আজ শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪

Advertise

সন্ত্রাস যেখানে রাষ্ট্রীয় সংস্কৃতি

আবু সাঈদ আহমেদ  

২০০৩ সাল। খালেদা জিয়ার শাসনকাল চলছে। গঠিত হল র‍্যাব। এলিট ফোর্স। বেশীর ভাগ সদস্য রিক্রুট হল সামরিকবাহিনী হতে। জন্মের পর হতেই র‍্যাব ক্রসফায়ারের সাজানো নাটকে হত্যা শুরু করল।



শেখ হাসিনা। তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী। বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের তীব্র সমালোচনায় ফেটে পড়লেন। প্রতিশ্রুতি দিলেন ক্ষমতায় এলে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড নিষিদ্ধ করবেন। মানবাধিকার সংগঠনগুলো সোচ্চার হল। ওয়ান ইলেভেনে র‍্যাবের কার্যক্রম অব্যাহত রইল।



শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এলেন। ক্রসফায়ারের পক্ষে অবস্থান নিলেন। এলিট ফোর্স র‍্যাবের কর্মদক্ষতা প্রসারিত হল রাষ্ট্রীয় অপহরণ আর গুমে। ক্রসফায়ারের পাশাপাশি শুরু হল অপহরণ আর গুমের মহোৎসব। পুলিশ বসে থাকবে কেন! উৎসবে তারাও যোগ দিল।



র‍্যা
ব আর পুলিশ যখন ক্রসফায়ারের সাজানো নাটকে একের পর খুন করেছে- আমরা আমজনতা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছি। দুই একজন সাধারণ মানুষকে ক্রসফায়ারে হত্যা করলে র‍্যাবের পক্ষে যুক্তি দিয়েছি- "একটু আধটু ভুল হতেই পারে।" কন্ট্রাক্ট কিলিং-এর ব্যাপার ফাঁস হলে বলেছি- "এটা অন্যায়। তবে পুরো বাহিনী তো আর কন্ট্রাক্ট কিলিংয়ে জড়িত নয়।" অপহরণ আর গুমের সংবাদ পড়ে নিজেদের বুঝিয়েছি- এটা গুম হওয়া রাজনীতিক আর ব্যবসায়ীদের ব্যাপার। আমরা মাথা ঘামাব কেন!



লজ্জাজনক সত্য হল একবারও প্রশ্ন করি নাই- বেআইনী কার্যক্রমের মাধ্যমে কিভাবে আইন রক্ষা করা সম্ভব? বিচারবিভাগের সীমাবদ্ধতা কোথায়? আইনশৃংখলা রক্ষাবাহিনীকে বেআইনীভাবে হত্যাকাণ্ড চালাতে হয় কেন? রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হওয়া সত্বেও বিচার বিভাগের উপর প্রশাসন আস্থাহীন কেন? রাষ্ট্র ইউনিফর্ম বাহিনীর মাধ্যমে নিয়মিত বিচারবহির্ভূত হত্যা করিয়ে কোন লক্ষ্য অর্জন করতে চায়?



অবশ্য বেয়াড়া কেউ কেউ এই প্রশ্নগুলো তুলেছিল। তাদের নিয়ে উপহাস করেছি। আলোকিত মানুষ গড়ার কারিগর আব্দুল্লাহ আবু সায়ীদের মত জোর গলায় বিবেকের বিস্ময় জানিয়েছি- অপরাধীর আবার মানবাধিকার কি! বিচার কি!



২.


জামাত মৌলবাদী দল। ধর্মীয় মৌলবাদ প্রতিরোধে সরকার জামাতকে নিষিদ্ধ করে নাই। যদিও একটা নির্বাহী আদেশেই জামাতকে নিষিদ্ধ করা যেত। জামাতেকে নিষিদ্ধ না করেই সরকার জারি রাখল জামাত বিরোধীতা। দাঁড়ি টুপি পরা সাধারণ ধর্মপ্রাণ মানুষদের জামাতের দলীয় কর্মীদের সমার্থক করে তোলা হল।



