আজ শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

Advertise

ভুল নিশানায় তীর নয়!

কবির য়াহমদ  

যুদ্ধাপরাধী সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর (সাকা চৌধুরী) আপিলের রায়ের আগে প্রধানমন্ত্রী দপ্তর একজন বিচারপতির বিদেশ সফরে বাধা দেওয়া হয়েছে সরকার সমর্থক দৈনিক জনকণ্ঠের এমন অভিযোগ ইতোমধ্যেই ভুল প্রমাণিত হয়েছে। জনকণ্ঠে প্রকাশিত সে নিবন্ধে প্রধান বিচারপতির বিদেশ সফরকে ঘিরে সাকা পরিবারের সঙ্গে দফারফার ইঙ্গিত করা হয়েছিল। যেখানে এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী দপ্তরের কোন ভূমিকা ছিল না সেহেতু অভিযোগ ছিল ভিত্তিহীন।



সুপ্রীম কোর্ট বিষয়টি আদালত অবমাননা ও বিচার প্রক্রিয়াকে বিতর্কিত করার অপচেষ্টা হিসেবেই দেখেছেন। স্বপ্রণোদিত হয়ে রিট করেছেন, রিটের শুনানিতে বিবাদিপক্ষের উপস্থাপনা ঢঙ যতখানি বিভিন্ন গণমাধ্যমের মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে তাতে করে মনে হচ্ছে এর মাধ্যমে দেশের সর্বোচ্চ আদালতকে এখন বিতর্কিত এবং পুরো মানবতাবিরোধি অপরাধের প্রক্রিয়াকে প্রশ্নের মুখোমুখি দাঁড় করানো হচ্ছে। এটা ছিল যুদ্ধাপরাধী সাকা চৌধুরী পরিবারের দীর্ঘদিনের সাধনার ফল। প্রথমে তারা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায়ের খসড়ার কিছু অংশ ফাঁস করালো অর্থের বিনিময়ে নিম্নতম পর্যায়ের কর্মচারি ও আইনজীবিদের দ্বারা, যদিও মুল রায়ের সঙ্গে ফাঁস হওয়া খসড়া রায়ের মিল ছিল না। কিন্তু মিল-অমিলের ব্যাপারটি যতখানি আলোচিত হয়েছিল তারচেয়ে বেশি আলোচিত হয়েছে রায় ফাঁস এ খবর।



আপিলের চুড়ান্ত রায়ের ঠিক আগে আবারও বিতর্ক সৃষ্টি হলো এবং এখনও এর রেশ চলছে। কে জানে কবে থামে, থামার আগে আদালতকে বিতর্কিত করার সবগুলো পর্যায় বিভিন্ন মাধ্যম থেকে চলছে সমানে। এক সময় হয়ত দেখা যাবে অভিযোগগুলোর শক্তিশালি ভিত্তি ছিল না, কিন্তু তার আগে আদালতের রেপুটেশনাল লসের বিষয়টি কে দেখবে? সামাজিক এবং প্রাতিষ্ঠানিক বিভিন্ন অঙ্গের ভিন্ন ভিন্ন লসের মধ্যে রেপুটেশনাল লসের কোন ক্ষতিপূরণ হয় না। আর মানুষজন নেগেটিভ যে কোন কিছুকে রেফারেন্স হিসেবে বারবার উল্লেখ করে থাকে; এটা মানুষের সহজাত আচরণ।



দুই দিন শুনানি করে সুপ্রীম কোর্ট জনকণ্ঠের বিরুদ্ধে অভিযোগকে আদেশের জন্যে তারিখ নির্ধারণ করে দিয়েছেন। এ পর্যায়ে পুরো বিষয়টি আদালতের বিচারাধীন, আর বিচারাধীন বিষয়ে মন্তব্য, বক্তব্য, মতামত বিধিবদ্ধ নিয়ম দ্বারা সংরক্ষিত; উচিত নয়। কিন্তু এক্ষেত্রে আমরা দেখছি বিচারাধীন বিষয়ে জনকণ্ঠ পত্রিকা লিখেই যাচ্ছে, আর একটি টিভি চ্যানেল তাদের নিয়মিত টকশো’তে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছে।



