আজ মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ, ২০২৪

Advertise

অস্ট্রেলিয়ার বাংলাদেশ সফরে নিরাপত্তা সমস্যা: জুজু নাকি বাস্তবতা?

আজম খান  

অস্ট্রেলিয়া দল জঙ্গি হামলাজনিত আতংকে বাংলাদেশের সফর পিছিয়েছে। ক্রিকেট বিশ্বের কাছে এই দলটার পরিচিতি “আগলি অসিজ” হিসেবে। এই জন্য না যে এটা খুব নেতিবাচক কিছু। এরা সব ম্যাচ জিততে চায়। হারের দ্বারপ্রান্তে এসেও হারতে চায় না। স্লেজিং হতে শুরু করে যত কূট-কৌশল আছে সব প্রয়োগ করে। সে অস্ট্রেলিয়া দল নিরাপত্তার কারণে সফর পিছিয়েছে সেটা খুবই অস্বাভাবিক এবং আমাদের জন্য ভয় জাগানিয়া।

বিগত বছরখানেক ধরে বিদেশী গণমাধ্যমগুলোতে বাংলাদেশ প্রায় প্রতি মাসে শিরোনাম হয়েছে, আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়েছে ব্লগার হত্যার জের ধরে। বড় মাপের কোন আক্রমণ এখনো হয়নি। তবে যুদ্ধাপরাধীদের রায়কে কেন্দ্র করে বিশেষত সাঈদির রায়ের পরে তাকে চাঁদে দেখা যাওয়া নিয়ে যা হয়েছে সেটাও একেবারে কম না। থানা আক্রমণ হয়েছে, বাশখালিতে হিন্দুদের বাড়ি ঘর পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে, পুলিশ হত্যা করা হয়েছে। এসব যে বিদেশি গণমাধ্যমগুলো খেয়াল করেনি ব্যাপারটা মোটেও তা না।

প্রায় বছরখানেক আগে দৈনিক কালের কণ্ঠ একটি সংবাদ প্রথম পাতায় ভীষণ গুরুত্ব দিয়ে প্রকাশ করেছিলো। প্রতিবেদনটি তৈরী করেছিলেন সাংবাদিক এবং ব্লগার আরিফুজ্জামান তুহিন। সে প্রতিবেদনে উঠে এসেছিলো বাংলাদেশের মধ্যে গোপনে বিরাজমান আল-কায়েদা, আইসিস, হিজবুত তাহরীর, আনসারুল্লাহ সহ প্রায় ৬২টি উগ্রবাদী সংগঠন খেলাফত প্রতিষ্ঠায় একটি ঐক্যমতে পৌছেছে। কক্সবাজার, উখিয়া, টেকনাফ, পার্বত্য চট্রগ্রাম'কে সশস্ত্র উপায়ে দখল করে সেখানে "মুক্তাঞ্চল" প্রতিষ্ঠা করা হবে। সেখান থেকে সারা দেশ অভিযান চালিয়ে দখন করে নেয়া হবে। এখানে খবরের চাইতেও গুরুত্বপূর্ণ যে পয়েন্টটি উঠে এসেছে তা হচ্ছে, সিরিয়ায় আইসিসের উত্থানের সূচনালগ্নটি ছিল একই রকম। তারা প্রথমে একটি মুক্তাঞ্চল তৈরী করেছিল। তারপরে তারা সে অবস্থান ধরে রেখেছে এবং সিরিয়ার আনাচে-কানাচে থেকে সমস্ত উগ্রবাদীরা সেখানে জড়ো হয়ে চূড়ান্ত আঘাত হেনেছে।