সরকারবিরোধী আন্দোলনের সময়ে জামাত প্রতিরোধে নাগরিকদের আইন হাতে তুলে নিতে বলা হল। গণজাগরণ মঞ্চের জামাতবিরোধী অবস্থানকে পূঁজি করে জামাত শিবির দেখলেই পিটিয়ে মারার নিয়মিত নির্দেশ দিতে শুরু করলেন তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহিউদ্দীন খান আলমগীর, সাবেক আইন প্রতিমন্ত্রী ও বর্তমান খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম, সাবেক বন ও পরিবেশ মন্ত্রী হাছান মাহমুদ, তৎকালীন ও বর্তমান কৃষিমন্ত্রী মাতিয়া চৌধুরীসহ অন্যান্য মন্ত্রী এবং সাংসদগণ। এই আহ্বানে সারা দিয়ে প্রতিপক্ষের পাশাপাশি নিজ দলের প্রতিপক্ষ গ্রুপের উপরে হামলার ঘটনা কম ঘটে নাই। রাজপথে প্রতিপক্ষকে প্রতিরোধে পুলিশের পাশাপাশি সাধারণ পোশাকে লাঠি ও অস্ত্র হাতে বিশেষ বাহিনী নামত। এরা দলীয় কর্মী। পুলিশী ব্যাক-আপে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের উপর ঝাপিয়ে পরত। পুলিশ নির্বিকার তাকিয়ে থাকত, তাদের সহযোগিতায় এগিয়ে যেত।



আমরা আমজনতা। মৌলবাদ বিরোধী চেতনার ধারক বাহক। জামাত শিবির করার অপরাধে কাউকে মেরে ফেলার খবরে উল্লসিত হয়েছি। ভাবি নাই-এটা সন্ত্রাস, এটা অন্যায়, এটা অমানবিক। জামাত শিবির করা অপরাধ হলে (যেহেতু নিষিদ্ধ সংগঠন নয়) আইনের মাধ্যমে যথাযথ বিচারের করে শাস্তি দিতে হবে-আইন নিজের হাতে তুলে নয়।



শাসকদের মৌখিক দায়মুক্তিপ্রাপ্ত আমরা কেন ভাবতে যাব - বিচারবহির্ভূতভাবে জামাত শিবির হত্যা যদি জায়েজ হয় তবে নাগরিকের সাংবিধানিক অধিকার আর আইনের যুক্তি অনুযায়ী প্রতিপক্ষকে হত্যাও জামাত শিবিরের জন্য বৈধ হয়। সন্ত্রাস দিয়ে সন্ত্রাস নির্মূল সম্ভব নয়।



ধর্মীয় মৌলবাদ দমনের জোশে এতটাই উৎফুল্ল ছিলাম যে প্রশ্ন করার ফুরসত পাই নাই- রাষ্ট্র কি উদ্দেশ্যে সন্ত্রাসবাদকে উৎসাহিত করছে? এই সন্ত্রাসবাদ আমাদের কোথায় নিয়ে দাঁড় করাবে? রাষ্ট্রের সন্ত্রাসবাদপ্রীতির শেষ পরিণতি কি?



৩.
সন্ত্রাসবাদের আন্তর্জাতিক সূচক অনুযায়ী পাকিস্তানের অবস্থান তিন নম্বরে, ভারত সাত নম্বরে এবং বাংলাদেশ ২৩ নম্বরে। ১৮ কোটি নাগরিকের বাংলাদেশে পুলিশ ও র‍্যাব প্রতিদিন যত জঙ্গি আটক করে ১২০কোটি নাগরিকের ভারতে মাসে তত জঙ্গি আটক হয় না।



পৃথিবীতে একমাত্র বাংলাদেশে আটক হওয়া জঙ্গীরাই ব্যতিক্রম। তারা ভীষণ পুলিশ বান্ধব। আটক হবার সাথে সাথে বিশাল বিশাল গোপন পরিকল্পনা ফাঁস করে দেয়। তাদের নেতা, নেতার নেতা, তস্য নেতাদের পূর্ণ জীবনবৃত্তান্ত দেয়।



