আজ বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪

Advertise

হলি আর্টিজান: বিশেষ আদালত ও জঙ্গিদের বার্তা

রণেশ মৈত্র  

গত ২৭ নভেম্বর ২০১৯, পূর্বনির্ধারিত মত ঢাকার সন্ত্রাস বিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মজিবর রহমান গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্টুরেন্টে ২৩ জন দেশি-বিদেশি নাগরিককে রাতের খাবার খেতে বসামাত্র অকস্মাৎ গগণভেদী আওয়াজ শক্তিশালী বিস্ফোরণ ঘটিয়ে যে নির্মম হত্যালীলা চালিয়েছিল ২০১৬ সালে ১ জুলাই সে ঘটনার দায়েরকৃত মোকদ্দমায় যথেষ্ট দ্রুততার সাথে বিচার কাজ শেষ সাত আসামির মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করে যে ঐতিহাসিক রায় দিয়েছেন তা দেশ-বিদেশের সকল মহলেরই প্রশংসা অর্জন করেছেন।

সেই বিভীষিকাময় রাতে সংঘটিত অতর্কিত জঙ্গি হামলায় ১৭ বিদেশি নাগরিক চার বাংলাদেশি সহ ২৩ জন নিহত হন। পরদিন সকালে সেনা কম্যান্ডো অভিযানে নিহত হয় পাঁচ জঙ্গি। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান রেস্তোরাঁর কর্মী সাইফুল।

হলি আর্টিজান মামলার তদন্ত শেষে ঐ ঘটনায় ২২ জনের সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়। তাদের আসামি করে গত বছরের ২৩ জুলাই আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন কাউন্টার টেররিজম এন্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট। ২০১৮ সালের ২৬ নভেম্বর যাদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করার হয় তাদের মধ্যে ছিল মূল পরিকল্পনাকারী তামিম চৌধুরী, সরোয়ার জাহান ওরফে আবদুর রহমান। তানভীর কাদেরী ওরফে জামসেদ, নূরুল ইসলাম মারজান, বাশারুজ্জামান চকোলেট, মিজানুর রহমান ওরফে ছোট মিজান মেজর (অব) জাহিদুল ইসলাম, রায়হান কবীর ওরফে তারেক, রোহান ইবনে ইমতিয়াজ নিবরাস ইসলাম, মীর সামীহ মোবাস্বের খায়রুল ইসলাম পায়েল, শরিফুল ইসলাম উজ্জ্বল ওরফে বিকাশ, জাহাঙ্গীর হাসেন ওরফে রাজীব গান্ধী, আসলামুল ইসলাম ওরফে রাশেদ, সোহেল মাহফুজ ওরফে হাতকাটা মাহফুজ, হাফিসুর রহমান সাগর, রাকিবুল হাসান রিগ্যান, মিজানুর রহমান ওরফে বড়মিজান, মামুনুর রসিদ রিপন ও শহীদুল ইসলাম খালিদ। এদের মধ্যে ১৩ জঙ্গি বিভিন্ন অভিযানে বিভিন্ন স্থানে নিহত হওয়ায় তাদের নাম চার্জশিটে রাখা হয় নি।

চার্জশিটভূক্ত ৮ জীবিত আসামির মধ্যে ছিল নব্য জে এম বি’র শীর্ষ নেতা জাহাঙ্গীর গান্ধী, মিজানুর রহমান ওরফে বড় মিজান, রাকিবুল হাসান রিগ্যান, আসলাম হোসেন ওরফে রাশেদুল ইসলাম রাশেদ, হাদিসুর রহমান সাগর, শরিফুল ইসলাম খালেদ মামুনর রাশিদ রিপন ও আবদুল সবুর, সুকুর খান ওরফে হোসেন মাহফুজ ওরফে হাতকাটা সোহেল।

গত বছরের ২৬ নভেম্বর চার্জ গঠনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় আট জঙ্গির বিচার। সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয় ঐ বছরের ৩ ডিসেম্বর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয় চলতি বছরের ২৭ অক্টোবর। যুক্তি তর্ক শেষ হয় ১৭ নভেম্বর রায় দান করা হয় ২৭ নভেম্বর কড়া নিরাপত্তার মধ্যে।