একাত্তর টেলিভিশন একাত্তর জার্নাল নামক টকশো’তে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছে। আদালতে যে অডিও টেপ প্রচার করা হয়নি সেটা পাবলিকলি তারা প্রচার করেছে। আমন্ত্রিত অতিথিরা তাদের নিজেদের মত করে মন্তব্য করেছেন, যুক্তি-পাল্টা যুক্তি দিয়েছেন। আলোচনায় অংশ নিয়েছেন আমেনা মহসীন ও মঞ্জুরুল ইসলাম। টিভি দর্শকেরা অনুষ্ঠান চলাকালীন সময়ে দেখেছেন, যারা সে সময় দেখেননি তারা এখন ইউটিউব এবং অন্যান্য সাইটের মাধ্যমে রেকর্ডকৃত অংশ দেখবেন। আবার সে ভিডিও ডাউনলোড করে অনেকেই আবার এডিট করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছাড়বেন ততখানি যতখানি দ্বারা আদালতকে বিতর্কিত করা যায়! এ প্রক্রিয়া থামানো যাবে না; থামানোর কোন উপায় আদতে নাই।



জনকণ্ঠ পত্রিকায় প্রকাশিত নিবন্ধের পর পত্রিকা কর্তৃপক্ষ যেভাবে মামলা লড়েছে তাতে করে তারা উদ্দেশ্যমূলকভাবে আদালতকে বিতর্কিত করতে চাচ্ছে বলে মনে করছেন অ্যার্টনি জেনারেল, এবং তিনি এ নিয়ে সাংবদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তীব্র প্রতিক্রিয়াও ব্যক্ত করেছেন।



আপিল বিভাগ অডিওটেপের কথোপকথন শোনার প্রয়োজনীয়তা বোধ করেননি, এক্ষেত্রে তারা সেটা না শোনে জমা নিয়েছিলেন কিন্তু দেখা গেল জনকণ্ঠ তার আংশিক প্রকাশ করেছে, আর একাত্তর টেলিভিশন পাবলিকলি সেটা প্রচার করল সে রাতেই। এক্ষেত্রে নিষ্পত্তির অপেক্ষায় থাকা একটা বিষয়কে জনসমক্ষে প্রচারের মাধ্যমে জনসাধারণের কাছে ভুল বার্তাই গেল। কারণ মানুষজন যে কোন প্রতিষ্ঠিত ও শক্তিশালি প্রতিষ্ঠানকে প্রাথমিক চিন্তায় স্বপক্ষ মনে না করে প্রতিপক্ষই ভাবতে ভালোবাসে। আর অডিও টেপ, ভিডিওচিত্রকে সবাই নেগেটিভ হিসেবেই দেখে। মানুষজন ভাবে এই বুঝি অতি গোপনীয় কিছু বের হয়ে গেলো!



আপিল বিভাগ শুনানিকালে বিচারাধীন বিষয়ে আর কোন মন্তব্য প্রকাশ না করতে আদেশ দিয়েছিলেন এবং সেটা পর্যবেক্ষণে রাখতেও বলেছিলেন। কিন্তু জনকণ্ঠ পত্রিকা কথোপকথনের অডিওটেপের আংশিক তাদের পত্রিকায় প্রকাশ করেছে। আংশিক অংশ মানে নিজেদের ফেভারে যতখানি ঠিক ততখানি। এতে করে মানুষের কাছে ভুল বার্তা যে যাচ্ছে, গেল- সে বিষয়ে সন্দেহ নেই। সবাই জানে, আংশিক প্রচার আর ম্যানিপুলেট সম্পর্কের দিক থেকে খুব বেশি দূরের নয়। এগুলো মানুষকে বিভ্রান্ত করবে, আমি নিজেও বিভ্রান্ত হয়েছি। জনকণ্ঠের উদ্দেশ্য যদি মানুষকে বিভ্রান্ত করা হয়ে থাকে তাহলে আমার ক্ষেত্রে বলব তারা সফল।