আফগানিস্থান, পাকিস্তান, সিরিয়া বা ইরাকে নয়, একমাত্র বাংলাদেশেই ড্রোনের যন্ত্রাংশ, অত্যাধুনিক অস্ত্রের ক্যাটালগের ফটোকপি, জংধরা দাও-বটি-চাপাতির মত অত্যাধুনিক স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র আর র‍্যাপিডেক্স স্পোকেন এরাবিক ইন থার্টি ডেইজ বইয়ের মত ভয়াবহ বিধ্বংসী জিনিসপত্রসহ জঙ্গী বা ধর্মীয় মৌলবাদী গ্রেফতার হয়। দেশের প্রতি স্কয়ারফুটে জঙ্গী মৌলবাদী রয়েছে এই ধারণাকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য পুলিশ র‍্যাব যাদের আটক করে তারা অধিকাংশই মাদ্রাসার সাধারণ ছাত্র। দুই একটা ব্যতিক্রম বাদে আটক হবার কিছু দিনের মধ্যেই তারা জামিনে বেরিয়ে আসে- সামর্থ্য থাকলে প্রবাসে পাড়ি দেয়, না থাকলে নিয়মিত কোর্টে হাজিরা দেয়।



তবে বাংলাদেশে কি ধর্মীয় মৌলবাদ, উগ্রবাদ, সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গীবাদ নেই? অবশ্যই আছে। বেশ ভালোভাবেই আছে। রাষ্ট্রের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ পৃষ্ঠপোষকতায় তারা দুধে-ভাতে আছে। রাষ্ট্র আপন প্রয়োজনে এই সাপকে আস্তিনে পোষছে। দরকার হলে বের করছে। আবার আস্তিনে গুঁটিয়ে নিচ্ছে। রাষ্ট্র জানে কিন্তু মানেনা- এই বিষাক্ত সাপ সাপুড়েকেও ছাড়েনা। তাই হররোজ সকালে বিকালে জঙ্গী ধরা হলেও আসল জঙ্গীরা আড়ালে থেকে যাচ্ছে। ভুলক্রমে কেউ আটক হলে বিদেশে পাঠিয়ে দেয়া হচ্ছে। ফলে হত্যাকাণ্ড চলছে, থামছেনা।



৪.
পৃথিবী সূর্যের চারদিকে ঘুরে। দেশের সেক্যুলারিজম ব্যাবসায়ীদের মূল সিন্ডিকেটটি প্রকাশ্যে গোপনে আওয়ামী লীগকে কেন্দ্র করে ঘুরে। একের পর এক হত্যাকাণ্ড চলার পরেও তারা সোচ্চার হয় না। দলদাসবৃত্তির উপরে উঠে স্বীকার করে না এই আওয়ামী আমলই জঙ্গীবাদ/মৌলবাদের স্বর্ণযুগে পরিণত হচ্ছে। সকল হত্যাকান্ডের সরাসরি বেনিফিশিয়ারী আওয়ামী লীগ। রাষ্ট্রের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ পৃষ্ঠপোষকতা ব্যতীত একের পর এক হত্যাকাণ্ড চালিয়ে যাওয়া কোন গোষ্ঠীর পক্ষেই সম্ভব নয়।



সেক্যুলারিজমের বেনিয়ারা বাংলাদেশকে পাকিস্তান বানানোর ষড়যন্ত্রের কল্পবিজ্ঞান শোনাবেন। স্বাধীন বাংলাদেশে চুয়াল্লিশ বছর ধরে এদের কাঁধেই পাকিস্তানের দানব চেঁপে আছে। এরা দেশে আইএসের কার্যক্রম খুঁজে পাবে। কিন্তু সেক্যুলারিজমের প্যাকেটে আওয়ামীলীগের ধর্ম ব্যবসা খুঁজে পাবেনা। এই অপরাজনীতির বিরুদ্ধে ও নির্মূলে সোচ্চার হবে না। পাছে সরকার বিব্রত হয়, আওয়ামী লীগ নাখোশ হয়। সেক্যুলারিজমের ব্যবসায় যদি শেয়ার বাজারের মন্দা দেখা দেয়। স্বার্থবাদী হিসেব নিকেশে তারা ভালই জানে যতদিন জঙ্গীবাদ মৌলবাদের রমরমা ততদিন সেক্যুলারিজমের মার মার কাট কাট বাণিজ্য।