রায়ে ফাঁসির আদেশ দেওয়া হয়েছে সাত জনের বিরুদ্ধে একজনকে খালাস দেওয়া হয়েছে সরকার পক্ষ তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ প্রমাণ করতে না পারায়। কিন্তু রায় দেশ-বিদেশেরই শুধু নয়, হলি আর্টিজান হত্যালীলায় নিহতদের পরিবার বর্গের (যারা বাংলাদেশি) ও প্রশংসা পেয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত নিহত বিপুল সংখ্যক ইটালিয়ান, জাপানী ও ভারতীয়দের পরিবারের প্রতিক্রিয়া জানা জায় নি।

আসামি পক্ষ অবশ্য ডোন্ট-কেয়ার মনোভাব প্রদর্শন করেছে। রায়টি পড়ে শুনানোর পরও জঙ্গি আসামিদের চেহারায় কোন অনুশোচনার সামান্যতম ভাব পরিলক্ষিত হয় নি বরং কাঠগড়ায় তারা ঔদ্ধত্যপূর্ণ অস্বাভাবিক আচরণ প্রদর্শন করে। তারা কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় চিৎকার করে বলে, “আল্লাহু আকবর, আল্লাহু আকবর। আমরা কোন অন্যায় করি নি। আমাদের বিজয় শীগগিরই”।

রায় শেষে তাদেরকে কাঠগড়া থেকে নামিয়ে প্রিজন ভ্যানের দিকে নেওয়ার সময় মৃত্যু দণ্ড প্রাপ্ত জঙ্গি রাকিবুল হাসান রিগ্যানের মাথায় আই এস এর লোগো সম্বলিত টুপি দেখা যায়। প্রিজন ভ্যানে আর এক মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত জঙ্গি জাহাঙ্গীর হোসেন ওরফে রাজীব গান্ধীর মাথায়ও একই টুপি ছিল। এর ফলে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে, পুলিশ হেফাজতে থাকার সময় কি করে তাদের কাছে আই এস এর লোগো সম্বলিত কালো টুপি এলো।

উল্লেখ্য ২০১৬ সালে হলি আর্টিজান ম্যাসাকারের পর পরই আন্তর্জাতিক মিডিয়ার মাধ্যমে আই এস এই ঘটনার দায় স্বীকার করেছিল তবে বাংলাদেশ সরকার তখন দৃঢ়তার সাথে ঐ ঘটনায় আই এস এর সম্পৃক্তি অস্বীকার করেছে। কিন্তু জনমনে এ নিয়ে প্রশ্ন ও শঙ্কা থেকেই যায়।

রায় ঘোষণার পর বিচারক তাঁর পর্যবেক্ষণে উল্লেখ করেছেন, তথাকথিত জিহাদ কায়েমের লক্ষ্যে সার্বভৌমত্ব ও জননিরাপত্তা-বিপন্ন করে আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন আই এস এর দৃষ্টি আকর্ষণ করতেই জে এম বি’র একাংশ নিয়ে গঠিত নব্য জে এম বি হলি আর্টিজানে নারকীয় দানবীয় হত্যাযজ্ঞ ঘটিয়েছে। এ হামলার মধ্য দিয়ে জঙ্গিবাদের উন্মত্ততা, নৃশংসতা ও নিষ্ঠুরতার বহি:প্রকাশ ঘটেছে। কলঙ্কজনক এ হামলার মধ্য দিয়ে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের চরিত্র হননের চেষ্টা করা হয়েছে। তাই সাজার ক্ষেত্রে তারা কোন অনুকম্পা বা সহানুভূতি পেতে পারে না। বিচারক বলেন, তামিম চৌধুরী হলি আর্টিজান হামলার মূল পরিকল্পনাকারী ও সমন্বয়কারী। সন্ত্রাস বিরোধী আইনের ৬(২) (অ) ধারায় সাত আসামিকে দোষী সাব্যস্ত করে তাদের সর্বোচ্চ সাজা দেওয়ার সিদ্ধান্ত জানিয়ে বিচারক বলেন “এতে ভাগ্যহত মানুষের স্বজনেরা কিছুটা হলেও শান্তি পাবেন”।

মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত জঙ্গিদের আদালতে ফিরিয়ে নেওয়ার প্রাক্কালে জনাকীর্ণ আদালত প্রাঙ্গণে দেখা গেল দু’জনার মাথায় টুপি। এই টুপি গ্রেপ্তারের সময় তাদের মাথায় ছিলনা। অনুমান করি, সাড়ে তিন বছর ব্যাপী আটক থাকাকালে কারাগারেও কেউ তাদের মাথায় ঐ টুপি দেখে নি। রায় প্রকাশের দিন যখন কারাগার থেকে বের করে প্রিজন ভ্যানে তোলা হবে জেল সিপাহীরা তাদের দেহ তল্লাশি করার সময়ও ঐ টুপি দেখেন নি। দেখেন নি আদালত চলাকালে মাননীয় বিচারক, উভয়পক্ষের আইনজীবী সহ অসংখ্য দর্শকও। কিন্তু কি করে, কোথা থেকে , কোথায় কারা আসামিদেরকে আদালত থেকে কারাগারে পাঠানোর উদ্দেশ্যে বের করে প্রিজন ভ্যানের দিকে যাওয়ার সময় দু’জনের কাছে ঐ টুপি পৌঁছালো তা বিশেষ উদ্বেগের কারণ বটে। হয়তো জেল খানাতে থাকাকালেই কোনভাবে কেউ তাদের কাছে টুপি দুটি পৌঁছেছিল। তারা সেখানে ওগুলি লুকিয়ে রাখতো কিন্তু রায় প্রকাশের পর লুকিয়ে বা ম্যানেজ করে দেহের আড়ালে টুপি দুটি ঐ অবস্থায় নিয়েই আদালতের কাঠ গড়ায় দাঁড়ায়। কিন্তু আদালত থেকে কারাগারে ফেরত নেওয়ার পথে হয়তো টুপি দুটি হঠাৎ করেই দুজন মাথায় পরিধান করে দেশ-বিদেশের দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্যে। কারণ তারা জানে ঐ রায়ের খবর সংগ্রহ করার জন্য ঐ দিন দেশি-বিদেশি অসংখ্য সাংবাদিক ও ফটো সাংবাদিক ক্যামেরা সহ উপস্থিত থাকবেন।

অবশ্য এ ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট কিছু এখনই বলা যাবে না। তদন্ত কমিটি ঐদিনই গঠন করা হয়েছে এবং তাদের রিপোর্ট হয়ত এই নিবন্ধটি সংবাদপত্রে প্রকাশের আগেই জানা যাবে।

তবে এ কথা মানতেই হবে এই দেশের লোকই এদেশের লোকের মাধ্যমেই কোন না কোনভাবে তাদের কাছে হয় জেলখানায় নয় প্রিজনভ্যান চলতি অবস্থায় আদালতে যাবার সময় আসামিদের কাছে পৌঁছেছে। তাই নিশ্চিতভাবেই দাবি করা যায় বাংলাদেশে আই এস বা তাদের সহযাত্রী বা তাদের সহযোগী বিদেশি অনুপ্রেরণায় গোপনে বাংলাদেশে এখনও সক্রিয়। তাই দেশের নানা জায়গায় এ ব্যাপারে বিশেষ প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত গোয়েন্দাদের দিয়ে তথ্যাদি সংগ্রহ এবং দেশ জোড়া অভিযান অব্যাহত রাখা জরুরি।

রায় প্রকাশের সময় ফাঁসির আদেশের কথা শুনেই তারা যে প্রতিক্রিয়া আদলতে খোদ বিচারকের সামনেই প্রকাশ করলো এবং অত:পর আদালতের বাইরে এসে আই এস এর টুপি সবার চোখ এড়িয়ে মাথায় পড়লো তার সুস্পষ্ট অর্থ হলো তারা পরোয় করে না, তাদের লোক জে এম বি, নব্য জে এম বি, আই এস বা যে কোন নামেই হোক বাংলাদেশের নানা স্থানে সক্রিয় রয়েছে। মধ্য প্রাচ্যের কতিপয় দেশ রয়েছে তাদের নৈতিক ও বৈষয়িক সহযোগী হিসেবে, অপরদিকে তাদের অর্থের উৎস, অর্থের ও জনবলের জোগানদারদের খুঁজে বের করা অত্যন্ত জরুরি।

