর্জার তো ছিল খবর আবিস্কার ও তৈরির এক আশ্চর্য মুনশিয়ানা। তিনি ঘরবাড়ি ভাঙা নিয়ে একটি প্রতিবেদন, গরু ছাগল মোরগ-মুরগি সহায় সম্বল প্রভৃতি হারানো নিয়ে  অপর একটি প্রতিবেদন। গাছ গাছালি ঘর-বাড়ি ভেঙে পড়ায় গ্রামীণ সড়কপথে গাড়ি ঘোড়া চলাচলে নানা বিপত্তি নিয়ে অপর একটি প্রতিবেদন, নদীর জল কাঁদা সাইক্লোনে উড়ে পার্শ্ববর্তী গ্রামের ঘরবাড়িতে লেপটে যাওয়া এবং নদীর চিহ্ন না থাকা নিয়ে আরেকটি প্রতিবেদন, কৃষি ক্ষেত্রে ব্যাপক ক্ষয় ক্ষতি নিয়ে একটি প্রতিবেদন এবং সবশেষ প্রতিবেদনটি ছিল সাইক্লোন হাজার হাজার মানুষের জীবনে যে বিপর্যয় সৃষ্টি করেছিল তা নিয়ে প্রতিবেদন। সবগুলি প্রতিবেদন দৈনিক বাংলায় বিশেষ গুরুত্ব সহকারে প্রথম পাতায় প্রকাশিত হয়েছিল।

আরেকটি চমক সৃষ্টি করেছিলেন মীর্জা শামসুল ইসলাম। পাবনা মানসিক হাসপাতাল নিয়ে প্রায় তিনমাস ধরে একটি সিরিজ প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এটি সপ্তাহে দুদিন করে প্রকাশিত হতো। হাসপাতালটির প্রতিষ্ঠা, চিকিৎসক ও সেবিকাদের কর্ম তৎপরতা ও তাদের দায়িত্ববোধহীনতা, রোগীর অসুস্থতা জনিত ক্ষয়ক্ষতি, রোগীর বেড সংখ্যার স্বল্পতা, মানসিক রোগীদের নানাবিধ ধরন সে মোতাবেক কার্যকর চিকিৎসার সুযোগ না থাকা, নারী রোগীদের বহুবিধ অসুবিধা, তারমধ্যে একশ্রেণির পুরুষ নার্স নারী রোগীদের অসুস্থতার সুযোগে তাদের অনেকের সাথে দৈহিক সম্পর্ক স্থাপন, সুস্থ হওয়ার পরে অভিভাবকদের খবর পাঠানো সত্বেও না নিয়ে যাওয়া জনিত মানবিক সমস্যা, রোগীদের পালিয়ে যাওয়া, হাসপাতালের ওষুধ চুরি হয়ে যাওয়া, একশ্রেণির ডাক্তারদের চিকিৎসায় অবহেলা ও প্রাইভেট চিকিৎসার রমরমা ব্যবসা, হাসপাতাল এলাকায় আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় অব্যবস্থাপনাসহ বহুবিধ অনুসন্ধানী  প্রতিবেদন তার লেখায় স্থান পেয়েছে। এগুলো সংরক্ষিত হয়ে থাকলে দিব্যি একটি পাঠক প্রিয় বই প্রকাশিত হতে পারে।

পাবনার সাংবাদিকদের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ছিলেন রংপুরের চারণ সাংবাদিক মোনাজাত উদ্দিন। একদিন হঠাৎ গাইবান্ধা থেকে মীর্জার এক আত্মীয় ফোন করে জানালেন স্টিমার থেকে স্রোতস্বিনী যমুনায় পড়ে মৃত্যুবরণ করেছেন মোনাজাত উদ্দিন।সাথে সাথে টেলিফোনে বিটিভিতে খবর পাঠিয়েছিলেন। গাইবান্ধার খবর পাবনা থেকে কিভাবে পেলেন প্রশ্ন করলেন নিউজ ডেস্ক। মীর্জা খোঁজ নিতে বললেন। পরে পাবনার বরাত দিয়ে প্রচারিত হল গাইবান্ধার খবর।

এমন আরও অনেক বিচিত্র ঘটনা আছে যা এই মুহূর্তে স্মরণে আনতে পারছিনা।

মীর্জা যেদিন অকস্মাৎ মারা যান সেদিন আমি ঢাকায়। অনেক কাজ ফেলে রেখে পরদিনই পাবনায় ফিরে আসি। এসেই যায় তার বাসায়। তাঁর স্ত্রী দেখালেন কীভাবে হঠাৎ তিনি সকালের নাস্তার পর চা খেতে খেতে হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যুবরণ করেন। তার ছিল ডায়াবেটিক ও উচ্চ রক্তচাপ। ওষুধ খেতে দিন কয়েক অনিয়ম করাতেই সম্ভবত তাঁর অকাল মৃত্যু ঘটলো।