এই রাষ্ট্রে সেক্যুলারিজম ও মৌলবাদ ব্যবসায়ীরা পরস্পরের প্রতিপক্ষ নয়, সুহৃদ সহযোগী। তাই শফি হুজুরের ১৩ দফা শতদল হয়ে ফুটে সেক্যুলার প্রধানমন্ত্রীর মদিনা সনদ বাস্তবায়নের পবিত্র অঙ্গীকারে।

 



৫.
রাজীব, অভিজিৎ, ওয়াশিকুর, অনন্ত, নীলকে শুধু নাস্তিক হবার কারণে হত্যা করা হয়েছে- এটা সরলীকরণ। উল্লেখ্য, বিডিআর ও সাগর-রুনির হত্যাকাণ্ডকেও সরকারের পক্ষ থেকে জঙ্গীদের কাজ হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা হয়েছিল। ব্লগার হত্যাকাণ্ডের মত সাগর রুনির হত্যাকাণ্ডের তদন্তে কোন অগ্রগতি নাই। বিডিআর হত্যাকাণ্ডের তদন্তে আব্দুল কাহার আখন্দের তদন্ত কমিটি কোন জঙ্গী সংশ্লিষ্টতা পায় নাই। সামরিক বাহিনীর তদন্ত দল প্রতিবেদনে তদন্তকাজে সরকারের অসহযোগিতার কথা জানিয়েছিল।



বিডিআর হত্যাকাণ্ড, সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ড, ব্লগার হত্যাকাণ্ড, রাজন-রাজিব হত্যাকাণ্ড, মাতৃগর্ভে সুমাইয়ার গুলিবিদ্ধ হওয়া, র‍্যাব আর পুলিশের অপহরণ, গুম, ক্রসফায়ার নামক হত্যাকাণ্ডের কারণ লক্ষ্য উদ্দেস্য পৃথক হতে পারে- কিন্তু এগুলো রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের বিস্তার।



দীর্ঘদিনের রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস আর দায়মুক্তির সংস্কৃতি নাগরিককে ভয়াবহভাবে সন্ত্রাসবাদী করে তুলেছে। গত পাঁচ বছরের বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের তালিকা বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে সরকার প্রথম অবস্থানে রয়েছে। বেসরকারী খাত রয়েছে তৃতীয় অবস্থানে। জিপিপি (গভর্নমেন্ট এন্ড পাবলিক পার্টনারশীপ) খাতের আবস্থান দ্বিতীয়। ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র, যুব, শ্রমিক, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, সহস্র নাগরিক কমিটির মত বাংলাদেশের প্রতিটি মৌলবাদী সংগঠনই জিপিপি (গভর্ণমেন্ট এন্ড পাবলিক পার্টনারশীপ) প্রতিষ্ঠান।



৬.
বর্তমান বাংলাদেশ এমন এক রাষ্ট্র যেখানে সন্ত্রাস রাষ্ট্রীয় সংস্কৃতি। রাষ্ট্র নিয়মিত নাগরিকের প্রতি সন্ত্রাস চালায়। রাষ্ট্রই নাগরিককে সন্ত্রাসবাদী ও সন্ত্রাসমনষ্ক হতে উৎসাহিত করে, বাধ্য করে। যারা সন্ত্রাসবাদী হতে পারবে, সন্ত্রাসের সাথে লড়াই করতে পারবে তারা এ দেশে থাকবে, যারা পারবেনা তারা পুলিশের প্রেসক্রিপশন মেনে বিদেশে চলে যাবে। এই রাষ্ট্রে আমরাই খুন হই, আমরাই খুন করি- রাষ্ট্রের কোন দায় নেই। আসুন প্রতিটি হত্যাকান্ডে নিজের দায় স্বীকার করে বলি- আমি হত্যা করেছি, আমিই খুনী।