অনুমান অনেকেরই, জামায়াত-শিবির ও হেফাজতে ইসলাম বিনা বাধায় দেশের সর্বত্র বিভিন্ন মসজিদে খোতবা পরিচালনা কালে যে জেহাদি বক্তব্য প্রতিদিন প্রচার করে এবং বিশেষ করে শীতকালে, এক শ্রেণির আলেম সারা দেশে ওয়াজ মাহফিলের নামে জেহাদি বক্তব্যের সাথে ঘোর সাম্প্রদায়িক প্রচার করে তার ফলে সারা দেশেই তাদের অনুকূল একটা মানসিক আবহ সাধারণ মুসলিম মানসে তৈরি হয়-যা জঙ্গিবাদের অনুকূলে ব্যাপক কাজ করে। তাই জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী ছাত্র শিবির হেফাজতে ইসলামী ও অন্যান্য ধর্মাশ্রয়ী দল ও সংগঠনকে বে-আইনি ঘোষণা করা প্রয়োজন। খুৎবা ও ওয়াজ মাহফিলগুলিতে প্রদত্ত বক্তব্যও কঠোরভাবে পর্যবেক্ষণে গোয়েন্দা বাহিনীকে কাজেলা গানের জন্যও সুপারিশ জানাচ্ছি। মনে রাখা প্রয়োজন ধর্মের নামেই ধর্মের অপব্যবহার ও ধর্ম-বিরোধী প্রচার, প্রোপাগান্ডা ও কর্মকাণ্ড বাংলাদেশে এবং অপরাপর দেশেও অবাধে সংঘটিত হয় অগণিত নির্দোষ মানুষের প্রাণ যায়, অজস্র পরিবার নিঃস্ব, সহায় সম্বলহীন হয়ে পড়ে,সরকারি-বেসরকারি বিপুল সম্পত্তি হানিও ঘটে থাকে।

আমাদের আরও স্মরণে রাখা প্রয়োজন যে, পাকিস্তান আমলের ২৩ বছর ব্যাপী ধারাবাহিক ভাবে পরিচালিত রাজনৈতিক আন্দোলনের পাশাপাশি ব্যাপকভাবেই গড়ে উঠেছিল প্রগতিশীল সাংস্কৃতিক আন্দোলন ও সাংস্কৃতিক ক্রিয়াকলাপ। এই সাংস্কৃতিক আন্দোলন আমাদের গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে সবিশেষ প্রভাবিত করেছেন, তাকে জোরদার করেছে, একটি শক্তিশালী সাম্প্রদায়িকতা বিরোধী আবহও দেশজুড়ে গড়ে তুলে আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের অনুকূল পরিবেশও রচনা করেছে।

কিন্তু দু:খজনক বাস্তবতা হলো সেই অস্ত্রের ঝনঝনানি কালো টাকা মুক্ত রাজনীতি যেমন নেই তেমন হারিয়েই গেছে আমাদের ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক আন্দোলন। যেন সেগুলির আজ আর প্রয়োজন নেই। ফলে উগ্রবাদী ধর্মান্ধ সাম্প্রদায়িক শক্তিগুলি কার্যত: ওয়াকওভার পেয়ে যাচ্ছে। অবিলম্বে সকল সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বকে গা-ঝাড়া দিয়ে দেশ জোড়া প্রবল সাংস্কৃতিক আন্দোলনের জোয়ার সৃষ্টি করে জঙ্গিবাদকে তার মূলে আঘাত করতে হবে। রবীন্দ্রনাথ-নজরুল-লালন এ ব্যাপারে সকলের দিশারীর ভূমিকা পালন করবেন।

পাঠ্যসূচি পাঠ্যপুস্তক আর একটি প্রধান সেক্টর। পাঠ্য বইগুলিতে অসাম্প্রদায়িক লেখ-লেখিকাদের রচিত গল্প, প্রবন্ধ, কবিতা-উপন্যাস প্রভৃতি বেশি বেশি করে স্থান দিতে হবে। সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সংগীত, নৃত্য শিক্ষক নিয়োগ দিয়ে তৃণমূলে সাংস্কৃতিক আবহ রচনা করাও অপরিহার্য।

তেমনি অপরিহার্য আমাদের তরুণ-তরুণীদেরকে খেলাধুলায় মনোযোগী করে তোলা সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ক্রীড়া শিক্ষক নিয়োগ ও ক্রীড়া সরঞ্জামাদি নিয়মিত সরবরাহ করার উদ্যোগ গ্রহণ করে সম্ভাব্য সকল পন্থায় যুব সমাজকে কল্যাণমুখী কাজে সদা নিয়োজিত রেখে এবং তাদের ভবিষ্যৎ জীবন যাতে দারিদ্র ও বেকারত্ব মুক্ত হয় তারও উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে পুলিশি ব্যবস্থা যেমন প্রয়োজন তেমনই তার বিরুদ্ধে সকল ফ্রন্টেই প্রতিরোধ গড়ে তোলা অপরিহার্য।