আপিলের শুনানি শেষে বিষয়টি যখন নিষ্পত্তির অপেক্ষায় তখন একাত্তর টেলিভিশনের টকশো’ প্রচার আদালতকে প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়ে দেওয়ার উদ্দেশ্যে হয়েছিল এমন বলব না, কিন্তু পাবলিক অপিনিয়নের দিকে দৃষ্টিপাত করলে দেখা যায় এটা আদালতকে প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়েছে। সাধারণ মানুষজনের একজন হিসেবে জানি মানুষজন ‘অডিও বের হইছে, ভিডিও বের হইছে’ এভাবে প্রচার করতেই ভালবাসে। একাত্তর টিভিতে অডিও বের হইছে- এমন কথাগুলো নিশ্চয়ই পজিটিভ নয়, অতি অবশ্যই নেগেটিভ বার্তা গেছে মানুষের মধ্যে। মানুষের আলোচনায় অডিওটেপে কী ছিল সেটা নয়, আলোচনার নাম অডিও বের হইছে! আদালতের ভাবমূর্তিজনিত এ ক্ষতির ক্ষতিপূরণ কী- আমার জানা নাই!



বিষয়টিকে স্বাভাবিকভাবেই স্পর্শকাতর হিসেবে দেখেছেন আদালত। আমেনা মহসীন ও মঞ্জুরুল ইসলামের অংশগ্রহণে একাত্তর টেলিভিশনের একাত্তর জার্নালের টকশো'র সে কপি চেয়েছেন তারা। আগামি ১৬ আগস্ট তাদেরকে উল্লেখিত টকশো’র কপি আদালতে জমা দিতে বলা হয়েছে।



আমরা জানি না আদালত অবমাননা, প্রধান বিচারপতি নিয়ে কুৎসামূলক রচনার বিরুদ্ধে শুনানির পর কী আদেশ দেবেন। হয়ত দেখা যাবে অভিযোগগুলো ছিল ভিত্তিহীন অথবা অন্য কিছু কিন্তু এই মধ্যবর্তী সময়ে বিভিন্ন গণমাধ্যম কর্তৃক অডিওটেপ প্রচার, টকশো’র মাধ্যমে আদালকে প্রশ্নবিদ্ধ করার যে অপচেষ্টা হলো তার কী হবে?



সাকা চৌধুরীর মামলা ইস্যুতে প্রধান বিচারপতির একটা মন্তব্যকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করি। মামলার রায়কে ঘিরে অপপ্রচারের জবাবে প্রধান বিচারপতি বলেছিলেন- সে পরিস্থিতিতে প্রধান বিচারপতি যদি মামলা থেকে নিজেকে সরিয়ে নিতেন তাহলে মামলার রায়ই হতো না।



ফিনান্সিয়াল লসের ক্ষতিপূরণ হয়, কিন্তু রেপুটশনাল লসের কোন ক্ষতিপূরণ নাই। আর তা যদি হয় দেশের বিচার ব্যবস্থা আর যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়াকে ঘিরে তাহলে আমাদের আতঙ্কের কারণ আছে। আমরা আতঙ্কিত। আদালত নামক সংবেদনশীল জায়গা যে কোনভাবে বিতর্কিত হলে আখেরে আমাদেরই ক্ষতি। আর পুরো বিষয়টি যেখানে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের সঙ্গে সম্পর্কিত সেখানে এমন প্রচার-অপপ্রচার যুদ্ধাপরাধী পক্ষকেই লাভবান করবে।

 



এই মামলা ঘিরে আপিলের রায়ের পর্যায়ে এসে সত্যিকার অর্থে কোন ষড়যন্ত্র ছিল, কি নাই এ প্রশ্নের সহজ উত্তর দেওয়া সম্ভব না। তবে আপাতদৃষ্টিতে মনে হচ্ছে এ থেকে উত্তরণ ঘটেছে। চুড়ান্ত রায়ে যুদ্ধাপরাধী সাকা চৌধুরীর ফাঁসি বহাল আছে। এখন কেবল চুড়ান্ত রায় প্রকাশ হওয়ার পর রিভিউজনিত আইনি বাধা অতিক্রম শেষে ফাঁসি কার্যকর! তবে এখানে আশঙ্কার ব্যাপার আছে কেবল কতদিন পর এ মামলার চুড়ান্ত রায় প্রকাশ হবে? নাকি যুদ্ধাপরাধী দেলাওয়ার হোসেইন সাঈদীর রায়ের মতো এ মামলার রায় প্রকাশও আটকে যাবে?



এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৪ তারিখে যুদ্ধাপরাধী সাঈদীর চুড়ান্ত রায় হলেও সে রায় এখনও প্রকাশ হয়নি। এবং কেউ জানে কবে প্রকাশ হবে? আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে সাঈদীর ফাঁসির রায় হলেও আপিলের রায়ে তাকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এ আপিলের রায়ের প্রকাশের পর রিভিউ করা হবে কিনা- এটা এখনও স্পষ্ট নয়!



সাঈদীর রায়ের ক্ষেত্রে আরেকটা লক্ষ্যণীয় বিষয় হলো, আপিল বেঞ্চের বিচারকদের মধ্যে তৎকালীন প্রধান বিচারপতি মোজাম্মেল হোসেন অবসরে। তিনি কি এ রায়ের তার অংশ লিখেছেন, অথবা না লিখলেও চলবে এমন কিছু- এটাও আলোচনায় আসেনি।



প্রায় এগারো মাস আগে আপিল বিভাগের পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ সাঈদীর মামলায় চূড়ান্ত রায় ঘোষণা করেন। সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের মতামতের ভিত্তিতে ওই রায় দেওয়া হয়। তখনকার প্রধান বিচারপতি মো. মোজাম্মেল হোসেনের (বর্তমানে অবসরে) নেতৃত্বে এ বেঞ্চের সদস্য ছিলেন বিচারপতি এস কে সিনহা (বর্তমান প্রধান বিচারপতি), বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহহাব মিঞা, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ও বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী। এ আপিলের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের আগে যদি আরও কোন বিচারপতি অবসরে যান তখন কী হবে?



যুদ্ধাপরাধী সাকা চৌধুরীর আপিলের চুড়ান্ত রায় হয়েছে এবং আকাঙ্ক্ষিত রায়ই পেয়েছে বাংলাদেশ। এখন সাকা চৌধুরীর পরিবারের তৎপরতাকে আমলে নিলে এবং সত্যিকার অর্থে যদি কোন ষড়যন্ত্র থেকেই থাকে তবে সাঈদীর রায়ের মতো এটাও কী দীর্ঘসূত্রিতায় পড়বে- এ প্রশ্ন অনেকের মধ্যেই। তবে আমরা আশাবাদী এবং দেশের সর্বোচ্চ আদালতের প্রতি আস্থাশীল বলে প্রত্যাশা করি অন্য যে কোন আপিলের চুড়ান্ত রায় প্রকাশের সময়ের দিক না দেখে দ্রুততার সঙ্গে এ রায় প্রকাশ করা হবে। আর এটাই হবে সব ধরনের প্রচার-অপপ্রচারের মূলে কুঠারাঘাত !



দেশে-বিদেশে এমন ব্যক্তি আর প্রতিষ্ঠানের অভাব নাই যারা বাংলাদেশে চলমান মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার চায় না। এই পক্ষগুলোর মধ্যে অজ্ঞতা ও বেখেয়ালে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে সরব পক্ষও যদি শামিল হয়- সেটা হবে দুঃখজনক। বিচার প্রক্রিয়া, আদালত ও বিচার বিভাগ আমাদের শত্রু নয়। ভুল নিশানায় তীর নিক্ষেপ থেকে আমাদের বের হয়ে আসা জরুরি!