আমাদের সমাজে উগ্রবাদিতা চরম আকারে ছড়িয়ে পড়েছে। এতদিন মাদ্রাসাকে উগ্রপন্থীদের আবাদভূমি মনে করা হলেও ক্যান্সার আকারে তা সরকারী, বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়েও ছড়িয়ে পড়েছে। এখানে লক্ষ্যণীয়, ওয়াশিকুর বাবুর খুনীরা ছাড়া বাকি ব্লগারদের খুনীদের অধিকাংশ বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া। পত্রিকা মারফত আমরা জেনেছি, অনন্ত বিজয়ের খুনীরা শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের। আমাদের আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থাও ধর্মান্ধতা এতটাই উৎসাহ দেয় যে একটি শিশু বেড়ে উঠে শুধু মুসলমান পরিচয় ধারণ করে। এর বাইরেও যে তার আরো পরিচয় আছে সে বাঙালি তা খুব একটা উঠে আসে না। ইতিহাস এবং ধর্মীয় বইগুলোতে ইখতিয়ার উদ্দিন বখতিয়ার খলজি হতে শুরু করে তুর্কী, আরবদের দেখানো হয় নায়ক হিসেবে। কিন্তু তারা এসেছিলেন এই দেশ লুট করতে। সুলতান মাহমুদরা এই অঞ্চলে এসেছিলেন সম্পদের লোভে কিন্তু পাঠ্যপুস্তকে দেখানো হয় ধর্মযুদ্ধ হিসেবে। তাদের নায়ক হিসেবে বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমানদের দেখানো হয় না। পড়ানো হয় স্পেন বিজয়ী তারিক ইবনে খালিদের গল্প। ইসলামের ইতিহাস নিয়ে যে বিষয় অনার্স বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ানো হয় তা মোটামুটি আরবদের বিজয়গাঁথা। তবে সেখানে দেখানো হয় মুসলমানদের ধর্মযুদ্ধ হিসেবে। এই বিষয়টি মোটামুটিভাবে ইতিহাস বিকৃতির ডিপোও বটে। এখানে একটি মানুষের মনস্তত্ত্ব এমনভাবে ধোলাই করা হয় যেন জেহাদ বা ধর্মযুদ্ধ ছাড়া জীবন বৃথা।

অথচ, আমাদের বাঙালিদের আছে তার চাইতেও প্রাচীন গৌরবময় ইতিহাস। বাংলা ছিল এক সময়ে ঐশ্বর্যময় এবং শক্তিধর। আলেক্সাজান্ডারের মত বিশ্ববিজয়ী সমস্ত বিশ্বের প্রকান্ড সব সাম্রাজ্যকে পরাভূত করেও বাংলার কাছে এসে ‘গঙ্গারিডির” ঐশ্বর্য আর প্রতাপের কাছে হার মেনে গিয়েছিলেন। তার সাথে আসা গ্রীক ইতিহাসবিদদের লেখনি থেকে জানা যায়, রাজা কুরুর মাত্র ২৪৫টি হাতি আলেক্সান্ডারের সেনাবাহিনীকে প্রায় পরাজিত করে ফেলেছিলো। ভাগ্যগুণে, বেঁচে যান। কুরুকে বন্দী করার পরে যখন তিনি বলেন গঙ্গার ওপাড়ে এক বঙ্গ রাজা আছেন যার সেনাবাহিনীতে আছে ৪ হাজার হস্তী, ৪০ হাজার অশ্বারোহী সেনা এবং দুই লক্ষ পদাতিক সেনা। সাথে সাথে আলেক্সাজান্ডার বাংলা আক্রমণের সাহস হারিয়ে ফেলেন। পাল আমলে বাংলার সাম্রাজ্য ছিল আফগানিস্তান পর্যন্ত বিস্তৃত। বাংলার মানুষ পাল তুলে নৌবহর নিয়ে সুদুর চম্পকনগর তথা আজকের পেরু পর্যন্ত সামরিক অভিযান পরিচালনা করেছে। জয় করেছে অসীম সমুদ্র। আমাদের প্রাচীন পূর্ব পুরুষদের বিজয়গাঁথা চাপা পড়ে গেছে আরবী ঘোড়ার ক্ষুরের ইতিহাসের প্রচারে। সে সমস্ত আমাদের পাঠ্যপুস্তকে উঠে আসে না, আসলেও তা দুই এক লাইনে শেষ হয়ে যায়।