রণেশ মৈত্র, লেখক, একুশে পদকপ্রাপ্ত সাংবাদিক; মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক। ইমেইল : [email protected]

মুক্তমত বিভাগে প্রকাশিত লেখার বিষয়, মতামত, মন্তব্য লেখকের একান্ত নিজস্ব। sylhettoday24.com-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে যার মিল আছে এমন সিদ্ধান্তে আসার কোন যৌক্তিকতা সর্বক্ষেত্রে নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে sylhettoday24.com আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় গ্রহণ করে না।

আপনার মন্তব্য

লেখক তালিকা অঞ্জন আচার্য অধ্যাপক ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী ৪৮ অসীম চক্রবর্তী আজম খান ১১ আজমিনা আফরিন তোড়া ১০ আনোয়ারুল হক হেলাল আফসানা বেগম আবদুল গাফফার চৌধুরী আবু এম ইউসুফ আবু সাঈদ আহমেদ আব্দুল করিম কিম ৩২ আব্দুল্লাহ আল নোমান আব্দুল্লাহ হারুন জুয়েল ১০ আমিনা আইরিন আরশাদ খান আরিফ জেবতিক ১৭ আরিফ রহমান ১৬ আরিফুর রহমান আলমগীর নিষাদ আলমগীর শাহরিয়ার ৫৪ আশরাফ মাহমুদ আশিক শাওন ইনাম আহমদ চৌধুরী ইমতিয়াজ মাহমুদ ৭১ ইয়ামেন এম হক এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন একুশ তাপাদার এখলাসুর রহমান ৩৭ এনামুল হক এনাম ৪২ এমদাদুল হক তুহিন ১৯ এস এম নাদিম মাহমুদ ৩৩ ওমর ফারুক লুক্স কবির য়াহমদ ৬৩ কাজল দাস ১০ কাজী মাহবুব হাসান কেশব কুমার অধিকারী খুরশীদ শাম্মী ১৭ গোঁসাই পাহ্‌লভী ১৪ চিররঞ্জন সরকার ৩৫ জফির সেতু জহিরুল হক বাপি ৪৪ জহিরুল হক মজুমদার জাকিয়া সুলতানা মুক্তা জান্নাতুল মাওয়া জাহিদ নেওয়াজ খান জুনাইদ আহমেদ পলক জুয়েল রাজ ১০২ ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন ১২ ড. কাবেরী গায়েন ২৩ ড. শাখাওয়াৎ নয়ন ড. শামীম আহমেদ ৪১ ডা. আতিকুজ্জামান ফিলিপ ২০ ডা. সাঈদ এনাম ডোরা প্রেন্টিস তপু সৌমেন তসলিমা নাসরিন তানবীরা তালুকদার তোফায়েল আহমেদ ৩১ দিব্যেন্দু দ্বীপ দেব দুলাল গুহ দেব প্রসাদ দেবু দেবজ্যোতি দেবু ২৭ নাজমুল হাসান ২৪ নিখিল নীল পাপলু বাঙ্গালী পুলক ঘটক প্রফেসর ড. মো. আতী উল্লাহ ফকির ইলিয়াস ২৪ ফজলুল বারী ৬২ ফড়িং ক্যামেলিয়া ফরিদ আহমেদ ৪২ ফারজানা কবীর খান স্নিগ্ধা বদরুল আলম বন্যা আহমেদ বিজন সরকার বিপ্লব কর্মকার ব্যারিস্টার জাকির হোসেন ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ ১৮ ভায়লেট হালদার মারজিয়া প্রভা মাসকাওয়াথ আহসান ১৯০ মাসুদ পারভেজ মাহমুদুল হক মুন্সী মিলন ফারাবী মুনীর উদ্দীন শামীম ১০ মুহম্মদ জাফর ইকবাল ১৫৩ মো. মাহমুদুর রহমান মো. সাখাওয়াত হোসেন মোছাদ্দিক উজ্জ্বল মোনাজ হক ১৪ রণেশ মৈত্র ১৮৩ রতন কুমার সমাদ্দার রহিম আব্দুর রহিম ৫৫ রাজু আহমেদ ১৬ রাজেশ পাল ২৮ রুমী আহমেদ রেজা ঘটক ৩৮ লীনা পারভীন শওগাত আলী সাগর শাওন মাহমুদ