কবির য়াহমদ, প্রধান সম্পাদক, সিলেটটুডে টোয়েন্টিফোর; ইমেইল: [email protected]

মুক্তমত বিভাগে প্রকাশিত লেখার বিষয়, মতামত, মন্তব্য লেখকের একান্ত নিজস্ব। sylhettoday24.com-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে যার মিল আছে এমন সিদ্ধান্তে আসার কোন যৌক্তিকতা সর্বক্ষেত্রে নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে sylhettoday24.com আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় গ্রহণ করে না।

আপনার মন্তব্য

লেখক তালিকা অঞ্জন আচার্য অধ্যাপক ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী ৪৮ অসীম চক্রবর্তী আজম খান ১১ আজমিনা আফরিন তোড়া ১০ আনোয়ারুল হক হেলাল আফসানা বেগম আবদুল গাফফার চৌধুরী আবু এম ইউসুফ আবু সাঈদ আহমেদ আব্দুল করিম কিম ৩২ আব্দুল্লাহ আল নোমান আব্দুল্লাহ হারুন জুয়েল ১০ আমিনা আইরিন আরশাদ খান আরিফ জেবতিক ১৭ আরিফ রহমান ১৬ আরিফুর রহমান আলমগীর নিষাদ আলমগীর শাহরিয়ার ৫৪ আশরাফ মাহমুদ আশিক শাওন ইনাম আহমদ চৌধুরী ইমতিয়াজ মাহমুদ ৭১ ইয়ামেন এম হক এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন একুশ তাপাদার এখলাসুর রহমান ৩৭ এনামুল হক এনাম ৪১ এমদাদুল হক তুহিন ১৯ এস এম নাদিম মাহমুদ ৩৩ ওমর ফারুক লুক্স কবির য়াহমদ ৬২ কাজল দাস ১০ কাজী মাহবুব হাসান কেশব কুমার অধিকারী খুরশীদ শাম্মী ১৭ গোঁসাই পাহ্‌লভী ১৪ চিররঞ্জন সরকার ৩৫ জফির সেতু জহিরুল হক বাপি ৪৪ জহিরুল হক মজুমদার জাকিয়া সুলতানা মুক্তা জান্নাতুল মাওয়া জাহিদ নেওয়াজ খান জুনাইদ আহমেদ পলক জুয়েল রাজ ১০২ ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন ১২ ড. কাবেরী গায়েন ২৩ ড. শাখাওয়াৎ নয়ন ড. শামীম আহমেদ ৪১ ডা. আতিকুজ্জামান ফিলিপ ২০ ডা. সাঈদ এনাম ডোরা প্রেন্টিস তপু সৌমেন তসলিমা নাসরিন তানবীরা তালুকদার তোফায়েল আহমেদ ৩০ দিব্যেন্দু দ্বীপ দেব দুলাল গুহ দেব প্রসাদ দেবু দেবজ্যোতি দেবু ২৭ নাজমুল হাসান ২৪ নিখিল নীল পাপলু বাঙ্গালী পুলক ঘটক প্রফেসর ড. মো. আতী উল্লাহ ফকির ইলিয়াস ২৪ ফজলুল বারী ৬২ ফড়িং ক্যামেলিয়া ফরিদ আহমেদ ৪২ ফারজানা কবীর খান স্নিগ্ধা বদরুল আলম বন্যা আহমেদ বিজন সরকার বিপ্লব কর্মকার ব্যারিস্টার জাকির হোসেন ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ ১৮ ভায়লেট হালদার মারজিয়া প্রভা মাসকাওয়াথ আহসান ১৯০ মাসুদ পারভেজ মাহমুদুল হক মুন্সী মিলন ফারাবী মুনীর উদ্দীন শামীম ১০ মুহম্মদ জাফর ইকবাল ১৫৩ মো. মাহমুদুর রহমান মো. সাখাওয়াত হোসেন মোছাদ্দিক উজ্জ্বল মোনাজ হক ১৪ রণেশ মৈত্র ১৮৩ রতন কুমার সমাদ্দার রহিম আব্দুর রহিম ৫৫ রাজু আহমেদ ১৫ রাজেশ পাল ২৮ রুমী আহমেদ রেজা ঘটক ৩৮ লীনা পারভীন শওগাত আলী সাগর শাওন মাহমুদ