রাজনীতিতে ধর্মের ব্যাবহার বার বার হওয়ার ফলে এখানে মানুষের জীবনের উন্নতির চাইতেও ধর্ম বেশি প্রাধান্য পেয়েছে। স্কুল, বিশ্ববিদ্যালয় বানাবার বদলে মসজিদ, মাদ্রাসাকে কার চাইতে কত বেশি বানাতে পারে সে প্রতিযোগিতা চলে। কে কার চাইতে বড় মুসলমান সে ইঁদুর দৌড়ে ব্যস্ত প্রায় প্রতিটি দল। ফলে আড়ালে পড়ে যায় মানুষের মৌলিক চাহিদাগুলো। পাল্লা দিয়ে বাড়ে ধর্মান্ধতা। জামায়াতে ইসলামি নামক দলটি বাংলাদেশের আলোচিত জঙ্গি সংগঠন জেএমবিতে কর্মী সরবরাহ করে গেছে। জেএমবির অধিকাংশ ধরা পড়া কর্মী জীবনের কোন না কোন পর্যায়ে জামাত অথবা তা অঙ্গ সংগঠনসমূহের সাথে জড়িত ছিলেন। এমনকি হালের হিজবুত তাহরীর কিংবা আনসারুল্লাহ বাংলার মত ঘাতক দলগুলো জামাতি ভাবাদর্শে উজ্জীবিত। এরা আসলে জামায়াতে ইসলামীর সামরিক শাখা। মূলধারার রাজনীতির সাথে যুক্ত থাকার জামাত যা করতে পারে নাই বা পারে না তাদের এদের মাধ্যমে করানো হয়। চূড়ান্ত সময় আসলে জামাত তার শ্বাপদ দন্ত দেখাবে এ ব্যাপারে কোন সন্দেহ নেই। তাদের অপেক্ষা সঠিক সময়ের জন্য।

বিএনপি নামক যে দলটি আছে তারা নিজেদের মধ্য ডানপন্থী দল হিসেবে পরিচয় দিলেও ২০১৩ সালের বহুল আলোচিত শাহবাগ আন্দোলনের পরে তাদের নেতাকর্মীদের কথাবার্তাতে জামায়াতে ইসলামীর মত উগ্রবাদী ধর্মীয় দলগুলোর প্রতিধ্বনি পাওয়া যায়। তারা তাদের রাজনীতিতে এতটাই ধর্মের ব্যবহার করেছেন যে তারা ডানপন্থী রাজনীতির করাল গ্রাসে পড়ে জামায়াতে ইসলামিতে লীন হয়ে গেছেন। ক্ষমতাসীন দল আওয়ামি লীগ এই মূহুর্তে পাল্লা দিয়ে মুসলমানিত্ব প্রমাণে ব্যস্ত। তাদের বিরুদ্ধে যে পরিমাণ ধর্মীয় প্রোপাগান্ডা বিএনপি-জামাতের দলগুলো বিগত দিনগুলোতে ছড়িয়েছে এবং এখনো ছড়িয়ে যাচ্ছে তাতে তারা জনগণের ধর্মীয় অনুভূতির চাহিদা মেটাতে হিমশিম খাচ্ছেন। তার চাইতেও ভয়ংকর ব্যাপার হচ্ছে দলটিতে বানের জলের মত অনুপ্রবেশ করছে জামায়াতে ইসলামীর নেতা কর্মীরা। ক্ষমতার কেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছে জামাতের প্রতি বন্ধুসুলভ আচরণকারী অনেক নেতা। তারা কেউ ফুল দিয়ে জামাতি নেতাকর্মীদের বরণ করে নেন। কেউ বা ইসলামী ব্যাংকের গুনগান করেন।