আবু সাঈদ আহমেদ, লেখক, কলামিস্ট, অনলাইন এক্টিভিস্ট।

মুক্তমত বিভাগে প্রকাশিত লেখার বিষয়, মতামত, মন্তব্য লেখকের একান্ত নিজস্ব। sylhettoday24.com-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে যার মিল আছে এমন সিদ্ধান্তে আসার কোন যৌক্তিকতা সর্বক্ষেত্রে নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে sylhettoday24.com আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় গ্রহণ করে না।

আপনার মন্তব্য

লেখক তালিকা অঞ্জন আচার্য অধ্যাপক ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী ৪৮ অসীম চক্রবর্তী আজম খান ১১ আজমিনা আফরিন তোড়া ১০ আনোয়ারুল হক হেলাল আফসানা বেগম আবদুল গাফফার চৌধুরী আবু এম ইউসুফ আবু সাঈদ আহমেদ আব্দুল করিম কিম ৩২ আব্দুল্লাহ আল নোমান আব্দুল্লাহ হারুন জুয়েল ১০ আমিনা আইরিন আরশাদ খান আরিফ জেবতিক ১৭ আরিফ রহমান ১৬ আরিফুর রহমান আলমগীর নিষাদ আলমগীর শাহরিয়ার ৫৪ আশরাফ মাহমুদ আশিক শাওন ইনাম আহমদ চৌধুরী ইমতিয়াজ মাহমুদ ৭১ ইয়ামেন এম হক এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন একুশ তাপাদার এখলাসুর রহমান ৩৭ এনামুল হক এনাম ৪২ এমদাদুল হক তুহিন ১৯ এস এম নাদিম মাহমুদ ৩৩ ওমর ফারুক লুক্স কবির য়াহমদ ৬৩ কাজল দাস ১০ কাজী মাহবুব হাসান কেশব কুমার অধিকারী খুরশীদ শাম্মী ১৭ গোঁসাই পাহ্‌লভী ১৪ চিররঞ্জন সরকার ৩৫ জফির সেতু জহিরুল হক বাপি ৪৪ জহিরুল হক মজুমদার জাকিয়া সুলতানা মুক্তা জান্নাতুল মাওয়া জাহিদ নেওয়াজ খান জুনাইদ আহমেদ পলক জুয়েল রাজ ১০২ ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন ১২ ড. কাবেরী গায়েন ২৩ ড. শাখাওয়াৎ নয়ন ড. শামীম আহমেদ ৪১ ডা. আতিকুজ্জামান ফিলিপ ২০ ডা. সাঈদ এনাম ডোরা প্রেন্টিস তপু সৌমেন তসলিমা নাসরিন তানবীরা তালুকদার তোফায়েল আহমেদ ৩১ দিব্যেন্দু দ্বীপ দেব দুলাল গুহ দেব প্রসাদ দেবু দেবজ্যোতি দেবু ২৭ নাজমুল হাসান ২৪ নিখিল নীল পাপলু বাঙ্গালী পুলক ঘটক প্রফেসর ড. মো. আতী উল্লাহ ফকির ইলিয়াস ২৪ ফজলুল বারী ৬২ ফড়িং ক্যামেলিয়া ফরিদ আহমেদ ৪২ ফারজানা কবীর খান স্নিগ্ধা বদরুল আলম বন্যা আহমেদ বিজন সরকার বিপ্লব কর্মকার ব্যারিস্টার জাকির হোসেন ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ ১৮ ভায়লেট হালদার মারজিয়া প্রভা মাসকাওয়াথ আহসান ১৯০ মাসুদ পারভেজ মাহমুদুল হক মুন্সী মিলন ফারাবী মুনীর উদ্দীন শামীম ১০ মুহম্মদ জাফর ইকবাল ১৫৩ মো. মাহমুদুর রহমান মো. সাখাওয়াত হোসেন মোছাদ্দিক উজ্জ্বল মোনাজ হক ১৪ রণেশ মৈত্র ১৮৩ রতন কুমার সমাদ্দার রহিম আব্দুর রহিম ৫৫ রাজু আহমেদ ১৬ রাজেশ পাল ২৮ রুমী আহমেদ রেজা ঘটক ৩৮ লীনা পারভীন শওগাত আলী সাগর শাওন মাহমুদ