তাঁর সন্তান উৎপল মির্জাও বাবার  সাংবাদিকতার ধারাটি অব্যাহত রেখে প্রতিভার সাক্ষর রেখে যাচ্ছে। যার স্বীকৃতিস্বরূপ সে এবার অনুসন্ধানী সাংবাদিকতায় দেশের বর্ষ সেরা ধারাবাহিক প্রতিবেদনের জন্য পেয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল পুরস্কার, যা কিনা পাবনার সাংবাদিকতার জন্যও একটা মাইলফলক।

রণেশ মৈত্র, লেখক, একুশে পদকপ্রাপ্ত সাংবাদিক; মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক। ইমেইল : [email protected]

মুক্তমত বিভাগে প্রকাশিত লেখার বিষয়, মতামত, মন্তব্য লেখকের একান্ত নিজস্ব। sylhettoday24.com-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে যার মিল আছে এমন সিদ্ধান্তে আসার কোন যৌক্তিকতা সর্বক্ষেত্রে নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে sylhettoday24.com আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় গ্রহণ করে না।

আপনার মন্তব্য

লেখক তালিকা অঞ্জন আচার্য অধ্যাপক ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী ৪৮ অসীম চক্রবর্তী আজম খান ১১ আজমিনা আফরিন তোড়া ১০ আনোয়ারুল হক হেলাল আফসানা বেগম আবদুল গাফফার চৌধুরী আবু এম ইউসুফ আবু সাঈদ আহমেদ আব্দুল করিম কিম ৩২ আব্দুল্লাহ আল নোমান আব্দুল্লাহ হারুন জুয়েল ১০ আমিনা আইরিন আরশাদ খান আরিফ জেবতিক ১৭ আরিফ রহমান ১৬ আরিফুর রহমান আলমগীর নিষাদ আলমগীর শাহরিয়ার ৫৪ আশরাফ মাহমুদ আশিক শাওন ইনাম আহমদ চৌধুরী ইমতিয়াজ মাহমুদ ৭১ ইয়ামেন এম হক এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন একুশ তাপাদার এখলাসুর রহমান ৩৭ এনামুল হক এনাম ৪২ এমদাদুল হক তুহিন ১৯ এস এম নাদিম মাহমুদ ৩৩ ওমর ফারুক লুক্স কবির য়াহমদ ৬৩ কাজল দাস ১০ কাজী মাহবুব হাসান কেশব কুমার অধিকারী খুরশীদ শাম্মী ১৭ গোঁসাই পাহ্‌লভী ১৪ চিররঞ্জন সরকার ৩৫ জফির সেতু জহিরুল হক বাপি ৪৪ জহিরুল হক মজুমদার জাকিয়া সুলতানা মুক্তা জান্নাতুল মাওয়া জাহিদ নেওয়াজ খান জুনাইদ আহমেদ পলক জুয়েল রাজ ১০২ ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন ১২ ড. কাবেরী গায়েন ২৩ ড. শাখাওয়াৎ নয়ন ড. শামীম আহমেদ ৪১ ডা. আতিকুজ্জামান ফিলিপ ২০ ডা. সাঈদ এনাম ডোরা প্রেন্টিস তপু সৌমেন তসলিমা নাসরিন তানবীরা তালুকদার তোফায়েল আহমেদ ৩১ দিব্যেন্দু দ্বীপ দেব দুলাল গুহ দেব প্রসাদ দেবু দেবজ্যোতি দেবু ২৭ নাজমুল হাসান ২৪ নিখিল নীল পাপলু বাঙ্গালী পুলক ঘটক প্রফেসর ড. মো. আতী উল্লাহ ফকির ইলিয়াস ২৪ ফজলুল বারী ৬২ ফড়িং ক্যামেলিয়া ফরিদ আহমেদ ৪২ ফারজানা কবীর খান স্নিগ্ধা বদরুল আলম বন্যা আহমেদ বিজন সরকার বিপ্লব কর্মকার ব্যারিস্টার জাকির হোসেন ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ ১৮ ভায়লেট হালদার মারজিয়া প্রভা মাসকাওয়াথ আহসান ১৯০ মাসুদ পারভেজ মাহমুদুল হক মুন্সী মিলন ফারাবী মুনীর উদ্দীন শামীম ১০ মুহম্মদ জাফর ইকবাল ১৫৩ মো. মাহমুদুর রহমান মো. সাখাওয়াত হোসেন মোছাদ্দিক উজ্জ্বল মোনাজ হক ১৪ রণেশ মৈত্র ১৮৩ রতন কুমার সমাদ্দার রহিম আব্দুর রহিম ৫৫ রাজু আহমেদ ১৬ রাজেশ পাল ২৮ রুমী আহমেদ রেজা ঘটক ৩৮ লীনা পারভীন শওগাত আলী সাগর শাওন মাহমুদ