আফগানিস্তানে সেভিয়েত ইউনিয়নের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে এই দেশের অনেক তরুণ গিয়েছিলো। তাদের অধিকাংশ মাদ্রাসা ঘরানার। সংখ্যাটা কত তার সঠিক কোন পরিসংখ্যান নেই। তবে ধারণা করা হয় সংখ্যাটা ১০-১৫ হাজার। সাম্প্রতিক সময়ে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবীতে সদা সোচ্চার ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি উগ্রপন্থী সংগঠন হেফাজতে ইসলামীর শীর্ষ নেতাদের নিয়ে একটি শ্বেতপত্র প্রকাশ করেছেন। সেখানে দেখে গিয়েছে তাদের অধিকাংশ নেতা আফগান ফেরত এবং বিগত দিনগুলো হতে শুরু করে সাম্প্রতিক সময় পর্যন্ত তারা আফগানিস্তানের তালেবানদের আদলে মাদ্রাসার ছাত্রদের নিয়ে একটি স্বশস্ত্র সংগ্রামের পরিকল্পনায় বিভোর। পুরো পৃথিবী দেখেছে শাহবাগ আন্দোলনের সময়ে হেফাজতে ইসলামের সর্বোচ্চ নেতা আহমদ শফি নাস্তিকদের হত্যা করা আহবান জানিয়ে বলেছিলেন, ‘নাস্তিকদের কতল করা ওয়াজিব’। প্রতিটা ব্লগার হত্যার উস্কানীর সাথে তারা জড়িত এবং অবাক বিস্ময়ে দুনিয়ার ৬০০ কোটি মানুষ দেখেছে তাদের বিচারের আওতায় আনা দূরের কথা, সরকার রেলওয়ের জায়গা জমি হতে শুরু করে টাকা পয়সা ভেট দেয়ায় ব্যস্ত। আমরা অস্বীকার করতে পারি কিন্তু রাষ্ট্রবিজ্ঞানের ভাষায় ক্ষমতার ভারসাম্য কোনদিকে হেলে গেছে তা বাকি দুনিয়ার কাছে পরিষ্কার।

বাংলাদেশে সম্ভাব্য ম্যাসিভ জঙ্গি উত্থানের আরেকটা বড় কারণ হচ্ছে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সীমাহীন ব্যর্থতা। স্বাধীনতার পর থেকে এই দেশে সুশাসন নেই। বিচার প্রার্থীরা মামলার জট, কোন কোন সময়ে অর্থ ক্ষমতার প্রতিপত্তির কারণে বিচার পাননি। একের পর এক লুটপাট হয়েছে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো। সেসবের কোন বিচার হয়নি। খুনের বিচার হয়নি। মানুষ নানাভাবে বঞ্চিত হয়েছে। বছরের পর বছর ধরে জমা হয়েছে বঞ্চনা আর গ্লানির রোষ।

অন্যদিকে, তারা শৈশব থেকে জেনে এসেছেন ইসলামী শাসন ব্যবস্থায় কোন অসাম্য নেই, অবিচার নেই। খলিফা ওমর কিংবা বাগদাদের খলিফা হারুন রশিদের স্বর্ণযুগের সময়ের কথা জেনে এসেছেন যে সময়ে প্রকৃত ইসলাম কায়েম ছিল। ছিল মুসলমানদের অর্থ বৈভব আর নিরাপত্তা। কিন্তু তারা এটা জানেন না ইতিহাস লিখে বিজয়ীরা আর সেখানে তাদের কুকর্মগুলো সব সময়ে চেপে যাওয়া হয়। ধর্মীয় দলগুলো এই সুযোগে তাদের কাছে গত দেড় দুই যুগ ধরে কানের কাছে মন্ত্র দিয়ে যাচ্ছে ইসলামী খেলাফত দিতে পারে তাদের জাগতিক সুখ এবং মুক্তি। ফলাফলে, গণতন্ত্র এবং চলমান রাজনীতির প্রতি তাদের বিতৃষ্ণা চলে এসেছে। এই প্রবণতাটা গ্রামাঞ্চলের অধিকাংশের মধ্যে খুবই প্রবল।

অস্ট্রেলিয়ার মত দেশগুলো এবং তাদের গবেষকেরা বিগত কয়েক দশক ধরে দেখে আসছেন কিভাবে মুসলমান সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশগুলোতে ইসলামী জঙ্গিবাদ চাড়া দিয়েছে। তারা এর প্যাটার্ন এবং প্রকার সম্পর্কে সম্যক অবগত। পাকিস্তান- আফগানিস্তানের মানুষ কিভাবে উগ্রপন্থীদের খপ্পরে পড়েছে, সিরিয়ার মানুষ কিভাবে পড়েছে তা তারা দেখেছেন, জেনেছেন। বিপুল পরিমাণে সমাজবিজ্ঞানীরা তা নিয়ে কাজ করছেন। বাংলাদেশের চলমান নানা ঘটনা প্রবাহে পূর্ব অভিজ্ঞতার সুত্র ধরে তারা বুঝতে পারছেন এই দেশটি আসলে একটা টাইম বোমার উপরে বসে আছে। আর্থ সামাজিক অবস্থা, রাজনীতির প্রকার, এমনকি মানুষ পর্যন্ত প্রস্তুত এই বোমার উপাদান হয়ে।

অন্যদিকে, আমাদের দেশে যাদের এই ব্যাপারগুলো মানুষকে জানানোর দরকার ছিলো সেসব সমাজবিজ্ঞানীরা হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর পদলেহনে ব্যস্ত, নয়তো নানা এনজিওতে কর্মরত। খুব অল্প মানুষই আছেন তাদের মধ্যে যারা এসব বিশ্লেষণ মানুষকে জানিয়ে দেয়া পেশাগত এবং নৈতিক কর্তব্য মনে করেন।

অস্ট্রেলিয়া দলের বাংলাদেশ সফর পিছিয়ে দেয়া মোটেই কাকতালীয় কিংবা মেঘহীন আকাশে বজ্রপাতের মত বিষয় নয়। আমরা একটি নীরব কিন্তু ভয়ংকর বয়ঃসন্ধিকাল পার করছি। যে সময়টা অতীতে পার করেছে পাকিস্তান, আফগানিস্তান, নাইজেরিয়া। মাত্র ৩ বছর আগে সিরিয়াও এ সময়টা দেখে এসেছে। ধর্মীয় কারণে বিভাজন এতটাই প্রকট যে মূহুর্তের মধ্যে দুই ভাগ হয়ে একে অপরের সাথে সংঘাতে জড়িয়ে পড়তে পারে সমস্ত রাষ্টীয় গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানগুলো। ধর্মীয় মৌলবাদ সে সব জায়গাগুলোতেও আস্তানা গেড়েছে।

সাম্প্রতিক সময়ে পুলিশ বলেছে, সেনাবাহিনীর একজন বহিষ্কৃত মাঝারি স্তরের কর্মকর্তা আনসারুল্লাহ বাংলার সাথে জড়িত। এমন কর্মকর্তা যে আর নেই সেটা বলা মুস্কিল। রাস্তা ঘাটে হিজবুত তাহরীরের পোষ্টারগুলোতে সব সময়েই সেনাবাহিনীর অফিসার এবং জোয়ানদের প্রতি উস্কানী দেয়া হয় এবং এই পোষ্টারগুলো ছিঁড়ে ফেলার কিংবা যারা লাগায় তাদের গ্রেপ্তার করার কোন উদ্যোগ দেখছি না। এত স্পর্শকাতর একটি বিষয় অথচ কারো যেন ভ্রুক্ষেপ নেই। রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা নামক বস্তুটি আমাদের কাছে কতটা  অবহেলিত তা এখানেই প্রমাণিত হয়। এই সফর পিছিয়ে দেয়াকে যদি আমরা হালকাভাবে নেই তবে তা হবে নিজের পায়ে কুড়াল মারা। আগুন যদি একবার লাগে তা বাংলার প্রতিটা ঘরকে, প্রতিটা মানুষকে স্পর্শ করবে।

সিরিয়ার আইলানের সমুদ্রতটে পড়ে থাকা লাশের মত করে পড়ে থাকবে আমাদের শিশুরা কিংবা শরণার্থীদের জীবন বাঁচানোর জন্য মরনপ্রাণ ছোটাছুটি করার মত বিষয় আমাদেরও করতে হতে পারে। ঠাকুর ঘরে কে রে, আমি কলা খাই না মনোভাব নিয়ে এই ভয়ংকর টাইম বোমাকে এড়িয়ে গেলে তা হবে আমাদের সবার জন্য আত্মহত্যার নামান্তর।

আজম খান, ব্লগার, অনলাইন এক্টিভিস্ট ও সংগঠক। ইমেইল: [email protected]

মুক্তমত বিভাগে প্রকাশিত লেখার বিষয়, মতামত, মন্তব্য লেখকের একান্ত নিজস্ব। sylhettoday24.com-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে যার মিল আছে এমন সিদ্ধান্তে আসার কোন যৌক্তিকতা সর্বক্ষেত্রে নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে sylhettoday24.com আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় গ্রহণ করে না।

আপনার মন্তব্য

লেখক তালিকা অঞ্জন আচার্য অধ্যাপক ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী ৪৮ অসীম চক্রবর্তী আজম খান ১১ আজমিনা আফরিন তোড়া ১০ আনোয়ারুল হক হেলাল আফসানা বেগম আবদুল গাফফার চৌধুরী আবু এম ইউসুফ আবু সাঈদ আহমেদ আব্দুল করিম কিম ৩২ আব্দুল্লাহ আল নোমান আব্দুল্লাহ হারুন জুয়েল ১০ আমিনা আইরিন আরশাদ খান আরিফ জেবতিক ১৭ আরিফ রহমান ১৬ আরিফুর রহমান আলমগীর নিষাদ আলমগীর শাহরিয়ার ৫৪ আশরাফ মাহমুদ আশিক শাওন ইনাম আহমদ চৌধুরী ইমতিয়াজ মাহমুদ ৭১ ইয়ামেন এম হক এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন একুশ তাপাদার এখলাসুর রহমান ৩৭ এনামুল হক এনাম ৪১ এমদাদুল হক তুহিন ১৯ এস এম নাদিম মাহমুদ ৩৩ ওমর ফারুক লুক্স কবির য়াহমদ ৬২ কাজল দাস ১০ কাজী মাহবুব হাসান কেশব কুমার অধিকারী খুরশীদ শাম্মী ১৭ গোঁসাই পাহ্‌লভী ১৪ চিররঞ্জন সরকার ৩৫ জফির সেতু জহিরুল হক বাপি ৪৪ জহিরুল হক মজুমদার জাকিয়া সুলতানা মুক্তা জান্নাতুল মাওয়া জাহিদ নেওয়াজ খান জুনাইদ আহমেদ পলক জুয়েল রাজ ১০২ ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন ১২ ড. কাবেরী গায়েন ২৩ ড. শাখাওয়াৎ নয়ন ড. শামীম আহমেদ ৪১ ডা. আতিকুজ্জামান ফিলিপ ১৯ ডা. সাঈদ এনাম ডোরা প্রেন্টিস তপু সৌমেন তসলিমা নাসরিন তানবীরা তালুকদার তোফায়েল আহমেদ ৩০ দিব্যেন্দু দ্বীপ দেব দুলাল গুহ দেব প্রসাদ দেবু দেবজ্যোতি দেবু ২৭ নাজমুল হাসান ২৪ নিখিল নীল পাপলু বাঙ্গালী পুলক ঘটক প্রফেসর ড. মো. আতী উল্লাহ ফকির ইলিয়াস ২৪ ফজলুল বারী ৬২ ফড়িং ক্যামেলিয়া ফরিদ আহমেদ ৪২ ফারজানা কবীর খান স্নিগ্ধা বদরুল আলম বন্যা আহমেদ বিজন সরকার বিপ্লব কর্মকার ব্যারিস্টার জাকির হোসেন ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ ১৮ ভায়লেট হালদার মারজিয়া প্রভা মাসকাওয়াথ আহসান ১৮৯ মাসুদ পারভেজ মাহমুদুল হক মুন্সী মিলন ফারাবী মুনীর উদ্দীন শামীম ১০ মুহম্মদ জাফর ইকবাল ১৫৩ মো. মাহমুদুর রহমান মো. সাখাওয়াত হোসেন মোছাদ্দিক উজ্জ্বল মোনাজ হক ১৪ রণেশ মৈত্র ১৮৩ রতন কুমার সমাদ্দার রহিম আব্দুর রহিম ৫৫ রাজু আহমেদ ১৪ রাজেশ পাল ২৮ রুমী আহমেদ রেজা ঘটক ৩৮ লীনা পারভীন শওগাত আলী সাগর শাওন মাহমুদ